Thappor Dibo?

Thappor Dibo? Only fan

অ্যামেরিকায় অনেক কিছুই আমার মাথায় ঢুকেনা।যেমন এই দেশে পতিতাবৃত্তি ইল্যিগাল। আপনি পয়সার বিনিময়ে কোন নারীসঙ্গ ভোগ করছেন, এ...
19/09/2025

অ্যামেরিকায় অনেক কিছুই আমার মাথায় ঢুকেনা।
যেমন এই দেশে পতিতাবৃত্তি ইল্যিগাল। আপনি পয়সার বিনিময়ে কোন নারীসঙ্গ ভোগ করছেন, এই সময়ে পুলিশ চলে এলো, আপনি এবং নারী সরাসরি জেলে। আপনার ব্যাপারে নিশ্চিত নই, তবে পতিতা যদি সিটিজেন না হয়ে থাকে, তাইলে হয়তো তাকে ডিপোর্টও করে দিবে। মাঝেমাঝে আন্ডারকভার পুলিশরাই খদ্দের সেজে পতিতা ধরে থাকে।
আবার অনেক সময়ে পতিতা সেজে খদ্দেরও ধরে।
কিন্তু আপনি যদি সামনে ক্যামেরা চালু করে বলেন আসলে আপনি সিনেমার শুটিং করছেন, তখন সব হালাল হয়ে যাবে। পুলিশ উল্টো আপনাকে প্রোটেকশন দিবে। হয়তো বাড়িতে ফিরে নেটে আপনার পারফরম্যান্স সার্চও করবে। এইদেশে পর্ন তাই বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি। অস্কারের মতন এদেরও বার্ষিক এওয়ার্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ওদেরও হল অফ ফেম আছে। সুপারস্টার, লেজেন্ড ইত্যাদি ওদেরও আছে।
জ্বি, আজকে লিখতে বসেছি পর্নোগ্রাফি নিয়ে। এবং আমার বিশ্বাস, লেখাটি সবারই পড়া উচিৎ। একদম দশ বারো বছরের সদ্যকৈশোর থেকে সত্তর বছরের বুড়ো দাদু পর্যন্ত, সবারই প্রতিটা শব্দ এক্সট্রা মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিৎ।

এক পর্নো সিনেমার মহিলা ডিরেক্টর একবার বলেছিলেন, "বর্তমান জেনারেশন পর্নোগ্রাফি থেকেই সেক্স এডুকেশন নিয়ে থাকে। এখন ধারণা করে নিন, আপনি ড্রাগ ডিলারদের কাছ থেকেই ড্রাগের জ্ঞান নিচ্ছেন। তাহলে কেননা আমরা সুন্দর আর্টিস্টিক পর্ন মুভি বানাই? যাতে লোকজন শিখলে সুন্দরটাই শিখে।"
মহিলার কথায় যুক্তি আছে। আমাদের দেশেতো সেক্স এডুকেশন বলতে কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই, খোদ অ্যামেরিকাতেও অনেক ছোটছোট শহরে অভিভাবকগণ পছন্দ করেননা স্কুল একটা লেভেলের বেশি তাঁদের সেক্স এডুকেশন দিক। তাঁদের বিশ্বাস যে এতে বাচ্চারা আসলে আরও বেশি উৎসাহিত হবে। ফল কিন্তু হয় উল্টো। দেখা যায় সেসব অঞ্চলে টিনেজ প্রেগন্যান্সি একটি যন্ত্রণার নাম। আমার সাথে একদা ষোল বছর বয়সী মেয়ে কাজ করতো, পুতুলের মতন ফুটফুটে মেয়ে, পনেরো বছর বয়সেই মা হয়ে বসে আছে। মানে চৌদ্দতে হয়েছে প্রেগন্যান্ট। এবং এইটা ওদের কমিউনিটিতে অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। পঁয়তাল্লিশ-পঞ্চাশ হতে না হতেই কেউ কেউ "গ্রেট গ্র্যান্ডমাদার" হয়ে যায়। বুঝেন অবস্থা।

