17/09/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            কোন তালবাহানার সুযোগ নাই অবিলম্বে নাসা গ্রুপের সকল শ্রমিকের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করুন,
কারখানা চালাবেন কি চালাবেন না তা শ্রমিকদের কাছে স্পষ্ট করুন।
চালালে অন্যান্য কারখানার মতো সাত (৭) কর্ম দিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে,
আর না চালালে আইনের সর্বোচ্চ ধারা দিয়ে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে।
শ্রম আদালতে চলমান নাসা গ্রুপের নামে যত মামলা আছে সকল শ্রমিককে আইনের সর্বোচ্চ ধারা অনুযায়ী পাওনা পরিষদ করতে হবে।।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
উপদেষ্টার দপ্তর
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা না হলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা 
 
ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫:
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা না হলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 
সভায় উপস্থিত নাসা গ্রুপের  প্রতিনিধিবৃন্দকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাসা গ্রুপের মালিক নজরুল ইসলাম মজুমদারের কাছ থেকে সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে তাদের সম্পদ বিক্রির ব্যাবস্থা করে শ্রমিকের চলতি মাসের বেতন ভাতাদি পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান চালু রাখা অথবা বন্ধ করার সিদ্ধান্তও জানাতে হবে। অন্যথায় মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সেসাথে নাসা গ্রুপের মালিক, মালিকের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।
সভায় নাসা গ্রুপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং নাসা গ্রুপের মালিক, মালিকের স্ত্রী  ,ছেলে ও মেয়ের নামে নিম্নবর্ণিত সম্পদের খোজ পাওয়া যায়।
১। গুলশান-১ এর ১২ তলা বিশিষ্ট  ২টি বিল্ডিং (ব্যাংক বিল্ডিং) রয়েছে।
২। ৩০০ ফিট এলাকায় ২ বিঘা জমি রয়েছে যা ল্যান্ডস্কেপিং করা।
৩। জলসিঁড়ির, সেক্টর-১৭'তে একটি কাঁচা মার্কেট রয়েছে।
81 মেয়ে আনিকার নামে একাধিক প্লট ও পরিবারের সকলের অনেক সম্পদ রয়েছে।
৫। মেঘনা ঘাটে একটি Wear House এবং পেট্রোল পাম্প আছে।
৬। ঠাকুরগাঁও এ ৩০০ বিঘা জমি রয়েছে।
۹۱ শান্তা মরিয়ম এর পাশে বাউন্ডারি করা আনুমানিক ১০ বিঘা জমি আছে।
৮। দুবাইতে খেজুর বাগান এবং দুবাই রিসোর্ট রয়েছে।
৯। চাঁদপুরে  বিশাল একটি মার্কেট রয়েছে।
১০। নিকেতন এ ১০ বিঘা জমি কেনা আছে।
১১। হাতিরঝিলের প্রজেক্ট এ বড় ২টি খেজুরের ডিপো রয়েছে যাতে ১০/১২ কোটি টাকার খেজুর আছে।
১২। মহাখালী ডিওএইচএস এর মসজিদের পাশে ১০ কাঠা জমির উপর বাসা রয়েছে।
১৩। চব্বিশ (২৪) কোটি টাকা মূল্যের Provident Fund (Exim Bank) রয়েছে।
১৪। গুলশান-১ এ দখলকৃত বাসা আছে যেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
১৫। গুলশানে ৭১ নং প্লট এ ১ বিঘা জমি রয়েছে যা পারটেক্স গ্রুপ এর নিকট থেকে কিনেছে।
১৬। পূর্বাচলে ২০ টা প্লট রয়েছে যা চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের নামে। দুদক ৪/৫ টা ক্রোক করেছে।
১৭। পূর্বাচলে ২.৫ বিঘার উপরে একটি হাসপাতাল আছে (নার্সিং ইন্সটিটিউট এবং হাসপাতাল) 
১৮। জলসিড়ি সেক্টর-১৭ এ চেয়ারম্যান এর নামে ২.৫ বিঘা জমির উপর ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি মার্কেট রয়েছে।
১৯। জলসিড়ি-২ নং সেক্টরে ৮টি প্লট রয়েছে (সাইজ ২০-২৮ কাঠা)। যার মধ্যে ০২টি কর্ণার প্লট রয়েছে। 
২০। মসুল (জলসিঁড়ি) নীলা মার্কেটের সামনে পুলিশ হাউজিং এর বিপরীতে ৩০/৪০ বিঘা জমি রয়েছে।
২১। নেভির পাশে ৩০০ ফিট এ ৩০/৪০ বিঘা জমি রয়েছে। যার মধ্যে কিছু Mortgage আছে এবং ৩০ বিঘা ভরাট রয়েছে যেখানে চিড়িয়াখানা, মসজিদ এবং গেষ্ট হাউজ রয়েছে।
২২। বিজিএমইএ এর উত্তর পাশে দিয়া বাড়ীতে ৩টা প্লট মিলে একটা ৪.৫ বিঘা জমিতে সুইমিং পুল, মসজিদ এবং গেষ্ট হাউজ রয়েছে যার মূল্য ৪০০ কোটি টাকা
২৩। উত্তরা মাসকট প্লাজার পশ্চিমে ফার্নিচারের দোকান রয়েছে এবং উত্তরা সেক্টর-১৩ (সোনারগাঁ জনপদ) একটি প্লট রয়েছে। 
২৪। তেজগাঁও ইন্ডাস্টিয়াল এরিয়া মহাখালী বাস স্ট্যান্ড এর পাশে ৩ বিঘা জমির উপর নাসা হেড অফিস রয়েছে। 
২৫। তেজগাঁও আড়ং এর বিপরীতে ৭ বিঘা জমি রয়েছে।
২৬। আড়ং এর পাশে লাগোয়া গাজী গ্রুপ থেকে ক্রয় করা ৭ বিঘা জমি Mortgage দিতে পারে।
২৭। মেঘনা ঘাটে আরও ১০ বিঘার একটি জমি আছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ,  প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানগণ, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা।
ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের সরকার প্রধানসহ উপস্থিত সকল কর্মচারী দের যারা শ্রমিকদের অধিকার পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন,,, এবং এই নাসা গ্রুপের সকল সম্পত্তি হিসাব জনসম্মুখে এনেছেন।
স্বাক্ষরিত/-
আব্দুল মালেক
জনসংযোগ কর্মকর্তা
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
সরকারকে ব্যবহার করে যারা অসৎ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
 শ্রমিকদের হক নষ্ট করে যারা অসৎ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
 বিদেশে যারা টাকা পাচার করেছেন তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।
 কেউ ছাড় পাবে না, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপকর্ম বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত অপকর্ম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ুন।
ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের তথ্য দিয়ে, আমাদের পাশেই থাকুন।