Bijoyer Alo

Bijoyer Alo বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের খবরের সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য বিজয়ের আলো বাংলা নিউজ দেখুন।

Bangladeshi online Bijoyer Alo Newspaper page ; this Newspaper is only for online.

08/08/2024
বাবা হলেন ব্যাচেলর পয়েন্টের ‘হাবু ভাই’ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা চাষী আলম। যিনি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের হাবু ভাই চরি...
11/07/2024

বাবা হলেন ব্যাচেলর পয়েন্টের ‘হাবু ভাই’

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা চাষী আলম। যিনি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের হাবু ভাই চরিত্রে বেশি পরিচিত। পারিবারিক আয়োজনেই গত বছরের ২৫ আগস্ট বিয়ে করেন এ অভিনেতা।

বুধবার রাতে এ দম্পতির কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে চাষী আলম বলেন, ‘আমি ছেলের বাবা হয়েছি। ছেলে ও তার মা সুস্থ রয়েছেন। আর ছেলের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। আকিকা দিয়েই তার নাম রাখা হবে।’

এ অভিনেতা জানান, গত রাতে একটি হাসপাতালে তার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। সব ঠিক থাকলে হাসপাতাল থেকে শিগগিরই বাসায় যেতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি দোয়া চেয়েছেন।

অভিনেতার স্ত্রী তুলতুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, চাষী তার পুত্রসন্তানকে হাতে নিয়ে আছেন। ক্যাপশনে তুলতুল লিখেছেন, সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের ভালোবাসার প্রতীক জুনিয়র চাষীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন।

সন্তানের মুখ দেখে প্রথম কী অনুভূতি হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে চাষী আলম বলেন, ‘এটা নতুন অনুভূতি। ওই সময়ে মানসিকভাবে চিন্তায় ছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। ছেলের দিকে অনেক সময় তাকিয়ে ছিলাম। আল্লাহ আমাদের সন্তান দিয়েছেন। এটাই সবার আগে শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটক দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পান চাষী আলম। এরপর নিয়মিত বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। সবশেষ গত ঈদে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত দুটি নাটক ‘কিডনি’ ও ‘ফিমেল-৩’ বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে।

গাজীপুরে কাঁঠাল পাড়া নিয়ে মেয়েকে গলা কেটে হত্যা  গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মেয়েকে কুপিয়ে ও গলা কেটে ...
11/07/2024

গাজীপুরে কাঁঠাল পাড়া নিয়ে মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মেয়েকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে বাবা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত স্মৃতি আক্তার (২৬) ধরপাড়া গ্রামের সাইফুদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সাইফুদ্দিন (৬০) পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত স্মৃতি আক্তার অভিযুক্ত সাইফুদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে কয়েক বছর আগে স্মৃতির মা সালমা আক্তারকে তালাক দেন সাইফুদ্দিন। তবে সালমা আক্তারের বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে এনে দেওয়া পাঁচ লাখ টাকা এবং কাবিনের টাকা না পাওয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল তাদের মধ্যে। এ নিয়ে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ করে সমাধানের চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত সাইফুদ্দিন এর আগেও কয়েকবার তার মেয়ে স্মৃতিকে হত্যার চেষ্টা করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্মৃতির বাড়ির পাশের গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়তে গেলে বাবা ও সৎ মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্মৃতি আক্তারের। একপর্যায়ে সাইফুদ্দিন কাঁঠাল পাড়তে আনা দা দিয়ে গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্মৃতিকে হত্যা করেন।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সাইফুদ্দিন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কোটা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রীজনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আমরাও চাই কোটার বিষয়টি সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হয়ে ...
11/07/2024

কোটা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আমরাও চাই কোটার বিষয়টি সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হয়ে যাক।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

কোটা সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে কিনা- জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সবকিছুই সম্ভব যদি এখানে আদালতের বিষয় না থাকতো। আদালতের বিষয় আদালতে সমাধান হোক। এই সমাধানের পর যদি আরও কিছু আলোচনা করতে হয়, সেটি আলোচনা করার জন্য আমরা সবসময়...(প্রস্তুত)।