যাই হোক, পর্নে সবচেয়ে বেশি চলে কী জানেন? কোন নারীকে ডমিনেট করা হচ্ছে। আমি বিস্তারিততে গেলাম না, বুঝতেই পারছেন কী বুঝাচ্ছি। সেখানে প্রেমের কোনই অস্তিত্ব দেখানো হয়না। মেয়ে যত কষ্ট পাচ্ছে, পুরুষ চরিত্র ততই আরাম পাচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে পর্নাসক্ত পুরুষ স্ত্রীর থেকেও সেই একই পারফরম্যান্স আশা করছে। সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ককে সিনেমার মতন করতে গিয়ে না নিজে সুখ পাচ্ছে, না বৌকে পেতে দিচ্ছে। মাঝে দিয়ে সম্পর্ক নষ্ট। পর্নাসক্ত পুরুষের ডিভর্স পর্যন্ত ঘটতে দেখেছি এই দেশে। স্ত্রীকে কতটা যন্ত্রনা দিলে সেই ব্যাটাকে বাঙালি মহিলা তালাক দেন বুঝে নেন।

"ঘটনা" চলে আধা ঘন্টা, এক ঘন্টা পর্যন্ত। বাস্তবের সাথে যার কোনই মিল নেই। পর্নাসক্ত মহিলা মনে করে থাকেন সব পুরুষই আসলে তেমন পারফর্মার, কেবল তাঁর নিজের জনই মিনিট ম্যান।
এদিকে স্বামী বেচারাও হীনমন্যতায় ভোগেন। তিনিও আসল পুরুষ হবার লক্ষ্যে বিভিন্ন হারবাল কেমিক্যাল সেবন করেন কিংবা অঙ্গে মাখেন। ফল হয় আরও ভয়াবহ। অথচ সঠিক জ্ঞান থাকলে তাঁরা দুইজনই সুখী থাকতেন।
কমন সেন্সের ব্যাপার, সিনেমায় দেখলেন নায়ক আকাশে উড়ে উড়ে ভিলেনদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে ফেলছে। সিনেমায় দেখলেন, রজনীকান্ত ব্লেড দিয়ে বুলেট কেটে দুইভাগ করে দুই ভিলেন মেরে ফেলেছে। এখন আপনি কী বিশ্বাস করবেন এইটা বাস্তবে সম্ভব? যদি করে থাকেন তাইলে আপনার সাথে কোন কথা নাই। আর যদি না করে থাকেন, তাহলে কোন লজিকে বিশ্বাস করেন পর্নে যা দেখানো হচ্ছে সব সত্যি?

এক পর্নকর্মী পুরুষ (আমার নাম মনে থাকেনা, তাঁর নাম মনে রাখার প্রয়োজনও নেই এবং এখানে ম্যাটারও করেনা, সব মোটামুটি একই কথাই বলবে) বলছিল যে একটি দৃশ্যের শুটিং করা কতটা কঠিন। ডিরেক্টরের ভাষায়, যেই পজিশনে করতে খারাপ লাগে, সেটাই ক্যামেরায় দেখতে ভাল লাগে। কাজেই এইভাবে, ঐভাবে নানাভাবে করতে বলা হয়। কিছুক্ষন পরপর কাট করতে হয়। শিল্পী নিতে পারছে না। পানি খাওয়ানো হয়, এটা ওটা ওষুধ দেয়া হয়। তারপরে আবার কাজ শুরু। সেভাবেই করো যেভাবে ডিরেক্টর বলবেন।
এখন একজন স্বাভাবিক মানুষের শুক্রানু প্রোডিউস হতেওতো সময় দিতে হয় ভাই। কিন্তু যত সময় যায়, প্রোডিউসারের ততই টাকা খরচ হয়। কাজেই ভায়াগ্রা খাও, একটায় কাজ না হয় দুইটা খাও। আমার এইরকমই শট লাগবে।
ফল, একদিন এক পর্নতারকা সকালবেলা অনুভব করেন কেউ একজন বরফের হাত দিয়ে তার হৃদপিন্ড খামচে ধরেছে, এবং তার মৃত্যু ঘটতে চলেছে। তখন সেই বেচারা বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। ইট্স নট ওর্থ ইট।
মোটামুটি সব পুরুষের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটে।

