মূর্খ?

মূর্খ? Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মূর্খ?, Digital creator, Siddhirganj.

লেখা: সংগৃহীত হস্তলিপি : ফারিয়া ফেরদৌস
16/07/2025

লেখা: সংগৃহীত
হস্তলিপি : ফারিয়া ফেরদৌস

প্রাক্তন মুভিতে ছাড়াছাড়ির আগের একটা দৃশ্যে ঋতুপর্ণা প্রসেনজিৎকে বলে, "একটা জন্মদিন, একটা এনিভার্সারি। এই দিনগুলো কখনো ফি...
13/07/2025

প্রাক্তন মুভিতে ছাড়াছাড়ির আগের একটা দৃশ্যে ঋতুপর্ণা প্রসেনজিৎকে বলে, "একটা জন্মদিন, একটা এনিভার্সারি। এই দিনগুলো কখনো ফিরে আসেনা। প্ল্যান করতে হয়। ট্যুর পোস্টপোন করতে হয়। মিটিং ক্যান্সেল করতে হয়। সবকিছু ছেড়েছুড়ে মনটাকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে হয়। কখনো দুই ঘন্টা আমার অপেক্ষায় ফোনের স্ক্রিনের দিকে চোখের জল ফেলো, সেদিন আমায় বলতে এসো " Accept me as I am".

মাঝে মাঝে সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে আমরা প্রিয় মানুষগুলোর কাছে একটু সময় আর যত্ন চাই, একটুখানি আদরে আবদারে প্রশ্রয় চাই। বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ কিছু মুহূর্ত পেতে চাই। হয়ত সবার জীবনে সেরকম মানুষ থাকে না। আর থাকলেও সেটা তারা বুঝতে পারে না বা কখনো বুঝার প্রয়োজনীয়তাও মনে করে না।

অবহেলা কিংবা অনাগ্রহে বুকের ভিতর আস্ত একটা নদী শুকিয়ে গেলেও তা কেউ টেরই পায় না। যা আমরা কখনো পরিবার থেকে পাই না পরবর্তীতে আমাদের জীবনে আসা প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে সেটা পাওয়ার প্রবল প্রত্যাশা আমাদের থাকে। সেখানেও প্রত্যাশার মৃত্যু মানিয়ে নেওয়ার নিধারুণ অভিনয়। মুহূর্তরা কেটে যায়, জীবন ঠিকই চলে।
তবুও প্রিয় মানুষগুলো যত্ন নিলে, আগ্রহ থাকলে সেই মুহূর্তগুলো প্রজাপতি হতে পারত, একটা আকাশ হতে পারত, রংধনু হতে পারত, ফুল হতে পারত, ক্যানভাসের খুব প্রিয় কোন ছবি হতে পারত। হতে পারত জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত। অথচ সবশেষে মুহূর্তরা বাঁচে অপেক্ষায়, অবহেলায়, অনাগ্রহে।

অবহেলায় মানুষ মরে যায়, অভিমান জমতে জমতে একদিন পাহাড় হয়। একসময় মানুষ প্রত্যাশা করা ছেড়ে দেয়। অভিমান- অভিযোগ করা বন্ধ করে চুপ হয়ে যায়। ইচ্ছেদের উড়িয়ে দেয় আকাশে। কেবল দীর্ঘস্বাসে হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় জীবন কিংবা মুহূর্তগুলো আসলেই অন্যরকম হতে পারত!

লেখক- মেহেদী হাসান শুভ্র

11/07/2025
ভালোই হয়েছে, তোমাকে আমি পাইনি।তোমাকে পেলে আমার অহংকার বেড়ে যেতো।মানুষের কাছে তোমাকে নিয়ে অহংকার করতাম, মানুষের কাছে প...
08/07/2025

ভালোই হয়েছে, তোমাকে আমি পাইনি।
তোমাকে পেলে আমার অহংকার বেড়ে যেতো।
মানুষের কাছে তোমাকে নিয়ে অহংকার করতাম, মানুষের কাছে পূর্ণতার গল্প করতাম।

ভালোই হয়েছে, আমি তোমাকে পাইনি।
তোমাকে পেলে কষ্ট কী, বুঝতাম না।
তোমাকে পেলে কষ্টের সাথে আমার কখনো পরিচয় হতো বলেই মনে হয় না।
কষ্টের সাথী পাওয়া যায় না, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা পাওয়া যায় না—তোমাকে পেলে...!

