26/12/2024
দাওয়াত ও তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব আমীর মাওলানা সা'দ কান্ধলভী (দা.বা.) এর ওপর আরোপিত মিথ্যা অপবাদ সমূহের জবাব এবং উনার মূল বয়ান সমূহ।
#অপবাদ-১ : ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম। কারো পকেটে ক্যামেরা বিশিষ্ট মোবাইল রেখে নামায পড়লে তার নামায শুদ্ধ হবে না।
#মূল_বয়ান : হযরতজী মাওলানা সাদ কান্ধলভী হাফিজাহুল্লাহ নিজের পছন্দ অনুযায়ী ছবি না তোলার জন্য বলেছেন এবং এ জাতীয় ছবি তোলাকে হারাম বলেছেন, উদাহরণস্বরূপ তিনি বিয়ে ও বিভিন্ন অনুষ্টানে ছবি তোলার কথাও বলেছেন, সেইসাথে তিনি কয়েকটি হাদিসও বলেছেন, "যে ব্যাক্তি (প্রয়োজন ব্যাতিত প্রাণীর) ছবি তুলবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ ছবিতে রূহ দেবার জন্য বাধ্য করবেন তখন সে রূহ দিতে অক্ষম হবে আর আল্লাহ তাঁয়ালা তাকে জাহান্নামে পাঠাবেন।" আরো একটি হাদিস বলেছেন "প্রত্যেকজন ছবি তৈরীকারী (যে শুধু ভালো লাগার জন্য ছবি তোলে) জাহান্নামে যাবে।"
ছবি যেকোনো পদ্বতিতেই (আঁকা বা তোলা) বানানো হোক।
এই হাদিস সমূহের প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, আমিতো ভাবি ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল (যেসব মোবাইলে হাদিস দ্বারা নিষিদ্ব ছবি থাকে) পকেটে রেখে নামায হয় কিনা !! এবং শেষে একথাও বলেছেন যে, মোবাইল ঠিক আছে এটা মানুষের প্রয়োজন, ছবি ছাড়া রাখা যায় (ক্যামেরা যুক্ত মোবাইল হলেও ছবি তুলবোনা)।
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/1794814951320315/?app=fbl
#অপবাদ-২ : মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা, প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো। পেসাবদানী ছে পানি পিনা হাঁয়'।
#মূল_বয়ান : মাওলানা সাদ কান্ধলভী (হাফিঃ) বলেছেন, "এখানে তো জায়েজ নাজায়েজ বিষয় না বরং প্রশ্ন করো মোবাইলে কুরআন পড়া উপযুক্ত কিনা বরং নিজের মন কে প্রশ্ন করা !"
কুরআনের মতো এতো সম্মান আর মর্যাদার বস্তু মোবাইলে রাখার উপযুক্ত কিনা, তোমার মন পছন্দ করছে ব্যাপারটা ?
মোবাইল যা গুনাহের উপকরণে ভরা থাকে, শেখানে কুরআনও আনা হয়েছে এখন কুরআন সাথে রাখার চেয়ে মোবাইল সাথে রাখো ! আল্লাহু আকবার।
আমরা মুসলমানরা কত নির্বোধ ইহুদি আর খ্রিস্টানদের পদ্বতি আর উদ্দেশ্যকে বুঝতে পারছিনা, কিভাবে আমাদের নবী (আঃ) আর সাহাবী (রাঃ) পদ্বতি থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে, কত নির্বোধ আমরা।"
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/926136436280222/?app=fbl
#অপবাদ-৩ : কুরআন শরীফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেস্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যেই ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেস্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
#মূল_বয়ান : হযরতজী মাওলানা সা'দ কান্ধলভী (হাফি:) বলেছেন, হযরত ওমর (রা:) বলতেন, "হে কুরআন শিখানেওয়ালা, হে দ্বীন শিখানেওয়ালা, তোমরা এর (কুরআন-দ্বীন শিখানোর) বিনিময়ে মূল্য গ্রহণ করোনা, অন্যথায় খারাপ ব্যাক্তিরা তোমাদের আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/575448888269926/?app=fbl
https://www.facebook.com/100063792156501/videos/3566876946926901/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
#অপবাদ-৪ : হিদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হতো, তাহলে নবী পাঠাতেন না।