এরপর আসা যাক পর্নের স্ক্রিপ্ট বা কাহিনীতে। বেশিরভাগই মোটামুটি একরকম। অমুক তমুকের সাথে দেখা হলো, কিছুক্ষন কথা হলো, এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল পারফরম্যান্স।
এই ব্যাপারটা অনেক ছাগলের মাথায় মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। এরা সত্যিসত্যিই মনে করে বাস্তবেও মেয়েরা এইরকম হর্নি হয়ে ঘুরে। এবং তারপর সেভাবেই এপ্রোচ করে যেভাবে তার প্রিয় পর্নকর্মী করেছে। এবং যখন দেখে মেয়েটা নিষেধ করছে, তখন শুরু করে ধর্ষণ।
এই কারণেই অনেকে মায়ের গালে ছেলের চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখে বা বড় মেয়ের বাবাকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য দেখে নোংরা কমেন্ট করে। ওদের কমেন্ট থেকেই বুঝা যায় ওদের ব্রেন কি কারনে নোংরা হয়েছে।
অনেক হারামিতো আবার কয়েক ডিগ্রি উপরে। লাইভ পারফরম্যান্স ক্যামেরাবন্দি করে। মেয়েরাও নিজেদের পামেলা এন্ডারসন ভেবে হাসতে হাসতে পোজ দেয়। তারপর হয় তারা নিজেরা দেখে, নাহয় ছেলেটা নিজের বন্ধুবান্ধবদের দেখায়। আর এসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়ার ঘটনাতো আমাদের দেশে রেগুলার ঘটে। জাস্টিস ফর উইম্যান নামের একটি গ্রূপ ছিল ফেসবুকে, সেখানেতো রেগুলার কেস আসতো যে প্রেম করা অবস্থায় মেয়েরা তাঁদের নগ্ন ছবি বয়ফ্রেন্ডদের দিয়েছে, এখন ছেলেটা মেয়েটাকে ব্ল্যাকমেল করছে।
কথা হচ্ছে, কেন হঠাৎ মেয়েরা উৎসাহী হয়ে নিজের নগ্ন ছবি তুলে ফেলল? কেন ছেলেরাই বা উতলা করে দিল নিজের গার্লফ্রেন্ডের নগ্ন ছবি দেখতে? অবশ্যই পর্নোগ্রাফি।
আমার সাথে আরেকটি মেয়ে কাজ করতো। শ্বেতাঙ্গিনী। আমি ছিলাম তাঁর ম্যানেজার। তা একদিন শুনছিলাম সে তাঁর কলিগ ছেলেটির সাথে আড্ডায় বলছে, "আমি অমুক সাইটে আমার ছবি দিয়েছি। প্লিজ রেটিং দিও।"
ছেলেটি জিজ্ঞেস করলো, "ঐ সাইটে কী হয়?"
মেয়েটি নির্বিকারভাবে বলল, "সেখানে মেয়েরা নিজেদের নগ্ন ছবি দেয়, এবং তারপর তাঁদের ছবিকে সবাই রেট করে। যে যত রেটিং পায়, সে তত হট।"
বিগ ডিল!
মেয়েটা তখনও হাইস্কুলে পড়ে। ওর বয়ফ্রেন্ড আছে আর্মিতে, শীঘ্রই বিয়ে হবে। ডেট ফাইনাল হয়নি। তাঁর কলিগও একই স্কুলের একই ক্লাসের ছাত্র। এবং ছেলেরও গার্লফ্রেন্ড আছে। ওরা জাস্ট ফ্রেন্ডস। এবং নগ্নতা এইদেশে এই বয়সে যেন কোন ব্যাপারই না।
আমি বিড়বিড় করে বলি, "খাইছে রে!"

পর্নোগ্রাফির আরেকটি সাইডএফেক্ট হচ্ছে, মানুষের শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়। এইদেশে অনেক অনেক সুন্দরী মেয়ে আছে যারা নিজেদের রূপ দিয়ে যেকোন পুরুষ ঘায়েল করে দিতে পারে। কিন্তু আমেরিকান পুরুষেরা আবার পাছাপ্রিয় জাতি। চেহারা যেমনই হোক না কেন, বুক এবং পাছা হতে হবে সুন্দর। কাজেই মেয়েরা নিজেদের ঠোঁট, বুক, পশ্চাৎদেশ ইত্যাদিতে সার্জারি করায় যাতে দেখতে আরও এট্রাকটিভ লাগে। তারপর দেখা যায় যন্ত্রনা। ঠোঁট ঝুলে গেছে, বুক পাছার একদিক ফোলা অন্যদিক মিইয়ে গেছে, ভয়াবহ দুর্যোগ! আবার ছোট শল্য চিকিৎসকের ছুরিকাঁচির নিচে।

