Mi2's Wishes

Mi2's Wishes সুখ কিংবা দুঃখ জীবনেরই অংশ৷ সুখের সময় স্রষ্টাকে ভোলা অথবা দুঃখের সময় হতাশা; দুটোই পাপ। Confused One

19/11/2025

Happy men's Day

Be my man 😒🔪

Rofiqul Islam Rimon

13/11/2025

আমার বয়স মাত্র ১৮বছর ৪৪ মাস

ধন্যবাদ 🙂🤝

13/11/2025

Tears fall when your head is down,
But when you stand up wipe them away and keep moving forward

©From Love me like you own me

03/11/2025

ওহে ক্ষণিকও আলোকে, আঁখিরও পলকে
তোমায় যবে পাই দেখিতে;
ওহে হারাই হারাই সদা হয় ভয়
হারাই হারাই সদা হয় ভয়
হারাইয়া ফেলি চকিতে.....

আমি মায়া। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আম্মু, আব্বু, ছোটো ভাই এবং নানীর সাথে থাকি। পুকুরের ঠিক অপর পারেই জেঠু-দাদীর ঘর। মা...
31/10/2025

আমি মায়া। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আম্মু, আব্বু, ছোটো ভাই এবং নানীর সাথে থাকি। পুকুরের ঠিক অপর পারেই জেঠু-দাদীর ঘর। মানে আমার দাদাবাড়ি৷ জেঠুরা অবশ্য ঢাকায় চলে গেছেন। দাদী বেড়াতে গেছেন নিজের বাপের বাড়ি। আলাদা বাড়ি হলেও সবাই একসাথেই থাকি। আজ বরং বাড়ির কথা থাক।

আম্মু কাঁথা সেলাই করছেন। ছোটো ভাই আব্বুর সাথে মাছ ধরতে গেছে। আর আমি? এই বৃষ্টিতে আদা চা খেতে খেতে উপন্যাসে মুখ গুজে রয়েছি। নানী ভাত চড়িয়েছিলেন কিন্তু চাল ফুটার আগেই তীব্র ঝড়ের সূচনা।

এখন ঘরে ইট পেতেছে৷ ঘরেই রান্না হবে। দুটো মাত্র টিনের ঘর আমাদের বাড়িতে। একটায় আমি, ভাই এবং নানী থাকি। অন্যটায় আম্মু-আব্বু। একটা ছোট্ট হাসের কুঠিও রয়েছে। পুরো বাড়িটা ছোটো খাটো নানান গাছে সজ্জিত। আমার ১০-১২টি ফুল গাছের ছোট্ট একটি বাগানও রয়েছে।

উপন্যাস পড়তে পড়তে দেখলাম নানীর রান্না প্রায় শেষ। বাবা আর ভাই কাকভেজা হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। সাথে এনেছে অনেকগুলো ছোটো বড়ো মাছ৷ বাবা আর ভাই গোসল সেরে কাপড় পালটে নিলেন সাথে নির্দেশ দিলেন সবচেয়ে বড়ো যে দুটো মাছ আছে তা মচমচে করে ভাজতে। নানী সে কাজে লেগে পড়লেন।

বৃষ্টির ত্যাজ যেন বেড়েই চলেছে৷ পহেলা আষাঢ়। নিজের স্বরুপ নিয়েই প্রথমদিনে তার আগমন। বৃষ্টির ঋতু বর্ষা বলে কথা। গ্রীষ্মের ত্যাজের পর শরীর ও মন জুড়ানো ঠান্ডা আবহাওয়া নিয়ে বর্ষা ঋতুর আগমন হলেও সাথে ছিলো প্রচন্ড ঝড়। মুষলধারে বৃষ্টিতে টিনের চাল যেন চুরমার হয়ে যাচ্ছে এমনই তীব্র আওয়াজ। নদী পূর্ণ হচ্ছে কাঁনায় কাঁনায়। অর্ধপূর্ণ পুকুরটিও পানিতে প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

