নাযাতের পথ

নাযাতের পথ If the Qur'an-Sunnah is not reflected in every action of daily life, it will never be possible to es

29/10/2022

[لا تَأْكُلُوا الرِّبا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً] অর্থাৎ, তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ খেয়ো না। (আলে ইমরানঃ ১৩০) এর অর্থ এ নয় যে, চক্রবৃদ্ধি হারে না হলে সূদ খাওয়া যেতে পারে। অনুরূপ [وَلا تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاءِ إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا] ‘‘তোমাদের দাসীরা নিজেদের সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে তোমরা তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না।’’ (নূরঃ ৩৩) যেহেতু তারা সতীত্ব রক্ষা করতে চাইত, তাই আল্লাহ সে কথা বর্ণনা করেছেন। এর অর্থ এই নয় যে, তারা ব্যভিচার করতে ইচ্ছুক হলে তোমাদের জন্য তাদের দিয়ে ব্যভিচার করিয়ে নেওয়া বৈধ হবে। অনুরূপ [وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ] ‘‘তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সহবাস হয়েছে, তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যাগণ (অবৈধ) যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে।’’ (নিসাঃ ২৩) এর অর্থ এ নয় যে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে নেই, তাদের সাথে বিবাহ বৈধ।

29/10/2022
20/08/2022

বল, ‘আমরা আল্লাহতে এবং আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল এবং যা মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীগণকে তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে প্রদান করা হয়েছে, তাতে বিশ্বাস করি,[1] আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণকারী।’
সূরা আলে-ইমরান-আয়াত ৮৪

[1] অর্থাৎ, প্রত্যেক সত্য নবীদের প্রতি এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তাঁরা সব সব সময়ে আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত ছিলেন। অনুরূপ তাঁদের উপর যে কিতাব ও সহীফা নাযিল হয়েছিল, তা সবই আসমানী কিতাব এবং বাস্তবিকই তা আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ। আর এ কথাও বিশ্বাস করতে হবে যে, সমূহ আসমানী কিতাবের মধ্যে কুরআন কারীম হল সর্বোত্তম কিতাব। এখন কেবল এই কিতাবের উপরই আমল হবে। কারণ, কুরআন পূর্বের সমস্ত কিতাবকে রহিত করে দিয়েছে।

নামাযের ওয়াজিবসমূহঃওয়াজিব অর্থ হলো আবাশ্যক। নামাযের মধ্যে কিছু বিষয় আছে অবশ্য করণীয়। তবে তা ফরজ নয়, আবার সুন্নাতও নয়। যা...
16/04/2022

