Manual for human beings

Manual for human beings Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Manual for human beings, Digital creator, Sirajganj.

Student of Physics
Teaches at Jagroto Somaj,,,
chandaikona vedik school,A divine touch Kernel.. ❤
আপনার ব্যক্তিত্ব এমন হওয়া উচিত যে, কেউ ভগবানকে নাও চিনতে পারে।।তবে আপনাকে চেনার মাধ্যমে সে ভগবানকে জানতে পারবে।।।
spriment with
CB

06/04/2025

🏹🚩 #মহা_রাম_নবমী🚩🏹
আজ ৬ এপ্রিল ২৫ইং || রবিবার

🌿🌼 #ভগবান_শ্রীরামচন্দ্রের_মহা_আবির্ভাব_তিথি🌼🌿

রাম নবমী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি। যারা মুক্তির কামনা করে তারা থেকে শুরু করে দেবতারা পর্যন্ত সকলে, এমন কি স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্র পর্যন্তও শ্রীরাম নবমী-ব্রত পরিত্যাগ করেন না। সুতরাং সকলে সর্বান্তঃকরনে এই রামনবমী-ব্রতের অনুষ্ঠান করে সকল পাপ হতে মুক্তি লাভ করতে পারেন।



🌿🌼 #শুভ_শ্রীরামনবমী_ব্রত🌼🌿

আসুন শ্রী শ্রী রাম নবমীর সাথে পরিচিত হই, ত্রেতা যোগে সূরুজনদীর তীরে কৌশল রাজ্যে অযোধ্যায় নগরে মহারাজ দশরথ ও মাতা কৌশল্যার গর্ভে ভগবান মর্যাদা পুরুষোত্তম সুযোগ্য শাসক শন্তির বাহক বীর যোদ্ধা ভক্তবৎসল রঘুকুল আলোকিত করে শ্রী শ্রীরামচন্দ্র রুপে এই ধরায় পাপীদের বিনাশ করতে আবির্ভূত হন।

🌿🌺সা চ চৈত্রশুক্লানবমী রামস্য জন্মতিথিঃ
চৈত্রে মাসি নবম্যান্তু জাতো রামঃ স্বয়ং হরিঃ।
পুনর্ব্বস্বৃক্ষ সংযুক্তা সা তিথিঃ সর্ব্বকামদা।।

🌿🌼 #অর্থ:- চৈত্র মাসের শুক্লা নবমী শ্রী শ্রী রাম চন্দ্রের জন্মতিথি,,,,পুনর্ব্বসুনক্ষত্র যুক্ত এই তিথিতে ভগবান রাম চন্দ্র জন্মগ্রহন করেছিলেন,,অতএব এই তিথিতে শ্রীরামের ব্রত করলে ধর্ম্ম-অর্থাদি লাভ ও অভীষ্ট সিদ্ধ হয়।


🏹🏹শ্রীরামের ধ্যান মন্ত্র🏹🏹
১/কোমলাঙ্গং বিশালাক্ষমিন্দ্রনীলসমপ্রভম্,
পীতাম্বরধরং ধ্যায়েৎ রামং সীতাসমন্বিতম্!!
২/দক্ষিণাংশে দশরথং পুত্রাবেক্ষণত্রপরম,
পৃষ্ঠতো লক্ষ্মণং দেবং সচ্ছত্রং কনকপ্রভম্!!
৩/পার্শ্বে ভরত-শত্রুঘ্নৌ তালবৃন্তকরাবুভৌ,
অগ্রে হনূমন্তং রামানুগ্রহকাঙ্ক্ষিণম্!!


🔥🔥দীপ প্রজ্জ্বলন মন্ত্র🔥🔥
শুভং করোতু কল্যাণম্,আরোগ্যং সুখ সম্পদাম্!
শত্রু বুদ্ধি বিনাশায় দীপজ্যোতিঃ নমোহস্তুতে।।
দীপজ্যোতিঃ পরমব্রক্ষ, দীপজ্যোতি জনার্দনঃ!
দীপোহরতু মে পাপং দীপজ্যোতিঃ নমোহস্তেঃ।।

🏹🏹শ্রীরামের প্রণাম মন্ত্র🏹🏹
রামায় রামচন্দ্রায় রামভদ্রায় বেধসে,
রঘুনাথায় নাথায় সীতায়াঃ পতয়ে নমঃ!!