এদিকে মাছ ভাজা হয়ে গেলে সবাই মিলে খাওয়া সেরে নিলাম৷ বেশ আনন্দে খাচ্ছিলাম আমি আর ভাই। নানী এবং আম্মু দুশ্চিন্তা করছেন। পুকুর পানিতে পূর্ণ। নদীতেও প্রবল স্রোতে পানি এসেই চলেছে। ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে।

বাবা গোয়ালের গরু নিয়ে আমাদের ঘরে এনে রাখলেন। গরু না আসলে বাছুর বলা উচিত। ৬ মাস হলো বাছুরটি জন্মেছে। এই তো কিছুদিন আগেই মাস দুয়েক হবে, তখনই মা গরুটিকে বিক্রি করে দিতে হয়েছে।

ভাই ভীষণ কেঁদেছিলো, আমিও মন খারাপ করেছিলাম। আজকের কথায় আসি, খাওয়ার ঘন্টা দেড়েক পরেই দেখতে পেলাম নদীও পূর্ণ হয়ে গেছে। নদী থেকে পানি উপচে পড়ছে৷ গতবারও বন্যা হয়েছিলো। আমাদের ছোটো ঘরটা, সবজি ক্ষেতটা ভেঙে নিয়ে গেছে। পুকুরের মাছগুলো ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

নানীর আর আম্মুর সাথে এবার আমারও ভীষণ ভয় করছে। কিছুদিন পরই আমার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। এবার যদি নতুন ঘরটাও ভেঙে যায়! আবারও যদি আমার ফুলের ছোট্ট বাগানটা পানিতে ভেসে যায়! আবারও যদি পুকুরটি মাছ শূন্য হয়ে যায়! আমিও প্রার্থনা করতে লাগলাম। আমার গাছগুলোর যেন কিছু না হয়৷ আমাদের নতুন ঘরটা যেন না ভাঙে৷ পুকুরটি যেন মাছ শূন্য না হয়। আম্মু-আব্বু ভীষণ কষ্ট করে আবার ঘরটা তুলেছেন। পুকুরে মাছের পোনা ছেড়েছেন।

এসব ভাবছিলাম আর আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম। ঝড়বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় বের হলাম। বের হয়ে দেখি স্রোতের বেগ বাড়ছে তো বাড়ছেই। আমাদের পুকুর আর রাস্তার মাঝে যে পার্থক্য ছিলো সেটা আর নেই। দুটোই যেন এক হয়ে গেছে। কেউ যদি এই সময় আসে আর রাস্তা না চিনে থাকে নির্ঘাত পুকুরে পড়ে যাবে।

এরই মধ্যে আবারও বৃষ্টি। ধীরে ধীরে নদীও অবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ঘরেও পানি এসে গেছে। সবাই ব্যস্ত মালামাল সামলাতে। আমিও দ্রুত দৌড়ে ঘরে এলাম বইগুলোকে চাপাচাপি করে শেলফের উপরের তাকে রাখতে।

হঠাৎ কী হলো!
তীব্র আলো জ্বলে উঠলো। প্রচন্ড শব্দে চারপাশ কেপে উঠলো। মা/বাবা/নানী/ভাই পরে রইলো পানিতে। আমি ড্রেসিং টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে তখনও শেলফে বই তুলে রাখছি। বিদ্যুৎ চমকানো বা আওয়াজ কোনোটাতেই ভয় পাই না আমি। শখের উপন্যাস, কবিতার বইগুলো গুছানো শেষ। এরইমধ্যে পানিও কমে এসেছে।

আমার একাডেমিক, ননএকাডেমিক বইগুলো রক্ষা পেয়েছে। কী অবস্থা দেখতে বের হলাম। চারপাশে এক চক্কর দিয়ে ঘরে গিয়ে দেখি মেঝেতে পরে রয়েছে আমার পুরো পৃথিবী। আমি ছুটে অন্য ঘরে এলাম। আমার শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়েই চলেছে। কেমন একটা নেগেটিভ ভাইব পাচ্ছি। কেমন দমবন্ধ লাগছে। অস্বস্তি হচ্ছে। কী হয়েছে বুঝতে পারছি না। তবে মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু একটা হয়েছে । আবার ছুটবো তখনই ঘরের মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় পুরো বুকশেলফ পরে গেলো আমার উপর।

