Science Bee

Science Bee Science Bee (সায়েন্স বী) is one of the largest science education platforms for youths nationwide. Sections:
1.
(2409)

Science Bee is one of the largest science-based education platforms for youths across the country including Bangladesh's largest science-based website, with 200,000 registered students and 40,000 daily learners. They have impacted more than 10 million Bengali-speaking students from over 30 countries and has received numerous awards for their contributions to community development and achieving sus

tainable development goals. The purpose of this platform is to transform the diversity and inclusivity of science & technology, to reach the under-served community, and increase the number of people who are actively engaged and involved in science & technology. Visit the Country's first Science News Portal:
https://www.sciencebee.com.bd/daily-science/
2. Visit the Country's largest Science-Based Q&A:
https://sciencebee.com.bd/qna/
3. Visit a dynamic Blog site and design your's:
https://blog.sciencebee.com.bd/
4. Download our Free Ebook on Rocket Science:
https://www.sciencebee.com.bd/ebook-2/
5. Watch our first-ever science-based Dramas:
https://www.youtube.com/c/sciencebee

Awards:
🏆 The Diana Award 2023 in memory of Diana, Princess of Wales, United Kingdom.

🏆 Winner- Funding For Bangladesh 1.0 by Volunteer Opportunities

🏆 Our Founder Mobin Sikder received IVD Volunteer Award 2021 by UNV Bangladesh and become one of the country’s best 20 volunteers through Science Bee Community voluntarism.

🏆 Our Founder Mobin Sikder received Young Global Changemaker Award 2021 by YEF for Contributing to Science Education Through Science Bee.

🏆 Winner- BYLC Volunteer Awards 2021

🏆 YSSE Global Education Award 2021


Features:
- Featured on Somoy TV: https://tinyurl.com/mrvzv37v
- Featured on The Daily Star: https://tinyurl.com/355ztunb
- Featured on News24 TV: https://tinyurl.com/4scp6sbn
- Featured on Prothom Alo: https://tinyurl.com/2sy2jxb8
- Featured on Kaler Kantho: https://tinyurl.com/3aumsmu3
- Featured on Daily Ittefaq: https://tinyurl.com/2zd5xy9w
- Featured on The Business Standard: https://tinyurl.com/yzzdbxlp
- Featured on Daily Samakal: https://tinyurl.com/f4yfkddk
- Featured on Jagonews: https://tinyurl.com/yhrbwtrr
- Featured on Portidiner Songbad: https://tinyurl.com/f3uhpudp
- Award featured on Daily Ittefaq: https://tinyurl.com/2hokwvtl
- Award featured on The Daily Star: https://tinyurl.com/ssehhx23
- Award featured on Dhaka Tribune: https://tinyurl.com/dm9r5s5n
- Award featured on Financial Express: https://tinyurl.com/pyncakdt
- Award featured on the Daily Star: https://tinyurl.com/3v6wye2d
- News published on NewAge: https://tinyurl.com/bdf99u2n
- Diana Award News on RTV News: https://tinyurl.com/2tsz7jk8
- Diana Award News on Financial Express:
https://tinyurl.com/23h7wr5h
- Diana Award News on Daily Star: https://tinyurl.com/2736v47t
- Diana Award News on Dhaka Tribune: https://tinyurl.com/39emrujj
- Diana Award News on Prothom Alo: https://tinyurl.com/52edrf66

Join Our Team: https://www.sciencebee.com.bd/join-us/

মিশরের কিংবদন্তি ফেরাউন তুতানখামেনের কবর এক সময় ছিল ভয়ের প্রতীক। যারা ওই কবরের ভেতর ঢুকত, তারা একের পর এক অদ্ভুতভাবে ম...
08/07/2025

মিশরের কিংবদন্তি ফেরাউন তুতানখামেনের কবর এক সময় ছিল ভয়ের প্রতীক। যারা ওই কবরের ভেতর ঢুকত, তারা একের পর এক অদ্ভুতভাবে মারা যেত। তখন সবাই ভাবত এটা "ফ্যারাও-এর অভিশাপ"। পরে বিজ্ঞানীরা বুঝলেন, আসলে কবরের ভেতরে থাকা অ্যাসপারজিলাস ফ্ল্যাভাস (Aspergillus flavus) নামের একধরনের ছত্রাকের কারণে এসব মৃত্যু হতে পারে। এই ছত্রাকের স্পোর (spore) বাতাসে ভেসে ফুসফুসে গিয়ে মারাত্মক ইনফেকশন করে, যেটাকে বলে অ্যাসপারজিলোসিস – এটা বিশেষ করে ইমিউন দুর্বল মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক।

কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এই “অভিশপ্ত” ছত্রাকই এখন বিজ্ঞানীদের চোখে জীবনরক্ষাকারী! ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, এই ছত্রাকের ভেতরে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলা থেকে তৈরি করা যায় একধরনের শক্তিশালী পেপটাইড, যার নাম অ্যাসপেরিজাইমিসিন (Asperigimycin)। এই পেপটাইডটি দেহকোষের প্রোটিন তৈরির যন্ত্র, অর্থাৎ রাইবোজোমে তৈরি হয়। পরে এটাকে শরীরের ভেতরে বিশেষভাবে পরিবর্তন (মডিফাই) করা হয় যেন এটা আরও সক্রিয় ও কার্যকর হয়। এইভাবে তৈরি হওয়া পেপটাইড শরীরে ঢুকে ক্যান্সার কোষের সঙ্গে যুদ্ধ করে, বিশেষ করে রক্তের ক্যান্সার (লিউকেমিয়া)-এর বিরুদ্ধে।

তবে ব্যাপারটা সহজ না। এই ওষুধ আলাদা করতে গেলে লাগে জটিল এক রাসায়নিক প্রক্রিয়া যেটাতে লিপিডেশনের মাধ্যমে পেপটাইডের গঠন বদলে ফেলা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জটিলতা সত্ত্বেও এর মধ্যে এমন বায়ো-অ্যাকটিভ পাওয়ার আছে যেটা ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। অনেক বিষাক্ত ফাঙ্গাসেই হয়তো লুকিয়ে আছে এরকম ওষুধ তৈরির সম্ভাবনা, যা আমরা এখনো আবিষ্কার করতে পারি নাই।

Tasnimul Islam
Team Science Bee

বিশ্বের প্রথম আংশিক বাস্তব স্কেলে নির্মিত একটি ৩ডি‑প্রিন্টেড কংক্রিট বাড়ির ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে, যেখানে সেটি ভূমিকম্...
08/07/2025