ভালোই হয়েছে, তুমি আমার হওনি।
তুমি আমার হলে তোমাকে নিয়েই অনেক কিছু ভাবতে হতো।
ভাবতে হতো, কী করলে তোমাকে আগলে রাখতে পারি,
কী করলে তোমাকে সুখে রাখতে পারি...!

তুমি আমার না হয়ে ভালোই করেছো।
এখন আর নিয়ম করে কাউকে ভালোবাসি কথাটা আমাকে বলা লাগবে না।
কাউকে নিয়ে আর অতটা চিন্তাও করা লাগবে না।

ভালোই হয়েছে, তুমি অন্য কারো হয়েছো।
তুমি যদি আমারই হতে, ভালোবাসা যে এতটা নিঃস্ব করে দেয়, সেটা আমি কখনোই বুঝতাম না।
বুঝতাম না—মানুষ এমন করেও পরিবর্তন হতে পারে।

তুমি যদি এখনো আমায় ভালোবাসো,
তাহলে নিজের শরীরের খুব যত্ন নিও।
তখন আর চোখের নিচে কালো দাগ দেখতে পেতাম না,
কারো কথা ভাবতে ভাবতে কিভাবে রাত জাগতে হয়, তাও জানতাম না—জাগতেও না।

ভালোই হয়েছে, তুমি আমার হওনি।
তুমি আমার হলে প্রতিদিন তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছা করত,
খুব ভালোবাসতে ইচ্ছা করত তোমাকে,
তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে খুব ইচ্ছা করত আমার।

ভালোই হয়েছে, তুমি অন্য কারো 😅💔

07/07/2025

"রাস্তায় বের হতে পারি না… মানুষ বলে—এইটা কার মেয়ে? নিয়ে যাওয়ার ভয় হয়... 🥲

এই একটা লাইনে লুকিয়ে আছে এক মায়ের ভয়, কষ্ট আর ভালোবাসার সবচেয়ে বড় প্রকাশ।
যে মা দিনমজুর, তার কোলের শিশু আজ ভাইরাল, কিন্তু ভাইরাল হওয়াটাই তাদের জীবনে যেন এক নতুন ভয় হয়ে এসেছে।

মেয়ে এখন সবার পরিচিত মুখ—কিউট ভিডিও, হাস্যরস, সহজ সরল কথা মানুষকে মুহূর্তে মন ছুঁয়ে গেছে।
কিন্তু এর পেছনে যে গল্প, সেটা কেউ জানে না।
মা বলেন—

আমি তো গরিব, ভাই। রাস্তায় বের হলেই লোকজন ঘিরে ধরে, ভিডিও তো দেখছে, কিন্তু কেউ জিজ্ঞেস করে না, আমরা কেমন আছি…"

ছবিতে যিনি একা বসে আছেন, তিনি একজন স্বামী, তাঁর প্রিয়তম স্ত্রী ঠিক সামনের গাড়িতে শায়িত, শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। জানাজা ...
05/07/2025

ছবিতে যিনি একা বসে আছেন, তিনি একজন স্বামী, তাঁর প্রিয়তম স্ত্রী ঠিক সামনের গাড়িতে শায়িত, শেষ যাত্রার প্রস্তুতিতে। জানাজা হওয়ার কথা ছিল রাত ৯টায়। কিন্তু ভদ্রলোক চাচ্ছিলেন না অন্ধকার রাতে বিদায় দিতে। কারো কাছে স্পষ্ট করে বলতেও পারছিলেন না, “ওকে আর একটু থাকতে দাও… সামনে থাকুক, আমি দেখছি!”