🌿🌺সীতা মায়ের প্রণাম মন্ত্র🌺🌿
বন্দে রামহৃদম্ভোজ-প্রকাশাং জনকাত্মজাম্,
সত্রিবর্গ -পরমানন্দদায়িনীং ব্রক্ষরূপিণীম্!!

🌿🌺শুভ রাম নবমী উপলক্ষে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জানাই রাম নবমীর অগ্রীম প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

জয় শ্রী রাম🏹

31/03/2025
হরে কৃষ্ণ 🙏সবাইকে বৈদিক নববর্ষের শুভেচ্ছা। এখন অনেকেই ভাবছেন বৈদিক নববর্ষ আবার কী?বৈদিক কাল গণনা, বছর গণনা কীভাবে হতো? এ...
30/03/2025

হরে কৃষ্ণ 🙏

সবাইকে বৈদিক নববর্ষের শুভেচ্ছা। এখন অনেকেই ভাবছেন বৈদিক নববর্ষ আবার কী?বৈদিক কাল গণনা, বছর গণনা কীভাবে হতো? এগুলোই আজকের আলোচ্য বিষয়।

বৈদিক বর্ষের প্রথম মাস ছিল মধু অর্থাৎ চৈত্র। চৈত্র থেকে শুরু হত বসন্ত ঋতু এবং নতুন বছর। বর্তমান ভারতীয় ক্যালেন্ডারেও চৈত্র থেকেই নতুন বছর আরম্ভ হয়। প্রচলিত ভারতীয় ক্যালেন্ডারে সম্বৎ বা বর্ষ গণনা প্রারম্ভ হয় সাধারণত রাজা বিক্রমাদিত্যের সময় থেকে, যখন তিনি মধ্য এশীয় যাযাবর শক (Scythian) জাতির হাত থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করেন। এজন্য তা "বিক্রম সম্বৎ" বলে বিখ্যাত।

কিন্তু বিক্রম সম্বৎ ও মূলত বৈদিক বর্ষপঞ্জির সংস্করণ মাত্র।

প্রথমেই আমরা দেখি বৈদিক মতে বারো মাসের নামঃ

উ॒প॒য়া॒মগৃ॑হীতোঽসি॒ মধ্॑বে ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি॒ মাধ্॑বায়্ ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি শু॒ক্রায়্॑ ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি॒ শুচ্॑য়ে ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি॒ নভ্॑সে ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি নভ্॒স্যায়্ ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসী॒ষে ত্বো॑পয়া॒মগৃ॑হীতোঽস্যূ॒র্জে ত্বো॑পয়া॒মগৃ॑হীতোঽসি॒ সহ্॑সে ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি সহ্॒স্যায়্ ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি॒ তপ্॑সে ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽসি তপ্॒স্যায়্ ত্বোপ্যা॒মগৃ॑হীতোঽস্যꣳহসস্প্॒তয়ে॑ ত্বা॥
(যজুর্বেদ ৭।৩০)

উপর্যুক্ত মন্ত্র থেকে বারো মাসের নাম পাওয়া যাচ্ছে শুরু থেকে, মধু, মাধব, শুক্র, শুচি, নভ, নভস্য, ঈষ, ঊর্জ, সহ, সহস্য, তপ এবং তপস্য।

মন্ত্রটির মূল ভাবার্থঃ নির্বাচিত যথোপযুক্ত রাজাকে শাসক হিসেবে সম্বৎসরের জন্য ( বারো মাসের জন্য) গ্রহণ [মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী]

কাঠক সংহিতাতেও আমরা বারো মাসের ও ষড়ঋতুর নাম পাই।

"মধুশ্চ মাধবশ্চ বাসন্তিকা ঋতূ শুক্রশ্চ শুচিশ্চ গ্রৈষ্মা ঋতূ নভশ্চ নভস্যশ্চ বার্ষিকা ঋতূ ঈষশ্চোর্জশ্চ শারদা ঋতূ সহশ্চ সহস্যশ্চ হৈমন্তিকা ঋতূ তপশ্চ তপস্যশ্চ শৈশিরা ঋতূ।"
[কাঠক সংহিতা ৩৫।৯]

মধু + মাধব = বসন্ত
শুক্র + শুচি = গ্রীষ্ম
নভ + নভস্য = বর্ষা
ঈষ + ঊর্জ = শরৎ
সহ + সহস্য = হেমন্ত
তপ + তপস্য = শিশির (শীত)

