It's Nahid

It's Nahid Natural lover ❣️🏞️😍

13/08/2025
একই লোক, একই জায়গা----- একই গাড়ি, ৫৫ বছরের ব্যবধান। ❤️🌹
13/08/2025

একই লোক, একই জায়গা-----

একই গাড়ি, ৫৫ বছরের ব্যবধান। ❤️🌹

২০ জুলাই, ১৯৬৯—মানব ইতিহাসে আজকের এই দিনে অ্যাপোলো ১১ মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মানুষ চাঁদের মাটিতে পা রাখে। নিল আর্...
24/07/2025

২০ জুলাই, ১৯৬৯—মানব ইতিহাসে আজকের এই দিনে অ্যাপোলো ১১ মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মানুষ চাঁদের মাটিতে পা রাখে। নিল আর্মস্ট্রং ছিলেন চাঁদের বুকে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি। চাঁদের বুকে পা রেখেই তিনি বলেন, "That's one small step for man, one giant leap for mankind.” আর তার কিছুক্ষণ পর বাজ অলড্রিন দ্বিতীয় মানুষ হিসেবে সেখানে নামেন। এ সময় মাইকেল কলিন্স চাঁদের কক্ষপথে থাকা কমান্ড মডিউল ‘Columbia’ তে অবস্থান করছিলেন। তিনি চাঁদের মাটিতে নামেননি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে একা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে থাকেন। এই সময় মাইকেল কলিন্সকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষ’ আখ্যা দেওয়া হয়।

কিছু ফ্যাক্ট—

১. যখন ল্যান্ডার 'Eagle' চাঁদের মাটিতে নামছিল, তখন তার ডিসেন্ট ইঞ্জিন বন্ধ করার মুহূর্তে ট্যাঙ্কে মাত্র ২০-৩০ সেকেন্ডের জ্বালানি অবশিষ্ট ছিল। স্বয়ংক্রিয় অবতরণ সম্ভব ছিল না কারণ নির্ধারিত জায়গাটি ছিল পাথরে ভর্তি। নিল আর্মস্ট্রং তখন নিজ হাতে ল্যান্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ম্যানুয়ালি অবতরণ সম্পন্ন করেন। এই নাটকীয় মুহূর্তে উত্তেজনা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে সেই সময় তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল ৭৫ থেকে ১৫০ বিট প্রতি মিনিটে!

২. অবতরণের ঠিক আগে Apollo Guidance Computer এর স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘1201’ ও ‘1202’ এরর কোড। যা ছিল কম্পিউটারের ওভারলোডের সংকেত। তবে MIT এর প্রোগ্রামার মার্গারেট হ্যামিল্টনের নেতৃত্বে তৈরি সফটওয়্যার ছিল এতটাই দক্ষ যে, সিস্টেম সেসময় অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ রেখে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো প্রাধান্য দিয়ে ল্যান্ডিং চালিয়ে যায়। ফলে অ্যাপোলো ১১ সফল হয়। (বিজ্ঞান্বেষী)

৩. অবতরণের পর অলড্রিন ও আর্মস্ট্রংকে কিছু সময় ক্যাবিনে অপেক্ষা করতে বলা হয়। সেই ফাঁকে অলড্রিন একাই পালন করেন খ্রিস্টীয় ধর্মীয় রীতি কমিউনিয়ন। গ্লাস ও ওয়াইন নিয়ে এক নিঃশব্দ প্রার্থনা করেন তিনি। এটি চাঁদের বুকে হওয়া প্রথম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। নাসা এটিকে রেডিওতে সরাসরি প্রচার করেনি, কারণ তখন ধর্মীয় পক্ষপাত নিয়ে মামলা চলছিল।

৪. চাঁদের মাটি সম্পর্কে নীল আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন জানান, এর গন্ধ অনেকটা পোড়া আতশবাজি বা গানপাউডারের মতো। তবে সেই গন্ধ পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা মাটিতে আর পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীদের ধারণা চাঁদের মাটি লুনার মডিউলে থাকা অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধীরে ধীরে গন্ধটি হারিয়ে যায়।

