
15/08/2025
🌸🌸 শুভ জন্মাষ্টমী 🌸🌸
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষ অষ্টমী, রোহিণী নক্ষত্রে উদযাপিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব। এই দিনে ভক্তরা উপবাস, পূজা, কীর্তন ও ভক্তিগীতের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তাদের ভক্তি প্রকাশ করেন। মধ্যরাতে শিশুকৃষ্ণের রূপে মূর্তিকে স্নান করানো হয়, নতুন বস্ত্র ও অলঙ্কার পরানো হয় এবং দোলনায় শোভিত করে আরতি ও কীর্তন করা হয়।
বিভিন্ন স্থানে বিশেষ রীতিনীতি পালিত হয়। মথুরা ও বৃন্দাবনে রাসলীলা ও কংসবধ নাট্য পরিবেশিত হয়। নবদ্বীপে নন্দোৎসব উদযাপন করা হয় গান ও নাচের মাধ্যমে। তামিলনাড়ুতে উঁচুতে বাঁধা মাখনের হাঁড়ি ফাটানো হয়, আর শিশুরা গোপাল মূর্তিতে স্নান ও দোলনা সাজানোর আনন্দে অংশগ্রহণ করে।
গুরুত্ব ও কারণ:
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী শুধুমাত্র এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আধ্যাত্মিক শিক্ষার উৎস। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মাধ্যমে সংসারের অন্ধকারে আলোর আসার প্রতীক সৃষ্টি হয়। জন্মাষ্টমীর মাধ্যমে ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের দর্শন ও শিক্ষার সাথে সংযুক্ত হন, যেমন প্রেম, ধৈর্য, সততা এবং ধর্মের প্রতি অটল ভক্তি।
পদ্ম পুরাণ অনুযায়ী:
“যে ব্যক্তি জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করে, সে সকল পাপমুক্ত হয় এবং ঈশ্বরের অশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়।”
(পদ্ম পুরাণ, খণ্ড ৫, অধ্যায় ১৩)
শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক পাঠ:
শ্রীকৃষ্ণের জীবন আমাদের শেখায় ধৈর্য, সততা, প্রেম এবং সতীর্থতার গুরুত্ব। কঠিন সময়েও ভক্তি ও বিশ্বাস রাখলে সব বাধা অতিক্রম করা যায়।
এই জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণ আপনাদের জীবন আলোকিত করুন, সুখ ও শান্তিতে ভরে তুলুন এবং সকল অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করুন।