24/05/2024
যে গান কু-প্রবৃত্তি জাগায় সে গান নাজায়েজ,
যে গান আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেয়, ভাল কাজের প্রেরনা জোগায় সে গান জায়েজ।
গান বাজনা জায়েজ ১৩ টি দলিল সহ বণর্না করা হলঃ-
➡️ দলিল কিন্তু আমি নিজেনা, নিম্নোক্ত দলিল/ কিতাব বিশ্বাস করলে বাজে মন্তব্য করবেননা।
মুসলমান ভাইয়েরা,, গান, বাজনা হারাম নহে, পবিত্র কোরআনে এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরোত্বপূর্ন তত্ত আছে! তাই আমরা গান বাজনাকে হারাম বলার আগে তা আলোচনা করে নিজেদের উক্তি দেওয়া উচিত।
আল্লাহ এবং তার রাসূলের ভক্তদের জন্য গান বাজনা তাদের আত্মার খোরাক।
যদি আনন্দ, ফুর্তির জন্য গান বাজনা করা হয়, তা হারাম বলে গন্য হবে!
নিম্নে গান বাজনা সম্পর্কে কিছু দলিল দেওয়া হলোঃ-গ
১. আমার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আল্লাহিই ওয়া সাল্লাম) এর ওফাতের আগে তার ঋন ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে, ঢোল বাজিয়ে রাসূলের ঋন ক্ষমা চেয়েছিলেন সেদিন! সাক্ষী তার (তাওয়ারীতে মোহাম্মদী)
২. খাজা মইনুদ্দীন চিশতী বড় পীরকে গান শুনিয়েছিলেন, নিশ্চয় রাসূলে খোদা পুরুষ প্রধান,, মহা গুনে গুনান্নিত মহা মহিয়ান!! সেদিন আকাশ, জমিন একসাথে নৃত্য করেছিলো খাজা বাবার গানের ছন্দে, সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৪র্থ খন্ড!!
৩. মুসলমানদের জানমালের হেফাযতে রাসূল বিল্লালকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য অনুমতি দিলে, বিল্লাল গলায় ঢোল নিয়ে তা প্রচার করেছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৩য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা!!
৪. রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলো, কিন্তু ঢোলকে নয়! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ষষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা!!
৫. খাজা বাবা এবং তার পীর ওসমান হারুনি, খানকার মজলিসে বসে গান শুনতেছিলেন! আসরে ৯ব্যক্তি ছিলো তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক ছিলো, কিন্তু তারা ছিলো না! খাজা বাবা তার পীরকে জিজ্ঞেস করলে, ওসমাম হারুনি বলেন! তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে! তারা আর কখনো এ পৃথীবিতে ফিরে আসবে না সাক্ষী তার (আনিসুল আরোহা) ৮৮ পৃষ্ঠা!!
৬. রাসূল(সাল্লাল্লাহু আল্লাহিই ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন হিযরত করে! মদিনার মেয়েরা সেদিন ঢব বাজাইয়া রাসূলকে গান শুনিয়েছিলেন! রাসূল সেদিন গান কে হারাম বলেন নি,! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড, ২২২পৃষ্ঠা!!
৭. আনসারী মেয়েরা আমার রাসূলের হিযরতের সময় নৃত্য করে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সেদিন রাসূল নিজেই আনন্দিত ছিলেন! সাক্ষী তার।
(বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ২২৩পৃষ্ঠা।
৮. রাসূল (সাল্লাহু আল্লাহিই ওয়া সাল্লাম) যখন মা আয়েশার ঘরে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন, তখন মদিনার মেয়েরা নৃত্য করে গান গেয়ে নবীর ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিলেন! আবু বক্কর মেয়েদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতে গেলে, রাসূল তখন আবু বক্কর (রাঃ) কে ধমক দিয়ে তাদের গাওয়াকে উৎসাহ দিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ১ম খন্ড ২৭৭পৃষ্ঠা!!
৯. একদিন জিব্রাঈল রাসূলকে সংবাদ দিলেন, তার গরীব উম্মৎ গন ধনী উম্মতদের ৪শত বছর আগে জান্নাতে যাবে! সেদিন রাসূল খুশি হয়ে বলেছিলেন, তোমাদের মধ্য কে গান জানো? তখন বধুবী নামক এক ব্যক্তি রাসূল সহ ভরা মজলিসে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (কুৎনীত শরীফ) ৩৩৭পৃষ্ঠা!!
১০. রাসূল মূসা নামক তার এক সাহাবীর কন্ঠে গান শুনে, সেদিন বলেছিলেন হে মূসা নিশ্চয় দাউদ নবীর বংশ হতে আমার আল্লাহ তোমাকে এই সুর দিয়েছেন! সাক্ষী তার (মূল বুখারী শরীফ) ৭৫৫পৃষ্ঠা!
১১. সায়মা নামক এক মহিলা আমার রাসূলকে কোলে নিয়ে গান গেয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ৫৩-৫৪পৃষ্ঠা পর্যন্ত তার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে!
১২. পবিত্র কাবা তোয়াফ কালে এক রমনী জুনায়েদ বোগদাদী কে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৩য় খন্ড ১৩৭পৃষ্ঠা!!
১৩. মসজিদে নববী তৈরি করার সময় আমার রাসূল নিজেই তারানা গেয়েছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৮ পৃষ্ঠা।
উপরের দলিল গুলো যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয়, তাহলে আপনারা নিজেরাই পড়ে দেখতে পারেন! তবে হ্যাঁ শরিয়তের ইবাদতের বেলায় গান বাজনা নিষেধ আছে! তা শুধু তরিকত, হাকিকত এবং মারফতের ইবাদতীদের জন্য প্রযোয্য! কারন তুমি আমার আল্লাকে যেভাবে, যে অবস্থায় স্বরন করো আমার আল্লাহ তাতেই সাঁড়া দিবে!
আশাকরি কারো দ্বিমত থাকবে না, সবাইকে ধন্যবাদ। তবে কেহ বাজে মন্তব্য করার আগে পুরাটা প ড়ে নি ন!
সংগৃহীত