নামাযের ওয়াজিবসমূহঃ
ওয়াজিব অর্থ হলো আবাশ্যক। নামাযের মধ্যে কিছু বিষয় আছে অবশ্য করণীয়। তবে তা ফরজ নয়, আবার সুন্নাতও নয়। যা ভুলক্রমে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়।আর ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়। নিচে ওয়াজিবসমূহ উপস্থাপন করা হলো । রুকন এর পরেই ওয়াজিব এর স্থান, যা আবাশ্যিক।
১. সূরা ফাতিহা পাঠ করাঃ ফরয নামাযের প্রথম দু’ রাক‘আতে এবং সকল প্রকার নামাযের প্রত্যেক রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল সব ধরণের নামাযের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। এটাই ইমাম আবু হানিফা (রহতুল্লাহ আলাই) এর অভিমত। তবে ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহ আলাই)এটাকে ফরয হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তাঁর দলিল-
لاً صَلاَة لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَا تِحَةِ الْكِتاَبِ
“যে নামাযে ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি” (বুখারী)
২. সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানোঃ ফরয নামাযসমূহের প্রথম দু’রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়া কমপক্ষে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা আবশ্যক।
৩. তারতীব মত নামায আদায় করাঃ তারতীব অনুযায়ী নামায অর্থাৎ নামাযে যে সকল কাজ বারবার আসে ঐ কাজগুলোর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা ওয়াজিব। যেমন রুকু, ও সিজদা যা নামাযের প্রতি রাক’আতে বারবার আসে। কিরা’আত পাঠ শেষ করে রুকু’ এবং রুকু শেষ করে উঠে সিজদা করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে নামায নষ্ট হবে এবং নতুন করে নামায আদায় করতে হবে।
৪. প্রথম বৈঠকঃ চার রাকা’আত ও তিন রাকা’আত বিশিষ্ট নামাযে দু রাকা’আত শেষ করে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করতে যতটুকু সময় লাগে, সে পরিমাণ সময় পর্যন্ত বসে থাকা ওয়াজিব।
৫. আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করাঃ নামাযের উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব। আমরা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, তুমি আত্তাহিয়্যাতু পড়। সুতরাং আলোচ্য হাদীসটিই প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব সাব্যস্ত করে।
৬. প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করাঃ যে সকল নামাযে প্রকাশ্য বা উচ্চঃস্বরে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেগুলোতে প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন-ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু‘আ’ দু’ঈদের নামায ও তারাবীর নামায। অবশ্য একাকী আদায় করলে কিরা’আত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা আবশ্যক নয়।
৭. চুপিসারে কিরা‘আত পাঠ করাঃ যেমন নামাযে চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেসব নামাযে নীরবে বা চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- যোহর ও আসরের নামায।
৮. তা’দীলে আরকান বা ধীরস্থিরভাবে নামায আদায় করাঃ নামাযের সব কাজ ধীরে-সুস্থে করতে হবে। যেমন রুকু’ ও সিজদা নিশ্চিত ও প্রশান্ত মনে তাড়াহুড়া না করে ভালোভাবে আস্তে আস্তে আদায় করা ওয়াজিব।
৯. রুকু’থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোঃ অর্থাৎ রুকু’ শেষে সিজদা করার পূর্বে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
১০. সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসাঃ দু’ সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা ওয়াজিব।
১১. সালাম বলাঃ নামায শেষে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে নামায শেষ করা। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহ আলাই এর মতে এটি ফরজ।
১২. তারতীব ঠিক রাখাঃ প্রত্যেক রাকা’আতের তারতীব বা ধারাবাহীকতা ঠিক রাখা অর্থাৎ আগের কাজ পেছনে এবং পেছনের কাজ আগে না করা।
১৩. দু’আ কুনুত পাঠ করাঃ বেতরের নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব।
১৪. ঈদের নামাযে তাকবীরঃ দুই ঈদের নামযে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব।

সূত্রঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামায, দারুস সালাম বাংলাদেশ

নামাজের ফরজসমূহ (আরকান ও আহকাম)ঃনামাজ শুরু হওয়ার আগে বাইরে যেসব কাজ ফরজ, সেগুলোকে নামাজের আহকাম বলা হয়।নামাজের আহকাম ৭টি...
14/04/2022