৫. পৃথিবীতে ফেরার সময় প্রায় ২১.৬ কেজি চাঁদের পাথর ও মাটি সঙ্গে করে আনেন নভোচারীরা। গবেষণায় বেরিয়ে আসে তিনটি সম্পূর্ণ নতুন খনিজ:

Armalcolite (Armstrong, Aldrin, Collins নাম থেকে)

Tranquillityite

Pyroxferroite

৬. চাঁদ থেকে ফেরার সময় লুনার মডিউলের একটি সুইচ ভেঙে যায়, যার মাধ্যমে ইঞ্জিন চালু করার কথা ছিল। তখন বাজ অলড্রিন তার নিজের ফেল্ট-টিপ কলম দিয়ে বোতামটি চাপেন এবং ইঞ্জিন চালু হয়। টেকনিক্যালি একটি সাধারণ কলম পুরো মিশনকে সফল করে তোলে।

৭. অ্যাপোলো ১১ মিশনে চাঁদের মাটিতে বসানো হয় একটি লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর। এখনো বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে লেজার পাঠিয়ে চাঁদের দূরত্ব নির্ণয় করতে পারেন মিলিমিটার স্কেলে! এটি পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যকার গতি ও কক্ষপথ বোঝার গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৮. যদি চাঁদের বুকে আটকে পড়তেন আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন, তাহলে হোয়াইট হাউস থেকে একটি শোকবার্তা প্রচার করা হতো:

> “Fate has ordained that the men who went to the moon to explore in peace will stay on the moon to rest in peace…”
These brave men… পুরোটা কমেন্ট বক্স থেকে পড়ে নিবেন।

এমনকি ঠিক করা ছিল এক যাজক, যিনি সমুদ্র সমাধির মতো একটি রীতিতে তাঁদের আত্মাকে চাঁদের বুকে সমর্পণ করতেন।

তথ্য: বিজ্ঞান্বেষী
#বিজ্ঞান্বেষী

মাথায় গুলির আঘাতে দুর্ঘটনাবশত একজনের মানসিক রোগ সেরে যায়!“জর্জ” নামে পরিচিত ১৯ বছর বয়সী এক যুবক ভয়ানক ওসিডিতে (OCD) ভু...
24/07/2025

মাথায় গুলির আঘাতে দুর্ঘটনাবশত একজনের মানসিক রোগ সেরে যায়!

“জর্জ” নামে পরিচিত ১৯ বছর বয়সী এক যুবক ভয়ানক ওসিডিতে (OCD) ভুগছিলেন। তিনি দিনে শত শতবার হাত ধুতেন, ঘন ঘন গোসল করতেন—যা তাঁর জীবনকে অচল করে দিয়েছিল। অবশেষে হতাশ হয়ে, তিনি .২২ ক্যালিবার রাইফেল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে।

অবিশ্বাস্যভাবে, গুলিটি তার মস্তিষ্কের বাম ফ্রন্টাল লোব বা কপালের অংশে আটকে গেলেও, অস্ত্রোপচারে সব গুলি ফ্র্যাগমেন্ট অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এরপরই ঘটলো বিস্ময়কর এক পরিবর্তন।

মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই জর্জের বাধ্যতামূলক আচরণ (compulsions) প্রায় সম্পূর্ণরূপে হ্রাস পায়। পরবর্তী পাঁচ বছরে তিনি অসাধারণভাবে সামাজিক জীবনে ফিরে আসেন—একটি চাকরি নেন এবং কলেজে একেবারে ‘স্ট্রেট-এ’ ফলাফল করতে থাকেন।

তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া নিউরোলজিস্ট ড. লাজলো সোইলোম বলেন, “গুলিটি তার মস্তিষ্কের সেই অংশটি অকেজো করে দেয় যা OCD-র সঙ্গে যুক্ত, অথচ অন্য কোনো বড় ধরনের কগনিটিভ (জ্ঞানগত) ক্ষতি হয়নি।”