পরদিন দুপুরের খবর, একই পরিবারের ৪ সদস্যের বজ্রাঘাতে মৃত্যু। অন্য সদস্যের মৃত্যু কাঁচের আঘাতে৷

ঘরের বাচ্চাসহ মুরগি দুটো ডাকছে। বাছুরটি যেন চোখের জল ফেলছে। কুকুরটি বারবার আশেপাশে ঘুরছে। আর তীব্র আওয়াজে ডেকে চলেছে। বাড়ি রয়েছে। গাছ রয়েছে। পুকুর পুরোপুরি মাছ শূন্য হয়নি। কাঁথাটা ট্রাঙ্কের উপরেই রয়েছে। সিকেয় রয়েছে হলুদ মাখানো জ্বাল দেয়া মাছ। বইগুলো পানিতে ভিজে ফুলে গেছে। নেই শুধু বাড়ির মানুষগুলো।

আজকের পর রজনীগন্ধা ও হাসনাহেনা গন্ধ ছড়াবে। পর্তুলিকা সকাল হলেই ফুল দিবে৷ অপরাজিতা নীলচে রঙে সেজে থাকবে। বকুল আর কদম গাছে পাখি এসে চিঁচিঁ করে ডাকবে। কিন্তু আগের মানুষগুলোকে পাবে না।

~বজ্রাঘাত ও বন্যা।
©Mahmuda Akter Mitu

25th Oct 2023

20/10/2025

Discipline is like muscle you build it over time and stays stronger

©Jack Ma

20/10/2025

From 14th Oct to 19th Oct, 6 days
I spent almost 45 hours on YouTube.

Average screen time was 14 hours. Average YouTube time 7.5 hours. The minimum time for youtube was 5.5 hours. 🙂

The rest of the hours were for Fb lite, Duolingo, hello chinese, insta, WhatsApp, pinterest.

Here is not the end, Everyday I spend a minimum of 1 hour in my Laptop.

🙂🙂🙂🙂

Moral of the story: Lack of Discipline is one the biggest reasons behind the failure.

19/10/2025

হুদাই 🙂

12/10/2025

Lan Wangji from The Untamed Drama:
Wuxian is beating/hitting someone.
Lan Wangji: I don't see anything. I don't care. Go ahead. You can fight. [His Iconic look(boring)]

When Someone is ready to beat Wuxian
Lan Wangji: Let's goooooo. Let's block the sword. You can beat Wei ying. You can't fight.

when Others feel Dizzy or fainted
Wangji: It’s Okay. হইতেই পারে স্বাভাবিক।

When It's Wuxian
Wangji: ধরো ধরো। It's not okay. He can't fall 😑😑

10/10/2025

All grown-ups were once children.... but only a few of them remember it.

from The little Prince
©Antoine De Saint Exupery

09/10/2025

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরিয়ান সাহিত্যিক László Krasznahorkai

লাস্লো ক্রাসনোহোরকাই
কী কঠিন নাম! উচ্চারণ হইছে কি না কে জানে!

বই: আমাজনিয়ালেখক: জেমস রোলিন্সঅনুবাদক: রাকিব হাসানজনরা: থ্রিলার (অ্যাডভেঞ্চার)পৃষ্ঠা সংখ্যা: 415রিভিউ: মাহমুদা আক্তার মি...
09/10/2025

বই: আমাজনিয়া
লেখক: জেমস রোলিন্স
অনুবাদক: রাকিব হাসান
জনরা: থ্রিলার (অ্যাডভেঞ্চার)
পৃষ্ঠা সংখ্যা: 415
রিভিউ: মাহমুদা আক্তার মিতু

সারসংক্ষেপ:
পাদ্রি গার্সিয়া লুই বাতিস্তা জঙ্গলে নিড়ানি দেয়ার সময় এক আগন্তুককে দেখতে পান। প্রচন্ড জ্বরে কাবু হয়ে ছিলো লোকটি। গার্সিয়া তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও লোকটি কোনো উত্তর দিতে পারে না। পাদ্রি গার্সিয়া তাকে মিশনারি গ্রামের ভেতর নিয়ে যান।