তিনি বলেন, দেশের কল্যাণে, আমাদের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, আমাদের সন্তানদের কল্যাণ যা করা লাগে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, তারা ভালো আইনজীবী নিয়ে যদি আদালতে যান, তাহলে সেটার সমাধান হবে। আমি মনে করি, কোটার সংস্কার থাকার দরকার, যেটা এরইমধ্যে আমরা বলেছি। আমাদের মেয়েরা যেভাবে পিছিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বিষয়টি সংবিধান খুব সুন্দরভাবে দেখছেন। নারী-পুরুষের কাজের সমতা যাতে থাকে, এটার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের সমাজব্যবস্থাকে সুন্দর করতে পারব।

মন্ত্রী বলেন, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন, তাদের কথাগুলো থাকবে। সব সমন্বয় করে সেখান (আদালত) থেকে সমাধান হবে। আপনাদের একটা পরিসংখ্যান দিচ্ছি। ৪০তম বিসিএসে সতের জেলা থেকে পুলিশে ছেলে-মেয়ে কেউই সুযোগ পায়নি। ৫৯টি জেলা থেকে মেয়েদের কেউই সুযোগ পাননি। বিষয়টি হচ্ছে, কোটা বিষয়ে আলোচনার ভিত্তিতে যৌক্তিক আলোচনা হতে পারে। কোটা কতটুকু থাকবে, সেটা আলোচনা হতে পারে।

তিনি বলেন, কোটাবিরোধীরা যখন আদালতে যাবেন, তাদের যুক্তি যখন আদালত শুনবেন, তাদের বোনদের কী হবে, জেলা কোটার কী হবে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা পোষ্যদের জন্য কী হবে, সেটা বিস্তারিত আলোচনা হলে সমাধান সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, রাস্তা-ট্রেন অবরোধ হওয়ার কারণে আমাদের খাবারের সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে। এতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের বেশি দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে। তার বাবা অফিসে যেতে পারছেন না, ছোট ভাইটি স্কুলে যাতে পারছেন না। সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে। এতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কাজেই এটা নির্বাহী বিভাগের সমাধান না, এটা করবে আদালত ও বিচারবিভাগ।

একটা পক্ষ না থাকায় অন্যপক্ষের কথা আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন, নির্বাহী বিভাগের অনেক নির্দেশনা আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে। সংবিধানও সেই অনুমোদন দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বলব, কারও মাধ্যমে প্ররোচিত হবেন না। একদল লোক আছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়, বলেন তিনি।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর বুধবার (১০ জুলাই) চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সিলেটে কোটি টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ৫সিলেটে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিবোঝাই ছয়টি ট্রাক আটক করেছে সিলেট মে...
11/07/2024

সিলেটে কোটি টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ৫

সিলেটে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিবোঝাই ছয়টি ট্রাক আটক করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে শাহপরান থানা এলাকা থেকে ট্রাকগুলো আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

তিনি আরও বলেন, আটককৃত চিনির পরিমাণ, আটককৃতদের নাম-ঠিকানাসহ সকল তথ্য পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে ঘুষ নেওয়া হাইকোর্টের ২ কর্মচারী গ্রেপ্তারবিচারপতির নাম ভাঙিয়ে ঘুষ গ্রহণ করায় হাইকোর্টের দুই কর্মচার...
11/07/2024

বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে ঘুষ নেওয়া হাইকোর্টের ২ কর্মচারী গ্রেপ্তার

বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে ঘুষ গ্রহণ করায় হাইকোর্টের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে আবদুর রশিদ (৩৮) ও হাফিজুর রহমান (৩৪) নামের হাইকোর্টের ওই দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের অফিস সহায়ক (পিয়ন) আব্দুর রশিদ ও রেজিস্টার জেনারেলের অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) হাফিজ মামলার বিবাদীর থেকে নয় লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

বিষয়টি বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের নজরে এলে বেঞ্চ অফিসার সুজিত কুমার বিশ্বাসকে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের কর্মকর্তারাই সন্ধ্যার পর অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের নির্দেশক্রমে বেঞ্চ অফিসার সুজিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ওসি সেজে ফোন, প্রতারক চক্রের ফাঁদে প্রধান শিক্ষকসরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নতুন ...
11/07/2024