যদিও এটি একটি চরম ও দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে, তবুও এই ঘটনা দেখায়—মস্তিষ্কের আঘাত ও মানসিক রোগের মধ্যে কতটা শক্তিশালী এবং আজও রহস্যময় সম্পর্ক রয়েছে। এই ঘটনা নিউরোসাইকিয়াট্রির ক্ষেত্রে আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

📰 সূত্র:
New York Times (২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮)
শিরোনাম: “Brain Wound Eliminates Man’s Mental Illness”

অনেক চিকিৎসাবিদদের মতে আগুনে পু'ড়ে যাওয়া মৃ'ত্যু মানুষের জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার একটি। এর গভীরতা বোঝা যায...
24/07/2025

অনেক চিকিৎসাবিদদের মতে আগুনে পু'ড়ে যাওয়া মৃ'ত্যু মানুষের জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার একটি। এর গভীরতা বোঝা যায় তখনই, যখন আগুনের তাপে ত্বকের একের পর এক স্তর, মাং'সপেশি এবং স্নায়ু কোষ ক্ষতি'গ্রস্থ হতে থাকে। সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান হারা'নোর আগ পর্যন্ত এই যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে। তবে একটা সময় পর আর এই ব্যথার অনুভূতি থাকে না কারণ স্নায়ুর সঞ্চালন ক্ষমতা আগুনে পো'ড়ার কারণে নষ্ট হয়।

আগুনে পোড়ার ধরন সাধারণত চারটি স্তরে ভাগ করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রি বার্ন। প্রথম ডিগ্রি বা'র্ন এর ক্ষেত্রে কেবল ত্বকের উপরিভাগ অর্থাৎ এপিডার্মিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চামড়ায় একটুখানি লালচে ভাব এবং হালকা ব্যথা অনুভূত হয়। তবে এটা সাধারণত দ্রুত সেরে যায়। এই অভিজ্ঞতা মোটামুটি সবারই আছে। আর দ্বিতীয় ডিগ্রি বা'র্নে আগুন ত্বকের নিচের স্তর ডার্মিস অবধি পৌঁছায়। এসময় ফোসকা পড়ে, প্রচণ্ড জ্বা'লা হয়। কারণ এই স্তরে তখনো স্নায়ু সক্রিয় থাকে।

ভয়াবহতা শুরু হয় তৃতীয় ডিগ্রি বা'র্ন থেকে। এই পর্যায়ে ত্বকের এপিডার্মিস ও ডার্মিস উভয় স্তরই পু'ড়ে যায়। অনেক সময় নিচের চর্বিও ক্ষতি'গ্রস্ত হয়। আক্রান্ত অংশ দেখতে কখনো সাদা, বাদামি বা কালো রঙের হয়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এই ধাপে অনেক রোগী ব্যথা টের পাননা, কারণ সংবেদন রিসেপ্টরগুলোও পু'ড়ে গিয়ে নি'স্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে শরীর ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পাঠাতে পারে না।

সবচেয়ে মারাত্মক হলো চতুর্থ ডিগ্রি বার্ন। তখন আগুন ত্ব'ক ছাড়িয়ে গিয়ে পেশি, টেন্ডন এমনকি হাড় পর্যন্ত পৌঁছায়। পোড়া অংশটা তখন অনেকটা কালচে, কাঠকয়লার মতো হয়ে যায়। এই অবস্থায় সেই জায়গায় কোনো অনুভূতি আর থাকে না। এমনকি র''ক্ত চলা'চলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

পাশাপাশি আগুনে পো'ড়ার ফলে শরীর থেকে বিপুল পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, রক্তচাপ কমে যায় এবং কি'ডনি কাজ ব'ন্ধ করে দিতে পারে। এই অবস্থাকে বা'র্ন শক বলা হয় যা জীব'নহানির বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রির বা'র্নে মৃ'ত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে সেটা নির্ভর করে পোড়ার স্থান, মাত্রা, রোগীর বয়স এবং কত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার ওপর। অনেকেই বিশাল ক্ষয়'ক্ষতির মধ্যেও বেঁচে ফেরেন শুধুমাত্র দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য।

ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় প্রহরী। কিন্তু আগুনে পু'ড়ে যাওয়ার পর এই প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর ভেঙে যায়। ফলে ইনফে'কশনের ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া সহজেই শরীরে ঢুকে পড়ে এবং গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

যারা বড় ধরনের বা'র্ন সারভাইভর, তাদের অনেকেই পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রে'সে ভোগেন। আয়নায় নিজেকে দেখা, সমাজের দৃষ্টি'ভঙ্গি সবকিছু মিলিয়ে মানসি'কভাবে ভেঙে পড়েন অনেকে। তাই বা'র্ন ট্রিটমেন্টে শুধু ওষুধ বা অ'স্ত্রোপ'চার নয়, মানসিক সহায়তাও জরুরি।(বিজ্ঞান্বেষী)

বর্তমান যুগে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ছোট্ট ডিভাইসগুলো  আপনার...
21/07/2025

বর্তমান যুগে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ছোট্ট ডিভাইসগুলো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কতটা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে? বিশেষ করে রাতের বেলায় অন্ধকার ঘরে মোবাইল বা ল্যাপটপের তীব্র আলো , নীরব ঘাতকের মতো আমাদের মনের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের বেলায় ডিভাইসের নীল আলো (Blue Light) আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ঘুমের ছন্দ বা Circadian Rhythm ব্যাহত করে। এই আলো মস্তিষ্কের মেলাটোনিন নামক ঘুম-উৎপাদনকারী হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসে না, ঘুম এলেও তা হয় অশান্ত ও অগভীর।
যখন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, তখন মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি ৩০% পর্যন্ত বেড়ে যায়। রাতে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা মানুষেরা অনেক বেশি বিষণ্ণতায় ভোগে, কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এছাড়াও, রাতের ডিভাইস ব্যবহারের কারণে শুধু ঘুমের সমস্যাই নয়, মস্তিষ্কের ডোপামিন ও সেরোটোনিন নামক “হ্যাপি হরমোন”-এর ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়। এই দুটি হরমোন আমাদের মনকে চাঙ্গা ও আনন্দিত রাখতে সহায়তা করে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার আমাদের মনে বিষণ্ণতা, একাকীত্ব এবং মানসিক চাপ তৈরি করে।

এই সব সমস্যা থেকে নিজেকে যেভাবে রক্ষা করবেন :
✅রাতের বেলায় ফোন, ট্যাবলেট বা ট্যাবলেটের ব্যবহার কমানো।
✅যদি প্রয়োজনে রাতে ফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই Night Mode বা Blue Light Filter চালু রাখুন।
✅ঘুমানোর আগে বই পড়ুন এবং রাতে ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে সব ডিভাইস বন্ধ রাখা।

বলা যায়, কারাদণ্ড একপ্রকার আশীর্বাদই হয়ে এসেছে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাওয়ের জন্য...
21/07/2025

বলা যায়, কারাদণ্ড একপ্রকার আশীর্বাদই হয়ে এসেছে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাওয়ের জন্যে। ইতিমধ্যেই তিনি পরিণত হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কয়েদি এবং ক্রিপ্টোজগতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে। এরপর এবার কারাবন্দি থাকা অবস্থায়ই তার সম্পদ বেড়েছে হু হু করে।
ফোর্বস-এর হিসাবে, চ্যাংপেং ঝাওয়ের সম্পদমূল্য এখন ৬১ বিলিয়ন ডলার। এর সুবাদে তিনি পরিণত হয়েছেন বিশ্বের ২৪তম ধনী ব্যক্তিতে। জুলিয়া কচ ও তার পরিবারের পরই বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠাতার অবস্থান এখন।

ক্রিপ্টো জগতে ঝাওয়ের পর দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী কয়েনবেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান আর্মস্ট্রং। দুজনের মধ্যে সম্পদের ব্যবধানটা বিপুল। আর্মস্ট্রংয়ের সম্পদমূল্য এখন ১১ বিলিয়ন ডলার।

