29/08/2025
লোকালয়ে বন্যহাতির দল, উৎসুক মানুষের ভিড়
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গত চারদিন ধরে আবারও লোকালয়ে খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্যহাতির দল। অপরদিকে বন্যহাতি দেখতে প্রতিদিন সীমান্ত ঘেঁষা এলাকাগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার উৎসুক মানুষ।
এতে যে কোনো সময় মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তবে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দিবাগত রাত থেকে বন্যহাতির একটি দল ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া, হলদিগ্রাম, গোমরা, রাংটিয়া এবং কাংশা ইউনিয়নের ছোট গজনী, বড় গজনী, তাওয়াকুচা এলাকার গারো পাহাড়ে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০টি বন্যহাতির একটি দল অবস্থান করছে। হাতির দলটি দিনের বেলা খাদ্যের সন্ধানে পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ঘোরাঘুরি করলেও সন্ধ্যার ঠিক আগে বন্যহাতির পালটি লোকালয়ে নেমে আসে। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে হই-হুল্লোড় করে হাতির পালটি জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বন্যহাতির দলটি সন্ধ্যাকুড়া এলাকার গোলাপ, আকাশমনি কাঠের বাগান ও বিভিন্ন সবজি খেতে অবস্থান করতে দেখা যায়। পাশাপাশি এলাকাবাসী ও উৎসুক মানুষ ভিড় করেছেন। হাতি তাড়াতে মানুষ হই-হুল্লোড় করছেন। এ সময় বন্যহাতির দল ধান ও বিভিন্ন সবজি খেত পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম বলেন, হাতির খাবারের জন্য সুফল বাগান তৈরি হয়েছে। সেখানে লতা-পাতা রয়েছে। হাতি সেসব খাচ্ছে। পাশাপাশি চলতি মাসে গারো পাহাড়ের প্রতিটি বিটে দুই হাজার করে কলাগাছ রোপণের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কলাগাছ বড় হলে খাবারের সংকট অনেকটাই কমবে। বনবিভাগ ও ইআরটি হাতিকে পাহাড়ের জঙ্গলে পাঠানোর সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, মূলত খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতির পালটি লোকালয়ে চলে এসেছে। সীমান্তে বন্যহাতির খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো হাতি লোকালয়ে আসবে না। তবে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে
ছবি ও লেখাঃ যুগান্তর।