তাঁর ছোট ছেলে বুঝে নিয়েছিল বাবার মন। শেষ পর্যন্ত জানাজা হয় সকালে। কিন্তু রাতের পুরোটা সময়, যখন চারপাশের সবাই চলে গেছে, ভদ্রলোক ছিলেন গাড়ির সামনে একা বসে। স্ত্রীর পাশে, নিঃশব্দ প্রহর গুণে। যেন বলছিলেন, “তুমি একা না, আমি আছি। এখনো আছি।”

এ এক নিঃশব্দ ভালোবাসা, যার সাক্ষী হয়ে রইলো রাত, নীরবতা আর সেই একফালি আলো। মৃত্যু সবকিছুর শেষ নয়, যদি ভালোবাসা এমন হয়।

ভাগ্যবতী ছিলেন সেই স্ত্রী, যিনি এমন একজন জীবনসঙ্গী পেয়েছিলেন, যিনি তাঁকে মৃত্যুর পরেও একা ফেলে যাননি।

আমরা সবাই চাই, এমন একজনকে, যিনি শুধু জীবনে নয়, মৃত্যুর পরেও আমাদের ভালোবাসায় আগলে রাখবেন।

[ সংগ্রহীত ]

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন নারী মা...
02/07/2025

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি পেলে তবেই শারীরিক চাহিদার কথা ভাবে। নারী ও পুরুষের চাহিদার এই ভিন্নতার কারণেই তাদের সম্পর্ক আরও জটিল এবং গভীর।

পুরুষের সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ক্লান্তি দূর হয় সঙ্গীর সাথে শারীরিক সংযোগে। যদি আপনি আপনার পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করতে চান, তবে তার সাথে অবশ্যই শারীরিক Attachment থাকা প্রয়োজন, এবং তা মন থেকে হতে হবে।

নারীরা, বিপরীতে, মানসিক Attachment-এ বেশি গুরুত্ব দেয়। যদি তার মন ভালো থাকে, তাহলে সে স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক সংযোগে আগ্রহী হয়। কিন্তু যদি তার মানসিক অবস্থা ভালো না থাকে, তাহলে সে কোনো কিছুতেই সাড়া দেয় না। নারীর মনই তার আসল শক্তি।

একজন নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে নতুন করে সাজাতে পারে। আবার সেই নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে পুরোপুরি নষ্টও করে দিতে পারে।

একজন নারী চাইলেই একজন পুরুষকে সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলে তাকে অসম্মানের তলানিতে নামিয়ে আনতে পারে।

নারী চাইলে একজন পুরুষকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারে। আবার চাইলে তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারে।

নারী চাইলে একটি সুন্দর পরিবার এবং সুখী সংসার গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলে সেই সংসারকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

নারী একজন পুরুষকে পরিবার, সমাজ, এবং নিজের প্রতি আবদ্ধ রাখতে পারে। আবার চাইলে সে পুরুষকে একা করে, পরিবারহীন করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।

নারী তার শিক্ষা, শক্তি, মায়া, ভালোবাসা এবং মমতার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

নারী চাইলে একজন পুরুষকে শত খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্ত করে ভালো মানুষে পরিণত করতে পারে। আবার ভালো মানুষকে নষ্ট করতেও সক্ষম।

নারী, তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস।

তুমি তোমার সৌন্দর্য, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার শক্তি দিয়ে তোমার সংসার, পরিবার এবং সমাজকে সুন্দর করে তুলবে।

তোমার প্রেম হোক তোমার সংসার,

তোমার ভালোবাসা হোক তোমার স্বামী,

আর তোমার মায়ার বাঁধন হোক তোমার সন্তান।

নারী, তুমি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারো। তুমি পারো, পুরো পৃথিবী বদলে দিতে।

