Simple Dimple

Simple Dimple like nature

20/03/2025

মাসজিদ আল-হারামের ইমাম শাইখ আব্দুর রহমান আল রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য চমৎকার এক আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন।

১. প্রতিদিন এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর বা ১০০০ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।

২. প্রতিদিন দুই রাকা'আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন দুই রাকা'আত নফল সালাত আদায় করার সাওয়াব পাবেন।

৩. প্রতিদিন তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর'আন পাঠের সাওয়াব পাবেন।

তিনি আরো বলেন, এ কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার এ কথা শুনে আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথপ্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।" (মুসলিম, ২৬৭৪)

আল্লাহ্ সবাইকে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

05/07/2024

★ ইকড়ি মিকড়ি ছড়ার অর্থ ★

“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি,
চামের কাঁটা মজুমদার,
ধেয়ে এল দামোদর।
দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি,
দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি।
চাল কাঁড়তে হল বেলা,
ভাত খাওগে দুপুরবেলা।
ভাতে পড়ল মাছি,
কোদাল দিয়ে চাঁছি।
কোদাল হল ভোঁতা,
খা কামারের মাথা।”

ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ছড়াটি পড়েছি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি নান্দনিক ছন্দের এই ছড়াটির অর্থ কি? এই ছড়া কোন ইতিহাস বয়ে বেড়ায় কিনা?

এই প্রশ্ন করলে হয়তো এই উত্তরই আসবে যে শিশুদের নির্ভেজাল আনন্দের জন্য এই ছড়ার রচনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সত্যটা বেশ করুণ। আদতে আনন্দের ছিঁটেফোঁটাও নেই এই ছড়ায়, শিশুদের জন্য তো একেবারেই না।

মূলত এই ছড়ায় ছড়াকার অসাধারণ দক্ষতার সাথে চিরন্তন বাংলার সাধারণ মানুষের দুঃসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।

চলুন এবার ছড়াটির প্রতিটি শব্দ ও পংক্তি ধরে বিশ্লেষণ করে দেখি...

'ইকড়ি' অর্থ সংসার পরিপালনের জন্য সারাদিন খেটেখুটে কঠোর পরিশ্রম করা। কিন্তু তাতেও যখন সংসার চলে না, তখন প্রয়োজন হয় 'মিকড়ি', অর্থাৎ আরও কিছু অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করা। 'চাম' অর্থ রুজি-রোজগারের এলাকা। আর 'চিকড়ি' অর্থ সেই রোজগারের এলাকায় ঘুরে ঘুরে কিছু (অর্থ বা ফসল) উপার্জন করে তা ঘরে নিয়ে আসা।

কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এই "চামের কাঁটা মজুমদার"। 'মজুমদার' মূলত এক প্রকার রাজকর্মচারীর পদবী যার কাজ ছিল খাজনা বা রাজস্ব আদায় ও হিসেব রাখা। আর তাই অনেক সময় খাজনা আদায়ের নামে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যেত বলে তাকে পথের কাঁটা বলা হয়েছে।

আর অতঃপর "ধেয়ে এল দামোদর"। এই 'দামোদর' হলো মূলত ফড়ে-পাইকারের দল, যারা সাধারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসল অথবা কুমারের বানানো তৈজসপত্র স্বল্প দামে কিনে নিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতো।

কিন্তু এই দামোদর শুধু এসেই ক্ষান্ত হয় না। এখানে বলা হয়েছে "দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি"। এর অর্থ হলো, তারা যখন আসে তখন সাথে করে হাঁড়ি কুঁড়ি নিয়ে আসে। অর্থাৎ খেটে খাওয়া মানুষের উৎপাদিত সব দ্রব্য সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসে।

এরপর বলা হয়েছে "দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি", অর্থাৎ মজুমদার আর ফড়ে পাইকারের থেকে লুকিয়ে যেটুকু চাল বাঁচানো গিয়েছে, এবার সেটা দিয়েই ঘরের দরজায় বসে ভাত রাঁধার প্রস্তুতি শুরু।

কিন্তু "চাল কাঁড়তে হল বেলা", অর্থাৎ এতসব ঝামেলা ঝক্কি সামলাতে সামলাতে ভাত রাঁধায় দেরী হয়ে যায়। তাই "ভাত খাওগে দুপুরবেলা", অর্থাৎ প্রথম প্রহরে বা সকালে খাওয়া আর সম্ভব হয় না। একেবারে দ্বিপ্রহরে বা দুপুরে খেতে হয়।