বিশ্বের প্রথম আংশিক বাস্তব স্কেলে নির্মিত একটি ৩ডি‑প্রিন্টেড কংক্রিট বাড়ির ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে, যেখানে সেটি ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে কি না তা যাচাই করা হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী পরীক্ষা পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে বিশাল একটি "শেকিং টেবিল" ব্যবহার করে ৩ডি‑প্রিন্টেড ঘরটিকে কৃত্রিম ভূমিকম্পের মাধ্যমে নানাভাবে ঝাঁকিয়ে দেখা হয়।

এই পরীক্ষায় আধা-বাস্তব স্কেলের(quasi-real-scale) একটি ৩ডি‑প্রিন্টেড কংক্রিট ইউনিট নির্মাণ করে সেটিকে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল ফাউন্ডেশন স্ট্রাকচার ইন্টারঅ্যাকশন ল্যাবরেটরি (SoFSI)-এর উন্নত শেকিং টেবিলে স্থাপন করা হয়, যা ৫৫ টন পর্যন্ত ওজন ধারণে সক্ষম। ইউনিটটির ওপর বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্পের কম্পন প্রয়োগ করে কাঠামোর প্রতিক্রিয়া, যেমন ফাটল, বিকৃতি বা দুর্বলতা—পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল ৩ডি‑প্রিন্টেড নির্মাণে ব্যবহৃত স্তরগুলোর মধ্যকার বন্ধন ও রিইনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থার কার্যকারিতা যাচাই করা। এই ধরনের পূর্ণ-স্কেল পরীক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যতে ৩ডি‑প্রিন্টিং প্রযুক্তিকে ভূমিকম্প-সহনশীল করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে এবং এটি নির্মাণ নিরাপত্তা মানদণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার পথ প্রশস্ত করবে। বিশেষ করে ,ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্যোগপ্রবণ ও উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলোতে দ্রুত, সাশ্রয়ী ও ভূমিকম্প-সহনশীল আবাসন গড়ে তোলা সম্ভব হতে পারে।

Misbahul Islam Sayad
Team Science Bee

৫৩ লক্ষ বছর আগে সংঘটিত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগরের। এ বন্যা এক ভূমিকম্পের সূত্রপাত ক...
07/07/2025

৫৩ লক্ষ বছর আগে সংঘটিত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগরের। এ বন্যা এক ভূমিকম্পের সূত্রপাত করেছিল। সেই সাথে তীব্র ঝড় এবং নায়াগ্রার চেয়ে ৩০ গুণ লম্বা একটি জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছিল।

ষাট লক্ষ বছর আগে ভূমধ্যসাগর সমুদ্রের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। মূলত ভূপৃষ্ঠের টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি জিব্রাল্টার প্রণালীতে একটি পর্বতের সৃষ্টি করেছিল। এটি ভূমধ্যসাগরকে আটলান্টিক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। ফলে পানির অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ ছাড়া সমুদ্রটি তীব্র রোদে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। পরবর্তীতে পড়ে থাকে শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লবণ এবং জিপসাম দ্বারা বেষ্টিত কয়েকটি লবণাক্ত হৃদ। এ সময়কে বিজ্ঞানীরা "মেসিনিয়ান স্যালিনিটি ক্রাইসিস " হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মায়োসিন যুগের শেষের দিকে ভূমধ্যসাগরের বেশিরভাগ অংশ মৃত হয়ে গিয়েছিল। তবে ৫৩ লক্ষ বছর আগে আটলান্টিক মহাসাগরের দিক থেকে পানির উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ফলে সেখানকার একটি পাহাড় সমুদ্রের তলে চলে যেতে শুরু করে। যখন পাহাড়টির চূড়া সমুদ্রের তলে চলে যায় তখনই পানির ধারা স্রোতে পরিণত হয় এবং প্রশস্ত হয়ে নদীতে পরিণত হয়।

তারপর শীঘ্রই সমুদ্র দশ হাজার আমাজন নদীর সমান শক্তি নিয়ে ভূমধ্যসাগরে পানি আসতে শুরু করে। আর এভাবেই শেষ হয় ভূমধ্যসাগরের ৬ লক্ষ বছরের খরা। ভূমধ্যসাগরের পানি যখন পূর্ণ হয়ে উঠছিল তখন এটি জ্যানক্লিয়ান নামে নতুন ভূতাত্ত্বিক যুগের সূচনা করেছিল। এ ঘটনার নামই "জ্যানক্লিয়ান মেগাফ্লাড" যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যার সৃষ্টি করেছিল। ভূমধ্যসাগর শুকিয়ে যাওয়ার পরে প্রায় নিশ্চিহ্নই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বড় বন্যার ফলে ভূমধ্যসাগর আবার সমুদ্রে পরিণত হয়। সমুদ্র শুকিয়ে যাওয়ার আগে এটি প্রাচীন হাঙর এবং পিনিপেড থেকে শুরু করে সকল ধরনের প্রাণীতে পরিপূর্ণ ছিল।

"মেসিনিয়ান স্যালিনিটি ক্রাইসিস" বা "লবণাক্ততা সংকটের আগে সমুদ্র থেকে আসা ৭৮০ প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৮৬ টি আধুনিক ভূমধ্যসাগরে টিকে আছে। সম্ভবত, সমুদ্র শুকিয়ে যাওয়ার পরে অবশিষ্ট কিছু পানিতে আশ্রয় পেয়ে বেঁচে ছিল এরা। পানির প্রবাহের ফলে ভূমধ্যসাগর তীব্র গতিতে আবার ভর্তি হতে শুরু করে। ফলে, সমুদ্র প্রতিদিন ৩৩ ফুট করে উঁচু হচ্ছিল। ক্রমবর্ধমান পানির ওজন পৃথিবীর ভূত্বকে চাপের সৃষ্টি করে ফলে ভূমিকম্পের শুরু হয়। একসময় পানির স্রোত সিসিলির ওপর দিয়ে গিয়ে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়। তখন সে স্রোত মাটি কেটে শত শত দীর্ঘ রেখা তৈরি করে যেন কোনো দৈত্য হাত দিয়ে মাটি আঁচড়ে গেছে। এরপর পানি মাল্টা স্কার্পমেন্ট নামে আরেকটি উঁচু দেয়ালে আঘাত করে। এ বাধা ভূমধ্যসাগরকে পশ্চিম এবং পূর্বদিকে বিভক্ত করে দেয়।সমুদ্রের পশ্চিম অংশ পরে এতটাই ভরে গিয়েছিল যে, পানি মাল্টা স্কার্পমেন্টের চূড়ায় পৌঁছায় এবং পূর্বদিকে নেমে পড়ে।