30/06/2025

মানুষের থেকে, মানুষের ব্যবহার বেশি মনে রাখি! ❤️

লেখা: সংগৃহীত হস্তলিপি : ফারিয়া ফেরদৌসসংগ্রহীত:  কবিতা
29/06/2025

লেখা: সংগৃহীত
হস্তলিপি : ফারিয়া ফেরদৌস
সংগ্রহীত: কবিতা

27/06/2025

পরীক্ষা বউয়ের, পাশে শাশুড়ি।

মেয়েটি বলল, “জামাই আর শাশুড়ি দুজনেই খুব সাপোর্টিভ। শাশুড়ি নিজের মেয়ের মতোই দেখেন।”

মা নিতে এলেও যায়নি এখান থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা শেষে শাশুড়িই আবার বউকে নিয়ে যাবেন।

শাশুড়ি শুধু আত্মীয় না, মায়ের মতোও হতে পারেন।
ভালোবাসা থাকলে সম্পর্ক হয় সুন্দর।
[ Collected ]

25/06/2025

আজকাল মানুষের কাছে প্রচুর অপশান হয়ে গেছে। যেখানে মন টেকেনা সেখানে দু-পাঁচদিনের বেশি কেউই আটকে রাখতে পারেনা। জীবনে Better খুঁজতে খুঁজতে Nessecity-টাই হারিয়ে ফেলছি আমরা।

সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সামনের জনের “ভালোটা”কে আমরা যত সহজে গ্রহণ করি, “খারাপটা” ঠিক ততটাই দূরে সরিয়ে রাখি, অথচ ভালো-খারাপ মিলিয়েই একটা গোটা মানুষ।
“অ্যাডজাস্টমেন্ট” শব্দটা ন্যারো হতে হতে প্রায় বিলিন হয়ে যাচ্ছে,
কেউ চলে যাওয়ার পর আফসোস করে বলছি,
“ না রে! He/She was not my type .. ” অথচ আমরা তাকে কতটা বুঝতে পারলাম সেটাই বুঝলাম না।

মন কি চায় সেটাই জানিনা, ভীষণভাবে মুহূর্তে বাঁচি আমরা,,বরাবর নিজের পছন্দ-অপছন্দের একটা সার্টেন ক্রাইটেরিয়া ফিক্স করে ফেলি, যেটায় কেউ ফিট হলে থাকলো নয়তো টাটা বাইবাই।

একটা চুলের ক্লিপ, জিন্সের প্যান্ট, প্রিন্টেট টি-শার্ট কেনার জন্য জীবনে আপনাকে চুজি হতে হবে। চার-পাঁচটা দোকান ঘুরে দেখতে হবে কারন আপনিও জানেন প্রয়োজন ফুরোলেই সেসবের জায়গা হবে ওয়াড্রবে বা আলমারির কোনো একটা কোণায়। ফের নতুন কিছু।
কিন্তু একটা মানুষকে কি এভাবে বেছে নেওয়া যায়! অত বাচ-বিচার চলে?

তুমি হয়তো আজ ৩০ শতাংশ এফোর্ট দেবে আর আমি ৭০ শতাংশ । কাল আবার উল্টোটা হবে । আর এভাবেই আমরা রোজ রোজ মিলেমিশে ১০০ - তেই থেকে যাবো। এমনটা নয় কেন!

© Ayan Mukherjee Nil

তুমি এখনও তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছো না, কারণ তুমি অনেক বেশি কেয়ার করো!কে কী বলবে, কে কি মতামত দিবে, ব্যর্থ হলে কেমন অ...
24/06/2025

তুমি এখনও তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছো না, কারণ তুমি অনেক বেশি কেয়ার করো!
কে কী বলবে, কে কি মতামত দিবে, ব্যর্থ হলে কেমন অবস্থা হবে, কতটা লজ্জা পেতে হবে—এসব ভেবে তুমি এগোতেই পারো না।
কারণ, তুমি এখনো সহজ একটা আর্ট রপ্ত করো নাই— 'গুরুত্বহীন কিছুকে কেয়ার না করা'।

