
12/08/2025
কাজের জগতে একটা নীরব বিপ্লব চলছে। একদিকে আমরা মানুষ, যাদের সাপ্তাহিক ছুটি প্রয়োজন, যারা ক্লান্ত হই, যাদের বিশ্রাম দরকার। অন্যদিকে আছে রোবট, যারা ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করতে পারে, যাদের বিরক্তি নেই, নেই কোনো অফিস পলিটিক্স। এমনকি, একজন কর্মী যেমন নতুন দক্ষতা শিখে অন্য সংস্থায় যোগ দেয়, রোবট সেখানেও পরম অনুগত।
এত গুণ থাকা সত্ত্বেও কেন আজও মানুষ কর্মক্ষেত্রে টিকে আছে? প্রধান কারণ হলো খরচ। একটি রোবট কেনা, তার বিদ্যুৎ বিল এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এখনো অনেক ক্ষেত্রে একজন মানুষের বেতনের চেয়ে বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সমীকরণ মানুষের পক্ষে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজের সুযোগ থাকবে। তবে, জনসংখ্যা হ্রাস পেলে বা রোবট তৈরির খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে, পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বাস্তবতা হলো রোবট এখনো সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম নয়। যদিও এই সীমাবদ্ধতা দ্রুত কমে আসছে, কিছু বিশেষ দক্ষতা এবং সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি।
মোদ্দা কথা, কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার লড়াইটা এখন দক্ষতা আর দামের। মানুষ বনাম মেশিনের এই প্রতিযোগিতায় শেষ হাসি কে হাসবে, তা সময়ই বলবে।
**এই পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কী?**
আমার মনে হয়, আমাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত দুটি:
১. **প্রযুক্তি উন্নয়ন ও রোবট নির্মাণ:** বাংলাদেশকে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে রোবট নির্মাণ এবং প্রযুক্তির বিকাশে জোর দিতে হবে।
২. **দক্ষতা উন্নয়ন:** আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা জরুরি। এমন দক্ষতা অর্জন করতে হবে যা রোবট সহজে আয়ত্ত করতে পারবে না— যেমন সৃজনশীলতা, জটিল সমস্যা সমাধান, মানুষের সাথে যোগাযোগ ও নেতৃত্ব দেওয়ার क्षमता। স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমকে সেই অনুযায়ী ঢেলে সাজানো প্রয়োজন।
ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্র হয়তো আজকের মতো থাকবে না। এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে এবং নিজেদের দক্ষতাকে ক্রমাগত উন্নত করতে হবে।
আপনার কি মনে হয়? এই বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
#ভবিষ্যতেরকর্মক্ষেত্র #মানুষবনামরোবট #দক্ষতা #প্রযুক্তি #কর্মসংস্থান