চ্যাংপেং ঝাওয়ের এই সম্পদবৃদ্ধি মূলত দুটো কারণে। এক, তার ইকুইটি স্টেকের ৯০ শতাংশই বাইন্যান্সে। সেখানে তার ৩৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। যদিও গত বছরের নভেম্বরে তিনি বাইন্যান্সের সিইওর পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

অর্থপাচারবিরোধী মামলায় তিনি দোষ স্বীকার করে নেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ঝাওয়ের ৪.৩ বিলিয়ন ডলার জরিমানা তার কোম্পানিই পরিশোধ করে দেয়।

এসব ঘটনায় অবশ্য চ্যাংপেং ঝাওয়ের ব্যক্তিগত সম্পদের ওপর তেমন প্রভাব পড়েনি। কারণ তাকে ৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমান দিতে হয়েছে।

ঝাও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যের আকারের দিক থেকে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে আধিপত্য বিস্তার করেছে বাইন্যান্স। দ্য ব্লক-এর তথ্যানুসারে, ঝাও বাইন্যান্স ছাড়ার পরের ছয় মাসে মোট স্পট মার্কেটে কোম্পানিটির হিস্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। আর তিনি পদ ছাড়ার আগের দুই মাসে এ বাজারে বাইন্যান্সের হিস্যা ছিল গড়ে ৩৮ শতাংশ।

এছাড়া বিএনবি টোকেনের দরও বেড়েছে। চ্যাংপেং ঝাওয়ের কাছে ১৪৭.৫ মিলিয়ন বিএনবি টোকেন রয়েছে। সম্প্রতি বিএনবির দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭১৪ ডলারে পৌঁছে যায়। ফলে এর মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন পৌঁছে যায় ১১০ বিলিয়ন ডলারে।

বিএনবি বা বাইন্যান্স কয়েন ২০১৭ সালে চালু করা হয়। অর্থ উত্তোলনের এই টুল চ্যাংপেং ঝাও চালু করেছিলেন তার নতুন এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ক্রিপ্টো প্রজেক্ট চালানো ব্যক্তিরা বিএনবির মতো টোকেন তৈরি করেন। এগুলো স্টকের মতোই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়।

৪৭ বছর বয়সি চ্যাংপেং ঝাও দুইভাবে তার বিএনবি টোকেন সংগ্রহ করেছেন। ২০১৭ সালে বাইন্যান্স চালু করার পর তিনি ও প্রতিষ্ঠাকালীন দল মোট ২০০ মিলিয়ন বিএনবি সাপ্লাই থেকে ৮০ মিলিয়ন টোকেন পান। ফোর্বসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রথম পাওয়া ৮০ মিলিয়ন টোকেনের মধ্যে কোম্পানিটির কাছে আছে ৪৬.২ মিলিয়ন। বাইন্যান্সের ৯০ শতাংশ মালিকানা ঝাওয়ের কাছে থাকা এর মধ্যে ৪১.৫ মিলিয়ন বিএনবি টোকেন পাবেন তিনি।

নতুন প্রযুক্তির ফাইবার অপটিক্যালের মাধ্যমে জাপান প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট বা ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট (GB) ডেটা ১,৮০২ কিলোমি...
21/07/2025

নতুন প্রযুক্তির ফাইবার অপটিক্যালের মাধ্যমে জাপান প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট বা ১,২৭,৫০০ গিগাবাইট (GB) ডেটা ১,৮০২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী সব ইন্টারনেট স্পিড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই গতির ইন্টারনেট স্পিড দিয়ে মাত্র চার মিনিটেরও কম সময়ে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট আর্কাইভ ডাউনলোড করা সম্ভব, যা একটি অভাবনীয় সাফল্য।

এই অসাধ্য সাধন করেছে জাপানের National Institute of Information and Communications Technology (NICT)। তারা নতুন ধরনের একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছে, যার ব্যাস মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার, অথচ এটি প্রচলিত ফাইবারের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি ডেটা প্রেরণে সক্ষম।

