28/11/2025
গুগলে কনটেন্ট অপসারণ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিস্তারিত পোস্টে এই ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়।
পোস্টে বলা হয়, সরকার কোনো পত্রিকার সংবাদ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাধারণ পোস্ট, ভিডিও বা সমালোচনামূলক বিষয়বস্তু মুছে ফেলার জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মকে অনুরোধ করেনি। শুধুমাত্র মিসইনফরমেশন, প্রোপাগান্ডা বা ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য অপসারণের ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা প্রয়োজনীয় তথ্য বিটিআরসিতে পাঠায়।
সরকার আরও জানায়, বর্তমানে রাষ্ট্র কোনো ধরনের বট বাহিনী পরিচালনা করছে না এবং বিটিআরসি বা জাতীয় সাইবার মনিটরিং সংস্থা সরাসরি কনটেন্ট ডাউন করার ক্ষমতা রাখে না। ফলে যে কোনো অনুরোধ সরাসরি গুগল বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মকেই জানাতে হয়।
গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট বিশ্লেষণে সরকার জানায়— ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে বাংলাদেশ থেকে মোট ২৭৯টি অনুরোধ পাঠানো হয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা অনুরোধের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এই অনুরোধের ৬৫ শতাংশই ‘নট এনাফ ইনফরমেশন’ ক্যাটাগরিতে পড়ে, অর্থাৎ সেগুলোর উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্টতই নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট, রাজনৈতিক নয়।
পোস্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশ অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, ছাত্র আন্দোলন, মব লিঞ্চিংসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের কিছু গণমাধ্যম এবং নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ডিজিটাল প্রোপাগান্ডাও পরিস্থিতি জটিল করেছে।
সরকার দাবি করেছে, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা এবং অনলাইন জুয়া, গ্যাম্বলিং ও সন্ত্রাসবিষয়ক কনটেন্ট চিহ্নিত করতে কিছু রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। ফ্রিডম হাউসের Freedom on the Net 2025 রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ বিশ্বে সর্বাধিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং স্কোর ৪০ থেকে বেড়ে ৪৫-এ উন্নীত হয়েছে।