ছেলেদেরটাতো আরও হাস্যকর। একবার এক ছেলের ফ্ল্যাশড্রাইভ (পেনড্রাইভ) নিয়েছিলাম এক জরুরি কাজে। খুলতেই দেখি একটি ফাইল সেভ করা যার টাইটেল বাংলা করলে "পুরুষাঙ্গ লম্বা করিবার ব্যায়াম।" হারামজাদার কিন্তু তখনও বিয়েও হয়নি, গার্লফ্রেন্ডের সাথে সদ্য ব্রেকাপ হয়েছিল। ও হ্যা, পোলা অবশ্যই বাঙাল।

অনেকেরই ধারণা পর্নোগ্রাফিতে প্রচুর পয়সা। এবং আপনি নিত্যনতুন সুন্দর-সুন্দরী ছেলে-মেয়েদের সাথে সংগমলিপ্ত হতে পারছেন, উল্টো সেজন্য আপনাকে টাকাও দেয়া হবে। দুনিয়ায় এরচেয়ে বেস্ট চাকরি আর কী হতে পারে?
বাস্তবে কিন্তু ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজকাল কেউই পয়সা খরচ করে পর্ন দেখে না। শতকরা হিসেবে ৩% ও পয়সা খরচ করতে চায় না। অ্যামেরিকায় যেমন একটা প্রবাদ মুখে মুখে চালু আছে, "এদেশে পানি এবং পর্ন কিনতে পয়সা লাগে না।" এমন অবস্থায় আপনাকে কেন প্রোডিউসার বেশি টাকা দিবে বলেন? দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ পোলাপানই নামমাত্র পারিশ্রমিকে এইকাজ করছে। তারপর যখন দেখছে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা, তখন এই জগৎ ত্যাগ করছে। কিন্তু ততদিনে অনেকের যা সর্বনাশ ঘটার ঘটে গেছে। তাঁদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সমাজ জেনে ফেলেছে তাঁরা কোন জগত ভ্রমণ করে এসেছে। এইদেশেও পর্নকর্মীদের সমাজ খুব সাদরে গ্রহণ করেনা। ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্ণ অভিনেত্ৰীর সাথে শুয়েছে - এনিয়ে তুলকালাম লেগে গেছে, বুঝতে পারছেন না কেন? ট্রাম্প কে মানুষ কোন লজিকে সুফী দরবেশ ভেবেছিল সেটা নিয়ে বরং আমি বেশ অবাক হয়েছি। ও যদি না শুতো, তাহলেইতো বিস্মিত হবার কথা।
কথা প্রসঙ্গে এক সাবেক পর্নঅভিনেত্রীর উক্তি বলে ফেলা যাক, যিনি লেজেন্ড পর্যায়ের, এবং মেটালিকা ব্যান্ডের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন, তিনি বলেন, "লোকে আমাদের বেশ্যা বলে। আমি বলবো কেন আমরা বেশ্যা হবো? আমরা সেক্স এঞ্জয় করি, এবং সেই কাজের বিনিময়ে টাকা পাই। বরং আমি সেই মহিলাকে বেশ্যা বলবো যে ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করে, কিন্তু সেই কাজটা সে এঞ্জয় করেনা। সে বরং পয়সার বিনিময়ে এমন একটা কাজ জোর করে করছে। ও বেশ্যা!"
যার যার পয়েন্ট অফ ভিউ ভাই। কোন মন্তব্য নাই।