#মূল_বয়ান : হযরতজী মাওলানা সাদ কান্ধলভী (হাফিঃ) বলছেন, "হেদায়েত আল্লাহর কাছে আছে এবং হেদায়েত কোনো নবী-রাসূল, ব্যাক্তি বা বস্তুর কাছে নেই।"
https://youtu.be/LpwNjKyIiJ4?feature=shared
#অপবাদ-৫ : কুরআন শরীফ বুঝে-শুনে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। না বোঝে তেলাওয়াত করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।
#মূল_বয়ান : মাওলানা সাদ কন্ধলভী (হাফি:) ব্যাখ্যা সহকারে বলেছেন যে, "কুরআন না বুঝে পড়াতে কোনো ভালো/কল্যাণ নেই এবং এই কথা যে হযরত আলী (রা:) বলেছিলেন, সেটিও তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।"
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/907724707576190/?app=fbl
#অপবাদ-৬ : হযরত জয়নাব (রাঃ)র বিয়ে হুজুর (সাঃ) গোস্ত আর রুটি দিয়ে সম্পন্ন করেছেন, এটা তিনি নবী হয়ে ভুল করেছেন, এইজন্য উনাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়েচ্ছে।
#মূল_বয়ান : মাওলানা সা'দ সাহেব বলেছেন যে, "হযরত জয়নাব (রাঃ)র বিয়েতে হুজুর (সাঃ) গোস্ত আর রুটির ব্যবস্থা করেছিলেন, যে বিয়েতে হুজুর (সাঃ) নিজের চিরচারিত অভ্যাস থেকে সরেছেন, ঐ বিয়েতে হুজুর (সাঃ) কষ্ট পেয়েছেন।"
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/1772671923481108/?app=fbl
#অপবাদ-৭ : হযরত মূসা (আ.) তাওরাত কিতাব আনতে নিজে তুর পাহাড়ে গিয়েছিলেন, এটা ভুল ছিলো, যার ফলে উনার উম্মত মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো।
#মূল_বয়ান : মাওলানা সাদ সাহেব বলেছেন, "উলামরা লিখেছেন যে, দাওয়াত ইলাল্লাহ ছেড়ে দেওয়া উম্মাহর গুমরাহির কারণ।
এমনকি মুফাসসিরীনগণ এ কথাও লিখেছেন, হযরত মূসা (আ.) নিজের জাতীকে পিছে রেখে আল্লাহ তায়ালার সন্তুুষ্টি অর্জন করার জন্য নিভৃতে ইবাদতে মগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন। পুরো জাতী পেছনে রয়ে যায়।
আল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন, হে মূসা! তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে তোমাকে তাড়াহুরা করতে বাধ্য করলো কিসে ? (সূরা ত্বহা, আয়াত ৮৩)
মূসা (আ.) বললেন, "এইতো তারা আমার পিছনে।" হে আমার রব, আমি তাড়াতাড়ি করে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আপনি আমার উপর সন্তুুষ্ট হন। (সূরা ত্বহা, আয়াত ৮৪)
আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমার চলে আসার পর আমি তো তোমার কওমকে পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছি।' (সূরা ত্বহা, আয়াত ৮৫)
উলামারা লিখেছেন, এর কারণ হলো, মূসা (আ.) জাতিকে সঙ্গে না এনে জাতিকে ছেড়ে একাকী চলে এসেছিলেন।
আল্লাহ তায়ালার শান, ৬ লক্ষ বনি ইসরাইল -যারা সবাই হিদায়াতের ওপর ছিলো- তাঁদের মধ্য হতে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার বনি ইসরাইল মাত্র ৪০ রাতের ছোট সময়ের ভেতর গুমরাহ হয়ে যায়।
৪০ রাত মূসা (আ.) ইবাদতে কাটিয়ে ছিলেন। শুধু ৪০ রাত মূসা (আ.) দাওয়াত ইলাল্লাহর কাজ করেননি। ৪০ রাত মূসা (আ.) ইবাদতে মশগুল ছিলেন।
এই ৪০ রাতের ভেতর ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার বনি ইসোরেল বাছুরের ইবাদতে লিপ্ত হয়ে যায়।"
https://youtu.be/xtbyJinU2Ms?feature=shared
#হযরত সুলাইমান (আ.) কে নিয়ে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর
মূল বয়ান : https://youtu.be/cE6g0vml6sU?feature=shared
#এছাড়াও, মাওলানা সাদ কান্ধলভী (দা.বা.) এর ৫ মিনিট বা ৫০ মিনিটের অনেক কথাকে ৫-১০ সেকেন্ডের কাট-পিস অডিও-ভিডিও বানিয়ে, বিতর্ক সৃস্টি করা হচ্ছে !
