09/04/2025
BIDA এর আগের চেয়ারম্যানরা চাইতেও কখনো কিছু করতে পারেনাই। কারণ বিডা আগে পিএম অফিসের আন্ডারে ছিলো, সচিব ছিলো পিএম এর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। যার কারণে বিডার প্রতি কেউ মনোযোগ দিতে পারেনাই। ইভেন অনেক দপ্তরে বিডা নিয়ে হাসাহাসিও হইতো। কোথাও বিডার কথা শোনা হইতো না। মজার ফ্যাক্ট হচ্ছে বিডার এখনকার চেয়ারম্যানই প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাবে। দিজ ইজ আ ক্লিয়ার এক্সাপল অফ টিম ওয়ার্ক। ড. ইউনুস আশিক চৌধুরীকে মন্ত্রী মর্যাদা দেওয়ার কারণও এটাই ছিলো যেনো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আমলাদের অফিসে অফিসে চক্কর কাটা না লাগে। রেজাল্ট সবার সামনে। বাংলাদেশে এমনে চললে শত বিলিয়ন ডলারের FDI হওয়া অসম্ভব না।
আশিক চৌধুরী একটা ফাইনেস্ট প্রেজেন্টার। আজকে উনার প্রেজেন্টেশন যারা দেখেননাই মিস করছেন। জলদি দেখে আসেন। উনি বাংলাদেশের গল্প বলছে আজকে। বাংলাদেশের পটেনশিয়ালটি শুধু ১৬০ মিলিয়ন মানুষই না বরং বাংলাদেশে ইনভেস্ট করলে যে সেভেন সিস্টার্সে, নেপালেও ব্যবসা করতে পারবে সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় দিছে। ইনভেস্টরদের বুঝাইসে বাংলাদেশে ফ্যাক্টরি দিলে এখান থেকে আশেপাশের দেশে এমনকি চট্টগ্রাম পোর্ট ব্যবহার করে পুরা বিশ্বে সেল করতে পারবে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পুরাটা প্রেজেন্টেশন কয়েকবার দেখসি। উনি আজকে আমাদের গল্প শোনাইছে, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ওপেন করে দিছে। ওয়ান স্টপকে আরো সিম্পল বানায় দিছে। শব্দের বুননে বুঝায় দিছে এখন ব্যবসা করলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়বেনা। মজার কথা হচ্ছে একবারও বলা লাগেনাই বাংলাদেশে কতো কতো উন্নয়ন হইছে। মাথায় মাল থাকলে উন্নয়নের মিথ্যা গল্প বেঁচতে হয়না।
আশিক চৌধুরী বাংলাদেশের চীফ মার্কেটিং অফিসার। এমনে চললে বেশিদিন নাই, রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন হয়ে যাবে আরামসে। সবাই আসবে দেশে। মিনিমাম ৩ কোটি মানুষের জীবন বদলে যাবে যা বুঝতেছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে ড. ইউনুসের সাথে আশিক চৌধুরীর নামটাও মনে রাখবেন। ড. ইউনুস ওপেনার হইলে আশিক চৌধুরী হলো রানার। অবশেষে বিডা তার যোগ্য চেয়ারম্যান পাইলো।
একটা ভয়ও আছে এই দেশে আশিক চৌধুরীর মতো মানুষ কতোদিন ভালো থাকবেন। যদি উনাকে আমরা রেখে দেই ৫-১০-২০ বছর পর বাংলাদেশ ইতিহাস তৈরি করবে।