ইদানিং শোনা যাচ্ছে ওয়েবক্যামে প্রচুর মেয়ে নগ্ন লাইভ শো করতে শুরু করেছে। পুরুষেরা (অনেক ক্ষেত্রে নারীরাও) মিনিটের হিসেবে পয়সা দিয়ে নিজের নিজের বাড়িতে বসে লাইভ ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে এইসব মেয়েদের শো দেখে, তার ওপর খুশি হয়ে বকশিশ হিসেবে বাড়তি পয়সা দিলে দেয়। দেখা যায় অনেক মেয়েই একে ফুলটাইম পেশা হিসেবে নিয়ে নিচ্ছে। কাপড় খুলো, এবং পয়সা কামাও। মাঝেমাঝে আল্লাদিমার্কা কথাবার্তা বলো, লাখে লাখে পার্ভার্ট পুরুষ নিজের পকেটের টাকা উজাড় করে দিবে এই ভার্চুয়াল আনন্দের লোভে। মোরাল কোথায় গিয়ে ঠেকেছে বুঝতে পারছেন?
এক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে এক অস্ট্রেলিয়ান লুজার এক অ্যামেরিকান মেয়ের ফলোয়ার। চার বছর ধরে এই মেয়েটিকে ফলো করে আসছে। শো বাদেও মেয়েটির পেছনে হাজার হাজার ডলার উড়িয়ে দিয়েছে। দিওয়ানা হয়ে গেছে আর কি। মেয়েটিকে মেলবোর্নে উড়ে যাবার জন্য টিকিট এবং হোটেল খরচেরও টাকা দিয়ে দিয়েছে। মেয়েটিও খুশি, যাচ্ছে বিদেশে, তাও বিনা খরচে।
এদিকে মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড আছে, যে সব জানে, এবং তার কোনই আপত্তি নাই তার গার্লফ্রেন্ড একজন ক্যাম পারফর্মার।
যাই হোক, আল্লাহর অশেষ রহমতে মেয়েটির ঐ অস্ট্রেলিয়ান ছেলেটির উপর মায়া হয় এবং বোঝাতে সক্ষম হয় যে তার পেছনে এই প্রেম নষ্ট করা উচিৎ না। বরং তাঁর উচিৎ ভাল দেখে একটি মেয়ে খুঁজে তাঁর জীবন গুছিয়ে ফেলা।
এই ঘটনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আজকাল ছেলেপিলেরা বাস্তব জগতে সঙ্গিনী খোঁজার চেষ্টাও নিচ্ছেনা। এইসব পর্নোগ্রাফি বা ক্যামিং দেখে নিজের সুখ মিটিয়ে ফেলছে। আমাদের দেশেতো এখনও মা বাবা ভরসা আছে, স্কুল কলেজ জীবনে কোন মেয়ে পাত্তা না দিলেও তাঁরাই খুঁজে পেতে কোন না কোন মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন। বিদেশেতো সেই সুযোগ নেই। তোমারটা তোমাকেই খুঁজে বের করতে হবে ভাই। উপরে যেই ছেলেটার কথা বললাম, বেচারা মোটামুটি নিঃসঙ্গ এক লোক। লোকে খুব একটা তাঁর সাথে মিশেনা, সেও কারোর সাথে মিশেনা। কাজের সময় কাজে যায়, বাড়িতে ফিরে পর্ন দেখে। হোয়াট আ লাইফ!

উপরে যাদের কথা বললাম তারা সব স্বেচ্ছায় পর্ন জগতে নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু এমনও বহু উদাহরণ আছে, যেখানে মেয়েদের বাধ্য করা হচ্ছে এই জগতে আসতে। ইউরোপ, এশিয়ার কথাতো বাদই দিলাম, খোদ অ্যামেরিকাতেই হচ্ছে এসব। একটি মেয়ে সত্তুরের দশকে মাত্র একটি পর্নছবি দিয়ে পৃথিবী তোলপাড় করে দিয়েছিল। অ্যামেরিকান সমাজ তখন স্পষ্ট দুইভাগে বিভক্ত ছিল, হয় তুমি সিনেমাটা দেখেছো, নাহয় দেখোনি। পুরাই বাহুবলি/আয়নাবাজি অবস্থা। কিন্তু সেই মেয়েটিকে বাস্তবে তাঁর লম্পট স্বামী বাধ্য করেছিল এই জগতে আসতে। পরে বহুকষ্টে মেয়েটি এই জগৎ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, এবং বাকিটা জীবন সে এন্টি পর্ন কর্মী হিসেবে কাজ করে যায়। তাঁর জীবনীভিত্তিক একটি সিনেমাও আছে।

