29/07/2025
যাঁরা কেমাল আতাতুর্ককে চিনেন না, তাঁদের জন্য…
১. তিনি ১৯২৪ সালে উসমানীয় খেলাফত ধ্বংস করেন।
২. ১৯২৬ সালে ইসলামী শরিয়ত পুরোপুরি বিলুপ্ত করেন।
৩. নারীদের ও পুরুষদের জন্য উত্তরাধিকার সমান করে দেন।
৪. তুর্কিদের হজ্ব ও উমরার আচার পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
৫. স্কুলে আরবি ভাষা শেখানো নিষিদ্ধ করেন।
৬. মসজিদে আজান দেওয়া বন্ধ করে দেন।
৭. তুরস্কে হিজাব নিষিদ্ধ করেন।
৮. নিজের নাম থেকে "মুস্তফা" শব্দটি বাদ দিয়ে দেন।
৯. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্যাপন নিষিদ্ধ করেন।
১০. শুক্রবারের পরিবর্তে রবিবারকে সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করেন।
১১. তুর্কি ভাষা থেকে আরবি বর্ণমালা বাতিল করেন।
১২. সরকারি পদে নিয়োগের সময় “আল্লাহর নামে শপথ” তুলে দিয়ে “সম্মানের নামে শপথ” চালু করেন।
১৩. যাঁরা তাঁর পথ অনুসরণে অস্বীকৃতি জানান, এমন শত শত আলেম ও ইসলামি পণ্ডিতকে ফাঁসি দেন।
১৪. মৃত্যুর আগে وصিয়ত করেন যে, যেন তাঁর জানাজার নামাজ মুসলিমরীতি অনুযায়ী না পড়ানো হয়।
১৫. ১৯২৩ সালে তুর্কি সংসদে আতাতুর্ক বলেন:"আমরা এখন শিল্পবিপ্লবের যুগে, ২০শ শতকে রয়েছি—এমন এক গ্রন্থের (আল-কুরআন) অনুসরণ করতে পারি না, যা শুধু তীন ও যায়তুন নিয়ে কথা বলে!"
তখন আল্লাহ্ তাঁকে ধ্বংস করেন লাল পিঁপড়ে দিয়ে, যারা তাঁর দেহ খেয়ে ফেলে। তাঁর মৃত্যুর দু’বছর পর চিকিৎসাবিজ্ঞানে যে ওষুধ আবিষ্কৃত হয়, যা তাঁর মৃত্যুজনিত রোগ (লিভার সিরোসিস) নিরাময় করতে পারে—তা ছিল তীনের গাছের ছালের নির্যাস।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন:"আমরা ধ্বংস করেছি তাদের চাইতেও শক্তিশালী অনেককে, অতীতের জাতিদের দৃষ্টান্ত রয়ে গেছে।"[সূরা আয-যুখরুফ, ৮]
সুবহানআল্লাহ! মহান সৃষ্টিকর্তার কি অপার কুদরত!
̈rk