কিন্তু খাবে কী করে! কারণ "ভাতে পড়ল মাছি"। এখানে 'মাছি' বলতে আসলে চোরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ গরীবের যে যৎসামান্য খাদ্য, তারও শেষ রক্ষা হয় না। ছিঁচকে চোর সেটাও চুরি করে নিয়ে যায়। তাই "কোদাল দিয়ে চাঁছি"। এই 'কোদাল'ও আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। বরং কোদাল বলতে এখানে কোতোয়াল বা পুলিশের কথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশের কাছে গিয়ে চোরের ব্যাপারে নালিশ করা হয়েছে।

তবে তাতেও যে গরীব মানুষের হয়রানি কম হয়, তা কিন্তু নয়। কারণ "কোদাল হল ভোঁতা"। অর্থাৎ পুলিশ বা কোতোয়াল কোন কাজই করে না। আর তাই "খা কামারের মাথা"। অর্থাৎ এই কোদাল যে কামার বানিয়েছে, মানে পুলিশ কোতোয়াল সৃষ্টিকারী গ্রামের উচ্চপর্যায়ের লোকেরা, শেষমেশ তাদের কাছে গিয়েই এই হতদরিদ্র মানুষ গুলোর মাথা কুটে কাঁদতে হয়।

সুতরাং এক কথায় বললে, এই ছড়ায় ছড়াকার গ্রাম বাংলার সেই খেটে খাওয়া মানুষের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন যে কিনা কঠোর পরিশ্রম করেও জমিদার, খাজনা আদায়কারী, অসাধু ব্যবসায়ী, চোর, পুলিশ এদের উপদ্রবে নিজের পরিবারের জন্য দু' বেলার খাবারও জোটাতে পারে না।

তথ্যসূত্রঃ "বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ" ও ভাষাবিন্যাস।

03/07/2024

একদিন সব হবে, এই আশায় যে নিজেকে বঞ্চিত করে, তার জীবনে কিছুই হয় না। তার জীবন কাটে বিষন্নতা আর অতৃপ্তিতে, শেষ হয় আফসোস

30/05/2024

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল৷ একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়োজনে বাবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। আমি আমার স্বামীর ওপর এমন নির্ভরশীল হতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

এই অনুচ্ছেদটি এদেশের অনেকগুলো পরিবারের চিত্র। একটু খেয়াল করে দেখুন, 'নির্ভরশীল' শব্দটিকে। এই শব্দটি পরিবারের মেয়েটির মধ্যে চাকরি করার স্পিরিট যোগান দিয়েছে। কিন্তু এই ভাবনাটি কি আসলেই যথার্থ? তার মা কি আসলেই তার বাবার ওপর নির্ভরশীল?

দেখেন, নির্ভরশীলতা তখন আসে যখন সেখানে বিনিময় থাকে না। যেমন, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা প্রয়োজনীয়, সার্ভাইভালের জন্য। বিনিময়ে কিন্তু আমরা সূর্যকে কিছু দেই না। তাই, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল কথাটা যথাযথ।

এখন দেখুন, এই পরিবারটির বেলায় কী হচ্ছে। অর্থ উপার্জন বাবা করছে এটা সঠিক। কিন্তু মা কী করছে দেখুন। রান্নাবান্না, ঘর-দোর সুন্দর রাখা, বাচ্চাদের সুন্দর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা, স্বামীর শারিরিক ও মানসিক চাহিদা নিশ্চিত করা আরো কতো কী! এই কাজগুলো যদি তিনি না করতেন, তবে কী এই পুরুষ চলতে পারতেন? তাহলে তো দেখা গেলো, এই পুরুষও পাল্টা এই নারীর ওপর নির্ভরশীল। এবং, এই পুরুষেরই নারীটির ওপর নির্ভরশীলতা বেশি! তবে একতরফাভাবে মেয়েটি কেন ভাবলো যে, তার মা তার বাবার ওপর নির্ভরশীল?

