23/08/2025
মাউন্ট এভারেস্টের বরফে জমাট করুণ কাহিনি
মাউন্ট এভারেস্ট কেবল পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া নয়, এটি হয়ে উঠেছে হাজারো স্বপ্নের সমাধিক্ষেত্র। এখানে এমন কিছু দেহাবশেষ আছে, যেগুলো হয়ে উঠেছে একেকটা চিহ্ন—পাহাড়ের নির্মমতা আর মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তির সাক্ষী। আজ জানবো এরকম দুটি হৃদয়বিদারক কাহিনি—
১. গ্রিন বুটস (Green Boots)
১৯৯৬ সালের ভয়াবহ ঝড়।
ভারতীয় পর্বতারোহী ত্সেওয়াং পালজোর চূড়া ছুঁয়ে ফেরার পথে এক গুহায় আশ্রয় নেন। অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে আর ঠান্ডার কাছে হার মানেন তিনি।
তার উজ্জ্বল সবুজ জুতো পড়া দেহটি বহু বছর ধরে ঠিক সেখানেই রয়ে যায়। এতটাই চেনা হয়ে ওঠে যে পথচারীরা ওই গুহাকে নাম দেয় “Green Boots Cave”।
বরফে জমাট খোলা মুখ, পাহাড়ের প্রহরীর মতো চিরকালীন দৃষ্টি—তিনি হয়ে ওঠেন এভারেস্টের এক ভৌতিক মাইলফলক।
২. রব হল (Rob Hall)
১৯৯৬ সালের একই ঝড় কেড়ে নেয় আরেক কিংবদন্তিকে।
নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ গাইড রব হল তার এক অসুস্থ ক্লায়েন্টকে ফেলে যেতে চাননি। প্রচণ্ড ঝড় আর মৃত্যুর ছায়া ঘনিয়ে আসলেও তিনি সঙ্গীকে ছেড়ে না গিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দেন।
সবচেয়ে হৃদয়বিদারক মুহূর্ত—মৃত্যুর ঠিক আগে স্যাটেলাইট ফোনে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে বিদায় জানান।
তার সেই শেষ আলাপন আজও মানুষের চোখে জল এনে দেয়।
বিজ্ঞান কী বলে?
৮,০০০ মিটারের ওপরে “Death Zone”–এ বাতাসে অক্সিজেন প্রায় থাকে না, তাপমাত্রা নেমে যায় $-30°C$ থেকে $-60°C$ পর্যন্ত।
এখানে দেহ পচে না, বরং বরফে জমে “বরফের মমি” হয়ে থাকে। তাই গ্রিন বুটস কিংবা রব হল—তারা আজও জমাট দেহ নিয়ে এভারেস্টের চিরন্তন প্রহরী।