সমাজ তোমাকে এমনভাবে প্রোগ্রাম করেছে তুমি সবকিছুর ব্যাপারেই চিন্তিত হচ্ছো।
তুমি কেমন দেখতে, কেমন কথা বলো, মানুষ কী ভাববে—এসব নিয়ে তুমি সবসময় চিন্তিত।
অথচ এখন, ইন্টারনেটের এই স্বর্ণযুগে, যেখানে হাতের এক ক্লিকের নাগালে রয়েছে তোমার স্বপ্নের জীবন, সেখানেও তুমি অন্যদের ভয়েই পা বাড়াতে পারো না।

তুমি কল্পনা করো, এখনকার টিনএজাররা তাদের মা-বাবাকে রিটায়ারে পাঠাচ্ছে। আর, প্রাপ্তবয়স্করা এখনো নিজের স্বপ্ন পূরণে ভয় পায়!
তোমার পূর্বপুরুষরা যদি এই সময় দেখে যেত, তারা হয়তো তোমার মুখের ওপর থুতু দিত। কারণ, তোমার সামনে যা যা দরকার সব আছে, তবুও তুমি থেমে আছো শুধুমাত্র কিছু মানুষের কারণে—যারা ১০ বছর পরই তোমার জীবনে থাকবে না।

তুমি হয়তো ভাবছো—“আমি দুর্বল না। আমি আলাদা। আমি আমার স্বপ্নের পেছনে দৌড়াই কে কি বললো তার পাত্তা না দিয়েই।”
কিন্তু মনে মনে তুমি জানো, তুমি থেমে আছো। তুমি যদি সত্যিই সৎ হও তাহলে স্বীকার করতে পারবে যে, তুমি সর্বশক্তি দিয়ে কারো কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে তোমার স্বপ্নের পেছনে ছুটছো না।

আমি চাই তুমি একটা ব্যাপার গভীরভাবে বুঝো—এই মানুষগুলোর কেউই আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। যারা তোমাকে বিচার করছে, যারা তোমাকে ছোট করে দেখছে—তারা ১০ বছর পর তোমার জীবনের আশেপাশেও থাকবে না।
তুমি যদি ব্যর্থও হও, লজ্জা পাও, কিংবা জীবনে কিছু বড় ধাক্কা খাও—তবুও সেগুলোর কিছুই তোমার পরিবারকে সারাজীবনের জন্য সেটল করার সঙ্গে তুলনীয় না।

তাই আমি তোমাকে একটা টেকনিক শেখাতে চাই। এটা হলো– লেটার টু দ্যা ওল্ড ম্যান টেকনিক।

প্রতি কয়েক মাস অন্তর আমি আমার ৯০ বছর বয়সী নিজেকে একটা চিঠি লিখি—আমার সেই বৃদ্ধ ভার্সনটা যে আর কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না।
আমি তাকে শেয়ার করি—এই মুহূর্তে আমি কী করছি এবং তাকে জিজ্ঞেস করি, "তুমি কী মনে করো, আমি যে পথে হাঁটছি সেটা কেমন? আমি এই মুহূর্তে কী কী করছি যেগুলো তোমার জন্য কষ্ট ও আফসোসের কারণ হবে?"

তারপর আমি নিজেকে সেই বৃদ্ধর জায়গায় কল্পনা করি—যে হলো আমি নিজেই।

সে একটা কাঠের চেয়ারে বসে আছে। চারপাশে তার পরিবারের সদস্য, তার বংশধর। সে মামুলি কোনোকিছু নিয়ে মোটেই ভাবে না। তার ব্যর্থতাগুলো আর তাকে কষ্ট দেয় না। সে আর ছোটখাটো লজ্জা, ব্যর্থতা, বা কে কী বললো এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। যারা একসময় তাকে বিচার করেছিল, উপহাস করেছিল, তাকে ব্যর্থ মনে করেছিল—তাদের কেউই আর তার জীবনে নেই।