নামাজের ফরজসমূহ (আরকান ও আহকাম)ঃ
নামাজ শুরু হওয়ার আগে বাইরে যেসব কাজ ফরজ, সেগুলোকে নামাজের আহকাম বলা হয়।
নামাজের আহকাম ৭টি। যথাঃ
১. শরীর পাক হওয়াঃ এ জন্য অজুর দরকার হলে অজু বা তায়াম্মুম করতে হবে, গোসলের প্রয়োজন হলে গোসল বা তায়াম্মুম করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغْسِلُوا۟ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى ٱلْمَرَافِقِ وَٱمْسَحُوا۟ بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى ٱلْكَعْبَيْنِ ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সূরা মায়েদাঃ ৬)
২. কাপড় পাক হওয়াঃ পরনের জামা, পায়জামা, লুঙ্গি, টুপি, শাড়ি ইত্যাদি পাক পবিত্র হওয়া।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ আর তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র কর।(সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৪)
৩. নামাজের জায়গা পাক হওয়াঃ অর্থাৎ নামাজির দু’পা, দু’হাঁটু,দু’হাত ও সিজদার স্থান পাক হওয়া।
৪. সতর বা শরীর ঢাকাঃ পুরুষের নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং মহিলাদের দু’হাতের কব্জি,পদদ্বয় এবং মুখমন্ডল ব্যতীত সমস্ত দেহ ঢেকে রাখা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
يَٰبَنِىٓ ءَادَمَ خُذُوا۟ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ
অর্থঃ হে বনী আদম, তোমরা প্রতি সালাতে তোমাদের বেশ-ভূষা গ্রহণ কর। (সূরা আরাফঃ৩১)
৫. কিবলামুখী হওয়াঃ কিবলা মানে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ
আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকে তোমাদের চেহারা ফিরাও। (সূরা বাকারাঃ ১৫০)
৬. ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াঃ প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ সময়মতো আদায় করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃإِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتْ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ كِتَٰبًا مَّوْقُوتًا নিশ্চয় সলাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। (সূরা নিসাঃ১০৩)
৭. নামাজের নিয়্যাত করাঃ নামাজ আদায়ের জন্য সেই ওয়াক্তের নামাজের নিয়্যাত করা আবশ্যক। এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ إنما الأعمال بالنية নিশ্চই আমলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়্যাতের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারী,হাদিস-১)
নামাজ শুরু করার পর নামাজের ভেতরে যেসব কাজ ফরজ, সেগুলোকে নামাজের আরকান বলা হয়।
নামাজের আরকান ৬টি।যথাঃ
১. তাকবিরে-তাহরিমা বলাঃ অর্থাৎ আল্লাহর বড়ত্বসূচক শব্দ দিয়ে নামাজ আরম্ভ করা। তবে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে নামাজ আরম্ভ করা সুন্নাত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْআর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসসিরঃ৩)
২. দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াঃ মানে কিয়াম করা। আল্লাহ বলেনঃ حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ
তোমরা সলাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে। (সূরা বাকারাঃ ২৩৮)
৩. ক্বেরাত পড়াঃ চার রাকাতনিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দু’রাকাত এবং ওয়াজিব,সুন্নাত,নফল নামাজের সকল রাকাতে ক্বিরাত পড়া ফরজ। আল্লাহ বলেনঃ فَٱقْرَءُوا۟ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلْقُرْءَانِ
অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। (সূরা মুযাম্মিল,আয়াতঃ ২০)
৪. রুকু করাঃ প্রতিটি নামাজের প্রত্যেক রাকাতে রুকু করা ফরজ।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ
অর্থঃআর তোমরা সলাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর। (সূরা বাকারাঃ৪৩)
৫. সিজদা করাঃ নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সিজদা করা ফরজ।আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱرْكَعُوا۟ وَٱسْجُدُوا۟ وَٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمْ وَٱفْعَلُوا۟ ٱلْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ۩
অর্থঃ হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূ’ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে। (সূরা হজ্জঃ৭৭)
৬. শেষ বৈঠক করাঃ নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর তাশহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় বসা।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ثُمَّ اجْلِسْ فَاطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ قُمْ فَإِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُكَ
অর্থ, “অতঃপর ধীর স্থিরভাবে উঠে বসবে। পরে উঠে দাঁড়াবে। এইরূপ করতে পারলে তবে তোমার সালাত পূর্ণ হবে।

সূত্রঃ বুক অব ইসলামিক নলেজ, লেখকঃ ইকবাল কবীর মোহন

নামাজের গুরুত্ব ও উপকারিতা এবং স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগকারীর পরিণতিঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ...
11/04/2022

নামাজের গুরুত্ব ও উপকারিতা এবং স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগকারীর পরিণতি

ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব এতই বেশি যার কারণে পবিত্র কোরআনের ৮২ স্থানে বিভিন্ন ভাবে নামাজের আবশ্যকীয়তা বুঝানো হয়েছে। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন।
নামাজের গুরুত্ব:

নামাজের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন:অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে বে-খবর (সূরা মাউন ৩ ও ৫ নং আয়াত)

