Islamic Pulse

Islamic Pulse Explore the timeless wisdom of the Quran, and embrace the beauty of Islamic culture. Connect with us

ঈদের নামাযের নিয়ম সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:ঈদের নামাযের নিয়ম(১) নিয়ত:মন থেকে নিয়ত করতে হবে— “আমি দুটি রাকাত ঈদের নামায আদায়...
30/03/2025

ঈদের নামাযের নিয়ম সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

ঈদের নামাযের নিয়ম

(১) নিয়ত:
মন থেকে নিয়ত করতে হবে— “আমি দুটি রাকাত ঈদের নামায আদায় করছি, ছয়টি অতিরিক্ত তাকবিরসহ, আল্লাহর জন্য, ইমামের অনুসরণে।”

(২) তাকবির:
ইমাম “আল্লাহু আকবার” বলে নামায শুরু করবেন, মুতাদী নামাযের মতো হাত বাঁধতে হবে।

(৩) অতিরিক্ত তাকবির:

ঈদের নামাযে প্রথম রাকাতে কিরাতের আগে তিনটি অতিরিক্ত তাকবির দিতে হয়।

প্রতিটি তাকবিরে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হয় এবং চতুর্থবার তাকবির দিয়ে হাত বাঁধতে হয়।

এরপর ইমাম ফাতিহা ও অন্য সূরা তেলাওয়াত করবেন, তারপর রুকু ও সিজদা করবেন।

(৪) দ্বিতীয় রাকাত:

দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ার পর আবার তিনটি অতিরিক্ত তাকবির দিতে হবে।

প্রতিটি তাকবিরে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।

চতুর্থ তাকবির দিয়ে রুকুতে যেতে হবে এবং বাকি নামায স্বাভাবিকভাবে শেষ করতে হবে।

(৫) খুতবা:
নামায শেষ হলে ইমাম খুতবা প্রদান করবেন, যা ঈদের নামাযের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এটাই ঈদের নামাযের মূল পদ্ধতি। আপনি যদি হানাফি, শাফেয়ি, মালিকি বা হাম্বলি মাযহাব অনুসরণ করেন, তবে কিছু ছোট পার্থক্য থাকতে পারে।

‎1. ঈদের দিনে তাকবির বলা:‎রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:‎"ঈদের দিন আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো (‘আল্ল...
29/03/2025

‎1. ঈদের দিনে তাকবির বলা:
‎রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
‎"ঈদের দিন আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো (‘আল্লাহু আকবার’ বলো) এবং তাকবির দিও।"
‎— (সুনান আদ-দারাকুতনি, হাদিস: ১৭২২)


‎2. ঈদের দিনে খাওয়া-দাওয়া:
‎আনাস ইবন মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন:
‎"আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিনে খেজুর খাওয়া ছাড়া ঘর থেকে বের হতেন না এবং তিনি বিজোড় সংখ্যায় খেজুর খেতেন।"
‎— (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৫৩)


‎3. ঈদের নামাজের জন্য পৃথক রাস্তা:
‎জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন:
‎"নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এক রাস্তা দিয়ে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতেন।"
‎— (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৮৬)


‎4. ঈদের খুতবা শোনার গুরুত্ব:
‎আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন:
‎"নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবিরা ঈদের নামাজের পর খুতবা শোনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন।"
‎— (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৮৫)



‎এই হাদিসগুলো আমাদেরকে ঈদের সুন্নত ও করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়।

27/03/2025
সেহরির গুরুত্ব ও ফজিলতসেহরি রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এটি শুধু রোজার প্রস্তুতি নয়, বরং বরকতময় একটি ইবাদত। রাসূল ...
23/03/2025

সেহরির গুরুত্ব ও ফজিলত

সেহরি রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এটি শুধু রোজার প্রস্তুতি নয়, বরং বরকতময় একটি ইবাদত। রাসূল (সা.) বলেছেন:
"সেহরির খাবারে বরকত রয়েছে, তাই তোমরা সেহরি খাও।" (বুখারি, মুসলিম)

সেহরির উপকারিতা:

✅ শরীরকে রোজার জন্য প্রস্তুত করে
✅ উৎপাদনশীলতা বাড়ায়
✅ অতিরিক্ত ক্লান্তি দূর করে
✅ সুস্থতার জন্য উপকারী

সেহরির সময় যা খাওয়া ভালো:

✔️ খেজুর ও ফলমূল
✔️ পানীয় ও দুধ
✔️ ভাত, রুটি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার
✔️ পর্যাপ্ত পানি

💡 নবীজি (সা.) বলেছেন:
"আমাদের ও আহলে কিতাবদের রোজার পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া।" (মুসলিম)

সেহরি খাও, সুস্থ থাকো, রমজানের বরকত অর্জন করো!