এবার আসি বৈদিক ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে। আমরা জানি ক্যালেন্ডার প্রধানত দুই ধরনের হয়, সৌর বর্ষ ও চান্দ্র বর্ষ। সৌরবর্ষের উদাহরণ গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি। চান্দ্র বর্ষের উদাহরণ হিজরি বর্ষপঞ্জি। উভয় প্রকার বর্ষপঞ্জিরই সুবিধা ও অসুবিধা আছে।

সূর্য ভিত্তিক পদ্ধতিতে বছর ঠিকভাবে গণনা করা যায়, ঋতুচক্র, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, চাষাবাদ, পশুপালন ইত্যাদি সবই সৌরবর্ষ অনুযায়ী করা সম্ভব। কিন্তু সৌরবর্ষের মাস গণনার পদ্ধতির কোনো মানদণ্ড নেই। অর্থাৎ সৌরবর্ষ অনুযায়ী কোন মাসের কত তারিখ, কোন মাস কত দিনে হবে এ ব্যাপারে কোনো জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ধারণা নেই। কাজেই আমরা দেখি গ্রেগরিয়ান বছর বা বাংলা বছরে একেক মাস একেক সংখ্যক দিনের হয়।

আবার চন্দ্রভিত্তিক বর্ষপঞ্জিতে চাঁদের হ্রাসবৃদ্ধি দিয়ে সহজেই আমরা মাস গণনা করতে পারি। কিন্তু এমন বর্ষপঞ্জি দিয়ে আমরা বছর গণনা করতে পারি না, ঋতুচক্রের ধারণাও সম্ভব না। কারণ চান্দ্র প্রতি বছরে ৩৫৪ দিন হয় ফলে প্রতি বছর ১১ দিন করে ছোট হয়ে যায়‌, যার ফলে ৪-৫ বছর পরে গিয়েই ঋতুচক্রের সাথে আর সেই ক্যালেন্ডারের মেলেনা। তাই এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চাষাবাদ, পশুপালন ইত্যাদি সম্ভব নয়।

তাহলে আদর্শ ক্যালেন্ডার এমন হওয়া উচিত যাতে, উভয় ভিত্তিক ক্যালেন্ডারের সুবিধাগুলো আছে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি, আদর্শ ক্যালেন্ডারে মাসগণনা হবে চন্দ্রভিত্তিক এবং বছর গণনা হবে সূর্যভিত্তিক। একেই Luni-Solar Calendar বলে। তাহলে এরকম ক্যালেন্ডারে মাস ও বছর কী করে গণনা করা হত? আমরা এখন‌ তাই দেখব।

দ্বাদশারং ন হি তজ্জরায় ববর্তি চক্রং পরিদ্যা মৃতস্য।
আ পুত্রা অগ্নে মিথুনাসো অত্র সপ্ত শতানি বিংশতি শ্চ তন্তুঃ ।।
(ঋগ্বেদ ১।১৬৪।১১)

বঙ্গানুবাদঃ সত্য স্বরূপ কালের সম্বৎসর চক্র আকাশের চারদিকে পরিভ্রমণ করছে। তাহাতে দ্বাদশ অর আছে, তা কখনও জীর্ণ হয় না। হে পরমাত্না! তোমার রচনা অদ্ভুত! এই চক্রে সংযোগ দ্বারা উৎপন্ন ৩৬০ দিন ও ৩৬০ রাত্রি ৭২০ পুত্রের ন্যায় বেষ্টন করে অবস্থান করছে।

দ্বাদশ প্রধয়শ্চক্রমেকং ত্রীণি নভ্যানি ক উ তচ্চিকেত। তন্মিসাকং ত্রিশতা ন শঙ্কবোহপিতাঃ ষষ্ঠির্ন চলাচনাসঃ।।
(ঋগ্বেদ ১।১৬৪।৪৮)

বঙ্গানুবাদঃ এই বর্ষচক্রে দ্বাদশ মাস অরের ন্যায় (চাকার spoke) আবর্তন করে। এর কেন্দ্র স্থলে গ্রীষ্ম বর্ষা-শীত এই তিন ঋতু আছে। এই তত্ত্বকে কে জানে! এই বর্ষচক্রে ৩৬০ দিন কীলকের ন্যায় স্থাপিত। এর ব্যতিক্রম ঘটে না।

