01/11/2025
#বেতন বৈষম্য কমাতে গ্রেড পুনর্বিন্যাস অপরিহার্য: পে কমিশন
সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে জাতীয় পে কমিশন বিদ্যমান বেতন বৈষম্য হ্রাসের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমানে চালু থাকা ২০টি গ্রেডের কাঠামো পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা নিশ্চিতভাবে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে আনবে বলে কমিশনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন।
🎯 মূল লক্ষ্য: বৈষম্য দূরীকরণ
পে কমিশনের একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন যে, এই কমিশনের মূল লক্ষ্যই হলো সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বিদ্যমান বেতন বৈষম্য হ্রাস করা। এই বৈষম্য দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বিদ্যমান গ্রেড কাঠামোকে ঢেলে সাজানো।
কমিশনের ভাষ্য, "গ্রেড কমিয়ে বৈষম্য কমানো হবে, এটি নিশ্চিত।"
📊 গ্রেড সংখ্যা ও অনুপাত নিয়ে অপেক্ষা
যদিও গ্রেড কমানোর বিষয়ে কমিশন একমত, তবে চূড়ান্ত কাঠামোটি কেমন হবে, সে বিষয়ে এখনো কাজ চলছে। কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন:
গ্রেড সংখ্যা: বর্তমানে ২০টি গ্রেড রয়েছে। বিভিন্ন প্রস্তাব ও মতামত বিশ্লেষণ করে গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে একটি যৌক্তিক কাঠামোতে আনা হবে। তবে কতটি গ্রেড থাকবে, তা চূড়ান্ত সুপারিশ প্রকাশের সময় জানা যাবে।
বেতন অনুপাত: সর্বোচ্চ (গ্রেড-১) এবং সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) বেতনের মধ্যে একটি যৌক্তিক অনুপাত স্থাপনের বিষয়েও কমিশন গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশনের ভাষায়, "সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কী হবে, তা চূড়ান্ত সুপারিশ প্রকাশের সময় জানা যাবে।"
⏳ দ্রুত সুপারিশের লক্ষ্যে কাজ
কমিশন গঠনের সময় সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে সুপারিশ পেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় পর্ব শেষ হয়েছে। এখন প্রাপ্ত মতামতগুলো বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ চলছে।
সরকারি চাকরিজীবীরা মনে করছেন, গ্রেড পুনর্বিন্যাস করে যদি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কমানো যায়, তবে নিচের দিকের গ্রেডগুলোতে কর্মরত কর্মচারীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন এবং দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য অনেকটা দূর হবে।