চিন্তার মানদণ্ডের কারণে। মেয়েটি অর্থকে মানদণ্ড বানিয়েছে। অর্থ দিয়ে যা মাপা যায়, তার মূল্য আছে, অর্থ দিয়ে যা মাপা যায় না, তার মূল্য নেই। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে মায়ের কাজগুলোরও অর্থমূল্য আছে। যদিও অর্থমূল্য নির্ধারণ করা অযৌক্তিক, কারণ মা হচ্ছেন মা। কিন্তু তর্কের খাতিরে আমরা একটুখানি করে দেখি।

আপনি হোটেলে একবেলা খাবার খান। মা যেই যেই খাবার রান্না করেন, সেটা একটা ভালো-পরিচ্ছন্ন পরিবেশনায় খেতে হলে ঐ মানের হোটেলে ১০০ টাকার কাছাকাছি লেগে যাবে। ঐ হোটেলের বাবুর্চির স্যালারি কতো? ১০ হাজার? আপনার মা তো ৩০ দিনে ৯০ বেলা ক্লান্তিহীন রান্না করছেন, আপনাকে ডেকে নিয়ে খেতে বসাচ্ছেন, খাবার শেষে ধোয়া-টোয়ার কাজও করছেন, তাহলে তাঁকে কতো স্যালারি দেবেন?

ঝাড় দেয়া, ঘর মোছার জন্য একটা বুয়া রাখেন তো। দেখবেন সে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করবে। কিন্তু, তারপরও খাটের নিচে ময়লা থেকে যাবে, শোকেজের কোণায় ধুলো জমে থাকবে। কিন্তু, মা কতো যত্ন নিয়ে ঘর ঝেড়ে-ঝুড়ে রাখছেন, আবার মুছছেন, তাহলে মা'কে কতো স্যালারি দেবেন?

প্রাইভেট টিউটরকে মাসে কতো টাকা স্যালারি দেন? ৬-৭ হাজার? যেই মা কথা বলা শেখালো, ভালো-খারাপ চেনালো, খাবার খেতে, ওয়াশরুমে যেতে, হাঁটতে, পড়তে, লিখতে শেখালো, তার কতো স্যালারি হবে?

হাসপাতালে নার্স কিংবা ডাক্তারকে ঠিক কতো টাকা দিলে তারা আপনার শিয়রে সারারাত বসে পট্টি দিবে মায়ের মতো?

এরপর এই একই নারী তো স্বামীর হক্ব আদায় করছে। শারিরিক হক্ব আদায় করছে। মানসিক প্রশান্তি দিচ্ছে। দুঃশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করছে। সমস্যা শুনছে, সাজেশন দিচ্ছে। পুরো ফ্যামিলিকে মায়া দিয়ে আগলে রাখছে এই নারী। মায়া তো এবস্ট্রাকট জিনিস, এটার অর্থমূল্য তো নির্ধারণ করতে পারবেন না।

তাহলে মায়ের কাজের অর্থমূল্য নেই, এমনটাও কী বলা গেলো? অর্থাৎ, আমার বাবা চাকরি করছে তাই আমার মা তার ওপর নির্ভরশীল এই কথাটা একেবারেই অবান্তর। এইযে, বাবা অর্থ সরবরাহ করছে, ভরণপোষণ করছে, এটা তার অধিকার। এই অধিকার আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে নারীর জন্য লজ্জার কিছু নেই। এটা তার প্রাপ্যের চেয়ে বরং অনেক কম! তাই নতজানু হওয়ারও মোটেও কিছু নেই। (নতজানু এই অর্থে যে, আমি টাকা রোজগার করতে পারছিনা, তাই আমি ছোটো হয়ে থাকবো।)

কিন্তু আলাপটা এখানেই শেষ নয়। আরেকটি অনুচ্ছেদে চলে যাই।

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল। বাবা মাকে যেমন-তেমন করে ট্রি_ট করে, খোঁ_টা দিয়ে কথা বলে, মতামতের মূল্য দেয় না। আমি এরকম আমার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে এসব সহ্য করতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

দেখুন, গল্পটা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলো। এবার সমস্যাটা আর চিন্তার মানদণ্ডে না। এবার সমস্যাটা পুরুষেরই অবদান। এই বাবা তার মেয়ের মধ্যে পুরুষ সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণা সেট করে দিয়েছে, যা তাকে আল্লাহর তৈরি ফিতরাতের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে।

আমাদের সমাজের পুরুষদের একটা বিশাল অংশ প্রথম অনুচ্ছেদের মেয়েটির মতো চিন্তা করে। তারা ভাবে, মেয়েরা চাকরি করে না বলে তারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদেরকে যাচ্ছেতাই ভাবে ট্রিট করা যাবে। দুইদল-ই আল্লাহর দেয়া ফিতরাত অস্বীকার করছে।

