17/07/2025
ঐতিহাসিক শহীদি আযানের ৯৪ বছর
--
১৮৪৬ সালে অভিশপ্ত বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মাত্র ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে মুসলিমদের ভূমিগোটা কাশ্মীর ভূখণ্ডকে আরেক অভিশপ্ত ডোগরা রাজা গুলাব সিং এর কাছে বিক্রি করে দেয়।
ভূমির প্রকৃত মালিক মুসলিমদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করে অভিশপ্ত জাতি বৃটিশরা তাদেরই আরেক গোলাম হিন্দু জমিদারদের হাতে মুসলিমদের ভূখণ্ড বিক্রি করে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গোটা ভূখণ্ডে অশান্তির দাবানল জ্বলে ওঠে।
এমনই উত্তাল সময়ে কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় একজন ব্যবসায়ী ইসলাম গ্রহণ করলে হিন্দুরা তাঁর সম্পত্তি জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে তাঁর হিন্দু ভাইকে দিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে তিনি মামলা করেন। কিন্তু হিন্দু বিচারক তাঁকে শর্ত দিয়ে বসে- পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে না আসলে তিনি আর নিজের জমির মালিক থাকবেন না।
১৯৩১ সালের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ। কাশ্মীরের মুসলমানরা ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেন। নামাজের ইমামতি করেন মুফতি মুহাম্মদ ইসহাক। নামাযের পর তিনি তাঁর খুতবায় মুসা আলাইহিস সালাম ও অত্যাচারী অহংকারী শাসক ফেরাউনের ঘটনা সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত করে এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। ধারণা করা হয় তিনি ঐ নওমুসলিম ব্যবসায়ীর জমি হারানোর ঘটনাকে ইঙ্গিত করে ফেরাউনের অত্যাচারের উদাহরণ টানেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশের ডি আই জি চৌধুরী রামচাঁদ ও সাব-ইন্সপেক্টর বাবু খেমচাঁদ ডিউটিতে ছিল। মুফতি ইসহাক খুতবায় ফেরাউনকে নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী শাসক বললে তৎকালীন ফেরাউন হরি সিং এর গোলাম ঐ পুলিশ কর্মকর্তাদের গায়ে লাগে।
এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের ফেরাউন রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের উস্কানি দেওয়ার অজুহাতে ইমাম মুফতি ইসহাককে ঈদের নামাজ ও পরবর্তী জুমার নামাজেও খুতবা না দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
মুসলমানদের ধর্মপালনে হিন্দু শাসকের এমন ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দেন ‘ইয়ং মুসলিমস এসোসিয়েশন’ দলের নেতা মীর হোসাইন বখশ। সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকা উত্তাল হয়ে ওঠে। লাখ লাখ মুসলমান ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় রাজপথে নেমে আসেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের এক পর্যায়ে মুসলমানরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রণবীর পেনাল কোডের ২৯৬ নং ধারা অনুযায়ী মুসলমানদের ধর্ম পালনে হস্তক্ষেপের জন্য হিন্দু পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু হিন্দু ম্যাজিস্ট্রেট “খুতবা জুমুআর নামাজের অংশ নয়” এমন উদ্ভট যুক্তিতে মামলা খারিজ করে দেয়।
ওদিকে আদালত প্রাঙ্গণে উগ্র হিন্দুরা স্লোগান দিতে থাকে, "খেম চাঁদ কি জয়", "হিন্দু ধর্ম কি জয়"!
মুসলমানরা এই পক্ষপাতিত্বমূলক রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে থাকে। অন্য দিকে রাজা হরি সিংয়ের গুণ্ডাবাহিনী ও হিন্দুরা মুসলমানদের সমাবেশে চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে।
এমন উত্তাল পরিস্থিতিতে আগুনে ঢালে কিছু উগ্র হিন্দু যুবক। ১৯৩১ সালের ২০শে জুন শ্রীনগরের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার একটি টয়লেটে কিছু উগ্র হিন্দু যুবক পবিত্র কুরআনের পাতা ছিঁড়ে পৈশাচিক উল্লাসে ফেটে পড়ে।
শ্রীনগরের এ ঘটনার পর গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় মুসলমানদের আন্দোলন আরো তীব্রতর হতে থাকে।
কিংবদন্তী আব্দুল কাদির খান
----------------------
“আমার ভাইয়েরা! সময় এসেছে সকল অত্যাচার ও বর্বরতার অবসান ঘটানোর। আমাদের কোনো ফেরাউনি অপশক্তির ছায়া থাকা উচিত নয়। তারা কখনোই আপনাদের শান্ত করার জন্য কুরআন অবমাননার বিচার করবে না। নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে লড়া ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় আর কোনো পথ খোলা নেই। ওদের মেশিনগান আছে, আমাদের নেই। তাতে কি? আমাদের কাছে ইট আর পাথর তো আছে। তাই দিয়েই লড়ে যাব।”