প্রায় ১.৫ কিলোমিটার গভীর খাড়া দেয়াল বেয়ে পানি নিচে নেমেছিল। ফলে সৃষ্টি হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। যা নায়াগ্রার চেয়ে ৩০ গুন বড়।
পানির ধাক্কায় আরো ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় এবং বন্যার ফলে সাগরের তলদেশে বিপুল পরিমাণ কাদা ও পলিমাটি জমা হয়। যখন পূর্ব ও পশ্চিম দুই অংশের পানি সমান হয়ে যায় তখন সব শান্ত হয়ে যায়। পানি স্বচ্ছ হতে শুরু করে।জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে প্রথম পানি প্রবেশের দুই থেকে সর্বোচ্চ ষোলো বছরের মধ্যে পুরো ভূমধ্যসাগর আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে এক হয়ে যায়। বন্যার পরে পানি ছিল অতিরিক্ত লবণাক্ত এবং বসবাসের অনুপযুক্ত।ধীরে ধীরে সাগর উপযোগী হলে আটলান্টিক থেকে নতুন প্রাণীরা এসে বাস করতে শুরু করে।

Mariam Akter Shahana
Team Science Bee

ধরুন, আপনি অফিসে বসে কাজ করছেন। মাথা নিচু, মনোযোগ পুরোপুরি স্ক্রিনে। কিন্তু হঠাৎ যেন মনে হলো কেউ আপনাকে দেখছে। পেছনে তাক...
07/07/2025

ধরুন, আপনি অফিসে বসে কাজ করছেন। মাথা নিচু, মনোযোগ পুরোপুরি স্ক্রিনে। কিন্তু হঠাৎ যেন মনে হলো কেউ আপনাকে দেখছে। পেছনে তাকানোর ইচ্ছে হয়, একটু অস্বস্তি লাগে। কেউ যে দেখছে, তা জানার দরকার নেই—শুধু দেখার সম্ভাবনাই যথেষ্ট আমাদের মস্তিষ্কে অদ্ভুত এক আলোড়ন তুলতে। এই অনুভূতির শিকড় সম্ভবত হাজার হাজার বছর আগে, যখন বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শিকারির উপস্থিতি আগে থেকে টের পাওয়া জরুরি ছিল।

সমস্যা হলো, আজ সেই শিকারি নেই, কিন্তু নজরদারি আছে। আজকের পৃথিবীতে আমরা প্রায় সারাক্ষণই ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ি। রাস্তার সিসিটিভি থেকে অফিসের মনিটরিং সফটওয়্যার, বন্ধুদের সাথে লোকেশন শেয়ার করা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট—প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা জানি, কেউ হয়ত দেখছে। আর এই দেখা পাওয়ার বোধটাই আমাদের মনোজগতে এমন এক চাপ সৃষ্টি করছে, যা আমরা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছি না। মনোবিজ্ঞানের পুরনো গবেষণাগুলো বলছে, কেউ দেখছে এটা জানলে আমরা ভালো আচরণ করি—কম মিথ্যা বলি, কম চুরি করি, এমনকি রাস্তা নোংরা করাও কমাই। এ ধারণা থেকেই সিসিটিভি বা চোখের ছবিসংবলিত পোস্টার দিয়ে অপরাধ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এটাও সত্য যে, অতিরিক্ত ও প্রতিনিয়ত নজরদারির প্রভাব শুধু আমাদের আচরণেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আমাদের মস্তিষ্কের অবচেতন কার্যকলাপে, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তির মতো মৌলিক কগনিটিভ ফাংশনে।

কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সরাসরি দৃষ্টিপাত আমাদের মনোযোগ একেবারে টেনে নেয়। এমনকি তা পর্যবেক্ষণরত মুখাবয়ব কিংবা চোখের ছবি হলেও আমাদের মনোযোগ অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি আকর্ষণ করে থাকে। আমাদের মস্তিষ্ক যেন অবচেতনে বুঝে ফেলে: "আমি দেখছি" আর "আমাকে দেখা হচ্ছে"—এই দুটোর মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে, এবং দ্বিতীয়টি অনেক বেশি শারীরিক ও মানসিক চাপের উৎস। সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় গবেষকরা দেখিয়েছেন, নজরদারির আওতায় থাকা ব্যক্তিরা তাদের অবচেতন মনে মুখ চেনার কাজে অনেক দ্রুত সাড়া দেয়। অংশগ্রহণকারীরা জানতেন যে ক্যামেরায় তাদের লাইভ দেখা হচ্ছে, যদিও তারা এটিকে তেমন গুরুত্ব দেননি—তবুও পারফরম্যান্সে এক সেকেন্ড পর্যন্ত পার্থক্য দেখা গেছে। এটা অবচেতনের জগতে একটা বিশাল ফারাক।

আরও চিন্তার বিষয় হলো, এই প্রভাব শুধু চোখ বা মুখের ছবিতেই নয়, এমনকি জ্যামিতিক কোনো আকৃতি যদি মনে হয় তাকিয়ে আছে, তাহলেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। গবেষকেরা একে বলছেন "mind contact effect"—কারও মনোযোগের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠা নিজেই একটা মানসিক পরিবর্তনের ট্রিগার। তবে শুধু পরিবর্তন নয়, সমস্যা আরও গভীরে। অস্থায়ীভাবে সচেতন থাকাও একরকম স্ট্রেস তৈরি করে, আর দীর্ঘ সময় ধরে সেই স্ট্রেস যদি চলতে থাকে, তাহলে সেটা মস্তিষ্কের ফোকাস, মেমরি ও চিন্তা করার ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে শুরু করে। যারা সামাজিক উদ্বেগে ভোগেন বা স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্য এই নজরদারি একপ্রকার মানসিক নির্যাতনের মতো।

যেখানে আমরা বিশ্বাস করি যে নজরদারি সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা করে, সেখানে বাস্তবতা হতে পারে এর ঠিক উল্টো। অফিসে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বসের সর্বক্ষণ নজরদারি হতে পারে কর্মীর মনোযোগ ও উৎপাদনক্ষমতা কমার কারণ। এমনকি অনলাইন পরীক্ষা যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্যামেরার সামনে বসে থাকেন, সেখানে কম পারফরম্যান্সের পেছনে এই ‘মনোযোগের ওপর চাপ’ অন্যতম দায়ী হতে পারে। সব মিলিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক যে নীরব পর্যবেক্ষণে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, সেটার প্রমাণ বাড়ছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই নজরদারি আমরা যতটা দেখতে পাই, তার চেয়ে অনেক বেশি অদৃশ্য, অনেক বেশি ছদ্মবেশী। এবং এটাই একে আরও ভয়ংকর করে তোলে।

