https://www.facebook.com/105244221915117/

Ruhul Siddiki Ruman, Sherpur (2025)

05/06/2025

ঈদ মোবারক🤦‍♂️

04/06/2025

দেশটা এখন যেন ইজারাদারতন্ত্রের পাঁকে ডুবে আছে। মনে হয় সরকার আর রাষ্ট্রযন্ত্র কেবল একটা কাজই জানে—কোনো দায়িত্ব না নিয়েই সব কিছু ইজারায় তুলে দেওয়া। যেন দেশের প্রতিটা খাত এক একটা ব্যবসা, আর জনগণ সেই ব্যবসার পণ্য। গণতন্ত্র, প্রশাসন, জবাবদিহি—এসব এখন কেবল পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠায়, বাস্তবে তো ‘মাই ইজারা, মাই রুলস’!

ইজারাদাররা কেমন হওয়া উচিত ছিলো? তারা রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে নির্ধারিত নিয়মে সেবা দেবে, আয় করবে এবং সরকারকে নির্ধারিত রাজস্ব দেবে। জনগণ পাবে নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ, সহজসাধ্য সেবা। কিন্তু বাস্তবতা? ইজারাদার মানেই যেন লুটপাটের লাইসেন্সধারী এক শ্রেণির দানব। সুযোগ পেলেই দ্বিগুণ-তিনগুণ ফি, কোথাও লিখিত নিয়ম, কোথাও তার চিহ্নও নেই। নির্ধারিত ফি ৫০ টাকা, আদায় করে ১৫০ টাকা।

প্রশাসন যদি কষ্ট করে চোখ মেলে তাকায়, ইজারাদাররা তখন তর্জনী তুলে বলে, “আমরা অমুক নেতার কাছ থেকেই তো অনুমোদন পাওয়া!” তদন্ত করতে গেলে অফিস ফাঁকা, তথ্য চায়লে হারিয়ে যায়, রিপোর্ট লিখতে গেলে কাগজে কালি শুকায় না—তবুও ফলাফল শূন্য। কারণ আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তারা এমনভাবে চলে যায়, যেন তারা আইনকে নয়, বরং আইনই তাদের নিয়ন্ত্রণে।

এদের একেকজন যেন ‘আধা-সরকার’। নিজেদের এলাকা আলাদা করে রেখেছে, যেখানে প্রশাসনেরও ঢোকা মানা। ‘চাঁদা’ বলে না, বলে ‘সার্ভিস চার্জ’। আর জনগণ? তারা যেন একেকজন করদাতা নয়, বরং গরু-মহিষ, যাদের দুধ দোহানোই মূল উদ্দেশ্য।

রাজস্ব দেওয়ার সময় এরা এমন অভিনয় করে, যেন দেশটা তারাই চালায়, আর সরকার শুধু মঞ্চের কুশীলব। কাগজে কলমে হিসাব দেখায় লোকসান, বাস্তবে তাদের চেয়ারে বসে মোটা গলায় মোবাইলে চিৎকার করে টাকা তোলা যায়। তারা জানে কাকে কতটা খাওয়ালে তদন্ত বন্ধ হয়, কে কার আত্মীয় জানলে মামলা বাতিল হয়, আর কোন নেতাকে ম্যানেজ করলে আবার নতুন ইজারা পাওয়া যায়।

দেশ চালাতে হলে এখন মনে হয় নতুন সংবিধান লাগবে—"প্রজাতন্ত্রের সকল শক্তির উৎস ইজারাদারগণ"—এই বাক্য দিয়েই শুরু হোক নতুন যাত্রা।

আসলেই, রাষ্ট্র এখন এক ধরণের প্রাইভেট কোম্পানি, যেখানে সরকার শুধু মালিকানা দেখায়, আর ইজারাদাররা রিমোট হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। জনগণ? তারা শুধু দর্শক, দরকার হলে কাঁদবে, আর বাকিটা সময় চুপ করে শোষণ সহ্য করবে।

এ দেশ ইজারার, এই জনগণ পণ্যের।
শুভ ‘ইজারা-তন্ত্র’ দিবস!