মোটকথা, অনেকেই তর্ক করতে পারেন আমিতো নিজের পয়সায় নিজের খরচে কারোর কোন ক্ষতি না করে পর্ন দেখছি, এতে দোষের কী আছে? ব্যাপারটা আসলে এমন, ক্রেতা আছে বলেই মার্কেটে মাল আসছে। এবং সেই মাল সাপ্লাই দিতে গিয়ে সমাজের যা ক্ষতি হচ্ছে, সেটার সম্পূর্ণ দায় এই আপনারই যারা পর্ন দেখছেন। কালকে আপনার উঠতি বয়সের ছেলে/মেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে নিষিদ্ধ বই /সিডি সহ, কিংবা ক্যামেরায় উল্টাপাল্টা কাজ করা অবস্থায় ধরা খেলে তাঁকে পেটাবার আগে নিজেকেও একটু পিটিয়ে নিবেন দয়া করে। আপনিও পরোক্ষভাবে দায়ী নন কী? আপনি ইচ্ছে করলেই বাড়ির রাউটার সেটিংসে গিয়ে এইধরণের এডাল্ট সাইটে যাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। তার আগে প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি নিজে যান না তো?
ফ্লোরিডার এক নব্য পর্ন অভিনেত্রী বলছিল সে তাঁর মাকে জানিয়ে এসেছে সে লসএঞ্জেলেসে কোন কাজে এসেছে। তাঁর সহঅভিনেত্রী বলে, "তুমি তোমার মা বাবাকে বলে এসেছো?"
"কেবল মাকে। বাবা জানেনা। তবে বাবা একদিন ঠিকই জেনে যাবে। সে নিজেও পর্ন দেখে। হিহিহি।"
স্ট্যাটিস্টিক্স বলে অ্যামেরিকার বিশাল অংশের কিশোরকিশোরী পর্ন ওয়েবসাইটের সাথে প্রথম পরিচিত হয় বাড়ির কম্পিউটারের সাজেস্টেড সাইটস থেকে। মানে বাবা মা নিয়মিত যাতায়াত করেন সেই জগতে।
আপনার ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটছে না তো?

*উপরের যাবতীয় সাক্ষাৎকার, কথোপকথন, স্ট্যাটিস্টিক্স বা তথ্য সবই বিভিন্ন এন্টিপর্ন আর্টিকেল, ডকুমেন্টারি ঘাটাঘাটি করে লেখা। কোনটাই নিজের গবেষণা বা উর্বর মস্তিষ্কের ফসল নয়। ১০০% সত্য।
(Collect)

সাঁতার না জানলে হাসনাতের উচিৎ হবে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করা!
26/08/2025

সাঁতার না জানলে হাসনাতের উচিৎ হবে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করা!

ডিভাইসটা দেখতে সুন্দর। দেখেই মনে হচ্ছে শিশুদের কোনো খেলনা মোবাইল অথবা রেডিওর মতো কিছু একটা?আদতে এটা এমন একটা ডিভাইস যেটা...
26/08/2025

ডিভাইসটা দেখতে সুন্দর। দেখেই মনে হচ্ছে শিশুদের কোনো খেলনা মোবাইল অথবা রেডিওর মতো কিছু একটা?

আদতে এটা এমন একটা ডিভাইস যেটাতে অডিও আকারে বাইবেল শোনা যায়৷ আর, মানুষের হাতে হাতে এটা বিলি করছে খ্রিস্টান মিশনারীর দল। তাদেরই একটা দল টিএসসির মতো জায়গায় এসে এটা বিলি করে গিয়েছে সেখানকার ছাত্র, কর্মজীবী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে। একেবারে বিনামূল্যে। ঘটনাটা আরও ৬-৮ মাস আগের।

ওয়েল। এটাকেই বলে ডেডিকেশান। পশ্চিমের আয়েশি জীবনযাপন ছেড়ে এইসকল মিশনারীরা বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকে বাংলাদেশে। তা-ও আবার গুলশান, বনানী, বারিধারায় থাকে না তারা৷ তাদের অধিকাংশ কাজ হলো পার্বত্য অঞ্চলে, উত্তরবঙ্গের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে যেখানে দারিদ্র‍্যের মাত্রা অত্যধিক।