উপর্যুক্ত মন্ত্রদ্বয়ে হয়তো মনে হতে পারে বৈদিক কালগণনা আধুনিক বর্ষগণনার পরিপন্থী। কিন্তু বৈদিক পদ্ধতিতে প্রতি মাস ৩০ দিন করে দ্বাদশ মাস প্রচলিত ছিল স্বাভাবিক বৎসরে। একইসাথে প্রতি ৫ বৎসর পর পর একটি করে অতিরিক্ত মাস যোগ করা হত, যার ফলে গড়ে ৩৬৬ দিনে ১ বৎসর হতো।

বেদ মাসো ধৃতব্রত দ্বাদশ প্রজাবতঃ। বেদ য় উপজ্ঞায়তে। (ঋগ্বেদ ১।২৫।৮)
অনুবাদঃ যিনি ধৃতব্রত হয়ে স্ব স্ব ফলোৎপাদী দ্বাদশ মাস জানেন, তিনি ত্রয়োদশ মাস উৎপন্ন হয়, এ তথ্যও বিদিত আছেন। ( অর্থাৎ ১ টি অতিরিক্ত ১৩তম মাসের কথা বলা হচ্ছে)।

বর্তমান হিন্দু ক্যালেন্ডারেও পুরুষোত্তম মাস বলে অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় যাকে আমরা মল মাস বলে চিনি।

এরপরেও প্রতি চল্লিশ বছর পর পর একটি করে অতিরিক্ত মাস বর্জন করা হত, যার ফলে ৩৬৫.২৫ দিনে এক বৎসর হত। এই পরিত্যক্ত মাস মার্তণ্ড নামে পরিচিত ছিল।

অর্থাৎ ৪০ বছর timeline এ দেখলে
৩০*১২ = ৩৬০ দিন
এবং ৩৬০×৪০= ১৪৪০০ দিন

অতিরিক্ত মাস প্রতি ৫ বছরে ১টি অর্থাৎ ৪০ বছরে ৮টি

অতিরিক্ত দিন ৮×৩০=২৪০ দিন
পরিত্যক্ত মাস ১ টি অর্থাৎ
পরিত্যক্ত দিন ৩০ দিন

অতএব ৪০ বছরে মোট দিন সংখ্যা ১৪৪০০+২৪০-৩০ = ১৪৬১০।

তাহলে প্রতি বছরে দিন সংখ্যা দাঁড়ায়
১৪৬১০÷৪০ = ৩৬৫.২৫ দিন যা কাঁটায় কাঁটায় আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবীর একবার ঘূর্ণনের সময়কালের সমান।

অর্থাৎ কী অপূর্বভাবেই না বৈদিক যুগেও নিখুঁতভাবে বর্ষ গণনা করা হতো!

সূত্রঃ ঋগ্বেদ, মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী
যজুর্বেদ, মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী
বেদসার, পণ্ডিত দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রী

বাংলাদেশ অগ্নিবীর

কৃষ্ণনামে কেন রুচি হয়না?শ্রীল_ভক্তিবিনোদ_ঠাকুর তার "ভজনরহস্য" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন―চারটি কারণে নামে রুচি আসেনা -:১) তত্...
24/03/2025

কৃষ্ণনামে কেন রুচি হয়না?

শ্রীল_ভক্তিবিনোদ_ঠাকুর তার "ভজনরহস্য" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন―

চারটি কারণে নামে রুচি আসেনা -:
১) তত্ত্ববিভ্রম :-
ভগবান সম্বন্ধে সঠিক তত্ত্ব উপলব্ধি না করে আত্নকেন্দ্রীক জীবনযাপন করা।

২) অসৎতৃষ্ণা :-
খারাপআসক্তি―
ক) জড়জাগতিক আসক্তি
খ) জড়জগৎ থেকে মুক্তি পাওয়ার আসক্তি।

৩) হৃদয়দুর্বল্য :-
হৃদয়ে অহংকারভাব,
হিংসামনোভাব,
প্রতরাণাভাব,
অন্যের ভুল দর্শন করা
―যেগুলো হৃদয়কে দুর্বল করে দেয়।

৪) অপরাধ :-
নামঅপরাধ,
ধামঅপরাধ,
সর্বপ্রধান বৈষ্ণবঅপরাধ।

এই চারটি প্রবণতা যার মধ্যে বর্তমান তিনি নামে রুচি লাভ করতে পারেন না।

তাই সকলের উচিত কপটতাবিহীন হয়ে নিরপরাধে সরলচিত্তে হরিনাম জপ করা।

"" হরে কৃষ্ণ ""