ওসি সেজে ফোন, প্রতারক চক্রের ফাঁদে প্রধান শিক্ষক

সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নতুন ফাঁদ পেতেছে এক প্রতারক চক্র। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মোবাইল কলেই হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এবার পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীসহ প্রতারক চক্রের ফোন পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রথমে প্রতারক চক্র মোবাইলে বিকাশ মেসেজ পাঠায়। এর কিছুক্ষণ পর ফোন দেয়। ফোনে পরিচয় দেয় তিনি থানার ওসি। কথা শুরু করেন বেতন স্কেল ও গ্রেড নিয়ে। বলার ধরন খুব ভাবগম্ভীর। কথার ফাঁকেই বলেন, ‘আপনার নাম্বারে ভুল করে বিকাশে ২০ হাজার টাকা চলে গেছে। এ টাকা পুলিশের এসপিকে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুল করে আপনার নাম্বারে চলে গেছে।’ ফোন পাওয়া ব্যক্তি সেটা চেক করতে চাইলে সেটার সুযোগ দেন না প্রতারকরা। ফোনে রেখেই তার স্কুলের সহকারী শিক্ষককে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। প্রশাসনকে সহযোগিতা না করলে বাড়ি থেকে তুলে নিতে হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন তারা। মোবাইলে প্রতারকদের এমন কথাবার্তায় ভয় পেয়ে অনেকেই বিকাশে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তেঁতুলিয়ার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী প্রধান শিক্ষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভুক্তভোগী প্রাথমিক শিক্ষক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোবাইলে কল আসলে ফোন রিসিভ করি। ফোনে তিনি থানা পুলিশের ওসি পরিচয় দেন। প্রথমে তিনি আমার বেতন স্কেলের গ্রেড জানতে চান। গ্রেড ১০ বললে তিনি নিজেকে গ্রেড পঞ্চম বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরে বলেন আপনার বিকাশ নাম্বারে ভুল করে ২০ হাজার টাকা চলে গেছে। আমি পুলিশ সুপার (এসপির) সামনে বসে আছি। এ টাকা এসপিকে দেওয়ার কথা ছিল। ভুলক্রমে আপনার নাম্বারে চলে গেছে। এক্ষুণি একটা নাম্বার দিচ্ছি, সেটা পাঠিয়ে দিন। মেসেজ চেক করতে চাইলে ফোন কাটতে নিষেধ করেন। প্রশাসনকে সহযোগিতা না করলে তার লোক দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে আনার হুমকি দেন। ভয়ে বাধ্য হয়েই তাদের দেওয়া নাম্বারে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে জানতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

একই ভুল করতে যাচ্ছিলেন উপজলোর সদর ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন নামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অব.)। তিনি জানান, সোমবার দুপুরে গোসল করতে যাচ্ছিলাম। ওই সময় ফোনটা বেজে উঠলে কল রিসিভ করি। ওপাশ থেকে তিনি বলছেন, ‘থানার ওসি বলছি। আপনার গ্রেড কত? বললাম-১০ম গ্রেড। আমার ৫ম গ্রেড। একজন ৫ম গ্রেড অফিসারের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় এটি জানেন না। আপনার মধ্যে ভদ্রতার কোনো ছিটেফোঁটা নেই।’ কথা শুনে চিন্তায় পড়ে গেলাম। ওসি আমাকে ফোন দিয়েছেন। কি কারণে ফোন দিয়েছেন এটিই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আর তেঁতুলিয়া থানার ওসি হিন্দু, উনাকে সালাম দেব না আদাব দিব তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে সালাম না দেওয়ায় মহাশয় আমার উপর খুবই ক্ষেপেছেন।