আবদুল কাদির। সোয়াত উপত্যকা থেকে আসা আবদুল ক্বাদির খান নামের এ যুবক চাকরি করতেন পেশোয়ারে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টের মেজর বাটের অধীনে। তিনি তার নিয়োগকর্তার সাথে শ্রীনগরে এসেছিলেন গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে। নাসিমবাগের একটি হাউস বোটে অবস্থান করছিলেন।
কুরআন শরীফ ছেঁড়ার ঘটনার পর থেকেই সমগ্র কাশ্মীরে প্রতিদিনই চলছিলো বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা। আব্দুল কাদিরও তখন বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগদান করছিলেন। কুরআনের অবমাননা সইতে পেরে আব্দুল কাদির শ্রীনগরে খানকায়ে মাওলা মসজিদের প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দাঁড়িয়ে এক আগুনঝরা ভাষণ দেন। সেই ভাষণেই তিনি উপরোল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
সভায় ছদ্মবেশে থাকা ডোগরা প্রশাসনের গোয়েন্দারা তার এই বক্তব্য রেকর্ড করে নেয়। গভীর রাতে তিনি নাসিমবাগে ফিরে আসেন। তখন তাকে গেস্টাপো (গোপন পুলিশ) অনুসরণ করে। পরদিন ২৫শে জুন তার নিয়োগকর্তার হাউস-বোট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডোগরা প্রশাসন রণবীর পেনাল কোডের ১২৪ ও ১৫৩ ধারার অধীনে তাঁর ওপর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনে।
আবদুল কাদিরের গ্রেফতারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মুসলমানরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তীব্র জনস্রোতের ফলে পেশোয়ার পর্যন্ত যাতায়াত ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। ৪ জুলাই শ্রীনগরের দায়রা জজ আদালতে তার বিচার শুরু হয়। জুলাইয়ের ৪, ৬, ৭ এবং ৯ তারিখে চারটি তার মামলার শুনানি চলাকালীন এই বিচারের সাক্ষী হওয়ার জন্য কয়েক হাজার মুসলমান আদালতের প্রাঙ্গণে সমবেত হতেন।
শহীদি আযান
-------------------------
১৩ই জুলাই রবিবার আবদুল কাদির খানের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সকাল থেকেই কয়েক হাজার কাশ্মীরি মুসলমান আবদুল কাদিরের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
ম্যাজিস্ট্রেটকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সবধরনের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেইট পুলিশ সুপার, একজন ইন্সপেক্টর, ২ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৫ জন হেড কনস্টেবল এবং ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে বিচারস্থলে আসেন।
এই বাহিনীর মধ্যে ২২ জন পুলিশ রাইফেল আর বাকিরা হ্যান্ডকাফ নিয়ে আসেন। আর ইন্সপেক্টরদের হাতে রিভলভার ছিল। এছাড়া কারাগারের ১১৯ পুলিশ সদস্য ডান্ডা এবং ১৯ জন পুলিশ রাইফেলে সজ্জিত ছিল।
কয়েক হাজার মুসল্লি কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে জড়ো হন। দায়রা জজ আদালতে প্রবেশের পর তারা কম্পাউন্ডে প্রবেশের অনুমতি চান।
এক হিসেব অনুযায়ী চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ এই বিচারে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই প্রায় দুই শতাধিক লোকের একটি দল কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে জেল গার্ড লাইনের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে ।
হিন্দু ডোগরা পুলিশদের নিরাপত্তায় হিন্দু বিচারক জেলগেটে আসলে “ইসলাম জিন্দাবাদ, আবদুল ক্বাদির জিন্দাবাদ, আমাদের রায়বেরেলির ভাইকে মুক্তি দাও, রাওয়ালপিন্ডির ভাইকে মুক্তি দাও, আমাদের ভাইকে মুক্তি দাও-আমাদের বন্দি কর” স্লোগানে স্লোগানে জেলগেট মুখরিত করে তোলেন উপস্থিত প্রতিবাদকারীরা।
বেলা পৌনে ১ টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে জোহরের নামাজ আদায় করার জন্য কাতারে দাঁড়ান মুসলমানরা। আযান দেয়ার জন্য সামনে এগিয়ে আসেন আবদুল খালিক শোরা নামের এক যুবক। তার মুখ থেকে “আল্লাহু আকবার” আওয়াজ বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে কেঁপে ওঠে উপস্থিত ডোগরা রাজার কর্মকর্তারা।