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে,
নিঃসন্দেহে নামাজ যথেষ্ট কঠিন কাজ, তবে যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয়ভীতি আছে তাদের পক্ষে মোটেই কঠিন নয়. (সূরা বাকারা ৪৫)

রাসুল সা. এর বানিতেও নামাজের গুরুত্বের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়,

তোমাদের ছেলে মেয়েদের বয়স ৭ বছর হলে নামাজ পড়তে আদেশ কর এবং ১০ বছরে (নামাজ না পড়লে) প্রহার কর এবং তাদের শয্যা পৃথক করে দাও। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

তোমরা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তবে বসে পড়ো। তাতেও অপারগ হলে শুয়ে বা ইশারায় পড়ো তবুও নামাজে মাফ নেই। (বুখারী)

নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত:

নামাযে মনোযোগ স্থাপন প্রসঙ্গে হযরত হাসান বসরী (রহ) বলেন, নামাজি ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা কতগুলো নির্দিষ্ট সম্মান নির্ধারিত করে রেখেছেন। তার একটি হল: একজন ফেরেশতা নামাজীকে ডেকে বলে, হে বান্দা! তুমি যদি জানতে তোমার সামনে কে আছেন এবং নামাজের মধ্যে তুমি কার সাথে কথা বলছো, তবে খোদার কসম, কেয়ামত পর্যন্ত সালাম না ফিরিয়ে তুমি নামাজে মশগুল থাকতে।

নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত হওয়া প্রসঙ্গে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা বলেন,
আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার প্রধান উপায় নামাজ, নামাজ ব্যাতিত কোন ইবাদত আল্লাহর নিকট কবুল হয় না, সালাতের কারণে রিযিকে বরকত আসে, নামাজ কেয়ামত পর্যন্ত সঙ্গে থেকে নামাজির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করবে, নামাজ বেহেশতের চাবি এটা বেহেস্তের দরজা খুলে নামাজীকে প্রবেশ করাবে।

নামাজ না পড়ার শাস্তি:
নামাজি ব্যক্তির জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যেমন পুরস্কার রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে বেনামাজীর জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। ইহজগতে বেনামাজিকে যেসকল শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে:

তার জীবিকা নির্বাহে কোন বরকত থাকবে না।

তার চেহারায় নেক লোকের কোন চিহ্ন থাকে না।

বে নামাজীর দোয়া এবং ইবাদত আল্লাহর নিকট কবুল হয় না এমনকি তার জন্য কেউ দোয়া করলেও মহান আল্লাহর নিকট তা গ্রহণ হয় না।

এছাড়াও বেনামাজির মৃত্যু হবে অত্যন্ত অপমানের সাথে, কবরে তাকে ভোগ করতে হবে কঠোর শাস্তি। কেয়ামতের দিন বেনামাজিকে বহু অপমান করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
‘আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা’ আমাদের গুরুত্বসহকারে নামাজ আদায় করার তৌফিক দেন করুক।

প্রশ্ন: কিছু মানুষকে ওযু শেষে আসমানের দিকে তাকিয়ে তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে কালিমা শাহাদাত পড়তে দেখা যায়। এটি কি হ...
10/04/2022

প্রশ্ন: কিছু মানুষকে ওযু শেষে আসমানের দিকে তাকিয়ে তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে কালিমা শাহাদাত পড়তে দেখা যায়। এটি কি হাদিস সম্মত?
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর: ওযু করার পর কালিমা শাহাদাত পড়ার সময় আসমানের দিকে তাকানো এবং সে দিকে তর্জনী অঙ্গুলি ইশারা করা হাদিস সম্মত নয় বরং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যারা এমনটি করে তারা হয়ত সুন্নাহ সম্পর্কে অজ্ঞতা বশত: করে। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
ইসলামের বিধান হল, যে কোনো ইবাদত করার পূর্বে সে বিষয়ে দলীল থাকা অপরিহার্য। নিজের পক্ষ থেকে কোনো কিছু বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নাই।
যাহোক, এ ক্ষেত্রে সুন্নাহ সম্মত সঠিক নিয়ম হল, ওযু শেষ করার পর সাধারণভাবে উক্ত দুআটি পাঠ করতে হবে। (আসমানের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নাই এবং তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করারও প্রয়োজন নাই)।
যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ – أَوْ فَيُسْبِغُ – الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
“তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রূপে ওযূ করার পর বলে:
«أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই , তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-তাঁর বান্দাহ্ ও রাসূল-
তাহলে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।” [সহীহ মুসলিম (২৩৪)।]