ইস_লা-মী রাষ্ট্রে এসব সমাধানের ব্যবস্থা আছে। খলি-ফার আদালতে বিচার তোলা যাবে। পুরুষটাকে সো_জা করা যাবে, সিরিয়াস কেসে তা-লা_ক পর্যন্তও যাবে। কিন্তু, বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে? এখন তো খলি_ফাও নেই, ইস-লামী আদালতও নেই, গ্রাম্য বিচার-শালিসে তো মহিলা বাই ডিফল্ট অপরাধী।

ঠিক সেই জায়গাটিতেই একটা চাকরিপ্রিয় ক্যারিয়ারিস্টিক নারীপ্রজন্ম গড়ে উঠছে। তারা হয় প্রথম কেইসের অথবা দ্বিতীয় কেইসের। প্রথম কেইস হলে সেটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা। দ্বিতীয় কেইস হলে তারা পরিস্থিতির স্বীকার।

আমি সমাধান আলোচনা করবো না। আমি অতোবড়ো মাথাওয়ালা নই। আমি এই ছোটো-খাটো প্রবন্ধের শেষে একটি অনুচ্ছেদে শুধুমাত্র দুটো কেইসের এন্ড রেজাল্ট দেখানোর চেষ্টা করবো।

নারী চাকরিতে আসলে আদতে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা আসলে বিবিধ।

প্রথমেই চলে আসে ফিতরাত নষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি। এই পৃথিবীতে প্রতিটি বস্তুর স্বতন্ত্র জায়গা আছে, প্রতিটি প্রজাতির নিজস্ব অবস্থান আছে। ব্যতিক্রম নয় পুরুষ আর নারীও। পুরুষ এবং নারী শারিরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই ভিন্নতাও সুন্দর এবং এমনভাবে করা যে, তারা পরস্পরের জন্য উপকারী বলে প্রতীয়মান হয়। তারা এমনভাবে সহাবস্থান করবে যাতে ন্যাচার ভায়োলেট না হয় এবং পরস্পরের অধিকার ও কর্তব্যের জায়গাটিও ঠিক থাকে।

নারী ও পুরুষ কে কোথায় অবস্থান করবে, এই ব্যাপারে নির্ধারণ করতে পারেন কে? অবশ্যই তাদের স্রষ্টা তাইতো? তাহলে আমরা নারী-পুরুষের অবস্থান কী হবে, তাদের এক্টিভিটি কেমন হবে, এটা জানবো কুরআন এবং হাদীস থেকে। ইসলামে জেনারেল কেইসে নারীদের চাকরি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

কেন সেটার কিছু নমুনা বলি।

প্রথমত, এটা তার জন্য একটা ফিজিকাল বার্ডেন। একজন নারী মাসে ৬-৭ দিন অসুস্থ থাকে। এইসময় কি তার চাকরি অফ করার সুযোগ আছে? তাকে তো ঠিকই অফিসে যেতে হবে, সারাদিন কাজ করতে হবে। ঘরে থাকলে সুবিধা কী হতো? এখানে তার শ্বাশুড়ি আছে কিংবা মেয়ে আছে, কিংবা স্বামী আছে। তারা জানে এবং বোঝে। এখানে তার ফুসরতের সুযোগ আছে। অফিসে আছে?

আচ্ছা, প্রেগনেন্সি লিভ কয় মাসের? ৬ মাসের। শুরুর ৪ মাস? প্রেগনেন্সি নিয়েই তো অফিস করতে হয়। মেডিকেল রিসার্চ ঘেঁটে দেখবেন প্রেগনেন্সি নিয়ে অফিস করার স্বাস্থ্যঝুঁকি।

কিছু নারী আছে, যারা সন্তানই নিতে চান না ক্যারিয়ারের চাপে। ফলে দেখা যায়, বয়স বেড়ে গেলে সন্তান নিতেও জটিলতা তৈরি হয়। কেউবা অক্ষম হয়ে পড়ে। হাইলি ফিজিকাল বিভিন্ন পেশা, যেমন - সেনা_বাহিনী, খেলা_ধুলো ইত্যাদিতে প্রফেশনাল নারীদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায় অনেক বেশি!