04/06/2025

বাংলাদেশ একটি আজব দেশ। এখানে সরকার থাকে, কিন্তু জনগণের থাকে না। আইন আছে, কিন্তু ন্যায় নেই। বিচারব্যবস্থা আছে, কিন্তু বিচারের জন্য বড় লোকের সুপারিশ লাগে। সংবিধান আছে, কিন্তু তা খুলে দেখা হয় কেবল নিজের সুবিধামতো।

রাজনীতি? ওহ, এটা তো এখন দেশ চালানোর মাধ্যম নয়, এটা হচ্ছে দেশ “খাওয়ার” লাইসেন্স। একেকটা দল আসে, আর বলে "আমরা মুক্তি দেবো"—তারা আসলে মুক্তি দেয় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্যাক্স ফাঁকি দিতে, দলীয় পাণ্ডাদের জন্য ঠিকাদারি বরাদ্দ আনতে। দেশ? ওটা তো মটরশুটি, খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়, শুধু ‘ভোটের মৌসুমে’ একটু সাজিয়ে রাখা হয়।

এখন আবার এসেছে এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—যার নাম শুনে মনে হয় বুঝি তারা মধ্যস্থতা করবে, সবাইকে নিয়ে চলবে, নির্বাচনকে নিরপেক্ষ রাখবে। কিন্তু বাস্তবে? তারা যেন রাজনীতির হোটেলে ওয়েটার, একেকজন নেতা আসেন, মেনু অর্ডার দেন—“ওই থানা আমাদের লাগবে”, “ওই প্রকল্পে আমাদের লোক বসাও”—আর তারা মাথা নিচু করে বলে “অবশ্যই স্যার”। ভালো দিক বলতে গেলে তারা অন্তত ভদ্রভাবে লুটপাটে সহায়তা করে, ঠাণ্ডা মাথায় “সুষ্ঠু পরিবেশ” বজায় রাখে।

গুম, খুন? এ তো এখন চা-বিস্কুটের মতো নিত্যসঙ্গী। সকালবেলা অফিস যাচ্ছেন, বিকেলে “নিখোঁজ”, আর রাতে খবরে “অজ্ঞাত লাশ”। পরিবার যাবে কোথায়? থানা? হাসবেন না প্লিজ, থানায় গেলে তারা আগে জিজ্ঞেস করবে—“আপনি কোন দল করেন?” ভুল উত্তর দিলে, FIR-এর বদলে একটা "হুঁশিয়ারি" পাবেন।

প্রশাসন? তারা অঅধিকাংশই দিনরাত কষ্ট করে দলীয় নেতাদের সেবা করে, যাতে কখনও বদলি হয় কক্সবাজার কিংবা অবসরপূর্ব প্রমোশনটা হাতে আসে। এখন তাদের হাতে “স্বাধীনতা পদক” নয়, দলীয় আনুগত্যের পুরস্কার। জনগণ? তারা শুধু ভোট দেয়, তারপর লাঠি খায়। আবার ভোট আসে, আবার আশ্বাস, আবার প্রতারণা। এই এক চক্র।

দেশের আইন এমনভাবে তৈরি, যেন ক্ষমতাধররা আরামসে গর্ত দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে—একটু জামিন, একটু আইনের ধোঁয়াশা, আর কয়েকটা ‘বিশেষ বিবেচনা’। অথচ সাধারণ মানুষ যদি এক বস্তা চাল চুরি করে, তার জন্য আদালত প্রস্তুত, রায়ও প্রস্তুত—শুধু দাফন বাকী।

চাঁদাবাজি এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসা। বন্দর থেকে বস্তি পর্যন্ত সবাই জানে কার ভাগ কত। কেউ প্রতিবাদ করলে, “দলবিরোধী তৎপরতা” মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়—কোনো প্রমাণ লাগে না, শুধু দলের এক নেতার কথাই যথেষ্ট। একেক নেতা এখন স্মার্ট চাঁদাবাজ—গায়ে কোট, মুখে কথা, পকেটে চুক্তি। তাদের রক্ষার জন্যই আইন, প্রশাসন, মিডিয়া—সব একজোট।

ছাত্ররা যখন বই ফেলে রাজপথে নামে, তখন বলা হয় “অশান্তি সৃষ্টি করছে”—তারা ভোটাধিকার চায়, বলে “গণতন্ত্র চাই”। ওদিকে গণতন্ত্র এখন VIP লাউঞ্জে বসে চা খাচ্ছে, আর বাইরে ছাত্রদের পিঠে পুলিশের বুটের ছাপ পড়ছে।