আল্লামা উসাইমীন রহঃ কে ওযুর পর উক্ত দুআ পড়ার সময় আসমানের দিকে তাকানো এবং তর্জনী অঙ্গুলি আসমানের দিকে উত্তোলন করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
“لا أعلم له أصلاً
“এর কোনো ভিত্তি (দলীল) আছে বলে আমার জানা নাই।” [সংক্ষেপিত। উৎস: নূরুন আ’লাদ দারব (এটি সৌদি আরবের রেডিও কুরআনের একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান।) বিষয়: ওযুর ফরয ও পদ্ধতি]
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।।

গ্রাম গঞ্জে প্রচলিত আছে রাতে নখ কাটা নিষেধ, এই বিষয়টি কতটা সত্য?=>বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখ আহমদউল্...
09/04/2022

গ্রাম গঞ্জে প্রচলিত আছে রাতে নখ কাটা নিষেধ, এই বিষয়টি কতটা সত্য?
=>বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখ আহমদউল্লাহকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ-

"আমাদের সমাজে এখনো অনেকে মনে করেন রাতের বেলা নখ কাটলে মানুষের অমঙ্গল হয়, অকল্যান হয়, সম্পদ হানি হয়, বিশেষ কোন ক্ষতি হয়, কিংবা এটি নিষিদ্ধ! মূলত কুরআন হাদিসের কোথাও রাতের বেলা হাত পায়ের নখ কাটা কিংবা গোঁফ ছোট করা কিংবা চুল কাটা কিংবা ঘর জাড়ু দেওয়া কিংবা খাবার শেষে প্লেট ধুয়ে সে পানি বাহিরে ফেলা ইত্যাদি অথবা কোন গাছ বা গাছের পাতা ছেঁড়া অথবা ফসল ইত্যাদি ছেঁড়া এগুলোকে কুরআন এবং হাদিসের কোথাও নিষেধ করা হয়নি। আর কুরআন হাদিসে কোন কিছুকে নিষিদ্ধ না করা হলে সেটিকে নিষিদ্ধ মনে করা কুসংস্কার এবং এক ধরনের শির্ক-ই বিশ্বাস যা থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে"।

ড.খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচিত "হাদিসের নামে জালিয়াতি" নামক গ্রন্থে নখ কাটা নিয়ে সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাসগুলো নিয়ে বলা হয়েছে👇

নখ কাটার নিয়মকানুনঃ-"নিয়মিত নখ কাটা ইসলামের অন্যতম বিধান ও সুন্নাত। নখ কাটার জন্য কোন নির্ধারিত নিয়ম বা দিবস রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দেননি। বিভিন্ন গ্রন্থে নখ কাটার বিভিন্ন নিয়ম, উল্টোভাবে নখ কাটা, অমুক নখ থেকে শুরু করা ও অমুক নখে শেষ করা, অমুক দিনে নখ কাটা বা না কাটা ইত্যাদির ফযীলত বা ফলাফল বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলি সবই পরবর্তী যুগের প্রবর্তিত নিয়ম মুহাদ্দিসগণ একমত যে, এ বিষয়ে যা কিছু প্রচলিত সবই বাতিল ও বানোয়াট।নখ কাটার জন্য এ সকল নিয়ম পালন করাও সুন্নাত বিরোধী কাজ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নখ কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন বিশেষ নিয়ম বা দিন শিক্ষা দেন নি। কাজেই যে কোনভাবে যে কোন দিন নখ কাটলেই এই নির্দেশ পালিত হবে। কোন বিশেষ দিনে বা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে নখ কাটার কোন ফযীলত কল্পনা করার অর্থ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর শিক্ষাকে অপূর্ণ মনে করা এবং তার শিক্ষাকে পূর্ণতা দানের দুঃসাহস দেখানো। আল্লাহ আমাদেরকে সহীহ সুন্নাতের মধ্যে জীবন যাপনের তাওফীক প্রদান করেন"।

আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন, আমিন।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে সংযুক্ত লিংক থেকে পুরো ভিডিওটি দেখুন।

[1] রাতে নখ কাটা - Google Search
[2] https://youtu.be/R1Q3MLkz0PM
(https://youtu.be/R1Q3MLkz0PM)

ওজু করার সঠিক নিয়ম:অযুর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা।আর শরীয়াতের পরিভাষায় পরিষ্কার পানি দ্বারা...
07/04/2022

ওজু করার সঠিক নিয়ম:

অযুর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা।আর শরীয়াতের পরিভাষায় পরিষ্কার পানি দ্বারা এক বিশেষ পদ্ধতিতে মুখমন্ডল, হাত ও পা ধৌত করা এবং মাথা মাসেহ্ করাকে অযু বলে।
আমরা যারা নামায পড়ি তারা সবাই ওজু করি । কিন্তু আমাদের ওজু কি মুহাম্মদ ( সাঃ ) এর ওজুর মত ?????
বিশেষ করে আমাদের অনেকেরই নাকে পানি দেয়া , কুলি করা ও মাথা মাসাহ করা সুন্নাত সম্মত হয় না ।
আসুন ওজুর ফরয ও সুন্নতগুলু জেনে নেই।
পবিত্র কুরআনে সুরা মায়েদাতে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ
অর্থ : “হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখ মন্ডল ও দুই হাত কনুই সহ ধৌত করবে, এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে, আর দুই পা গোড়ালীসহ ধৌত করবে।” [সূরা মায়িদাহঃ আয়াত-৬]
ওজুর ফরয চারটি।
(১) মুখ মন্ডল ধৌত করা।
(২) দুই হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩) মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা এবং
(৪) দুই পা টাখনু সহ ধৌত করা।
ওজুর পদ্ধতি-
বিসমিল্লাহ সহকারে অযুর নিয়ত করুন।
(১) নিয়তঃ আমি পবিত্রতা অর্জন করা বা ইবাদত করা অথবা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার জন্য অজু করছি।
(২) প্রথমে উভয় হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়াঃ ডান হাতে পানি নিয়ে ডান হাতের কবজি তিনবার ধৌত করবে। এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতের কবজির উপর পানি ফেলে তিন বার ধৌত করবে।
লক্ষণীয়ঃ হাতে নাপাকী থাকলে যে কোন উপায়ে প্রথমে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
(৩) মিসওয়াক করাঃ কুলি করার পূর্বে মিসওয়াক করা সুন্নত। মিসওয়াক অজু শুরু করার পূর্বেও করা যায়। মিসওয়াক না থাকলে কিংবা মুখে ওজর থাকলে বা দাঁত না থাকলে আঙ্গুল দিয়ে হলেও ঘষে নিবে।
(৪) কুলি করাঃ ডান হাতে পানি নিয়ে কুলি করবে। রোজাদার না হলে গড়গড়া করা সুন্নত। তিনবার কুলিকরা সুন্নত। তিনবারের জন্য আলাদা আলাদা তিনবার পানি নিতে হবে।
(৫) নাকে পানি দেওয়াঃ ডান হাতে নাকে পানি দিবে এবং বাম হাত দ্বারা নাক ঝাড়বে। বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে নাক পরিস্কার করবে। তাছাড়া কনিষ্ঠ ও বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়েও নাক পরিস্কার করা যায়। তিনবার নাকে পানি দেওয়া সুন্নত। রোজাদার না হলে নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো উত্তম। নাকে অলংকার এবং হাতে আংটি থাকলে তা নারা—চাড়া করে নিচে পানি পৌঁছে দেওয়া ওয়াজিব।