এরপর আসে, সন্তানের ঠিকঠাক বেড়ে ওঠার ব্যাপারটি। ক্যারিয়ারিস্টিক নারীরা ছোটো বাচ্চাকে বুয়ার কাছে রেখে চাকরিতে বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে কী হয়? না সন্তান মায়ের যত্ন-আত্তি পায়, না পায় মায়ের শিক্ষা। সে পায় বু-য়ার শিক্ষা আর তার অবহেলা। প্রায়ই দেখা যায় ছোটো বাচ্চাদেরকে বুয়ার নির্যা_তন করার নিউজ। এই ক্ষতিটা কি ছোটো কোনো ক্ষতি?

একটা নারী_বাদী টোন আছে, "নারীর কাজ কি শুধু বাচ্চা উৎপাদন আর লালন-পালন করা নাকি?" আমি এখানে 'শুধু' শব্দটার বিরোধিতা করি। অবশ্যই নারীর কাজ শুধু বাচ্চা উৎপাদন, লালন-পালন করা না। নারী অনেক কাজই চাইলে করতে পারে। কিন্তু, এই কাজটা স্পেশালি নারীকে অর্পণ করা হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ-ই অর্পণ করেছেন। বাচ্চা জন্মদানের উপযোগী শরীর তাকে দিয়েছেন আর লালন-পালনের উপযোগী মন। এটা অস্বীকার করা মানে প্রকৃতিকে অস্বীকার করা।

আসলে চাকরি নিয়ে আমার কোনো সমস্যাই নেই। চাকরি করুক, কিন্তু এই ক'টি বিষয় নিশ্চিত করতে পারবে কি?

১. যথাযথ পর্দা।

২. মাহরামসহ সফর।

৩. খুব বেশি প্রয়োজন ব্যতীত নন-মাহরামের সাথে ইন্টারেকশন থেকে বেঁচে চলা।

৪. স্বামীর হক্ব আদায় করা।

৫. সন্তানের হক্ব আদায় করা।

একজন চাকরিজীবী নারীর জন্য এর যেকোনো একটিও পরিপূর্ণ করা আজকের সমাজের প্রেক্ষাপটে অন্তত সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি।

যথাযথ পর্দা আপনি কতোক্ষণ করবেন? কোথায় করবেন? কর্পোরেট জবগুলো ক্রমাগত ইসলা-মো_ফোবিক হচ্ছে। আপনি নিকাব করলে বলবে, "তাহলে আর চাকরি করার মূল্য কী?" এই বাক্যেরও একটা তাৎপর্য আছে, যদি বোঝেন। অনেক কর্মক্ষেত্র আছে, নিকাবই এলাউড না। পরীক্ষা দেবেন, নিকাব এলাউড না। প্রেজেন্টেশন দেবেন, নিকাব এলাউড না। তাহলে যথাযথ পর্দা ম্যান্টেইন হচ্ছে?

এরপর আসেন মাহরামসহ সফর। এই জায়গায় কী করবেন আপনি? আপনার স্বামীর চাকরি এক জায়গায়, আপনার অন্য জায়গায়। সে আপনাকে রোজ অফিসে পৌঁছে দিতে পারবে না। আপনাকে চলাফেরা করতে হচ্ছে একাকী। এই হা_য়ে-নার দেশে আপনার সেফটি কী? আপনার চাকরি আপনাকে রাস্তায় সিকিউরিটি দিচ্ছে? বাসে আপনি মলা-স্টে_টেড হলে, রাস্তায় আপনি টিজড হলে, কার ক্ষতি? অবশ্যই চাকরি না করা এর সমাধান না বলতে পারেন, কিন্তু যতোদিন সমাধান না আসছে, ক্ষতি মেনে নেবেন?

নন-মাহরামদের সাথে ইন্টারেকশন ঠেকাতে পারবেন? আপনার অফিসের বস থেকে শুরু করে, সহকর্মী, পিয়ন, সবই তো নন-মাহরাম। তাদের সাথে আপনার কাজ করা লাগছে পাশাপাশি বসে। টিম করে প্রেজেন্টেশন দেয়া লাগছে। প্রয়োজনে-স্বল্প প্রয়োজনে কল-মেসেজিং করা লাগছে। ঠেকাতে পারছেন কই?

স্বামীর হক্ব আদায় করা কী সত্যিই সম্ভব? সারাদিনের অফিসের ক্লান্তির পর আপনার কি রেস্টের প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আপনি বাসার স্ট্রেসের সাথে অফিস & জার্নির স্ট্রেসকে মেলাবেন না দয়া করে। দুটো যে কতটা ভিন্ন তা আপনি জানেন। আপনার ইচ্ছে হবে না মোটেও এতো স্ট্রেসের পর স্বামীর সাথে একটু ভালো করে কথা বলতে। অফিসে যদি প্যারা থাকে আর মেজাজ বিগড়ে থাকে, তাহলে তো আরো না।

আর সন্তান? সে তো বড়ো হচ্ছে বু-য়ার কাছেই...