তাদের উদ্ভাবিত এই ইন্টারনেট স্পিড যুক্তরাষ্ট্রের গড় ইন্টারনেট গতির চেয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ বেশি। এমনকি এই গতিতে নেটফ্লিক্সের পুরো ক্যাটালগ ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব।

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ডেটার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে একটি অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে উচ্চক্ষমতার এবং স্কেলযোগ্য অপটিক্যাল কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরিতে। (বিজ্ঞান্বেষী)

লেখা: ইয়াছিন খন্দকার

21/07/2025

Celebrating my 3rd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

"আগামীকাল আপনি মারা যাবেন - এটা জানতে পারলে আপনি কি করবেন?", একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল এরকম।  প্রার্থী জবাব দিল, বেছ...
10/07/2025

"আগামীকাল আপনি মারা যাবেন - এটা জানতে পারলে আপনি কি করবেন?", একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল এরকম।

প্রার্থী জবাব দিল, বেছে বেছে আমার শত্রুদের সাথে সাক্ষাৎ করব।

উত্তর শুনে ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা তো অবাক। একজন জানতে চাইলেন, কেন? আপনি এমনটা কেন করবেন?

জবাবে প্রার্থী বলল, যারা আমার আপনজন, তাদের ওপর আর মায়া বাড়ানোর মানে হয় না - তাতে তাদের আর আমার কষ্টই বাড়বে। এর বদলে আমার প্রতি যাদের রাগ, তাদের সাথে একটু ভালো ব্যবহার করলে শেষ সময়ে তারাও হয়তো আমার জন্য দোয়া আর আশীর্বাদ করবে।

ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার সব কাজ যেন নিজের জন্য না হয়! কিছু কাজ শত্রুর কথা ভেবেও করুন, তাতে আখেরে আপনারই লাভ। যে লোকটা আপনার বানান ভুল ধরে, সে আপনার লেখার প্রশংসাকারীর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার ভয়ে সঠিক বানান লিখুন, আপনার লেখার মান বেড়ে যাবে।
প্রতিটা অর্জনের চেষ্টার পেছনে শত্রু থাকলে সেটা দ্রুত পাওয়া যায়। শত্রুদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, কিন্তু তাদেরকে ঘৃণা করবেন না। একটা মানুষ যখন আপনাকে গালি দেয়, তখন সে আপনার কাছ থেকেও একটা পাল্টা গালি শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আপনি গালি দিয়ে দিলেন তো শেষ; ব্যাপারটা চূড়ান্ত নোংরামি হয়ে গেল আর তার উদ্দেশ্য সফল হল। আর যদি গালির জবাবে হাসিমুখে তাকে 'শুভকামনা' জানান, সে আপনাকে নতুন করে আবিষ্কার করবে। কাউকে তর্কে হারানো মানেই জয়ী হওয়া নয়, কখনো কখনো অন্যের যুক্তি মেনে নেওয়াই প্রকৃত বিজয়।
আমি যখন কিছু লিখি, তখন 'সহমত' কমেন্ট দেখলে খুশি হই। তবে কেউ যৌক্তিকভাবে দ্বিমত দিলেও অখুশি হই না। সমালোচকদের ভালোবাসুন; দিন শেষে তারা আপনাকে নিয়ে ভাবতে বসে যাবে - এটা পরীক্ষিত সত্য। মনে রাখবেন প্রত্যেক শত্রুই আপনার জন্য এক একটা সতর্ক বার্তা। আর সতর্কতা সফলতার জন্য প্রচন্ড দরকারি! কেউ অমুকের ভাতিজা বলে পাওয়ার দেখালে, আপনি নিজেকে তমুকের ভাগ্নে হিসেবে পরিচয় না দিয়ে লোকটাকে সালাম দিয়ে চলে আসুন। এতে আপনি ছোট হবেন না; বরং বড় হবেন।

ভালো থাকুক চারপাশের মানুষগুলো। ভালোবাসার, ঘৃণার, কাছের,দূরের, সবাই।

10/07/2025

৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, তাদের মধ্যে ৪ জনই ফেল

বিস্তারিত কমেন্টে...

