সংবিধানের পোস্টমর্টেম

সংবিধানের পোস্টমর্টেম সংবিধান সংস্কারের ব্যাপারে কমিশন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো যেসব প্রস্তাব করেছে, নিরপেক্ষতাভাবে সেইসব প্রস্তাবগুলোর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গ্রন্থে।

20/02/2025

সংবিধানের পোস্টমর্টেম গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
বিস্তারিত কমেন্টের নিউজে।

সংবিধানের পোস্টমর্টেম বইটি কার কাজে লাগবে? (১) নীতি-নির্ধারক: আমাদের সংস্কারকৃত সংবিধান কেমন হবে, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ...
15/02/2025

সংবিধানের পোস্টমর্টেম বইটি কার কাজে লাগবে?

(১) নীতি-নির্ধারক: আমাদের সংস্কারকৃত সংবিধান কেমন হবে, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যারা ভূমিকা রাখবেন, তাদের সকলেরই এই গ্রন্থটি কাজে লাগবে। কারণ, এই গ্রন্থে সংবিধান সংস্কারের যে প্রতিটি প্রস্তাব আছে, প্রত্যেকটির পক্ষে ও বিপক্ষের সব যুক্তি একত্রে সাজানো আছে। বিবদমান যুক্তিগুলো থেকে যৌক্তিক উপায়ে কীভাবে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসা যায়, সেই ব্যাপারে অনেকগুলো করে ফর্মুলা আছে। এই জিনিসগুলোর একত্র সমাহার তাই নীতি-নির্ধারক মহলকে নীতি নির্ধারণে অবশ্যই সহায়তা করবে।

(২) রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী: সংবিধান সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। এই গ্রন্থটির বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা এবং যুক্তিরাশি রাজনৈতিক নেতাগণকে স্ব-স্ব রাজনৈতিক দলের পক্ষে বাস্তবসম্মত যুক্তি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। সকল দলের নেতাকর্মীকেই এই গ্রন্থটির যুক্তিরাশি সহায়তা করবে। বিভিন্ন দলের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া সৃষ্টিতেও এই গ্রন্থ কাজে লাগবে।

(৩) চাকরি প্রার্থী: বিসিএস ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার লিখিত ও ভাইভায় এই গ্রন্থটি ব্যাপক সহায়তা করবে। যারা বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা ও নির্বাচন অধ্যায়গুলো হতে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে। গণঅভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংস্কার বিষয়ে রচনাও আসতে পারে বাংলা বা ইংরেজিতে। ভাইভায়ও এই ধরণের প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় এরকম প্রশ্ন আসতে পারে। সুতরাং, এই বইটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

(৪) রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক: যারা বাংলাদেশের সংবিধান, সংস্কার, এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের গবেষণাকর্ম, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনায়; এবং বক্তব্য, টিভি-টকশো, সেমিনার ও আলোচনায় গুরুত্ববহ যুক্তি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।

(৫) শিক্ষক-শিক্ষার্থী: বইটি আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণকে প্রভূত সহায়তা করবে।

(৬) অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও উন্নয়নকর্মী: যারা দেশের পরিবর্তনমূলক আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে আগ্রহী, সামাজিক সংগঠনের কর্মী, ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় লেখালেখি করেন, তাঁদের চিন্তার খোড়াক যোগাবে এই গ্রন্থটি।

(৭) সচেতন পাঠক: যারা বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতি ও সংবিধানের পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন সাধারণ নাগরিক।

(৮) জনগণ: আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তার পথনির্দেশ করবে সংবিধান। সুতরাং, নতুন সংবিধান কেমন হবে, সেইটা এই দেশের সকল জনগণের স্বার্থের বিষয়। এই কারণে, জনগণের বিপুল সংখ্যক মানুষ সংবিধান নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, নতুন সংবিধান গ্রহণে একটি গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এমন কোনো আয়োজন হয়, সেক্ষেত্রেও জনমনে সংবিধান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, এই গ্রন্থটির জনগণের সকল অংশে ব্যাপক আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম।