নেটওয়ার্ক সমস্যা বলে আমাকে তিনি বাইরে ফাঁকা জায়গায় যেতে বলেন। আমার ফোন ও লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে বলে জানায়। যদি প্রশাসনকে সহযোগিতা না করি তাহলে নাকি আমাকে তার লোক দিয়ে তুলে নিয়ে যাবে। ওই ব্যক্তি বলেন, এসপি সাহেবের কাছে পাঠানো টাকা নম্বর ভুলের কারণে আপনার ফোনে চলে গেছে। আপনি মেসেজ পেয়েছেন? আপনার নাম্বারে ভুল করে ২০ হাজার চলে গেছে। এসপি স্যার আমার সামনে বসা। আমি যা বলব তা আগে শুনবেন। আপনি এখন বিকাশের দোকানে যাবেন। আমি নম্বর দেব ওই নম্বরে ২০ হাজার পাঠিয়ে দোকানদারের শেষ দুটো নম্বর আমাকে জনাবেন। জ্বি-আচ্ছা বলে বাজারের বিকাশের দোকানে গেলাম। বাজারের বিকাশ এজেন্ট বিপ্লব জানালেন এটা হ্যাকারের নাম্বার। টাকা পাঠাবেন না। গতকাল এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

আলমগীর হোসেন বলেন, তারা ফোনে এমনভাবে কথা বলছেন ভয় পাওয়ার মতো। ফোন কাটতেও দেয় না। বিষয়টি নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছি। শুনেছি তেঁতুলিয়ার অনেক শিক্ষককে এভাবে ভুয়া মেসেজ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারকচক্র। এরকম অভিযোগ আরও বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের। তারা বিষয়টি থানা পুলিশের মাধ্যমে এ প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ওই নাম্বারে লোকেশন ট্র্যাক করলে দেখা যায় এটি বগুড়ায়। তবে এখানকার মানুষদের সচেতন হতে হবে। কেন তারা এভাবে টাকা দিয়ে দেবে। পুলিশ তো এভাবে ফোন করে না। তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য থানায় ফোন করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ধরনের প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ডি মারিয়াকে আরও কিছুদিন দলে চান স্কালোনিটুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের কোপা শেষেই আর্জেন্টিনার জার্সিকে...
10/07/2024

ডি মারিয়াকে আরও কিছুদিন দলে চান স্কালোনি

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের কোপা শেষেই আর্জেন্টিনার জার্সিকে বিদায় বলবেন তিনি। কানাডাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপার ফাইনালে ওঠার পর ডি মারিয়া আবারও জানিয়ে দিয়েছেন, ফাইনালটাই হবে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর্জেন্টিনা সমর্থকের মতো কোচ লিওনেল স্কালোনিও অবশ্য সহজে ডি মারিয়ার বিদায় মেনে নিতে পারছেন না। ম্যাচ শেষে তাই স্কালোনি বলেছেন, আরও কিছুদিন তাকে দলে দেখতে চান তিনি।

বয়স এখন ৩৬। সবদিক বিবেচনা করে ডি মারিয়া তাই জাতীয় দলকে বিদায় বলার সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন আগেই। এবারের কোপার পর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে তাকে আর দেখা যাবে না, সেটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। আজকের সেমির পর ডি মারিয়া বলেছেন, ফাইনালের ফলাফল যাই হোক তিনি বিদায়ের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবেন।

স্কালোনি অবশ্য চান ডি মারিয়া এখনই অবসরে না যান, ‘ডি মারিয়ার অনুভূতি কেমন সেটা আপনারা সবাই জানেন। আমি তাকে প্রয়োজনের আগে অবসরে দেখতে চাই না। আমরা আসলে তাকে বেশি বিষাদের মাঝে রাখতে চাই না। তাকে খেলতে দিতে চাই। এরপর দেখা যাক সে আমাদের সাথে আরও কিছুদিন থাকতে রাজি হবে কিনা। আপাতত তাকে উপভোগ করতে দেওয়া উচিত সময়টা।’

ডি মারিয়ার মতো ঘোষণা না দিলেও ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির বার্তাও আভাস দিয়েছে অবসরের। স্কালোনি বলছেন, আর্জেন্টিনা দলে মেসির দরজা কখনোই বন্ধ হবে না, ‘লিওর ব্যাপারটাও ডি মারিয়ার মতো। তাকেও খেলতে দিতে হবে। দলে তার দরজার কখনোই বন্ধ হবে না। সে যতদিন চায় আমাদের সাথে থাকবে। সে যদি অবসরও নেয়, এসে আমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবে। এটাই দারুণ হবে।’

একযোগে আন্দোলনে রাবি-রুয়েট, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের একদফা ...
10/07/2024