সে চিন্তা করছে সেই সময়গুলো নিয়ে—যখন সব সম্ভব ছিল, সে যেসব পদক্ষেপ নিতে পারত, কিন্তু সুযোগের মুখোমুখি হয়েও পিছিয়ে গিয়েছিল।

তার জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে, সে শুধু একটা জিনিস নিয়ে কষ্ট পায়—যেসব স্বপ্ন সে পূরণ করতে পারলো না শুধুমাত্র ভয় বা লজ্জার কারণে, চেষ্টা না করার কারণে, অন্যের মতামতের কারণে, তুচ্ছ অজুহাতের কারণে।

আমি তার চোখ দিয়ে দেখি, আর তার দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কাছে চিঠির উত্তর লিখি। আর যখন সে আমাকে চিঠি লেখে তখন সে সেসব উপদেশই দেয়—লিগ্যাসি ও ফ্যামিলির জন্য যেগুলোর গুরুত্ব আছে।

এই টেকনিক চরম কার্যকরী। কারণ, এটা তৎক্ষণাৎ তোমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় এবং তোমাকে বোল্ড একশন নিতে বাধ্য করে।
এখন প্রশ্ন হলো, তুমি কি এই টেকনিক একবার হলেও চেষ্টা করবে?
অবশ্যই নিজে ট্রাই করে না দেখে এটাকে ফালতু টেকনিক বোলো না। কোনো কিছুকে ইউজলেস বলার আগে সেটা নিজে করে দেখো।

আরেকটা কথা মনে রেখো—তোমার কেয়ারিং হলো এক ধরনের মেন্টাল কারেন্সি। তুমি যতবার কোনো কিছুকে কেয়ার করো, ততবার তুমি এটা খরচ করো।
বেশিরভাগ মানুষ এটাকে বেপরোয়া অপচয় করে এমন সব জিনিসে যেগুলোর কোনো গুরুত্ব নাই—সেলিব্রেটি বা ইনফ্লুয়েন্সারদের স্ক্যান্ডাল, এমন কোনো দেশের যুদ্ধ যেখানে তারা কখনো যায়ইনি, কোন প্রেসিডেন্ট কী টুইট করল ইত্যাদি। আর এসবের মধ্যে সবচেয়ে বাজে, সেটা হলো—অপরিচিত মানুষজন তাদের নিয়ে কী ভাবছে!

শ্রেষ্ঠ মানুষরা শুধুমাত্র অল্প কিছু জিনিস নিয়ে ভাবে। কারণ, তারা অনলাইনের সিগমা মেল সেজন্য নয়, তারা নিজের মেন্টাল এনার্জির মূল্য বুঝে।

তুমি তোমার মনোযোগকে টাকা হিসেবে ভাবো। এবার, যা কিছুতে তুমি কেয়ার দাও তা কি বিনিয়োগের উপযুক্ত? তুমি কি বিনিয়োগের রিটার্ন পাচ্ছো? নাকি তুমি তোমার এনার্জি অপচয় করছো?

আমি কোন ব্যাপারগুলো কেয়ার করি?
আমি আমার ফ্যামিলিকে কেয়ার করি।
আমার লক্ষ্য ও আমার লিগ্যাসিকে কেয়ার করি।
আর, আমি আল্লাহকে কেয়ার করি।

আমি আর অন্য কিছুকে কেয়ার করি না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে না।
লেটেস্ট স্পোর্টস গেম, জিটিএ সিক্স-কে না।
বা এন্ড্রু টেট ওর ফ্যানগুলোর সাথে ক্রিপ্টো স্ক্যাম করলো তা নিয়ে না।
কোথায় কোন দেশে যুদ্ধ লাগলো তা নিয়েও না।

আমি এইসব বাইরের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে পারিনা, কারণ এগুলো আমাকে কোনো উপকার করে না।
আর ঠিক এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই তোমাকেও বিষয়গুলো দেখতে হবে।
তোমার মনোযোগই হলো কারেন্সি, তাই সেটা বুঝে-শুনে খরচ করো।

