31/07/2024
পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক প্রাণীগুলোর মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মানুষ। ভাবা যায়???
ইতিহাস তুমি হয়েও না বিকৃত। তোমার থেকেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে বর্তমান জাতি ছিল কত নির্লজ্জ।
স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে চলার অধিকার সবার আছে।
মানুষ আর গিরগিটির মধ্যে একটা মিল আছে। গিরগিটি আর মানুষ দজনেই রং বদলায়। একজন আত্মরক্ষায় তো অপরজন ক্ষমতায়।
গিরগিটি নিজেদের আত্মরক্ষায় রং বদলায়। আর মানুষ ক্ষমতার লোভে রং বদল। যাদের বলা হয় সুবিধাবাদী জিন্দাবাদ।
সময় গেলে সাধন হয় না। আর স্বার্থ ছাড়া কেউ কাছে আসেনা।
কিছু জাতি দেশকে দেশের সাথে তুলনা করে, আর কিছু জাতি দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করে। যে জাতি দেশকে দেশের সাথে তুলনা করে সে জাতি আজ উন্নতির চরম শিখরে। আর যে জাতি দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করে তাদের অবস্থান দুর্নীতির চরম শিখরে।
বাংলাদেশে অনেক আন্দোলন অনেক রক্ত ঝরার পর আজ মেধাবীরা ৪৪% থেকে উন্নতি হয়ে ৯৩% কাজ করার সুযোগ পাবে। যারা এই আন্দোলনের বিরোধিতা করছে তারা এবং তাদের সন্তানাদিরা যখন চাকরি পাবে তারা কি তা করবে?
অর্থাৎ যদি ১০০ জন লোকের চাকরি হয় এবং তারা বা তাদের সন্তান-সন্তানাদিরা যদি ৮০ তম অবস্থানে থাকে তখন কি তারা চাকরি করবে? করলেও কি মনে, কোন অধিকারের বা কোন মুখে করবেন? কারণ যদি এই আন্দোলন না করা হতো তাহলে কিন্তু ৪৪ তম যে হতো তারপরে আর অন্য কারোর চাকরি হওয়ার কথা থাকতো না। সুতরাং সেই সুবাদে তাদের চাকরি পাওয়ার কোন অধিকার নেয়।
১৯৭১-এ যারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল। অর্থাৎ যারা রাজাকার ছিল তাহলে তো তাদের বাংলাদেশে থাকার কোন অধিকার নেয়। কেন তারা আজ বাংলাদেশে আছে?
আবার ১৯৭১-এ যারা এদেশের পক্ষে যুদ্ধ করছিল অর্থাৎ যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিল তারা যদি তাদের সম্মানি অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায় এবং এই সুবাদে যদি তার পরবর্তী প্রজন্ম সুযোগ-সুবিধা পায় তাহলে যারা আজ কোটার জন্য প্রাণ দিয়েছে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সেই সুবাদে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা এটা স্বাভাবিক।
যুদ্ধ নয় শান্তিই পারে একটা দেশকে সুন্দর করতে এবং একটা জাতিকে সুস্থ রাখতে।
দ্বন্দ্ব মনোমালিন্য নয়। সব কিছু ভুলে আমরা বাঙালি এবং আমাদের দেশটাকে আমাদের জাতিকে উন্নতি করতে হবে এবং জাতি হিসেবে উন্নত হতে হবে।
আমারা আমাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য রাখব না এতে আমাদের দেশের ক্ষতি, বাঙ্গালীর জাতির ক্ষতি হবে। অন্যদেশ ঠিকই এগিয়ে যাবে কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে যাবো।
জাপান আজ অসভ্যতার দেশ থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্যতার দেশে পরিণত হয়েছে। জাতি হিসেবে তারা বসছে যুদ্ধবিগ্রহ নয় মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করলেই জাতি বা দেশকে উন্নতি করা যায়।
বারবার একটা কথায় বলি মায়া'দের (মায়া সভ্যতা) ধ্বংস মায়া'রা নিজেরাই করছিল।
বর্তমান আমরা আমাদের নিজেদের ভিতরে মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, দাঙ্গা, ক্ষয়-ক্ষতি করতেছি। অদূর ভবিষ্যতে যার ফল খুবই ভয়াবহ।
মায়া'দের মতো আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের শেষ করে দেই, তাহলে ফিলিস্তানি'দের মতো আমাদের অবস্থা হবে কি করে? ফিলিস্তানের দুঃখ ইহুদিদের আশ্রয় দেওয়া। আর বাঙ্গালীদের দুঃখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া। ৫০ বা ১০০ বছর পরে বিশ্ববাসী দেখবে রোহিঙ্গাদের দ্বারা নির্যাতন কিভাবে এ জাতিকে ধ্বংস করে।
জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি, এটাই আমাদের আসল পরিচয়। বাংলাদেশকে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। এটাই আমাদের মূল মন্ত্র।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।