আগন্তুকের গায়ে কিছু অদ্ভুত এবং অচেনা চিহ্ন আঁকা ছিলো। মিশনারি গ্রামটিতে থাকা এক ইন্ডিয়ান চিহ্নগুলো দেখে ভয়ে আঁতকে ওঠে এবং অশুভ আত্মা বলে সম্বোধন করে। বাতিস্তার নির্দেশে সে চিকিৎসা সামগ্রী আনতে যায় এবং আসার সময় সাথে করে একজন শামানকে নিয়ে আসে।
বৃদ্ধ শামান(চিকিৎসক/বৈদ্য) আগন্তুকের বুকে ও শরীরে ট্যাটুগুলো দেখে অভিশাপ বলে এবং মারা যাওয়ার পর তাকে পুড়িয়ে ফেলার পরামর্শ দেয়।

"চিহ্নগুলো ব্যান আলীদের চিহ্ন"

পাদ্রি বাতিস্তা কুসংস্কার বলে ব্যাপারটা উড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীতে আগন্তুকের পরিচয় জানতে পেরে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আগন্তুকটি এই মিশনারি গ্রামেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আগন্তুকটি CIA এর সাবেক সৈনিক জেরাল্ড ক্লার্ক। রহস্যের সূচনা এখান থেকেই।

৪বছর আগে সিআইএ'র সদস্যসহ একটি গবেষণা দল চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব আনার উদ্দেশ্যে অভিযান চালান আমাজন জঙ্গলে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর দলটির সাথে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পুরো দলটি যেন আমাজনের বুকে চিরতরে হারিয়ে যায়।

দলটির সন্ধানে আরও একটি নতুন দলকে পাঠানো হয় আমাজনে কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় সকলকে। হারিয়ে যাওয়া দলটির প্রধান গবেষক কার্ল র‍্যান্ডের পুত্র নাথান র‍্যান্ড নিজ উদ্যোগে অনুসন্ধান চালিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে অর্থাভাব, সাহায্যের অভাব এবং একইসাথে হতাশায় সেই অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব হয় না।

এতবছর পর সেই দলেরই একজন অর্থাৎ জেরাল্ড ক্লার্ককে পাওয়া গেছে। এত বছর পর জেরাল্ড ক্লার্ককে খুঁজে পাওয়া গেলেও রহস্যের জন্ম দেয় তার দুটি হাত। কারণ অভিযানে যাওয়ার পূর্বে তার হাত ছিলো একটি। এছাড়াও জেরাল্ড ক্লার্কের গায়ে অনেকগুলো ছোটো ছোটো টিউমার পাওয়া গেছে এবং ক্যান্সারও ছিলো তার।

জেরাল্ড ক্লার্ক কথা বলতে পারেনি কারণ তার জিহবাও ক্যান্সারে খেয়ে নিয়েছে।

সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন তার হাত কী করে জন্ম নিলো? তার শরীরের এই টিউমার এবং ক্যান্সারগুলোর কারণই বা কী?

এই রহস্য উদঘাটনে একটি দল পাঠানো হয় আমাজনের অভিযানে। অপারেশনটিতে অপারেশন লিডার হিসেবে থাকে ফ্রাংক ওব্রেইন, ফ্রাংকের বোন ডক্টর কেলি ওব্রেইন, ভাষা দক্ষতার জন্য অ্যানথ্রপলজিস্ট আনা ফঙ, ডক্টর কাউয়ি তিনি এই জঙ্গল, বিভিন্ন গোত্র, ভাষা এবং শামানদের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানী, টেলাক্স কর্মকর্তা রিচার্ড জেন, বায়োলজিস্ট ম্যানুয়েল, রেঞ্জার্স লিডার ওয়াক্সম্যান এবং অন্যান্য রেঞ্জার্স। আর এই দলের মূল নেতৃত্বদানকারী এবং উপন্যাসের নায়ক নাথান র‍্যান্ড।

অপরূপ সৌন্দর্যের আড়ালে অকল্পনীয় রহস্য এবং ভয়ংকর বিপদে ঘেরা আমাজনে যাত্রা শুরু হয় দলটির।