দাওয়াত ও তাবলীগ জামায়াতের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার আপডেট ফাতওয়া সমূহ :
#ফাতওয়া-১ : তাবলীগ জামাতের এই মতপার্থক্য হল তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এই মতভেদ কোন ইলমি বা ফিকহি বিষয়ের নয়। দারুল উলূম দেওবন্দ এই ঝগড়ায় কোন পক্ষ হওয়া পচ্ছন্দ করে না।
https://darulifta-deoband.com/home/ur/Dawah--Tableeg/156131
#ফাতওয়া-২ : দারুল উলূম দেওবন্দ তাবলীগের এই মতভেদে নিরপেক্ষ; কোন এক দলের পক্ষে নয়। তাবলীগের এই দুই পক্ষ যদি এক পক্ষ আরেক পক্ষের দোষ বয়ান না করে, তাহলে এই মতভেদ নিজে নিজেই খতম হয়ে যাবে।
https://darulifta-deoband.com/home/ur/dawah-tableeg/165359
#ফাতওয়া-৩ : যদি কোন দল তাবলিগের বক্তব্য ও বিষয়সমূহে ‘অতিরিক্ততা’ থেকে বিরত থাকে এবং মসজিদের আদব-কায়দা পালন করে, তবে তা মসজিদের অন্তর্গত হওয়ার কারণে তাকে মসজিদে কাজ করা থেকে বিরত রাখা ঠিক নয়।
যারা বাঁধা দিচ্ছেন, তারা এই বাঁধা দেওয়া থেকে বিরত হন।
https://darulifta-deoband.com/home/ur/Dawah--Tableeg/152687
#ফাতওয়া-৪ : যারা কোন মুসলমানের নামে অপবাদ দেয়, তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে পাকড়াও হওয়া স্পষ্ট।
https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/170491
#তাবলীগের চলমান বিভেদ নিয়ে উপমহাদেশের প্রসিদ্ব আলেমগণের বক্তব্য।
#বক্তব্য-১ : মাওলানা আরশাদ মাদানী (দা.বা.) বলেছেন - "সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাস'আলা খতম হয়ে গেছে। তাবলীগের দুই পক্ষই আমাদের, উভয়ই হক। কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ করবো না।"
https://youtu.be/nZkxC2KUHUk?si=n_6PFBKjXw3
"আমি জানি আমার এই কথাগুলো গোটা দুনিয়া শুনবে : তাবলীগ জামাতের সাথে আমাদের কোনো এখতেলাফ কখনো ছিলোনা এখনো নেই, তাদের মেহনতের ময়দান আলাদা আমাদের মেহনতের ময়দান আলাদা।
বিরোধীতার তীব্রতায় বাংলাদেশ কতল হয়ে গিয়েছে, এই এখতেলাফ হলো এখতেলাফ ওয়ালাদের এখতেলাফ, আমাদের এখতেলাফ নয়, আমরা উভয় পক্ষের সাথে সমান মুহাব্বত রাখি, আমাদের যদি কোনো এখতেলাফ থেকে থাকে তাহলে সেটা তাদের বিরোধিতার প্রতি।
হযরত মাওলানা সা'আদ সাহেবের বয়ানের ভিতরে কিছু আপত্তি এটা নতুন কথা নয়, এটা তো ১০ বছর থেকেই কিতাবে ছাপা হয়ে আসতেছে, দারুল উলুম তো কখনো এবিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।"
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/5790745361009199/?app=fbl
#বক্তব্য-২ : মুফতি ত্বাকি উসমানী (দা.বা.) বলেছেন - "তাবলীগের দুই পক্ষই সহীহ ; হানাফী-শাফেয়ী দুই মাযহাবের মত।"
https://youtu.be/ldaJQXgUWUg?si=AXHFiCoZNLIwcrnK
#বক্তব্য-৩ : মাওলানা তারিক জামিল (দা.বা.) বলেছেন - "তাবলীগের উভয় পক্ষের মুরব্বিদের সম্মান করা উচিত। এসব হচ্ছে ইখতেলাফ, ইখতেলাফ সাহাবীদের মধ্যে ছিলো, আল্লাহর নেক বান্দাদের মধ্যে ছিলো। কেউ কারো বিরোধিতা করা নিজের আখেরাতকে নষ্ট করার নামান্তর।"
https://youtu.be/KIGS3iXZlW8?si=5coLYqf7KhBXlP-W
#বক্তব্য-৪ : মাওলানা ইলিয়াস গুমমান (দা.বা.) বলেছেন - "দারুল উলুম দেওবন্দও আমাদের, আর যদি কিছু আংশিক মতপার্থক্যের কারণে দারুল উলুম দেওবন্দ আলাদা হয়ে যায়, তবে সেটাও আমাদের।