একযোগে আন্দোলনে রাবি-রুয়েট, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের একদফা দাবিতে একযোগে মহাসড়ক অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টায় নগরীর চৌদ্দ পাইয়ের বিহাস বাইপাস মোড় অবরোধ করেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টায় প্যারিস রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা সোয়া ১২টায় রুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যুক্ত হয় রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। পরে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী নগরীর চৌদ্দ পাইয়ের বিহাস বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া তীব্র জট সৃষ্টি হয়।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হবে অবসান’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে আন্দোলন মুখরিত করে এবং এইসব স্লোগান সম্বলিত লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করে।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান গাজী মহারাজ বলেন, ‘আদিবাসীরাও অনেক এগিয়ে গেছে। তারাও অনেক ভালো ভালো চাকরি করছে। আমরা কোনোভাবেই তাদের অনগ্রসর জাতি বলতে পারি না। আবার মেয়েদের অনগ্রসর বলা হচ্ছে। তারা কেন এটা বলে যে, আমার মাথায় আসে না। আমরা আগামী দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামব।’

আন্দোলনে অবস্থান নেওয়া রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল মামুন বলেন, ‘আমরা এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই। আমরা চাই যারা মেধাবী তারা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায়। তারা যেন তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিজেদের প্রমাণ করতে পারে। কোটার কারণে মেধাবীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোটা পুনর্বহাল রাখা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন।’

আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ডালি বলেন, ‘কোটা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রাখা যেতে পারে এবং সেটা আইনের ভিত্তিতে যারা অনগ্রসর তাদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে শুধু মুক্তিযোদ্ধা এবং তার সন্তানেরা কোটা পাবে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো নাতি-নাতনি কোটা সুবিধা নিতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ আমাদের দাবি মেনে না নিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাস্তায় আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

উল্লেখ্য, এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও বর্তমানে সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। চলমান এই আন্দোলনে বিগত দিনগুলোতে একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ এবং সেইসঙ্গে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।’

ফার্মগেটের অবরোধ তুলে নিল শিক্ষার্থীরানতুন ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সকাল সন্ধ্যা স...
10/07/2024

ফার্মগেটের অবরোধ তুলে নিল শিক্ষার্থীরা

নতুন ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সকাল সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ফার্মগেট অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পড়ে ৪টা ৫০ মিনিটে ব্লকেড কর্মসূচি শেষে খুলে দেওয়া হয় ফার্মগেটের সড়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্লকেড কর্মসূচি শেষ হতেই ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। ফলে আটকে থাকা অসংখ্য যানবাহন ফের চলাচল শুরু করে।

সড়কে কর্মরত এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৫টার কিছু সময় আগে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করেছেন। যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আমরা ট্রাফিক স্বাভাবিক করার কাজ করছি।

গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্য দূর করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবির আন্দোলন করেন।

এদিন ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হতে দেখা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ, চানখারপুল, বাটা সিগন্যাল, মৎস্য ভবন, মিন্টু রোড, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলা মোটর পেরিয়ে কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট অবরোধ করেন।

সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী এদিন দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে এবং রেলপথও তারা অবরোধ করেন।

গতকাল বিকেল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আজকের সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা দেওয়া হয়।

জুনে সড়কে নিহত ৮০১, বেশি মোটসাইকেল দুর্ঘটনায়ঢাকা: জুন মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮০১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন তিন হাজ...
10/07/2024

জুনে সড়কে নিহত ৮০১, বেশি মোটসাইকেল দুর্ঘটনায়

ঢাকা: জুন মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮০১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন তিন হাজার ২৬৭ জন। মোট ৫৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও পঙ্গু হাসপাতাল থেকে নেওয়া সূত্র থেকে এ তথ্য তুলে ধরেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (১০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, জুন মাসে রেলপথে ৪৬টি দুর্ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন নয়জন। নৌ-পথে নয়টি দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু, সাতজন আহত ও নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৮৫৫ প্রাণ। আহত হয়েছেন তিন হাজার ২৮৩ জন।