বনে প্রতিটি পদে পদে ভয়ংকর সব বিপদ অপেক্ষা করছে দলটির জন্য, সাথে পেছনে ধাওয়া করছে অজানা শত্রু দল।

দুর্গম এই বনে তাদের শেষ পরিণতি কী হয়েছিলো? নাথানের বাবা কার্ল র‍্যান্ডের এবং বাকিদের ভাগ্যে শেষ অব্দি কী ঘটেছিলো; নাথানরা কি সেই রহস্য উদঘাটনে সফল হয়েছিলো?
জেরাল্ড ক্লার্কের হাত গজানোর রহস্যের কি কোনো কিনারা পেয়েছিলো?

আমাজনের গভীরতা, রহস্যময়তা এবং নিষ্ঠুরতাকে ছাপিয়ে তারা কি আদৌ সভ্য জগতে ফিরতে সক্ষম হয়েছিলো?

সকল প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আমাজনিয়া বইটিতে।

রিভিউ:
বইটির শুরুটা বেশ ধীরে চলছে বলে মনে হয়। বইটি কেনার পর থেকে মুখবন্ধসহ প্রথম অধ্যায় আমি বেশ কয়েকবার পড়েছি কারণ প্রতিবারই মনোযোগে ভাটা পড়ে। শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালে অর্থাৎ এ বছর বইটি পড়ে শেষ করলাম। সম্ভবত ২মাসের বেশি হয়েছে বইটি পড়ছি। মোট ১৯টি অধ্যায় আছে বইটিতে।

আমার মনে হচ্ছিলো আমিও যেন নাথানসহ অন্যান্য চরিত্রদের (কাউয়ি, ম্যানুয়েল, ফ্রাংক, কেলি, জারগেনসন, ওয়াক্সম্যান, আনা, ক্যারেরা, র‍্যাকজ্যাক, কসটসদের) সাথে আমাজন জঙ্গল ঘুরে বেড়াচ্ছি। এতো সুন্দর ও জীবন্ত বর্ণনা দিয়েছেন লেখক।

আর জঙ্গলের প্রতিটি বিপদই টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি করছিলো। ওইযে মনে হচ্ছিলো নাথানদের সাথে যেন আমিও আভিযানে আছি; ফলস্বরুপ দুর্গম পথ পারি দিতে গিয়ে, প্রতিটি ভয়ংকর বিপদেই মনে হচ্ছিলো কীভাবে উদ্ধার হওয়া যাবে? কতজনকে হারাতে হবে? এইযে একেক পর একজনকে হারাতে হচ্ছিলো এটা ভীষণ মন খারাপ করে দিচ্ছিলো।

জেমস রোলিন্স সত্যিই অসাধারণ। দারুণ এক অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। প্রতিটি অধ্যায় পড়ে শেষ করার পর আমার ভীষণ মন চাচ্ছিলো যে কাউকে সামারিটা শুনাই । ১০ম অধ্যায় থেকে প্রতিটি অধ্যায় শেষ করে ওই অধ্যায়ের ছোটোখাটো একটা সামারি আমি আমার বন্ধুকে শোনাচ্ছিলাম।

বলে রাখা ভালো। এই বইটি আমার অনেক শখের বই। আমি বইটি কিনেছিলাম মূলত ফ্ল্যাপ অংশটুকু পড়ে এবং বইটির নাম দেখে। আমাজন বনের প্রতি আমার এমনিতেও একটু আগ্রহ আছে। আমাজনের প্রতি আগ্রহ যে থাকবে তা অতি স্বাভাবিক।

এক কথায় বলছি বইটি অসাধারণ। আমাজনে যাত্রা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কষ্ট করে পড়তে পারলে এরপর আর আগ্রহে ভাটা পড়বে না বরং আকর্ষণীয় মনে হবে। আমাজনের অপরূপ সৌন্দর্য যেমন মন কাড়বে ভয়ংকর বিপদ তেমনই ভীত করবে।

যারা থ্রিলার এবং অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের অবশ্যই বইটি পড়া উচিত।

Address

Ramerkura
Sherpur
2120

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mi2's Wishes posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mi2's Wishes:

Share