শ্রী রঘুনাথ দাস গোস্বামীর হরিনাম জপে একাগ্রতা কাহিনীঃ --- শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু  ও  স্বরূপ দামোদর গোস্বামীর অন্তর্ধানের প...
22/03/2025

শ্রী রঘুনাথ দাস গোস্বামীর হরিনাম জপে একাগ্রতা কাহিনীঃ ---

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ও স্বরূপ দামোদর গোস্বামীর অন্তর্ধানের পর শ্রী রঘুনাথ দাস গোস্বামী নীলাচল থেকে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মনোভিলাষ পূরণে
শ্রীল রূপ গোস্বামী এবং শ্রীল সনাতন গোস্বামীর
সঙ্গী হওয়ার জন্য শ্রীবৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

শ্রী রঘুনাথ দাস একাদিক্রমে ১৬ বছর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন।
তাই শ্রীল রূপ গোস্বামী এবং শ্রীল সনাতন গোস্বামী দুই ভাই তাকে সস্নেহে প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর লীলারস কীর্তন করতে বললেন।

শ্রী রঘুনাথ দাসের বৈরাগ্য অপরিসীম।
এতটাই হরি নাম জপে নিমগ্ন থাকতেন যে ,
নিজের জন্য একটি ভজন কুটির নির্মাণ করার
চিন্তাও তার চিত্তে কখনো উদিত হতো না।

একদিন শ্রী রঘুনাথ দাস রাধাকুন্ডের তীরে বসে রাধাকৃষ্ণ প্রেমে নিমগ্ন হয়ে হরিনাম জপ করছিলেন।
সে সময় কয়েকটি বাঘ জলপান করতে সেখানে এলো। শ্রীল সনাতন গোস্বামী দূর থেকে তখন দেখতে পেলেন , শ্রীরঘুনাথ দাসের পাহাড়ার দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সেজন্য বাঘ শ্রী রঘুনাথ দাসের
কোন ক্ষতি করতে পারছেনা ।

আরেকদিন শ্রীরঘুনাথ দাস তপ্ত রৌদ্রের মধ্যে রাধাকুন্ডের তীরে বসে এক মনে এক ধ্যানে
হরি নাম জপ করছিলেন।
শ্রীল সনাতন গোস্বামী দূর থেকে দেখলেন,
স্বয়ং রাধারানী ঘর্মাক্ত কলেবরে নিজের দিব্য আচল টেনে শ্রীরঘুনাথ দাসকে প্রচন্ড তপ্ত রৌদ্র থেকে রক্ষা করছেন।

শ্রীল সনাতন গোস্বামী শ্রী রঘুনাথ দাসকে ডেকে তিরস্কার করে বললেন : " তুমি রাধামাধবের কাছ থেকে আর কতো সেবা গ্রহণ করবে ?
কেন তুমি একটি ভজন কুটির নির্মাণ করছো না ?"

শ্রীরঘুনাথ দাস সব শুনে অত্যন্ত দুঃখ পেলেন এবং নিজের জন্য ভজন কুটির নির্মাণ করতে সকলের সাহায্য চাইলেন ।

শ্রীবাস তও্ব শ্রীবাসপন্ডিতং নৌমি গৌরাঙ্গপ্রিয় পাষর্দং যস্য  কৃপালবেনাপি গৌরাঙ্গে জায়তে রতিঃ।। শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূর প্র...
22/03/2025

শ্রীবাস তও্ব

শ্রীবাসপন্ডিতং নৌমি গৌরাঙ্গপ্রিয় পাষর্দং
যস্য কৃপালবেনাপি গৌরাঙ্গে জায়তে রতিঃ।।

শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভূর প্রিয় পাষর্দ শ্রীল শ্রীবাস পন্ডিত প্রভূকে সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি, যাঁর কৃপাকণা মাত্র লাভ হলে হৃদয়ে শ্রীগৌরাঙ্গের প্রতি প্রেম জাগরিত হয়।