Muhaimenul Islam Nafees
Team Science Bee

স্থল থেকে জল, পৃথিবীর বেশিরভাগ স্থান আজ প্লাস্টিকে সয়লাব। বায়োডিগ্রেডেবল(জীবাণু দ্বারা পচনযোগ্য) না বলে প্রাকৃতিক পরিব...
07/07/2025

স্থল থেকে জল, পৃথিবীর বেশিরভাগ স্থান আজ প্লাস্টিকে সয়লাব। বায়োডিগ্রেডেবল(জীবাণু দ্বারা পচনযোগ্য) না বলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবকূলের জন্য দারুণ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্লাস্টিক। তাইতো সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা উঠে পড়ে লেগেছেন এর বিকল্প খুঁজতে। এক্ষেত্রে অদ্ভুত একটি বিকল্প ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের হাতে ধরা দিল। সেটি হচ্ছে একটি বিশেষ প্রজাতির ছত্রাক, Split Gill মাশরুম। আর শুধু প্লাস্টিক নয়, এই মাশরুম হতে পারে লেদার ও ফোমের বিকল্প।এই মাশরুমগুলো ‘মাইসেলিয়াম’ নামক ঘন তন্তজাল গঠন করে যা প্রক্রিয়া করে একটি বায়োডিগ্রেডেবল বস্তুতে তৈরি করা যায়।

গবেষকরা এটি তৈরি করেছেন তরল ফার্মেন্টেশন (গাঁজন) প্রক্রিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় তারা ১২ দিনের মধ্যে মাইসেলিয়ামের ম্যাট তৈরি করেছেন। এক্ষেত্রে মাইসেলিয়ামের তুলতুলে গঠনকে দৃঢ় করতে তারা পলিইথিলিন গ্লাইকল ও গ্লিসারল নামক দুই ধরনের ক্রসলিঙ্কার (পদার্থের অণুসমূহের মধ্যে স্হায়ী বন্ধন গঠনকারী উপাদান ) ব্যবহার করেছেন। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে এর গঠন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় পলিইথিলিন গ্লাইকল মেশানো মাইসেলিয়াম ফিল্ম রুক্ষ পৃষ্ঠযুক্ত, অধিক দৃঢ়, দ্রুত পানিশোষণ-ক্ষমতাসম্পন্ন কিন্ত কম নমনীয়। অন্যদিকে, গ্লিসারল মেশানো মাইসেলিয়াম ফিল্মগুলো মসৃণ পৃষ্ঠযুক্ত, অধিক নমনীয় এবং পানিকণার সাথে ৭৭ ড্রিগ্রী কোণে বন্ধন তৈরি করে যা তাদেরকে প্যাকেজিং ও পরিধেয় বস্তুর ক্ষেত্রে উপযোগী করে তোলে।

মাইসেলিয়ামের তৈরি এই ফিল্ম শুধু পরিবেশবান্ধবই নয়, বিপুল পরিমাণে উৎপাদনযোগ্যও বটে। পুরোনো পদ্ধতিগুলোর তুলনায় তরল ফার্মেন্টেশন প্রকিয়াটি সহজেই পুনরাবৃত্তিযোগ্য ও এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া ক্রসলিঙ্কারের ব্যবহার এগুলোকে আরো উপযুক্ত করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এই প্রকিয়াটিকে ঈষৎ পরিবর্তন করে হরেক রকমের বস্তু যেমন-পরিধেয় বস্ত্র, নির্মাণসামগ্রী, পচনশীল মোড়ক ইত্যাদির চাহিদা পূরণ করা যাবে।

Zakiya Afroj Tamanna
Team Science Bee

সম্প্রতি Science Bee - বিজ্ঞান ও গবেষনা গ্রুপে আয়োজিত হয় "সেরা প্রশ্নের সেরা উত্তর" নামক প্রতিযোগিতা। আপনাদের সবার কৌতুহ...
06/07/2025

সম্প্রতি Science Bee - বিজ্ঞান ও গবেষনা গ্রুপে আয়োজিত হয় "সেরা প্রশ্নের সেরা উত্তর" নামক প্রতিযোগিতা। আপনাদের সবার কৌতুহলউদ্দীপক প্রশ্ন এবং উত্তরে সপ্তাহজুড়ে ভরপুর ছিল গ্রুপ৷ আমাদের উদ্দেশ্যেই ছিল এমন কিছু প্রশ্ন খুজে বের করা যেগুলা আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে। আবার সে সকল প্রশ্নের উত্তর কে কতটা সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারে সেটাও ছিল দেখার বিষয়৷

অবশেষে আপনাদের মধ্যে থেকে আমরা সেরা প্রশ্ন এবং সেরা উত্তরটি খুজে পেয়েছি। এছাড়া স্পেশাল মেনশন ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছে একটি বিশেষ প্রশ্ন। খুবই ছোট প্রশ্ন কিন্তু যার কমেন্ট সেকশন পড়লে জীবন নিয়ে আপনি দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হবেন।

যারা হলেন বিজয়ী:

সেরা প্রশ্ন সেগমেন্ট থেকে বিজয়ী হয়েছেন Mymuna Maliha.

অপরদিকে সেরা উত্তর সেগমেন্ট থেকে বিজয়ী হয়েছেন Roni Uzzaman.