#সেহরি #রমজান_মুবারক #ইসলাম #রোজা

**আয়াতুল কুরসি (আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত)**  📜 আয়াতুল কুরসি (আল-কুরআন: সূরা আল-বাকারা - আয়াত ২৫৫)**   📖 আরবি:**...
21/03/2025

**আয়াতুল কুরসি (আরবি, বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত)**

📜 আয়াতুল কুরসি (আল-কুরআন: সূরা আল-বাকারা - আয়াত ২৫৫)**

📖 আরবি:**
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌۭ وَلَا نَوْمٌۭ ۚ لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۗ مَن ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍۢ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ ۖ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ

🔊 বাংলা উচ্চারণ:**
*আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল-হাইয়ুল কাইয়্যুম। লা তা’খুজুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ। মান্‌জাল্লাযি ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বি-ইজনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়া মা খালফাহুম। ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাই’ইম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা’আ। ওসি’য়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওলা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিইয়্যুল আজিম।*

📖 বাংলা অনুবাদ:**
**“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সকল কিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন যা তাদের সামনে ও পেছনে আছে। তাঁর জ্ঞান থেকে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, তবে তিনি যতটুকু চান ততটুকু ছাড়া। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) আসমান ও জমিন ব্যাপ্ত করে আছে এবং এই দু’টি রক্ষা করা তাঁর জন্য ক্লান্তিকর নয়। তিনি সর্বোচ্চ, মহান।”** *(সূরা আল-বাকারা: ২৫৫)*

📌 আয়াতুল কুরসির ফজিলত**

১. সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত**
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
*"আল কুরআনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি।"* *(সহিহ মুসলিম: ১৮৮৫)*

২. শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা**
হাদিসে এসেছে,
*"যে ব্যক্তি প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন, যে সকাল হওয়া পর্যন্ত তার রক্ষক হয়ে থাকবে।"* *(সহিহ বুখারি: ৩২৭৫)*

৩. জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ**
রাসুল (সা.) বলেছেন,
*"যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"* *(নাসাঈ, হাদিস: ৯৯২৮)*

৪. বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষা**
আয়াতুল কুরসি পড়লে মানুষ আল্লাহর বিশেষ নিরাপত্তার অধীনে থাকে। শয়তান, জিন ও অন্যান্য ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়।

📢 নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়ার আমল করুন এবং আল্লাহর রহমত লাভ করুন।
🤲🤲🤲

21/03/2025

সূরা ইখলাস (الإخلاص)

(আল-কুরআনের ১১২তম সূরা, মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৪)

আরবি:

قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ۝١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ ۝٢ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ۝٣ وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢ ۝٤

বাংলা উচ্চারণ:

কুল হুয়াল্লাহু আহাদ।
আল্লাহুস সামাদ।
লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ।
ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

বাংলা অর্থ:

বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়।
আল্লাহ সকল কিছুর নির্ভরস্থল (স্বয়ংসম্পূর্ণ)।
তিনি কারও জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেওয়া হয়নি।
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।

সূরা ইখলাসের ফজিলত ও গুরুত্ব

১. কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান সওয়াব
হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

"আল্লাহ তা'লা তাঁর কিতাবে এক সূরা নাজিল করেছেন, যা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমতুল্য।"
— (সহিহ বুখারি: 5013, সহিহ মুসলিম: 811)

অর্থাৎ, সূরা ইখলাস পড়লে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

২. আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস প্রকাশ করে
এই সূরায় আল্লাহর একত্ব ও অনন্যতা স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি পাঠ করলে মুমিনের ঈমান আরও দৃঢ় হয়।

৩. জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ
হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস ভালোবাসে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।"
— (তিরমিজি: 2901)

৪. বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি ও রক্ষা পাওয়া
হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) রাতের বেলা ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার করে পড়তেন এবং নিজের ওপর ফুঁ দিতেন।
— (সহিহ বুখারি: 5017)

৫. আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন
এক সাহাবি সর্বদা নামাজে সূরা ইখলাস পড়তেন। রাসূল (সা.) জানতে চাইলে তিনি বললেন, "আমি এটি ভালোবাসি, কারণ এটি আল্লাহর গুণ বর্ণনা করে।"
রাসূল (সা.) বললেন, "তোমাকে এ সূরার প্রতি ভালোবাসা জান্নাতে পৌঁছে দেবে।"
— (সহিহ বুখারি: 7375)

উপসংহার

সূরা ইখলাস পড়লে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়, এটি আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম এবং বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া হিসেবেও কার্যকর। নিয়মিত এই সূরা পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

Address

Gorkandha, Nalitabari, Sherpur/
Sherpur
2110

Telephone

+8801686985017

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Pulse posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Islamic Pulse:

Share