৭১-এ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে, আজ যুদ্ধ করছি “আমাদের মতো দেখানো” শাসকদের বিরুদ্ধে। তখন গুলি এসেছিল বাইরের থেকে, আজ আসছে ভেতর থেকেই। তখন পাকিস্তানি সেনা আমাদের ভাইদের মেরে ফেলেছিল, আজ আমাদের ভাইরাই ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের গুম করে।

এটা স্বাধীনতা নয়, এটা এক অভিনব বন্দিত্ব—যেখানে হাত খোলা, কিন্তু কণ্ঠ রুদ্ধ। একটা দেশ, যেখানে পতাকা উড়ে, কিন্তু মাথা উঁচু করে হাঁটা যায় না। একটা দেশ, যেখানে জাতীয় সংগীত বাজে, কিন্তু মায়ের কোলে সন্তান ফিরেও না।

এই কি ছিল স্বপ্নের বাংলাদেশ? এই কি সেই ৭১-এর চেতনা?

না, এই দেশ এমন হওয়ার কথা ছিল না। এই দেশে জনতার শাসন হবার কথা ছিল, গডফাদারদের নয়। এই দেশে ছাত্ররা বুক ফুলিয়ে কথা বলবে, গলা কেটে ফেলা হবে না।

আমরা আজও লড়ছি। ৭১-এ গর্জেছিলাম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে,
২০২৪-এ গর্জেছি ঘরের শত্রুর বিরুদ্ধে।

আমরা থামবো না। কারণ দেশ মানে কেবল মানচিত্র নয়— দেশ মানে মানুষ। আর মানুষ মরলেও চেতনা মরে না।

বাংলাদেশ আবার জেগে উঠবে—এই বিশ্বাসেই বেঁচে আছি। তোমরাও জেগে উঠো। নয়তো কাল ইতিহাস শুধু চুপ করে থাকবে না, থুতু দেবে আমাদের কাপুরুষতার মুখে।

16/03/2025

স্বাধীনতা দিবস, কুচকাওয়াজ ও আসল দেশপ্রেম!

২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস, যে দিনে আমরা পাকিস্তানের শিকল ভেঙে স্বাধীনতার পথে যাত্রা শুরু করেছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতা মানেই কি শুধু কুচকাওয়াজ? স্বাধীনতার প্রকৃত মূল্যবোধ কি শুধুমাত্র একটা মার্চপাস্টের ভেতর সীমাবদ্ধ?

২৬শে মার্চের স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ পূর্বে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। সেসময় সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ এবং মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এছাড়া, এই ২০২৫ সালের স্বাধীনতা দিবসেও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জানান, "আমরা আনন্দ করার মেজাজে নাই, তাই গত বিজয় দিবসে যেমন হয়নি এবারও স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না।"

এবারের ২৬শে মার্চ রমজান মাসের মধ্যে পড়েছে, এবং ঈদের ছুটিও প্রায় কাছাকাছি। মানুষ তখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবে, দীর্ঘ রোজার ক্লান্তি সামলাবে, নিজস্ব ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করবে। তাহলে প্রশ্ন আসে—রোজা রেখে, প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ করা কি আসল দেশপ্রেম?

আর কিছু মানুষ এখন বলছে, কুচকাওয়াজ স্থগিত, তাই দেশ পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রোজার মাসে কুচকাওয়াজ বন্ধ করলে সেটা হতো এমন যে, তাদের সরকার খুব আন্তরিক, ধর্ম পালনে খুবই সচেতন!

দেশপ্রেম কি শুধু একটা মার্চপাস্টের ওপর নির্ভর করে? দেশপ্রেম তো আসলে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা, দেশের গোপনীয় তথ্য নিরাপদ রাখা, জাতীয় সংহতি বজায় রাখা। কিন্তু যখন দেশের সংবেদনশীল তথ্য ভারতের হাতে চলে যায়, তখন এই ‘দেশপ্রেমিক’ নামধারীরা একেবারে চুপ হয়ে যায়! তখন আর তাদের দেশপ্রেম জাগে না! আর দেশটা তাদের কাছে ভারতও হয়ে যায় নাহ!

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এদের অনেকেই ভারতে গিয়ে ‘আব্বু’, ‘দুলাভাই’ বলে ডাকতে দ্বিধা করে না, অথচ স্বাধীনতা দিবসে একটা কুচকাওয়াজ স্থগিত হলে তারা চিৎকার করে উঠে! এটা কি দেশপ্রেম, নাকি সস্তা রাজনীতির প্রভাব?