আপনাদের দুজনকেই অভিনন্দন। পুরস্কারের জন্য আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে শীঘ্রই।

স্পেশাল মেনশন:

এছাড়া স্পেশাল মেনশন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে Ifar A এর করা প্রশ্নটি। প্রায় ১২ হাজার উত্তর এবং ২৬০০০ হাজারের বেশিবার শেয়ার হয়েছে প্রশ্নটি। প্রতিটি কমেন্টই জীবন নিয়ে আমাদেরকে আবার ভাবতে শিখিয়েছে।

সকলকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ।

স্বাস্থ্যকর একটি সুন্দর জীবন যাপনে শারীরিক কসরত কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে তা আমাদের সকলেরই জানা। এর ফলে আমরা শারীরিক...
06/07/2025

স্বাস্থ্যকর একটি সুন্দর জীবন যাপনে শারীরিক কসরত কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে তা আমাদের সকলেরই জানা। এর ফলে আমরা শারীরিক ও মানসিক দুই দিক দিয়েই সুস্থ থাকি। কিন্তু কখনো কি এমন প্রশ্ন এসেছে যে গর্ভবতী নারীদের ইতিবাচক শারীরিক কসরত কি শিশুর উপরও কোনো প্রভাব ফেলে? ফেললে, তা কি ইতিবাচক না নেতিবাচক? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা ও বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে যা পেয়েছেন তা সত্যিই দুর্দান্ত। তারা বলছেন, কোনো ধরনের চিকিৎসাগত জটিলতাহীন সুস্থ গর্ভবতী নারীদের মধ্যে যারা শারীরিকভাবে তুলনামূলক বেশি সক্রিয়, তাদের নবজাতকদের কর্টিকাল মস্তিষ্কের বিকাশ উন্নততর হবে। এ অবস্থায় শারীরিক কার্যকলাপের পাশাপাশি সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা জাতীয় কার্যকলাপে গর্ভবতী নারীরা যদি সময় দেন তবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ তথা কর্টিকাল পুরুত্বের (cortical thickness; শৈশব ও কৈশোরে মস্তিষ্ক বিকাশের একটি সূক্ষ্ম নির্দেশক) বিকাশকে তা দারুনভাবে উৎসাহিত করে; যা পরবর্তীতে সন্তানের দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক ও জ্ঞানগত উন্নয়নে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, গর্ভাবস্থায় মায়েদের শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় থাকার সঙ্গে তাদের সন্তানের মাত্র ১৫ মাস বয়সে শব্দভাণ্ডার স্কোর বৃদ্ধি এবং ২ বছর বয়সের মধ্যেই সামগ্রিক ভাষা বিকাশের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা গেছে! তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় বেশি শারীরিক কার্যকলাপ থাকা সন্তানদের Battelle Development Inventory এর স্কোর বৃদ্ধি, ১ বছর বয়সে Ages and Stages Questionnaire এ অস্বাভাবিক ও নেতিবাচক ফলাফলের ঝুঁকি হ্রাস, এবং ৫ বছর বয়সে Wechsler Preschool and Primary Scale of Intelligence ও পুরোপুরিভাবে সামগ্রিক ভাষা দক্ষতা উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশুরা জন্মের পর থেকেই পরিমাণ, প্যাটার্ন, সিকোয়েন্সিং ইত্যাদি গাণিতিক ধারণা বুঝতে শেখে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের সক্রিয়তা ও সৃজনশীলতা এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

ইউনিভার্সিটি অব আর্কানসাস ফর মেডিক্যাল সায়েন্সেস এর অধিনস্থ ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড সম্পূর্ণ গবেষণা পদ্ধতিটির অনুমোদন দেয়। পূর্বে সংঘটিত গর্ভবতী নারীদের বিএমআই এর সাথে নবজাতক মস্তিষ্কের কর্টিকাল বিকাশের সম্পর্ক নির্ণয়ক একটি গবেষণার কোহর্টের সাথে উক্ত গবেষণার কোহর্ট সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। এখানে টেস্ট সাবজেক্ট হিসেবে একটি বৃহত্তর গবেষণা কোহর্ট হতে কিছু ২১ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী কোনো ধরনের কৃত্রিম পদ্ধতির প্রয়োগ ছাড়াই দ্বিতীয়বার গর্ভধারণকারী নারী এবং এককভ্রূণ গর্ভধারণকারী নারীদের নির্বাচন করা হয়। অতঃপর মোট ৪৪ জন গর্ভবতী মা এবং শিশু যুগলকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গর্ভাবস্থার ৪র্থ–১০ম, ১২তম, ১৮তম, ২৪তম, ৩০তম এবং ৩৬ তম সপ্তাহে সকল গর্ভবতী নারীরা ছয়টি গবেষণা পরিদর্শনে অংশ নিয়েছিলেন এবং প্রত্যেক সময়ে ৩-৭ দিনের জন্য একটি অ্যাক্সিলেরোমিটার ব্যবহার করে তাদের শারীরিক কার্যকলাপ পরিমাপ করা হয়। প্রতিটি গবেষণা পরিদর্শন বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত হতে অংশগ্রহণকারীকে কমপক্ষে তিনটি বৈধ দিন রেকর্ড করতে হতো যার মধ্যে কমপক্ষে দুটি কর্মদিবস এবং একটি সপ্তাহান্তের দিনের অ্যাক্সিলেরোমিটার ডেটা অন্তর্ভুক্ত থাকতো। পরীক্ষাকালীন গর্ভধারণের সম্পূর্ণ সময় জুড়ে বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপের ডেটা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়। সমস্তদিনের মোট পদক্ষেপ সংখ্যা, সকল কার্যকলাপ এবং প্রতিটি কাজের তীব্রতার (নিষ্ক্রিয়, হালকা, মাঝারি, প্রবল, নির্মাতার সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারিত) ভিত্তিতে ব্যয়িত মিনিটের সমষ্টিকে মোট বৈধ দিনের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে পরিমাপগুলোর গড় দৈনিক মান নির্ণয় করা হয়।

এছাড়াও, টেস্ট সাবজেক্ট এবং তাদের জীবনসঙ্গীর শিক্ষাজীবনের ইতিহাস এবং রোজগারসহ স্বপ্রতিবেদিত আর্থ-সামাজিক অবস্থার ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১২তম সপ্তাহের উচ্চতা এবং ওজন দ্বারা বিএমএই গর্ভাবস্থার প্রারম্ভে মায়েদের বিএমএই নির্ণয় করা হয়। নবজাতকদের জন্মকালীন ওজন এবং শারিরীক দৈর্ঘ্য মেডিকেল রেকর্ড হতে সংগ্রহ করা হয়। জন্মের ২ সপ্তাহের সময় নবজাতকদের কোনো ধরনের ঘুমের ঔষধ দেওয়া ছাড়া স্বাভাবিক ঘুমন্ত অবস্থায় ব্রেইনের MRI পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। স্ক্যানের ১৫-৩০ মিনিট পূর্বে তাদের খাইয়ে, উষ্ণ কাঁথায় জড়িয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। স্ক্যানের সময় তাদের অক্সিজেন সম্পৃক্তি ও হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি পালস অক্সিমিটার প্রোব তাদের পায়ের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল। এসময় MRI মেশিন থেকে উদ্ভূত উচ্চস্বরের শব্দ থেকে রক্ষা করতে তাদের কানে হেডসেট পড়ানো হয়েছিল। স্ক্যানের পর প্রাপ্ত ছবিগুলো একজন নিউরোরেডিওলজিস্ট দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