যেসকল মানুষেরা দারিদ্র-পীড়িত, এইসব মিশনারীরা টার্গেট করে তাদেরকেই বেশি। তারা খাবার দেয়, অনেককে ভ্যান, রিকশা, অটো কিনে দেয়, কাউকে দোকান করে দেয়। তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সেখানে তারা আলাদা স্কুল খুলে। ওরাই চালায়—মিশনারী স্কুল।

এইসবকিছুর আল্টিমেট উদ্দেশ্য হলো—মানুষকে খ্রিস্টান বানানো।

আপনি ভাবতে পারেন, ‘আরেহ, এত সহজ নাকি? কাউকে বলল আর খ্রিস্টান হয়ে গেল? মানুষ এত বোকা?’

জি, মানুষ এত বোকা নয়, তবে তারা যেসব অঞ্চলে কাজ করে সেসব অঞ্চলের মানুষের যুক্তিবোধ, ঈমান-বোধ এত তীব্র আর প্রখরও নয়। তারা অতি অল্পতেই বিশ্বাস করে ফেলে সবকিছু। মিশনারীদের কৌশলও অভিনব। তারা খ্রিস্টান ধর্মকে এমনভাবে উপস্থাপন করে, যেন তা ইসলামের বিরোধি কিছু বলে মনে না হয়৷ যেন দুটো ধর্ম একেবারে কাছাকাছি। একই মায়ের পেটের দুই সহোদর ভাইয়ের মতো। ইসলাম ছেড়ে খ্রিস্টান হলে যেন খুব বেশি কিছু হেরফের হয় না।

গরিব মানুষগুলো যখন দেখে তারা খাবার পাচ্ছে, চিকিৎসা পাচ্ছে, বাঁচার অবলম্বন পাচ্ছে, সন্তানদের পড়াশোনা হচ্ছে, তখন তারা খুব সহজেই বিশ্বাস বদলে ফেলে।

আমরা রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে মেতে আছি৷ আমাদের আলোচনার টেবিলে, সোশ্যাল মিডিয়া ফিডে কতো বাহারি টপিকের আলোচনা, কিন্তু একই সময়ে ( ভুল বলেছি। তাদের এই তৎপরতা বহু বহু বছর ধরে বিদ্যমান) খ্রিস্টান মিশনারীরা সারাদেশজুড়ে তাদের মিশন চালিয়ে যাচ্ছে নীরবে, নিভৃতে। তারা এখন পৌঁছে যাচ্ছে টিএসসির মতো শিক্ষিত আর এলিটদের জায়গাতেও৷

আমাদের সুসংগঠিত কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই। সুসংগঠিত কোনো দল নেই, মিশন নেই, ভিশন নেই৷ নিজেদের দল, মত, পন্থাকে জয়ী করতেই আমাদের সমস্ত শ্রম বিনিয়োগ করছি।

অন্যদিকে, কওমের আস্ত একটা অংশকে ঈমান থেকে বের করে নিয়ে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেদিকে আমাদের কোনো পদক্ষেপ তো দূর, ভ্রুক্ষেপই নেই।
Collect

July 🥺🥺🥺
21/07/2025

July 🥺🥺🥺

এইডা কোন কথা 😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁
19/07/2025

এইডা কোন কথা 😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁

তোদের কতো টাকা চাঁদা লাগে বল?ভিক্ষা করে এনে দেব তাও!শুধু অনুরোধ—উলঙ্গ করে পাথর মে*রে মানুষ হ*ত্যা করিস না।বুকের উপর নাচি...
11/07/2025

তোদের কতো টাকা চাঁদা লাগে বল?
ভিক্ষা করে এনে দেব তাও!
শুধু অনুরোধ—
উলঙ্গ করে পাথর মে*রে মানুষ হ*ত্যা করিস না।
বুকের উপর নাচিয়ে বর্বরতার উৎসব করিস না।

এই বুনো নৃশংস শু*য়োরদের
প্রকাশ্যে ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত—
তোদের নেতা আর সরকারকে
ঘৃ*ণা গিলেই বাঁচতে হবে! ছিঃ..