আসল দেশপ্রেম হলো দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, গোপনীয় তথ্য সুরক্ষিত রাখা, এবং বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কুচকাওয়াজ না হলেও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার মর্যাদা কমবে না, বরং দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে হবে। দেশপ্রেম সস্তা শো অফ নয়, এটা দায়িত্ববোধ।

বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক ✊

15/03/2025

বরগুনার সপ্তম শ্রেণির এক মেয়ে নৃশংস ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এবং তার পরিবার ন্যায়বিচারের আশায় মামলা করার পর তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সবাই চাই, এই নির্মম অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে দেশের আইন-শৃঙ্খলা আরও কঠোর হোক। ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চাই—ধর্মীয় উস্কানি নয়, মানবিকতা হোক প্রধান ভিত্তি।

তবে এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লক্ষ্য করছি, কেউ কেউ এটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানোর চেষ্টা করছেন। বলা হচ্ছে, আছিয়া ভাগ্যবান ছিল কারণ সে মুসলিম, তাই তার জন্য সারা বাংলাদেশ কেঁদেছে! অথচ সত্য হলো—সমাজের প্রতিটি ঘটনার প্রচার ও গুরুত্ব বিভিন্ন কারণে ভিন্ন হয়। সংবাদমাধ্যমের সক্রিয়তা, স্থানীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা, সামাজিক সংগঠনের প্রচেষ্টা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে কোনো ঘটনা কতটা আলোচিত হবে।

আমি একজন মুসলিম হিসেবে স্পষ্টভাবে বলতে চাই—এটি ধর্মীয় ভেদাভেদের বিষয় নয়, এটি সামাজিক ও মানবিক ন্যায়বিচারের বিষয়। আমরা বরগুনার মেয়েটির জন্যও একইভাবে ন্যায়বিচার চাই, যেমনটি অন্য যেকোনো নির্যাতিতার জন্য চাই।

ধর্মীয় উস্কানি নয়, নাগরিক পরিচয় হোক মূল পরিচয়। আমি মাঝে মাঝে দেখি, কিছু মানুষ নিজেদের ‘সংখ্যালঘু’ পরিচয় দিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করছেন। আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব—আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের হলেও আমরা এই বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের এই দেশটি সব ধর্মের মানুষের জন্য। আমরা একসাথে পথ চলেছি, দেশকে রক্ষা করেছি, দেশের উন্নয়নে কাজ করেছি, অর্থনীতি শক্তিশালী করতে একত্রে ভূমিকা রেখেছি। তাহলে কেন আমরা একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখব?

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে—বাংলাদেশে সাধারণ সনাতনী (হিন্দু) মানুষদের কখনো কি মুসলিমদের দ্বারা ধর্মীয় রীতি পালনে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে? বরং আমাদের সমাজে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই দয়া করে কোনো ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিভেদ তৈরি করবেন না।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন, ভারতের মনিপুর ও উত্তরপ্রদেশের ঘটনায়—কেন নীরবতা আপনাদের?
আমরা লক্ষ্য করেছি, ভারতের মনিপুরে জাতিগত সংঘাতের শিকার সনাতনী ভাই-বোনদের জন্য বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবাদ হয়েছে। মুসলিম হয়েও আমরা তাদের জন্য মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আমাদের বাংলাদেশে থাকা অনেক সনাতনী ভাই-বোনকে মনিপুরের ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে দেখিনি।

এছাড়া, ভারতের উত্তর প্রদেশে হোলি উদযাপনের নামে মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে, মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করতে পারেননি, দাড়ি-টুপি পরিহিত মুসলিমদের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে রঙ নিক্ষেপ করা হয়েছে, বোরকা-হিজাব পরিহিত নারীদের অসম্মান করা হয়েছে, এমনকি ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে আমাদের তথাকথিত সেকুলার সমাজের অনেকেই নীরব থেকেছেন।

আমার ধর্ম ইসলাম আমাকে অন্য ধর্মের মানুষের ওপর জুলুম করতে শেখায়নি। বরং কুরআনে বলা হয়েছে—
لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ
"ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।" (সূরা আল-বাকারা, ২:২৫৬)

অন্যদিকে, গীতায়ও বলা হয়েছে—
“সত্য কখনো ধ্বংস হয় না, আর মিথ্যা কখনো স্থায়ী হয় না।” (ভগবদ গীতা ২:১৬)