প্রাপ্ত ফলাফলগুলোতে দেখা গেছে, মায়ের শারীরিক কার্যকলাপ যত বেশি, শিশুর কর্টিকাল পুরুত্ব তত বেশি! বিশেষ করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে মায়ের বেশি হাঁটা বা মাঝারি মাত্রার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেওয়া শিশুর মস্তিষ্কের কর্টেক্সকে করে তোলে পুরু ও বিকশিত। কর্টিকাল থিকনেস যেহেতু ভবিষ্যতের বুদ্ধিবৃত্তিক ও আচরণগত দক্ষতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। তাই গর্ভাবস্থার নিয়মিত হাঁটা-চলা শুধু মায়ের সুস্থতার জন্যই নয়, সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনের জন্যও এক ধরনের ‘Brain Booster’ হিসেবে কাজ করে।

তাই গবেষণার আলোকে স্পষ্টভাবে বলাই যায়, মাতৃত্বের যাত্রা শুধুই শারীরিক পরিবর্তনের নয় বরং এটি ভবিষ্যৎ এক সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল মস্তিষ্কের বীজ রোপণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। নিয়মিত শারীরিক কসরত যেমন মা'কে সুস্থ রাখে, তেমনি গর্ভস্থ শিশুর কর্টিকাল পুরুত্ব বিকাশে রাখে গভীর ইতিবাচক ছাপ। গর্ভাবস্থায় সক্রিয় ও সচল থাকা কেবল একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণই নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতের এক দক্ষ, মেধাবী ও চিন্তাশীল মানুষ গঠনের ভিত্তিপ্রস্তরও রচনা করে দেয়। তাই প্রতিটি সচেতন মায়ের প্রতিটি হাঁটা, প্রতিটি নড়াচড়াই হতে পারে তার শিশুর মস্তিস্কের উন্নতির নিঃশব্দ কারিগর; হোক তা মৃদু কিংবা মাঝারি মাত্রার কার্যকলাপ। এই গবেষণা এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়; একজন সচল ও সক্রিয় মা মানেই হতে পারে একটি বিকশিত, সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল শিশুমস্তিষ্কের সম্ভাবনা।

Team Cognitores
Md Mahdin Al Abrar, Zakiya Afroj Tamnna, Fariba Nehreen Binti, Joya Dutta, Tasnimul Islam,Mohammad Nazir Tiham, Farhan Mashuk, Taznin Mehjabin, Sumita Bosu

হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা ও বরফে আবৃত থাকার কারণে আর্কটিক ও এন্টার্কটিক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভঙ্গুর। পর্যাপ্ত পর...
06/07/2025

হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা ও বরফে আবৃত থাকার কারণে আর্কটিক ও এন্টার্কটিক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভঙ্গুর। পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি না পাওয়ায় উন্নত যন্ত্রের ব্যবহার‌ও বাধাগ্রস্ত হয়। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা এবার বরফের মধ্যে আটকে থাকা পানির বুদবুদকে যোগাযোগের নতুন মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন।

বরফে পরিণত হ‌ওয়ার সময় পানির মধ্যের বাতাস আটকে গিয়ে ডিম্বাকৃতির অথবা লম্বা সুচাকৃতির বুদবুদ তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেন কোন তাপমাত্রায় কোন আকৃতির বুদবুদ তৈরি হয়। তারা বিভিন্ন স্তরে স্তরে বরফ হ‌ওয়ার হার বৃদ্ধি করে তিনটি স্তর পান। প্রথম স্তরে শুধু ডিম্বাকৃতির বুদবুদ, দ্বিতীয় স্তরে ডিম্বাকৃতি এবং সুচ আকৃতির উভয় ধরনের এবং তৃতীয় স্তরে শুধু সুচ আকৃতির বুদবুদ দেখতে পান।

এরপর বিজ্ঞানীরা এই বুদবুদ গুলোকে আকার আকৃতি অনুযায়ী বাইনারি ও মোর্স কোডের বিভিন্ন সংকেত দিয়ে আলাদা করেন। বুদবুদ তৈরির প্লেটে প্রোগ্ৰামিং করা হয় যেন এটি নির্দিষ্ট ডিজাইনে বুদবুদ তৈরি করে। পরবর্তীতে বরফটির ছবি নিয়ে গ্ৰেস্কেলে রূপান্তর করা হয়। বিজ্ঞানীরা একটি কম্পিউটারকে এই বুদবুদ গুলোর অবস্থান ও আকার বুঝে মেসেজ বের করার জন্য প্রস্তুত করেন। এই মেসেজ পরবর্তীতে বাইনারি ও মোর্স কোডে রূপান্তর করে ইংরেজি ও আরবি বর্ণে অনুবাদ করা হয়েছিল।

বরফে ঢাকা এলাকাগুলোতে এটি যোগাযোগের একটি সহজ মাধ্যম হবে। কম শক্তি ব্যবহার করে এবং কাগজ ব্যবহার ব্যতীত দীর্ঘ সময় ধরে তথ্য জমা করে রাখার জন্য এটি একটি কার্যকরী মাধ্যম হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি এই উদ্ভাবন আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন খাদ্য সংরক্ষন, বায়ো ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Md Saroare Jahan Mostakim
Team Science Bee

মিষ্টি জাতীয় খাবারে পরিমাণে অনেক ক্যালরি থাকায় ডায়েট কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেকেই এড়িয়ে চলেন মিষ্টি জাতীয় খাবার। সেক্...
06/07/2025

মিষ্টি জাতীয় খাবারে পরিমাণে অনেক ক্যালরি থাকায় ডায়েট কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেকেই এড়িয়ে চলেন মিষ্টি জাতীয় খাবার। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে তারা অনেক সময় গ্রহণ করে থাকেন সুক্রালোজের মতো ক্যালরিমুক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার। খালি চোখে যদিও মনে হয় সুক্রালোজের মতো মিষ্টি ওজন কমাতে সাহায্য করে কিন্তু সত্যিই কি তাই ঘটে? নাকি আসলে ছদ্মবেশে সুক্রালোজ আরো ক্ষুধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়েট কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটায়?