সংগঠনটি বলছে, জুনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। মাসজুড়ে ২১৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২২ জন নিহত ও এক হাজার ৯৩ জন আহত হয়েছেন—যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শতকরা হিসাবে নিহত হয়েছেন ৩৮ দশমিক এক শতাংশ ও আহতের ৩৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুন মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৩৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ২১৪ জন আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন।

এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিংয়ের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) সড়ক দুঘটনায় আহত ২১৩৯ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জুন মাসে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমতে ৫৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৪ জন নিহত ও ১১২৮ জন আহত হয়েছেন। অপর দিকে, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী এইমাসে ২১৩৯ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত বা পা ভেঙে ভর্তি রোগী ৯২২ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর ১৫ শতাংশ হাসপাতালে অথবা বাসায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। সেই হিসেবে জুন মাসে ৮০১ জন নিহত ও ৩২৬৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৩ জন চালক, ৮১ জন পথচারী, ২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ২৯ জন শিক্ষার্থী, ০৫ জন শিক্ষক, ৯৯ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ০১ জন সাংবাদিক, ০২ জন মুক্তিযোদ্ধা, ০১ জন আইনজীবী, এবং ০৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ১ জন পুলিশ সদস্য, ১ সেনাবাহিনী সদস্য, ১ জন আনসার সদস্য, ২ জন মুক্তিযোদ্ধা, ৯৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৭৭ জন পথচারী, ৭০ জন নারী, ৪৬ জন শিশু, ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫ জন শিক্ষক, ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮৫১ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে।

এতে দেখা যায়, ২৭.২৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৭৯ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩.৩৯ শতাংশ বাস, ১৫.২৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫.৮৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭.৫২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৭.৮৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫২.৪২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.৯৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১.৭৯ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৮৯ শতাংশ, এবং ০.৫৩ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জুন মাসে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমতে ৫৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৪ জন নিহত ও ১১২৮ জন আহত হয়েছেন। অপর দিকে, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী এইমাসে ২১৩৯ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত বা পা ভেঙে ভর্তি রোগী ৯২২ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর ১৫ শতাংশ হাসপাতালে অথবা বাসায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। সেই হিসেবে জুন মাসে ৮০১ জন নিহত ও ৩২৬৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৩ জন চালক, ৮১ জন পথচারী, ২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ২৯ জন শিক্ষার্থী, ০৫ জন শিক্ষক, ৯৯ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ০১ জন সাংবাদিক, ০২ জন মুক্তিযোদ্ধা, ০১ জন আইনজীবী, এবং ০৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ১ জন পুলিশ সদস্য, ১ সেনাবাহিনী সদস্য, ১ জন আনসার সদস্য, ২ জন মুক্তিযোদ্ধা, ৯৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৭৭ জন পথচারী, ৭০ জন নারী, ৪৬ জন শিশু, ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫ জন শিক্ষক, ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮৫১ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে।

এতে দেখা যায়, ২৭.২৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৭৯ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩.৩৯ শতাংশ বাস, ১৫.২৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫.৮৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭.৫২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৭.৮৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫২.৪২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.৯৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১.৭৯ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৮৯ শতাংশ, এবং ০.৫৩ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৮.২৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১.০৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৪.২৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৮৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.০৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৫৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ: দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো,জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুঘটনায় পতিত হয়েছে, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে দায়ী করা হয়।

দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ: এরমধ্যে রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা, মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা, সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা, উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

শাহবাগে ডাস্টবিনে কাপড়ে মোড়ানো ছিল নবজাতকের মরদেহরাজধানীর শাহবাগে এক বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে থাকা ডাস্টবিন...
10/07/2024

শাহবাগে ডাস্টবিনে কাপড়ে মোড়ানো ছিল নবজাতকের মরদেহ

রাজধানীর শাহবাগে এক বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে থাকা ডাস্টবিন থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় কন্যা নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ১ দিন।

বুধবার (১০ জুলাই) পরে বেলা তিনটার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, দুপুরের দিকে আমরা খবর পেয়ে পলাশীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের সামনের ডাস্টবিন থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আমরা তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে আসি। ওই কন্যা নবজাতকের বয়স আনুমানিক ১ দিন।

তিনি আরও বলেন, কে বা কারা ওই নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে গেছে সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Address

Kazipur Thana
Sirajganj
6710

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bijoyer Alo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share