শ্রী বা সৌভাগ্য লক্ষ্মী যাঁর কাছে বাস করেন তিনিই শ্রীবাসতও্ব। শুদ্ধ ভক্তি যেখানে ভাগ্যশ্রী সেখানে। ভগবান সেখানে। ভাগ্যবান ব্যক্তিই ভগবানের ভক্ত হন।
গৌরগণোদ্দেশ দীপিকা ৯০শ্লোকে কবি কনর্পুর উল্লেখ করেছেন ---
শ্রীবাস পন্ডিত ধীমান্ যঃ পুরা নারদো মুনিঃ।
শ্রীকৃষ্ণলীলায় যিনি নারদমুনি, তিনিই শ্রীগৌরলীলায় শ্রীবাস পন্ডিত।
ধীমান, কথাটির হল ভক্তিতে একনিষ্ঠ বুদ্ধি।
শ্রীনারদমুনি সারা ব্রম্মান্ডে কৃষ্ণনাম কীর্তন করে পরিভ্রমন করেন। তিনিই ভগবানের শুদ্ধ ভক্ত। সবর্শাস্ত্রে যত ভক্ত দেখা যায় ধ্রুব-প্রহ্লাদাদি, সকলেই শ্রীনারদমুনির কৃপাপ্রাপ্ত।
শ্রীনারদমুনির কৃপাগুনে তাঁর শিষ্য শ্রীব্যাসদেব লিখিত শ্রীমদ্ভাগবত শাস্ত্র আমাদের মতো বদ্ধ জীবদের হাতে পৌঁছায়। তিনি ভাগবত পরম্পরার গুরু। শ্রী ব্রহ্মার হৃদয় থেকে নারদমুনির জন্ম।
শ্রীনারদমুনি সবর্দা কৃষ্ণলীলা দশর্ন করেন। কৃষ্ণনামানন্দে সর্বদা উৎফুল্ল। তিনি সর্ব দুঃখ ক্লেশ গ্লানির ঊর্ধ্বে বিরাজিত। তিনিই কৃপাদৃষ্টি প্রদান করে সংসারক্লিষ্ট জীবদের উদ্ধারের জন্য কৃষ্ণ ভক্তি প্রচার করেন।
শ্রীনারদ মুনি ভগবানের শক্ত্যাবেশ অবতার হলেও জীবতত্ত্ব। তিনি বিষ্ণুতত্ব নন। পরমেশ্বর ভগবানের সমস্ত লীলাকে পরিপুষ্ট করা ও লীলাকে বৈচিত্র্য আনাই তার কাজ। শ্রীবাস পন্ডিতের গৃহে প্রতি রাতে শ্রীগৌরহরি ও নিত্যানন্দ প্রভূ অন্যান্য ভক্তসঙ্গে হরিনাম সংকীর্তন করতে থাকেন। শ্রীবাস পন্ডিতের সারা পরিবারই কৃষ্ণনামে মেতে থাকেন। কৃষ্ণভক্তিতে একনিষ্ঠ বুদ্ধি শ্রীবাস ঠাকুর সবাইকে কৃষ্ণনাম সংকীর্তনে উদ্বুদ্ধ করেন৷ এভাবে কৃষ্ণভক্তি অনুশীলনে ভগবানের নিত্য মঙ্গলময় আর্শীবাদ লাভ করা যায়। শ্রীবাস পন্ডিতের মতো শুদ্ধ ভক্তের গৃহেই ভগবান নাম সংকীর্তন নৃত্য ও মহাপ্রকাশ লীলা প্রর্দশন করেন।

"স্টিফেন হকিং বিখ্যাতভাবে বলেছিলেন, 'ঈশ্বর নেই।' কিন্তু ভগবদ্গীতা (7.15) আমাদের মনে করিয়ে দেয়: 🙇🙏🕉️ 'न मां दुष्कृतिनो ...
07/03/2025

"স্টিফেন হকিং বিখ্যাতভাবে বলেছিলেন, 'ঈশ্বর নেই।'
কিন্তু ভগবদ্গীতা (7.15) আমাদের মনে করিয়ে দেয়:
🙇🙏🕉️
'न मां दुष्कृतिनो मूढाः प्रपद्यन्ते नराधमाः।
मायापहृतज्ञाना आसुरं भावमाश्रिताः ॥'
🙇🙏🕉️
'যাহারা ভ্রান্ত, দুষ্ট, এবং যাহাদের জ্ঞান ভ্রম দ্বারা চুরি করা হয়, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে না; তারা পৈশাচিক প্রকৃতির অনুসরণ করে।'
🙇🙏🕉️
জীবন ও মৃত্যুর চক্র অনিবার্য, এবং কেউই ঐশ্বরিক সত্যের বাইরে নয়। পরমেশ্বর ভগবান কৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করুন এবং তাঁর কাছে নিজেকে উৎসর্গ করুন। একমাত্র তাঁর কৃপাতেই কেউ

Address

Sirajganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Manual for human beings posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Manual for human beings:

Share