গবেষকদের মতে সুক্রালোজ মস্তিষ্কের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী অঞ্চলে পরিবর্তন ঘটায় এবং ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এ বিষয়ে ৭৫ জন তরুণকে নিয়ে একটি ক্রসওভার ট্রায়াল করেন। সেখানে প্রত্যেককে সুক্রোজযুক্ত, সুক্রালোজ যুক্ত ও পানি এই তিন ধরণের পানীয় পান করতে দেয়া হয়। পান করার পরে এফএমআরআই পরীক্ষার মাধ্যমে হাইপোথ্যালামাসে রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। হাইপোথ্যালামাসে রক্তপ্রবাহের বৃদ্ধির ক্ষুধাকে নির্দেশ করে। অন্যদিকে, রক্তপ্রবাহের কমে যাওয়া খাদ্য পরিতৃপ্তি নির্দেশ করে। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় সুক্রালোজ গ্রহণের ফলে হাইপোথ্যালামাসে রক্তপ্রবাহ বেড়েছে। এতে বোঝা যায় সুক্রালোজ ক্ষুধা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এছাড়াও পরীক্ষায় দেখা যায় সুক্রালোজ হাইপোথ্যালামাস ও মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগে পরিবর্তন ঘটায়। পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে সুক্রালোজের প্রভাব বেশি কার্যকর দেখা গিয়েছে।

এই গবেষণা ক্যালরিমুক্ত মিষ্টি সম্পর্কে প্রচলিত ভাবনার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। যদিও এটি চূড়ান্ত ফলাফল নয় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন এবং রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতাও। সুক্রালোজ বাদেও অন্যান্য ক্যালরি মুক্ত মিষ্টি যেমন স্যাকারিন ক্ষুধায় কী প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে কোনো গবেষণা করা হয়নি। এছাড়াও বয়স্কদের উপর সুক্রালোজ কী প্রভাব সৃষ্টি করে তাও অজানা। সেক্ষেত্রে ফলাফল হয়তো ভিন্নও হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকরা এবং তার উদ্যোগও নিচ্ছেন।

Pritilata Pratissik
Team Science Bee

আমরা প্রায়ই এমন কিছু মানুষ দেখি, যারা কোনো বিষয়ে অল্প জানলেও খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলেন—যেন তারাই ওই বিষয়ের একমাত্র...
05/07/2025

আমরা প্রায়ই এমন কিছু মানুষ দেখি, যারা কোনো বিষয়ে অল্প জানলেও খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলেন—যেন তারাই ওই বিষয়ের একমাত্র বিশেষজ্ঞ! আবার এমন অনেক জ্ঞানী মানুষও আছেন, যারা নিজের জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান থাকেন, নীরব থাকেন। এই দ্বন্দ্বটা প্রায় সব জায়গায় দেখা যায়—বন্ধুর আড্ডায়, ক্লাসে, অফিসে বা অনলাইনে। এই অদ্ভুত আচরণের পেছনে আছে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা—Dunning-Kruger Effect।

এটি একধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতা, যেখানে যারা কম জানে, তারা নিজের যোগ্যতাকে বেশি মনে করে। আর যারা বেশি জানে, তারা নিজের জ্ঞান নিয়েই দ্বিধায় ভোগে। কারণ, যে কম জানে, সে জানেই না সে কী জানে না। আর যে জানে, সে বুঝে—জানার কোনো শেষ নেই।

এই ধারণাটি প্রথম উঠে আসে ১৯৯৯ সালে, কর্নেল ইউনিভার্সিটির দুই মনোবিজ্ঞানী, ডেভিড ডানিং ও জাস্টিন ক্রুগারের গবেষণায়। তারা ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে ২০টি প্রশ্ন দিয়ে নিজেদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে আত্ম-মূল্যায়ন করতে বলেন। ফলাফল ছিল চমকপ্রদ: যারা সবচেয়ে কম স্কোর করেছিল, তারাই ভাবছিল তারা বেশ ভালো করেছে। আর যারা সবচেয়ে ভালো করেছিল, তারা ছিল সবচেয়ে বিনয়ী। এখানেই ধরা পড়ে, কম জানলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, আর বেশি জানলে আসে প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও বিনয়।

আপনার জীবনেও হয়তো এমন অভিজ্ঞতা আছে—কোনো নতুন কিছু শিখে হঠাৎ মনে হয়েছে, “আরে, ব্যাপারটা তো বুঝে ফেলেছি!” তখন আত্মবিশ্বাস একেবারে উঁচুতে। কিন্তু একটু সময় যেতেই যখন আরো গভীরে ঢুকলেন, মনে হলো, “না... এতটাও সহজ না, অনেক কিছুই তো বুঝি না।” এটাই Dunning-Kruger Effect-এর বাস্তব অনুভব।
এটি আমাদের বোঝায়—শুধু জ্ঞান নয়, নিজের অজ্ঞতাও চেনা একটা জ্ঞানের অংশ।

বাস্তব উদাহরণ অনেক। একজন মেডিকেল ছাত্র প্রথম সেমিস্টারে কিছু অ্যানাটমি পড়ে ভাবল, “আমি তো প্রায় ডাক্তার!” কিন্তু যখন ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসে নামল, বুঝতে পারল, এখনো কত কিছু শেখা বাকি। আবার কেউ ইউটিউবে কয়েকটা হেলথ ভিডিও বানিয়ে নিজেকে “বিশেষজ্ঞ” ভাবতে শুরু করে, অথচ গভীর জ্ঞানের অভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে ফেলে, যা সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে। এই ধরনের আত্মবিশ্বাস আসলে জ্ঞানের অভাব থেকে জন্ম নেয়।

এর কারণও মনস্তাত্ত্বিক—আমরা অনেক সময় নিজেদের গড়ের চেয়ে ভালো মনে করি, এমনকি কোনো প্রমাণ ছাড়াই। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস থেকে মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, যেমন কেউ নিজেকে যোগ্য পাইলট বা চিকিৎসক ভাবতে পারে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই। কিন্তু এ থেকে বের হওয়ার পথও আছে—নিজেকে নিয়মিত প্রশ্ন করা, ভুল স্বীকারে প্রস্তুত থাকা, অভিজ্ঞদের থেকে শেখা, এবং নম্র থাকার মানসিকতা ধরে রাখা।
শেখার পরিবেশ হওয়া উচিত এমন—যেখানে প্রশ্ন করা, ভুল বলা, বা সাহায্য চাওয়া লজ্জার নয় বরং স্বাভাবিক।