এইসব আলোচনা আমাদেরকে তৃতীয় একটি পরিবারের প্রতিচ্ছবি দেখায়।

"আমার বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। দুজনে দিনভর অফিসে থাকেন। রাতে আসেন। এসে দুজনে যান্ত্রিক তরীকায় আমার খোঁজ নেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর একদফা ঝগড়া করেন। বাবা-মা দুজনে রাতেও পরবর্তী দিনের জন্য অফিসের কাজগুলো দেখেন। আমি সারাদিন একা ঘরে বসে থাকি। হাসিনা খালা দুপুরে খাইয়ে দেন। আমি টিভি দেখি আর বাবা-মায়ের অপেক্ষা করি। আমার খুব কান্না পায়। আমি কাঁদলে খালা আমাকে বকা দেন।"

দেখেন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি দুটো সিনারিও থেকে একটা কনক্লুশন সিনারিওতে গেছি। অনেক বেশি জেনারালাইজড হয়ে গেছে হয়তো। কিন্তু, রেজাল্ট এর কাছাকাছিই আসবে। আমি কোনো সমাধান দেখাইনি। শুধু দেখিয়েছি, যেই সমাধানটা ফে-মি_নিজম প্রস্তাব করেছে, সেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সেটা আদতে প্র‍্যাক্টিকালও না।

এই জা-হি_লি সমাজে সবচেয়ে বেশি করণীয় আছে পুরুষদের। আপনারা শপথ নেন যে, আপনারা পুরুষ হবেন। আল্লাহ আপনার স্ত্রীর ভরণপোষণ আপনার ওপর বাধ্যতামূলক করেছেন, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। আপনি এইটা তার ওপর দয়া করছেন না, এটা তার অধিকার, এই মানসিকতা লালন করেন। আপনার স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব দেন। স্ত্রীকে যাচ্ছেতাইভাবে ট্রিট করবেন না। একটু গাই-রত-ওয়ালা পুরুষ হন, এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনার স্ত্রী-কন্যাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়া লাগে যেটা ইসলাম এলাউ করে না। আপনার স্ত্রী-কন্যাকে ইসলামী শিক্ষা দিন, আল্লাহকে চেনান, রাসূলকে (স) চেনান। নারীকে নারী হিসেবে চেনান, তার ফিতরাতকে চেনান। তার যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করুন, নয়তো আপনি নিজেই তাদেরকে জাহি-লি-য়া_তের দিকে ঠেলে দিলেন, এটা মাথায় রাখুন।

বোনেদের প্রতি আহ্বান, সচেতন হোন। নারী হিসেবে নিজেকে চিনুন। নিজের নারীত্বকে ভালোবাসুন, সম্মান করুন।

লিখেছেনঃ আসিফ মাহমুদ

27/04/2024
14/04/2024

ছেলে-মেয়ে কিভাবে তার দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ির আত্মীয়দের দেখবে সেটা ছোটবেলায় শিক্ষাতেই ঠিক হয়ে যায়৷ মা যেভাবে প্রেজেন্ট করে ছেলে-মেয়ে সেটাই শিখে৷ পরিবার যদি খারাপও হয় তারপরও সেটাকে প্রেজেন্ট করা ঠিক নয়৷ অনেক মায়েরা সন্তানের দাদার বাড়ির সবাইকে ছোট করে আনন্দ পায়, আবার অনেক দাদাবাড়ির আত্মীয়রা নানাবাড়িকে ছোট করে আনন্দ পায়। কিন্তু উভয়টাই ক্ষতিকারক৷ যে পক্ষই ছোট হোক আদতে কিন্তু নিজেই ছোট হচ্ছে কারণ দু'টো পরিবারই তার অংশ। একটা পক্ষকে ছোট করে, দোষত্রুটি প্রকাশ করে দূরে ঠেলে দিয়ে বস্তুত সন্তানকে একা বানিয়ে দেয়া হয়। একটা মানুষের সবাইকে প্রয়োজন। আর এটা বুঝতে তার অনেক বেশি বড় হতে হয়। ততদিনে অনেকের সাথেই দূরত্ব তৈরী হয়ে যায়। যারা বুদ্ধিমান তারা বড় হয়ে এই দূরত্বটা কাটাতে পারে। বাকিরা বস্তুত একা হয়েই, একটা পক্ষকে দূরে রেখেই জীবন পার করে। আর এখানে মায়ের ভূমিকাই বেশি। কারন সারাজীবন তোর দাদি এই করছে, দাদা,চাচা-ফুফুরা এই করছে বলে বলে কচি মনগুলোকে বিষিয়ে তুলে। কোন মানুষ শতভাগ খারাপ নয়। তারপরও তাদের ভাল অংশগুলো কখনোই সন্তানদের সামনে আনে না। আর এই অশিক্ষিত মায়েদের ভুল প্যারেন্টিং এর জন্য, বেশি পাকনা বাপেদের তোর মামারা এমন, খালারা এমন এসব বুলশীটের কারনে কচি মনগুলো দ্বিধায় বড় হয়! তারা মন থেকেই গীবত, অন্যের সমালোচনা করা জায়েজ মনে করেই বড় হয়! আর তা তাদের চরিত্র গঠনে কি ভূমিলা রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না!

এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে বাবা-মায়েরা। অন্যের সমালোচনা বাচ্চাদের সামনে না করা, কারো দোষ-ত্রুটি নিয়ে রসালো গল্প না করে ওদেরকে শাসন করা। এটা শিখানো যে কারো অগোচরে এমন সত্য কিছু বলাও গীবত যা শুনলে সে কষ্ট পাবে৷
নিজেরাও সচেতন থাকা।

© কালেক্টেড পোস্ট।

28/02/2024

🏞️🌅🌎মোট ২২৮ টি দেশ নিয়ে পৃথিবী।
পৃথিবী থেকে সুর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড়।
ব্যাটেল জুইস একটা তারা আছে, যা সূর্যের চেয়ে ৩৩ কোটি গুণ বড়। আল্লাহু আকবর।
প্রক্সিমা সেন্ট্রাই, আলফা সেন্ট্রাই,ব্যাটেল জুইস এরকম ৫০০ বিলিয়ন তারকা নিয়ে গঠিত গ্যালাক্সি।
আল্লাহ তায়ালা কোটি কোটি গ্যালাক্সি সৃষ্টি করেছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান Apollo 11.
সেকেন্ডে চলে ১১ কি.মি. বেগে।
যদি কেউ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা প্রক্সিমা সেন্ট্রাই Apollo 11 তে চড়ে যেতে চায়, সময় লাগবে ১ লক্ষ ১৫ হাজার বছর। যা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়।
গ্যালাক্সি, সুপারনোভা, ব্লাকহোল এগুলো ১ম আকাশ নয়,
১ম আকাশের মহাশুন্য।
তারপর ১ম আকাশ।
তারপর ২য় আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ২য় আকাশ।
তারপর ৩য় আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৩য় আকাশ।
তারপর ৪র্থ আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৪র্থ আকাশ।
তারপর ৫ম আকাশের মহাশুন্য,
তারপর ৫ম আকাশ।
৬ষ্ঠ আসমানে একটা গাছ আছে।
গাছটির নাম সিদরাতুলমুনতাহা।
বিশ্বনবী( সা.) বলেছেন, তোমার আংটি যদি সাহারা মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়, বিশাল মরুভূমির তুলনায় আংটিটা যত ছোট, আল্লাহর ২য় আসমানের তুলনায় ১ম আসমান ততো ছোট। আল্লাহু আকবর।
৭ম আসমানে আছে বিশাল সমুদ্র জগৎ ও আল্লাহর আরশ।
আরশের ভিতর আছে আল্লাহর কুরশি, আল্লাহর সিংহাসন।
আল্লাহর সিংহাসন কত বড়?
আল্লাহর সিংহাসনের উপর যদি সাত আসমান, সাত জমিন রাখা হয়, বিশাল মরুভূমিতে আংটি ফেলে দিলে যেমন হারিয়ে যাবে, সাত আসমান, সাত জমিনও তদ্রূপ হারিয়ে যাবে।
আল্লাহু আকবর।
মালিক তোমার সৃষ্টি সম্পর্কে জানা ও বোঝার তাওফিক নসিব করো।
🖋️🖋️🖋️কালেক্টেড 📝📝

Address

Savar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Simple Dimple posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share