সুতরাং, অন্যায়কে অন্যায় বলুন, কিন্তু কোনো ধর্মকে টেনে এনে বিদ্বেষ ছড়াবেন না।

আমরা বিচার চাই—ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়াই, বরগুনার মেয়েটির ওপর ঘটে যাওয়া নৃশংস ধর্ষণ এবং তার বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরাধী যত শক্তিশালী হোক না কেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ প্রতিরোধে আরও কঠোর আইন কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা আর না ঘটে।

আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ অন্যান্য সকল ধর্মের অনুসারীরা একই কণ্ঠে বলি—ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ন্যায়বিচার চাই, তার বাবার হত্যার বিচার চাই। আমরা চাই, বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক ন্যায়বিচার পাক।

শেষে সকলের প্রতি অনুরোধ—বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে, মানবিকতার ভিত্তিতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। বিভেদ নয়, একতা গড়ে তুলুন। কারণ, এই দেশ আমাদের সবার।

“সর্ব ধর্ম সমন্বয় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক।”

ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

14/03/2025

★ফেক্ট চেক★
ইন্নালিল্লাহ 😭 ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলায় আজকে আমার জুমার খুৎবায় বাধা—আল্লাহ হেফাজত করুন। আমিন।

এই শিরোনামে চিরিরবন্দর, দিনাজপুরের শিয়াব চৌধুরী বিন দুলাল নামের একজন খতিবের একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। উক্ত বিষয়ে সেই খতিবের ৯ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।

ভিডিও ভালো করে পর্যালোচনা করে যা বোঝা গেছে, তাকে সরাসরি বাধা দেওয়া হয়নি। বরং ভিডিওতে শোনা যায় ৭ মিনিট ২ সেকেন্ডে সামনে থেকে একজন বলেছেন, "এই হ্যালো! কোরআন ও হাদিস থেকে কথা বলো। এগুলো কথা শোনার জন্য না, একদম ডাইরেক্ট হাদিস বলো, কোরআন বলো।"

এই কথা বলার পর খতিব উত্তরে বলেন, "ধর্ষণ একটি পাপ, এই পাপ কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ আছে। এর বিরুদ্ধে কথা বলা, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা কোরআন ও হাদিসের বাইরে নয়।"

৯ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে সেই খতিবকে কেউ বাধা দেননি। ৭ মিনিট ২ সেকেন্ড থেকে ৭ মিনিট ১১ সেকেন্ড পর্যন্ত একজন মুসল্লি একটু কঠিন সুরে বলেছেন ঠিকই, তবে তাকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে বয়ান করতে নিষেধ করা হয়নি।

সেই মুসল্লির কথা শেষ হওয়ার পরও উক্ত খতিব তার বয়ান আরো ২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চালিয়ে গেছেন এবং এরপর নামাজের প্রস্তুতি নিয়েছেন। সুতরাং এখানে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আর যদি সত্যিই বাধা দেওয়া হতো, তাহলে অন্যান্য মুসল্লিরা নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করতেন।
সেই খতিবের আইডি ও পোস্টের কমেন্ট পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে, তিনি জনপ্রিয়তা পাওয়ার লক্ষ্যে মিথ্যাচার করতে পারেন। তার পেইজ এ এমন একাধিক দাবি পাওয়া গিয়েছে যার কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ তিনি তার পেইজে দেখাতে পারেন নি ও কমেন্ট কারীদেরও সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি এবং বিস্তারিত কোনো ঘটনার বিবরণও দিতে পারেন নি।

যে কোনো তথ্য প্রচার ও শেয়ার করার আগে যাচাই-বাছাই করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

13/03/2025

এই দেশে ধর্ষক মরার আগে ধর্ষিতা মরে যেত এবং এখনও মরে। কিন্তু আর যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। গদি আপনাদের ডাইনিংয়ের গদি নয়, এটি জনতার দান করা গদি। সুতরাং আইন-শৃঙ্খলা কঠোর করুন, অন্যথায় জনতা যেকারো কাছ থেকে সেই গদি ছিনিয়ে নিতে পারে—হোক তা পতিত আওয়ামী লীগকে দেওয়া সরকারের গদি বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেওয়া গদি।