বয়স মাত্র ১৭, আলু ভর্তা ও ডাল খেয়ে সব টাকাই সৌদি থেকে মাকে পাঠান কিশোরযে বয়স ছুটে বেড়ানোর, বন্ধুদের সঙ্গে দুরন্তপ;নায় মে...
10/07/2025

বয়স মাত্র ১৭, আলু ভর্তা ও ডাল খেয়ে সব টাকাই সৌদি থেকে মাকে পাঠান কিশোর

যে বয়স ছুটে বেড়ানোর, বন্ধুদের সঙ্গে দুরন্তপ;নায় মেতে ওঠার, সেই বয়সে সংসারের চাকা সচল করার জন্য প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন কিশোর রাশেদ। বর্তমানে সৌদি আরবে থাকেন তিনি। সেখানে আলু ভর্তা আর ডাল খেয়ে জীবন পার করছেন রাশেদ। তার লক্ষ্য মিতব্যয় করে যেন আরও কিছু টাকা জমানো যায়, পরিবারকে আরও একটু সহযোগিতা করা যায়। রাশেদের বাড়িতে আছেন মা, ভাই-বোন ও বাবা। তাদের জন্যই রাশেদের এই প্র;চেষ্টা। রাশেদের এই কষ্টের বিনিময় তিনি পরকালে নিতে চান।

গত ২৬ আগস্টে প্রবাসী বাংলাদেশি নামক ফেসবুক পেজে রাশেদের সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি প্রকাশ হয়। সাক্ষাৎকারটি যিনি নিয়েছেন তার নামও রাশেদ। পরবর্তীতে ভাইরাল হয় ভিডিওটি।

রাশেদ চার মিনিটের বেশি সময় ভিডিওতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ভিডিও থেকে জানা যায়, প্রতি মাসে ১৫০০ থেকে ১৬০০ রিয়াল আয় করেন রাশেদ। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হয় ৩৬ হাজারের বেশি। যা আয় হয় তা থেকে প্রতিমাসে বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার বা ২৮ হাজার পরিবারের কাছে পাঠান রাশেদ। কখনই দেশে ২৪ হাজার টাকা নিচে পাঠান না। আর খাওয়া বাবদ তিনি মাসে মাত্র ২০ থেকে ৩০ রিয়াল খরচ করেন।

১৭ বছরের কিশোর রাশেদ জানান, মোবাইলের কার্ড কেনেন না তিনি। ওয়াইফাই ব্যবহার করেন।

রাশেদ জানান, ১ বছর ৪ দিন তিনি সৌদি আরবে আছেন। ডাল আর আলু ভাজি ও ভর্তা খেয়ে দিন পার করেন। টাকা বেশি খরচ হবে বলে মাছ-মাংস খান না। সৌদিতে আসার প্রথম দিকে মাছ-মাংস খেতেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। ভিডিও গ্রহণের দিন অন্যের দেয়া রাশেদ বেগু;নের সঙ্গে আলু রান্না করে খেয়েছেন বলেও জানান।

ভিডিওতে দেখা প্রশ্নকর্তা প্রবাসী রাশেদকে জিজ্ঞেস করেন- দেশে সবচেয়ে বেশি কাকে মিস করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ বলেন, মাকে সবচেয়ে মিস করি। বোনের বিয়ের জন্য টাকা লাগবে এজন্য বেশি টাকা দিতে হবে বলে ভাবনায় আছেন রাশেদ। ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা নিয়েও চিন্তিত রাশেদ।

মাকে নিয়ে রাশেদ বলেন, হাশরের ময়দা;নে মা আল্লাহর কাছে জবাব দিলে আমি জান্নাত পাবো। মা আমাকে ১০ মাস ১০ দিন কষ্ট করে জন্ম দিয়েছেন। আমি মায়ের কষ্ট না বুঝলে কে বুঝবে? মা মা;রা গেলে তো টাকা আমার কাছে থাকবে। সব মায়ের ভালোবাসা থেকে করছি। আমার পকেট চেক করলে এক টাকাও পাবেন না।

--------Collected-------

Address

Satkhira

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when It's Nahid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to It's Nahid:

Share