Daily Scan

Daily Scan Daily Scan । বাংলায় সংবাদের বিশ্লেষণ

বরফ গললেও এভারেস্টের উচ্চতা বাড়ে কেন?বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ঢাকা রয়েছে শুভ্র বরফের চাদরে। জলবায়ু পর...
14/06/2025

বরফ গললেও এভারেস্টের উচ্চতা বাড়ে কেন?

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ঢাকা রয়েছে শুভ্র বরফের চাদরে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই বরফ গললেও প্রতিবছর বেড়েই চলেছে এভারেস্টের উচ্চতা। যা এক আশ্চর্যজনক ব্যাপার।

গত ৮৯ হাজার বছরে এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গের উচ্চতা বেড়েছে প্রায় ১৫ থেকে ৫০ মিটার। যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পর্বতশৃঙ্গটি থেকে পানি প্রবাহ ব্যবস্থার সঙ্গে একটি নদীর সংশ্লিষ্টতার ফলে এমনটি ঘটছে। এক্ষেত্রে অরুণ নদী নিকটবর্তী আরেক নদীর সঙ্গে গিয়ে মেশে, যার নতুন পথ থেকে তৈরি হয়েছে গভীর অরুণ গিরিখাত, যেটি এভারেস্টের খুবই কাছাকাছি।

এভারেস্ট থেকে ৭৪ কিলোমিটার দূরের এ নদীর নেটওয়ার্ক ওই গিরিখাত ভেদ করে এগিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে পর্বতশৃঙ্গটির উচ্চতা প্রতিবছর দুই মিলিমিটার করে বাড়ছে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ‘আর্থ সায়েন্সেস’ বিভাগের শিক্ষার্থী ও এ গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক অ্যাডাম স্মিথের মতে, মাউন্ট এভারেস্ট আসলে বড় এক পৌরাণিক গল্পের পর্বত, যা এখনও বেড়েই চলেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিকটবর্তী এ নদী ব্যবস্থা যতটা গভীরে যাচ্ছে, ততই বিভিন্ন উপাদান শ্রোতে ধুয়ে যাচ্ছে আর এর ফলে অনেকটা স্প্রিংয়ের ওপর চাপ কমে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে এবং পর্বতশৃঙ্গটির উচ্চতা আরও বাড়ছে।

এভারেস্টের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে ‘আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড’ নামের একটি প্রক্রিয়া কাজ করে বলে মনে করেন গবেষকরা। ওই এলাকার ভূত্বকের নিচে উর্ধ্বমুখী চাপের পরিমাণ এখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চেয়ে কিছুটা বেশি। গবেষণা অনুসারে, এভারেস্টের বিশাল উচ্চতা থেকেই সে এলাকায় এ ‘চমকপ্রদ’ নদী ব্যবস্থা গঠিত হয়েছে।

মাতলামির কারণে যে পাখি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল পাখিটির নাম কেরেরু। দেখতে গোলমোল ঠিক আমাদের দেশের জালালি কবুতরের মত। কিন্তু আক...
12/06/2025

মাতলামির কারণে যে পাখি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল

পাখিটির নাম কেরেরু। দেখতে গোলমোল ঠিক আমাদের দেশের জালালি কবুতরের মত। কিন্তু আকার আকৃতি কিংবা বর্ণময় চেহারা ছাপিয়ে এই পাখি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে মাতলামির কারণে। কেরেরু গাঁজানো বেরি খেয়ে মানুষের মতোই মাতাল হয়ে পড়ে থাকে। কখনো গাছে, তো কখনো মাটিতে। গাছে থাকলে মনে হবে ডাল থেকে এই উল্টো দোল খেয়ে পড়ে যাবে, আবার মাটিতে থাকলে মাথা নুইয়ে পড়ে থাকে। কেউ নাড়াচাড়া করলেও সাড়া দেয় না।

মাতলামির কারণেই ২০১৮ সালে এটি ‘বার্ড অব দ্য ইয়ার’ এর খ্যাতি অর্জন করে। অনেকটা বিরল হয়ে পড়া নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় প্রজাতির এ কবুতর পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Hemiphaga novaeseelandiae. দেখতে গুলুমুলু চেহারার এ পাখিটি আকারে ৫১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং লেজ থেকে ঠোঁট পর্যন্ত মিলিয়ে গড় ওজন হয় ৬৫০ গ্রাম। পাখিটির মাথায় সবুজ এবং ব্রোঞ্জ কালারের পালক বেশ আকর্ষণীয়।

নিউজিল্যান্ডে কেরেরু খুবই সুপরিচিত এবং প্রিয় পাখি। এরা প্রধানত ফল, পাতা, কুঁড়ি এবং ফুল খেয়ে জীবনধারণ করে। সাধারণত কেরেরু গাছের বিভিন্ন ডালে ঝুলে থাকতে পছন্দ করে। ঝুলে থাকা অবস্থায় তাদের ভেসে উঠা সাদা পেট শিকারীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। দেশটির মাউরি জনজাতির মানুষদের শিকারের কারণে বর্ণময় সবুজ পালকের অধিকারী এই পাখিটির অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। যার ফলে কেরেরুর আরও দুটি উপ-প্রজাতি ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

Address

Sherpur

Telephone

+8801402699003

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Scan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Scan:

Share