13/03/2025

"মৃত্যুর আগে আছিয়ার সাথে তার ছোট ভাইয়ের সাক্ষাৎ" নামে প্রচারিত ভিডিওটি সঠিক নয়। এটি ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের একটি হাসপাতালের ভিডিও। যা ৩ সপ্তাহ আগে Naan_mahendiran নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভাইরাল হয়। উক্ত ভিডিওতে দেখাযায় একজন অসুস্থ মেয়ে তার ছোট ভাই এর সাথে দেখা করছেন। তবে এটি আছিয়ার ভিডিও নয়। যাচাই বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচারে বিরত থাকুন।

13/03/2025

শাওন কাবীকে নিয়ে আমি এখনও মনে করি যে তার আচরণ সঠিক ছিল না এবং তিনি শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কী কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা আমি নিশ্চিত ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি যে পুলিশ তাকে সেই আচরণের জন্য জেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার নামে দুটি মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তারা চাঁদাবাজি এবং জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভ প্রতিবাদে সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ এনেছে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভ প্রতিবাদে তার ভূমিকা ছিল ইতিবাচক, এবং পুলিশের তার বিরুদ্ধে গতকাল আনা অভিযোগ ছিলো ভুয়া। তিনি শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছেন বা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন।

এ ঘটনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
আপনার অভদ্র আচরণ করা উচিত নয়, শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করা উচিত নয়, এবং আগ্রাসন দেখানো উচিত নয়। কিন্তু একইসঙ্গে, পুলিশ এখনো মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে, যা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

যদিও আমি তার আচরণকে মোটেও সমর্থন করি না এবং তার সাসপেনশনের জন্য ছাত্রদলকে সাধুবাদ জানাই, তবে সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টের চাপে তাকে পুনর্বহাল না করার জন্য ছাত্রদলকে উৎসাহিত করবো। কারণ, যদি তাকে পুনর্বহাল করা হয়, তাহলে তার মধ্যে ক্ষমতার অহংকার গড়ে উঠতে পারে। তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশের মিথ্যা মামলা দেওয়াটা একেবারেই ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।

10/03/2025

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিশুটির মৃত্যুর গুজব সম্পর্কে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই ধরনের তথ্য সঠিক নয়, তার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে সাত দিনের এবং তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, বড় ছেলে সজীব শেখ ও ছোট ছেলে রাতুল শেখকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে গভীর রাতে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তারা দ্রুত বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সকলের উচিত গুজবে কান না দিয়ে আছিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির জন্য প্রশাসনের উপর আস্থা রাখা ও চাপ সৃষ্টি করা।

08/03/2025

১ দিনে ১২ ধর্ষণ, ১ দিনে ৯ এবং ১ দিনে ১১ ধর্ষণ শীর্ষক দাবি প্রচারিত হচ্ছে। এসব পোস্টের কমেন্ট বক্সে সোর্সও উল্লেখ করা হয়েছে।

কমেন্টে দেয়া সোর্স অনুসন্ধান করে দেখা গেছে সোর্সগুলো এক দিনে হওয়া ঘটনার নয় বরং সেখানে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকদিনের ঘটনাকে এক দিনের ধরা হয়েছে।

বিশ্লেষণ -

কমেন্ট বক্সে দেয়া ওই ১২টি সোর্স লিংক পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সেখানে মার্চের ৮ তারিখের দুইটি ঘটনা রয়েছে, এছাড়া, ৭ মার্চের একটি, ৬ মার্চের দুইটি , ২ মার্চের একটি, ১ মার্চের একটি এবং ২৪ ফেব্রুয়ারির একটি ঘটনা রয়েছে।

এর বাইরে একটি ঘটনার তিন গণমাধ্যমের তিনটি নিউজ তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে এবং দুটি ঘটনার দুইবার করে উল্লেখ ঘটেছে।

তাই, এক দিনে ধর্ষণ সংখ্যার এই পরিসংখ্যান সঠিকভাবে করা হয়নি।

যাইহোক পরিশেষে ধর্ষণ যেদিনই হোক ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত অবশ্যই করা উচিত খুবই দ্রুত। অহ হ্যাঁ, কাল পরশু সবার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে ধর্ষকের শাস্তি বিষয়ক।

08/03/2025

হ্যাঁ, Yes 🙂

Ruhul Siddiki Ruman

05/06/2025

04/06/2025

04/06/2025

16/03/2025

15/03/2025

14/03/2025

13/03/2025

13/03/2025

13/03/2025

10/03/2025

08/03/2025

08/03/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category