তুমি যখন গুরুত্বহীন বিষয়কে কেয়ার করা বন্ধ করে দাও, তখন তোমার জীবন হালকা হয়ে যাবে—কারণ তুমি আর অপ্রয়োজনীয় বোঝা বয়ে চলছো না, তোমার মন পরিষ্কার ও শার্প হয়ে উঠবে, আর তোমার এনার্জি ফুল থাকবে।
এই এনার্জিই তোমাকে ম্যাগনেটিক করে তোলে—মানুষ টের পায়, তুমি ফোকাসড।

মনে রেখো, কিছু মানুষ নৈতিকতার ভান করবে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে; বুঝাবে যেন তারা যুদ্ধ বা সাম্প্রতিক যেকোনো বিশ্ব সংকট সম্পর্কে কেয়ার করে।
আর তুমি সতর্ক না হলে, তারা তোমাকেও তাদের এনার্জি ক্ষয়ের মধ্যে টেনে নিয়ে যাবে। তারা তাদের এনার্জি নিঃশেষ করে, তোমারও করতে চায়।

তারা হয়তো তোমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে, এমনভাবে বলবে, যেন তুমি কেয়ার না করায় তুমি একটা খারাপ মানুষ।
কিন্তু ব্যাপারটা এত হালকা নয়—এটা হলো তুমি কোথায় তোমার এনার্জি ব্যয় করবে, তা নির্ধারণের বিষয়।

তাই, তুমি কেয়ার না করায় কেউ যদি তোমার ওপর দোষ চাপায় সেটা তারই সমস্যা। তুমি তাদের অনুভূতির জন্য দায়ী না। কেউ যদি তাদের কন্ট্রোলের বাইরে এমন কিছুর পেছনে এনার্জি নষ্ট করতে চায়, সেটা ওদের সিদ্ধান্ত।

তুমি এসব হালকাপনায় লিপ্ত হয়ো না। কারো অনুভূতির দায় তোমার না। তারা যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তাতে যদি টাইম নষ্ট করতে চায়, করুক। তুমি তোমার এনার্জি বাঁচাও।

তোমার টাইম ও এনার্জি অমূল্য, একবার চলে গেলে আর ফেরত আসবে না।
তাই, আর ১ সেকেন্ডও তোমার কোনো উপকারে আসেনা এমন কিছুতে নষ্ট করার আগে সেই বৃদ্ধকে একটা চিঠি লেখো।
কারণ, যে মানুষটির আর অযথা টাইম ও এনার্জি খরচ করার সামর্থ্য নেই, সে-ই তোমাকে মনে করিয়ে দেবে—ওই সব বিষয় আসলে কতটাই না তুচ্ছ ছিল।

যেসব ব্যর্থতা, লজ্জা, ভয় এখন তোমার মনে হচ্ছে বিশাল, সেগুলোও তার কাছে তুচ্ছ।

তুমি জন্মেছো জয় করার জন্য, সৃষ্টির জন্য, নির্মাণের জন্য, সাহসীভাবে বাঁচার জন্য।
যখন তুমি অহেতুক, যেসব তোমার উপকার করেনা সেসব ব্যাপারকে পাত্তা দেয়া বন্ধ করবে, তখন বুঝবে—তোমার স্বপ্নের জীবন আসলে কখনই তোমার সাধ্যের বাইরে ছিলনা।
এটা শুধু তোমার দৃঢ় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল।
এটা শুধু অপেক্ষায় ছিল—কখন তুমি দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া বন্ধ করবে।

তাই, সাহস নিয়ে এগিয়ে চলো, নিঃসংকোচে বাঁচো এবং জগতে তোমার যা প্রাপ্য, তা বুঝে নাও।

Address

Siddhirganj

Telephone

+8801753551730

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মূর্খ? posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মূর্খ?:

Share