নিযামুদ্দিনও আমাদের, যদি কোনো মতপার্থক্যের কারণে কেউ বিরোধ করে, বিরোধ করা ব্যক্তিরাও আমাদের।
এই যে শুরা এবং আমিরাতের কিছু সমস্যা চলছে, এগুলোও আমাদের। আমাদের সবাইকে মহাব্বত করতে হবে, সবাইকে মর্যাদা দিতে হবে, সবার জন্য দোয়া করতে হবে।"
https://youtu.be/HCEHreLKzQ4?si=zMekY7rlhazXEW_r
পাকিস্তানের জমিয়তের ওলামা হজরতদের এক মজমায় মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান (দা.বা.) বলেছিলেন, "তাবলীগের কোন বিষয়ে মাস'আলা হলে হজরতে ওলামায়ে কেরামরা সেই মাসলার সমাধানের জন্য খবরদারি করবে না, সেটা তাবলীগওয়ালারাই সমাধান করবে। তাবলীগের বিষয়ে তাবলীগওয়ালা উলামাদেরকেই ইমাম মানতে হবে।"
https://www.facebook.com/100048959092268/videos/495351466060491/?app=fbl
#বক্তব্য-৫ : দেওবন্দের মাওলানা আব্দুল খালেক (রহ:) এর কথা - https://youtu.be/bV0CLp6_OVY?si=YDmzLenw-vgX66vF
তারপরও, যখন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে মাওলানা সা'দ কান্ধলভী (দা.বা.) কে রুজু বা ভুল সংশোধন করতে বলা হয়েছে, এইজন্য তিনি ৪ বার রুজু করেছেন।
এরপরেও, একটি ষরযন্ত্রকারী মহল বা তৃতীয় পক্ষ পুনরায় ২০১৮ সাল থেকে সেইসব পুরনো এডিটিং অডিও-ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে ফিতনা ছড়াচ্ছে, মসজিদে-ময়দানে মারামারির উস্কানি দিচ্ছে।
#স্বয়ং, মাওলানা সাদ কান্ধলভী (দা.বা.) বলেছেন,
"খোদার কসম !
কারো সাথে আমার কোনো ইখতেলাফ নেই, যদি তোমাদের কোনো কথা থাকে তাহলে বসো, একবার না হয় দশ বার বসো, দশবার না হয় ১০০ বার বসো, সমাধান করো ।
আমি কসম খেয়ে বলতেছি, সারা দুনিয়ার কোন একজন ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনো মতবিরোধ নেই ।
যারা মুখালাফাত করতেছে তাদের এই বিদ্রোহের দ্বারা দাওয়াতের এই মোবারক মেহনতের কোনো ক্ষতি হবে না, বরঞ্চ মুখালাফ কারী নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।"
https://www.facebook.com/100086962136888/videos/966541695305427/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
অথচ, বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে, মাওলানা সাদ সাহেবকে ইহুদি-খ্রিস্টানদের দালাল, গুমরাহ-মুর্তাদ-কাফির ইত্যাদি অনবরত বলা হচ্ছে।
এই স্বল্প জ্ঞানটুকু কি আমাদের নেই, বিশ্বের কওমী মাদ্রাসা সমূহের প্রধান প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতে অবস্থিত, দাওয়াত ও তাবলীগ জামায়াতের প্রধান মার্কাজ ভারতে অবস্থিত, সেখানে তো কোনোদিন মারামারি হয়নি, সংঘর্ষ করে কোনো মানুষ মারা যায়নি, মিছিল-মিটিং করে কাউকে বাতিল ইত্যাদি বলা হয়নি ? তাহলে আমাদের দেশে কেনো এই সমস্যা ?
কারণ, সেখানে তৃতীয় পক্ষ দুর্বল আর এখানে তৃতীয় পক্ষ সবল। এই তৃতীয় পক্ষের কারণে, বর্তমানে তাবলীগের বিভক্তি-বিভাজন।
অতীতে যারা যেভাবে, আবু আলা মওদুদি (রাহি:) এবং ড. জাকির নায়েককে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করেছিলো। ঠিক একইভাবে তারা, মাওলানা সা'দ কান্ধলভী (দা.বা.)কে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে, অপপ্রচার করছে।
সেই অতীতের মতো একদিন মাওলানা সা'দ সাহেব সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণার পরিবর্তন হবে, ইনশাআল্লাহ।