#মানবতা #বিচারচাই #বর্বরতা_বন্ধ_হোক #নৃশংসতা

এক কেস পানির বোতল কিনলে কুতাবাসা ফ্রিঅফারটি খুব সীমিত সময়ের জন্য।
05/07/2025

এক কেস পানির বোতল কিনলে কুতাবাসা ফ্রি
অফারটি খুব সীমিত সময়ের জন্য।

😔
01/07/2025

😔

নিঃস্বার্থভাবে তিন হাজারের বেশি ক*বর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মা*রা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)..কিশোরগঞ্জে...
28/06/2025

নিঃস্বার্থভাবে তিন হাজারের বেশি ক*বর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মা*রা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)..

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার নিঃস্বার্থ গোরখোদক মনু মিয়া শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নিজ বাড়ি জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

৬৭ বছরের জীবনে তিনি প্রায় ৪৯ বছর কাটিয়েছেন ক*বর খুঁড়ে। কোনো পারিশ্রমিক বা বখশিশ ছাড়াই জীবনের শেষ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি ক*বর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কবর খোঁড়ার কাজে দ্রুত পৌঁছাতে মনু মিয়া ব্যবহার করতেন ঘোড়া। নিজের সম্পত্তি বিক্রি ও বন্ধক রেখে তিনি কিনেছেন মোট ১৪টি ঘোড়া। নিঃসন্তান এই মানুষটি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন একটি নিরব, আত্মত্যাগী সেবায়।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, “ঘোড়ার মৃত্যুর পর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। চিকিৎসা নিয়েও আর সুস্থ হতে পারেননি। আমরা একজন প্রকৃত আলোকিত মানুষকে হারালাম, এ শূন্যতা অপূরণীয়।”

মহান আল্লাহ তায়া’লা আলোকিত মানুষটিকে জান্নাত দান করুন, আমিন।
#এসএমআকবর

Reality...❤️‍🩹10 Unknown Facts About  1.The Sundarbans: A Natural Wonder: The Sundarbans, a UNESCO World Heritage Site, ...
23/06/2025

Reality...❤️‍🩹






10 Unknown Facts About
1.The Sundarbans: A Natural Wonder: The Sundarbans, a UNESCO World Heritage Site, is the world's largest mangrove forest. Home to the Royal Bengal Tiger and a diverse ecosystem, it's a breathtaking natural wonder.
2 's Bazar: The World's Longest Sea Beach: Cox's Bazar boasts the world's longest unbroken sea beach, stretching for over 120 kilometers. Its pristine sands, crystal-clear waters, and vibrant sunsets make it a paradise for beach lovers.
3. St. Martin's Island: A Coral Island Paradise: St. Martin's Island, a small coral island in the Bay of Bengal, is a mesmerizing destination with beautiful beaches, coral reefs, and a laid-back atmosphere.
4 : The Sunrise and Sunset Point: Kuakata is a unique coastal town where you can witness both sunrise and sunset over the sea. Its serene beaches and peaceful atmosphere make it an ideal getaway.
5 and Ramgarh Tea Gardens: A Scenic Tea Paradise: Fatikchhari and Ramgarh are renowned for their lush tea gardens, offering stunning views of rolling hills covered in green. It's a perfect destination for nature enthusiasts and tea lovers.
6.Sajek Valley: The Roof of Bangladesh: Nestled in the Chittagong Hill Tracts, Sajek Valley is a breathtaking highland region with misty mountains, cascading waterfalls, and diverse indigenous cultures.
7 : The Land of the River: Feni is a historic district with a rich cultural heritage. The Feni River, which flows through the district, adds to its scenic beauty.
8 : A Historic City with Modern Charm: Dhaka, the capital of Bangladesh, is a vibrant and bustling city with a rich history. It's home to numerous historical sites, including the Ahsan Manzil and the Lalbagh Fort.
9 : The City of Three Rivers: Sylhet is known for its beautiful landscapes, including the Surma River, the Kushiara River, and the Feni River. It's also famous for its delicious cuisine, particularly its biriyani.
10.The Friendly People: Bangladeshi people are known for their warm hospitality and friendly nature. They welcome visitors with open arms, making your travel experience even more memorable.

18/06/2025

Address

Savar
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Thappor Dibo? posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Thappor Dibo?:

Share