18/07/2025
বাসায় বিড়াল পালন করলে সাধারণভাবে ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি হয়, তবে কিছু সতর্কতা না মানলে শিশুদের (বিশেষ করে নবজাতক ও ছোট শিশুদের) জন্য কিছু সম্ভাব্য সমস্যা বা ক্ষতি হতে পারে। নিচে সেগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:
✅ সম্ভাব্য ক্ষতির দিকগুলো:
১. অ্যালার্জি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা
বিড়ালের লোম, চামড়া থেকে ঝরানো কোষ (dander) ও লালা শিশুর শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে বাড়তে পারে।
২. টক্সোপ্লাজমোসিস (Toxoplasmosis)
বিড়ালের পায়খানায় এই পরজীবী থাকতে পারে। গর্ভবতী মা বা শিশু এতে সংক্রমিত হলে চোখ, মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্ষতি হতে পারে।
এটি সাধারণত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে, যেমন: পায়খানা পরিষ্কার না রাখা।
৩. ছোট খোঁচা বা আঁচড়ানো
বিড়াল শিশুকে আঁচড়াতে বা কামড়াতে পারে যদি শিশু টেনে ধরার চেষ্টা করে বা বিরক্ত করে।
৪. জুনোটিক রোগ (মানুষে ছড়ায় এমন রোগ)
বিড়াল থেকে ফাংগাল ইনফেকশন (যেমন Ringworm), Flea বা জীবাণু ছড়াতে পারে যদি নিয়মিত পরিষ্কার না রাখা হয়।
৫. টয়লেট ট্রেনিং না থাকা
বিড়াল যদি ঠিকমতো প্রশিক্ষিত না হয়, তাহলে বাসার বিভিন্ন জায়গায় মল-মূত্র করে পরিবেশ নোংরা করতে পারে, যা শিশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে।
✅ কীভাবে সতর্কতা নিলে ক্ষতি এড়ানো যায়?
1. বিড়ালকে নিয়মিত গোসল ও ব্রাশ করুন।
2. পশু চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ভ্যাকসিন ও ওষুধ দিন।
3. পায়খানা ও বিছানা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
4. শিশুদের বিড়ালের মুখ বা মুখে চুমু খেতে না দিন।
5. বিড়ালের নখ কেটে দিন ও শিশুদের কিভাবে বিড়ালের সাথে ব্যবহার করতে হবে তা শেখান।
6. গর্ভবতী মায়েরা বিড়ালের পায়খানা পরিষ্কার না করাই ভালো।
✅ বিড়াল পালার কিছু উপকারও আছে শিশুদের জন্য:
দায়িত্ববোধ শেখায়
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
ভালোবাসা ও সহানুভূতি বাড়ায়
একাকীত্ব দূর করে
🔚 সারাংশ:
যদি আপনি সঠিক পরিচর্যা করেন, নিয়ম মেনে চলেন, তবে বিড়াল বাসায় পাললে সাধারণত শিশুদের জন্য ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি হয়। তবে বিশেষ করে নবজাতক বা অ্যালার্জি আছে এমন শিশুদের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।