হিন্দু গভর্নর ত্রিলোক চাঁদ পুলিশকে গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়। আযানের প্রথম বাক্য শেষ না হতেই পুলিশ গুলি চালায় আবদুল খালেক শোরার ওপর। শাহাদাতের কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এগিয়ে আসেন আকবর দার নামের আরেক যুবক। আযানের পরের লাইন উচ্চারণের সাথে সাথে আবারো পুলিশ গুলি চালায়। লুটিয়ে পড়েন তিনিও।
এভাবে উসমান মিসদার, আমীর উদ্দিন মাকায়ী, মুহাম্মাদ সুলতান খান - একে একে ২২ জন এগিয়ে আসেন আযান শেষ করতে। প্রত্যেককেই গুলি করে শহীদ করে দেয় হিন্দু ডোগরা পুলিশ।
আযান শেষ হতেই ইট-পাথর ছুঁড়ে পুলিশকে থামানোর চেষ্টা করে দিশেহারা কাশ্মীরি মুসলমানরা। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ শেষ হলে শহীদানের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার হন প্রায় শতাধিক।
এ ঘটনার জন্য গঠিত তদন্ত কমিশন জানায়, সেদিন মুসলমানদের ওপর ১৮০ রাউন্ড গুলি চালায় হিন্দু পুলিশ। ১৯৩১ সালের ২৮ জুলাই ভারতীয় মিডিয়া দ্য হিন্দু, ডেইলি ট্রিবিউন ২২ জন মুসলমানের শাহাদাতের ঘটনাকে 'অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল' বলে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।
শহীদদের জানাজা
--------------------
১৫ জুলাই ২২ জন শহীদের লাশ শ্রীনগরের 'খানকায়ে মাওলা মসজিদ' প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এখানেই শহীদানের জানাযা হয়। শ্রীনগরে খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দীর মাজারের কবরস্থানে শহীদদের দাফন করা হয়। জায়গাটির নতুন নাম রাখা হয় 'মাযার-ই শুহাদা' বা শহীদদের কবরস্থান।
'ইয়াং মেন'স মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন' এর তৎকালীন নেতা চৌধুরী গোলাম আব্বাস খান তার আত্মজীবনীতে দিনটিকে স্মরণ করতে গিয়ে লিখেন-
'সেদিন আকাশ হঠাৎ ভয়ানক কালো মেঘে ছেয়ে যায়। মিছিলটি জামিয়া মসজিদে পৌঁছানোর সাথে সাথে শহরটি এক অস্বাভাবিক ধূলিঝড় প্রত্যক্ষ করে। সেদিন সরকার সামরিক আইন জারি করে এবং সেনাবাহিনীর কাছে শহর' হস্তান্তর করে।
সেদিনই কাশ্মীরের স্বাধীনতার বীজ অঙ্কুরিত হয়
---------------------
জ্যোতি ভূষণ দাস গুপ্ত তার 'জম্মু ও কাশ্মীর' বইয়ে লিখেছে-
আধুনিক কাশ্মীরের "স্বাধীনতা আন্দোলন" এর জন্ম হয় মূলত ১৯৩১ সালের ঐ ১৩ জুলাইতেই।
কাশ্মীরের সেক্যুলার রাজনীতিবিদ প্রেম নাথ বাজাজ লিখেছেন-
"ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে ১৩ জুলাই ১৯৩১ ছিল সমসাময়িক কাশ্মীরের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিন থেকেই প্রকাশ্যে শুরু হয় কাশ্মীরের মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রাম"।
কাদির খানের কী হয়েছিল?
--------------------------
কাদিরকে বলা মেজর বাটের কথাগুলো অনুপ্রাণিত করেছিল বলে মনে হয়- 'তোমার প্রভুকে গিয়ে বলো কাশ্মীরকে এই অত্যাচারী শাসন থেকে মুক্ত করতে।' তাই তো লাখো কাশ্মীরীর দোয়া শ্রদ্ধা নিয়ে নীরবেই নিজের রবের কাছে চলে গেলেন।
কথিত রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা দাবি তুলে আব্দুল কাদিরের ফাঁসির রায় দেয় অভিশপ্ত ডোগরা ডোগরা প্রশাসনের হিন্দু বিচারক। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার পর আবদুল কাদিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। কোথায় তাঁকে দাফন করা হয়েছিল কেউ জানে না।
নাম না জানা অনেক বীরের আত্মত্যাগ কাশ্মীরের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
শহীদদের আত্মত্যাগ আজও চির ভাস্বর
----------------------
মুসলমানদের অব্যাহত জুলুম, কুরআন অবমাননা ও একজন মুসলিম ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেওয়া ২২জন মুসলিম যুবকের শাহাদাত কাশ্মীরের রক্তাক্ত ইতিহাসকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। কাশ্মীরী মুসলিম যুবকদের এই কুরবানি ফেরাউনি শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তাবৎ বিশ্বের পরাধীন জাতিগুলোর জন্য জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
১৯৩১ সালের এ ঘটনার পর থেকে ১৩ জুলাইকে কাশ্মীরে শহীদ দিবস হিসেবে স্মরণ করা হতো। পাকিস্তানেও দিনটি কাশ্মীর শহীদ দিবস হিসেবে আজও পালিত হয়।
২০১৯ সালে ভারত কাশ্মীরে এই দিনটিতে থাকা সরকারি ছুটি বাতিল করে। ভারত এই দিনটিকে কাশ্মীরের ইতিহাস থেকে বিলুপ্ত করতে নানা অপকৌশলে লিপ্ত হয়। কিন্তু অত্যাচারী ফেরাউনরা জানে না- রক্তে লেখা ইতিহাস কখনো কলমের কালি দিয়ে মোছা যায় না।
--
সৌজন্যে: ভুলে যাওয়া ইতিহাস: জানতে হবে আবার