(৬) মুখমন্ডল ধোয়াঃ উভয় হাতে পানি নিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করবে। অর্থাৎ, কপালের চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নিচ এবং উভয় কানের লতি পর্যন্ত এমনভাবে পানি পৌঁছানো, যাতে উক্ত অঙ্গ থেকে পানি ফোঁটা ফোঁটা নিচে গড়িয়ে পড়ে। একবার ধোয়া, তিনবার ফরয, তিন বার ধোয়া সুন্নাত।
(৭) দাড়ি ও গোঁফ : দাড়ি ও গোঁফ খুব ঘন হলে শুধু ধোয়া ফরয। চামড়ায় পানি পৌঁছানো ফরয নয়। দাড়ির ভেতরে আঙ্গুল চালিয়ে খিলাল করে নিবে।
(৮) উভয় হাত কনুই উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করবে। একবার ধোয়া ফরয, তিনবার ধোয়া সুন্নাত। হাত ধোয়ার সময় আঙ্গুল খিলাল করবে, যাতে আঙ্গুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। অর্থাৎ এক হাতের আঙ্গুল অপর হাতের আঙ্গুল সমূহের মধ্যে প্রবেশ করাবে। বিঃদ্রঃ কারো আঙ্গুলের মধ্যে যদি ফাঁক না থাকে এবং আঙ্গুলের সাথে অপর আঙ্গুল এমনভাবে লেগে থাকে যার কারণে আঙ্গুলের সাথে পানি না পৌঁছার আশঙ্কা থেকে যায়, এ অবস্থায় খিলাল করা ওয়াজিব।
(৯) মাথা মাসেহ করাঃ মাথার চার ভাগের একভাগ মাসেহ করা ফরয, সমস্ত মাথা মাসেহ করা সুন্নাত।
(১০) মাথা মাসেহের নিয়মঃ বৃদ্ধ ও তর্জনী আঙ্গুলদ্বয় ব্যতীত অবশিষ্ট উভয় হাতের আঙ্গুলের পেট মাথার মধ্যে ভাগে সামনে হতে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাবে। অতঃপর দুই হাতের তালু মাথার দুই পাশে রেখে পেছন দিক থেকে সামনে টেনে নিয়ে আসবে।
(১১) কান মাসেহ করাঃ উভয় হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুলের পেট দ্বারা দুই কানের পেছনের অংশ মাসেহ করা। এরপর কনিষ্ট আঙ্গুলের অগ্রভাগ দ্বারা কানের ছিদ্র এবং তর্জনী আঙ্গুলের সাহায্য কানের পাতার ভেতরে অংশ মাসেহ করা সুন্নাত।
(১২) গর্দান মাসেহ করাঃ উভয় হাতের তিন আঙ্গুলের পিঠ দ্বারা গর্দান মাসেহ করবে। গলা মাসেহ করবে না।
(১৩) গোড়ালী ও টাখনুসহ পা ধোয়াঃ ডান হাত দিয়ে পায়ের অগ্রভাগে পানি ঢালা সুন্নাত। বাম হাত দিয়ে পায়ের সামনে পেছনে এবং তলদেশ মর্দন করবে। পা দিয়ে ঘষে এবং বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল দিয়ে পায়ের আঙ্গুলসমূহ খিলাল করে নিবে।
(১৪) অজুর শেষে কালিমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব।
ওজু শেষ হবার পর নিচের দু’আ পড়তে হবে-
”আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু-লা-শারীকা লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আ’বদুহু-ওয়া রাসূলুহু।”
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মা’বুদ নাই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল।

-Ref. http://old.imam.gov.bd/node/6700

07/04/2022
07/04/2022

Address

Savar

Telephone

+8801731894575

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নাযাতের পথ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share