Dunning-Kruger Effect আমাদের শেখায়—নিজেকে না চেনা মানেই দুর্বলতা নয়, এটা একদম স্বাভাবিক একটা মানবিক ব্যাপার। আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় এই ফাঁদে পড়ি—কখনো অল্প জেনে মনে হয় অনেক জানি, কখনো আবার অনেক জানার পরেও নিজের ওপর ভরসা হারিয়ে ফেলি। তাই এই Effect নিয়ে জানাটা জরুরি—নিজের ভুলটা ধরতে শিখি, অন্যের ভুলকেও বুঝে নিই। তবে একটা জিনিস মনে রাখা খুব দরকার—এই ধারণাটা যেন কাউকে নিচু দেখানোর জন্য ব্যবহার না হয়। কারণ, শেখা মানে ভুল করা, আর ভুল মানে শিখে যাওয়ার সুযোগ।
শেষ কথা?
"সত্যিকারের জ্ঞানী সে–ই, যে বুঝতে পারে - তার জানার অনেক কিছুই এখনো বাকি।"

Team Nova Spark

Nikhar Sultana Nijhum, Misbahul Islam Sayad, Md Johirul Islam Ziad, Abdullah Md Galib, Jannatul firdaous Soad, Onima Mahmud Lima, Anika Rahman Mou, Mostakim, Pritilata Pratissik

সাভার ট্যানারি শিল্প এলাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে বর্জ্য তৈরি হয়। আগে এই বর্জ্যগুলো মাটিতে ফেলে দেওয়া বা পুড়িয়ে ফেলা হত...
05/07/2025

সাভার ট্যানারি শিল্প এলাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে বর্জ্য তৈরি হয়। আগে এই বর্জ্যগুলো মাটিতে ফেলে দেওয়া বা পুড়িয়ে ফেলা হতো, যা পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ ছিল। এবার সেই বর্জ্য থেকেই তৈরি হচ্ছে শিল্পে ব্যবহৃত জেলাটিন ও প্রোটিন পাউডার।

চীনা প্রতিষ্ঠান, Bangladesh JW Animal Protein Co Ltd সাভারে একটি আধুনিক ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এখানে ট্যানারির কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে উন্নতমানের জেলাটিন ও প্রোটিন পাউডার তৈরি করা হচ্ছে। কোম্পানিটির লক্ষ্য চীন ও রাশিয়ায় বার্ষিক প্রায় ৫,০০০ টন জেলটিন এবং প্রোটিন পাউডার রপ্তানি করা। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চীনা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রথম যারা চামড়ার বর্জ্য থেকে দুইটি উচ্চ-মূল্যের পণ্য তৈরি করছে।

এই ধরনের জেলাটিন শুধু খাবার তৈরিতে নয়, বরং ঔষধ, কসমেটিকস ও শিল্পে ব্যবহৃত হয়। প্রোটিন পাউডারটি প্রাথমিকভাবে তৈরি চামড়া নরম করার জন্য ব্যবহার করা হবে। এই উদ্যোগের ফলে একদিকে পরিবেশ দূষণ কমছে, অন্যদিকে ট্যানারি বর্জ্য থেকে মূল্যবান পণ্য তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের রপ্তানি আয়ের একটি নতুন উৎস তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে বর্জ্যকে নিরাপদ ও বিশুদ্ধভাবে প্রোটিন ও জেলাটিনে রূপান্তর করা যায়। ফলে ট্যানারি বর্জ্য এখন আর ফেলনা নয়, বরং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

Jannatul Soad
Team Science Bee

৩৬০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে, প্লেটো কসমসকে পাঁচটি জ্যামিতিক আকারের সমাবেশ হিসেবে কল্পনা করেছিলেন। এগুলো সমতল বাহু বিশিষ্ট থ্রি...
05/07/2025

৩৬০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে, প্লেটো কসমসকে পাঁচটি জ্যামিতিক আকারের সমাবেশ হিসেবে কল্পনা করেছিলেন। এগুলো সমতল বাহু বিশিষ্ট থ্রি-ডাইমেনশনাল আকার, যাদের পলিহেড্রন বলা হয়। তখন থেকেই এগুলো গণিতবিদদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার বিষয় হয়ে ওঠে। প্লেটোর পলিহেড্রনের মধ্যে সবচেয়ে সহজ আকৃতি,টেট্রাহেড্রন (চারটি ত্রিভুজাকৃতি মুখবিশিষ্ট) যা, আজও গবেষকদের কাছে এক রহস্য।

১৯৬৬ সালে, জন কনওয়ে ও রিচার্ড গাই প্রশ্ন তোলেন,এমন কোনো টেট্রাহেড্রন কি সম্ভব, যা সমঘন পদার্থ দিয়ে তৈরি এবং কেবল একটি নির্দিষ্ট মুখের ওপরই স্থির থাকতে পারে? তারা প্রমাণ করেন, এমন মনোস্টেবল টেট্রাহেড্রন সম্ভব নয়, এমনকি অসম ভরবন্টন দিয়েও নয়।

তবে পরবর্তী সময়ে গ্যাবর ডোমোকোস ও তাঁর সহকর্মী 'গোমবক' নামের একটি আকৃতি তৈরি করেন, যা মাত্র দুটি স্থানে (একটি স্থিতিশীল, একটি অস্থিতিশীল) ভারসাম্য রাখতে পারে। ২০২৩ সালে ডোমোকোস ও তাঁর ছাত্ররা তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন, টেট্রাহেড্রনের ভর এমনভাবে বিতরণ করা সম্ভব যাতে সেটি কেবল একটি মুখের ওপর স্থিত থাকতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রিপ্রিন্টে তারা এমন একটি টেট্রাহেড্রনের কার্যকরী মডেল দেখিয়েছেন, যার ওজন ১২০ গ্রাম, এবং এটি কার্বন ফাইবার ও টাংস্টেন কার্বাইড দিয়ে তৈরি— বাস্তব 'মনোস্টেবল' টেট্রাহেড্রন।

Fariba Nehreen Binti
Team Science Bee

Address

Science Bee, Dhaka
Savar
1342

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Science Bee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Science Bee:

Share

SCIENCE+TECH+SYLLABUS+SKILL=BEST OF YOURSELF

CONNECT these magical keywords. IF you able to do that, you will found the best and successful way of your life.Mere bookish knowledge without acquiring soft skills,thinking out of box,thrust for outer universe may lead you to suffer in the long run.LEARN BY HEART. Stay with Science Bee. Explore more www.sciencebee.com.bd