সংবিধানের পোস্টমর্টেম বইটি সম্পর্কে আরো জানতে কমেন্টে প্রদত্ত লিঙ্কগুলো দেখুন।

13/02/2025

গ্রন্থটিতে কী আছে? – সংবিধানের পোস্টমর্টেম

সংবিধান কেবল আইনগত দলিল নয়, এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। সময়ের প্রয়োজনে যখন পরিবর্তনের দাবি ওঠে, তখন প্রশ্ন ওঠে—এ পরিবর্তন কতটা যুক্তিসঙ্গত? কতটা প্রয়োজনীয়? আর কোথায় টানতে হবে সীমারেখা? এই গ্রন্থ সেই প্রশ্নগুলোর গভীরে প্রবেশ করে, সংবিধানের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে, সব পক্ষের প্রস্তাবগুলোর যৌক্তিকতা বিচার করে।

বইটির বিষয়বস্তু:

১⃣ সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া – সংবিধানের পরিবর্তন কি জরুরি? যদি হয়, তবে তার পথ কী হবে? ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ব্যক্তিদের চিন্তা ও প্রস্তাবনাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

2️⃣ ক্ষমতার ভারসাম্য – রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা উচিত নাকি এককেন্দ্রিকতা? কোন কাঠামো গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী? বিভিন্ন মতামতের ভিত্তিতে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে।

3️⃣ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার – ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা রক্ষা, সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া গড়ে তোলা—এসব নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ কী ভাবছে? কার প্রস্তাব কতটা গ্রহণযোগ্য?

4️⃣ রাষ্ট্রের নাম, ধরণ ও রাষ্ট্রধর্ম – আমাদের রাষ্ট্রের নাম, কাঠামো ও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। একে সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া দরকার কি না, তা নিয়ে উঠে এসেছে নানা মতামত ও বিশ্লেষণ।

5️⃣ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি – সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা—এই নীতিগুলো কি অপরিবর্তনীয়, নাকি সময়ের পরিবর্তনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন? বিতর্ক ও বাস্তবতা যাচাই করা হয়েছে।

6️⃣ মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা – সংবিধান নাগরিকদের কতটা সুরক্ষা দিতে পারে? মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোথায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?

7️⃣ সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া – সংবিধানের পরিবর্তনই কি সমাধান, নাকি তার প্রয়োগ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বইটি গভীর বিশ্লেষণে নেমেছে।

এই গ্রন্থ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এটি শুধু তথ্যের বই নয়, এটি একটি চিন্তার জগৎ। এখানে নেই কোনো একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত, বরং রয়েছে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির মেলবন্ধন। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগাবে, যুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ, একটি সংবিধান কেবল একটি বইয়ের পৃষ্ঠা নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ—যা সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকতে হবে।

written by Mowrin Azad

12/02/2025
সংবিধানের পোস্টমর্টেম বলতে শুধু একটি নথির অবসান বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া নয়—এটি আমাদের সংগ্রাম, স্বপ্ন, এবং ব্যথার এক ম...
12/02/2025

সংবিধানের পোস্টমর্টেম বলতে শুধু একটি নথির অবসান বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া নয়—এটি আমাদের সংগ্রাম, স্বপ্ন, এবং ব্যথার এক মর্মস্পর্শী প্রতিচ্ছবি। মনে করুন, একসময় আমাদের সমাজে যে সংবিধানটি উদ্দীপ্ত করেছিল স্বাধীনতা, ন্যায়, এবং সাম্যের দীপশিখা, আজ তা যেন হারিয়ে গেছে সেই পুরোনো সুরভির মতো, যা একসময় আমাদের জীবনে আশার বার্তা এনে দিত।

অতীতে, যখন প্রতিটি শ্বাসে অনুভব করতাম সেই অঙ্গীকারের তাপ, তখন আমাদের হৃদয় একাকার হয়ে উঠতো বিশ্বাসের সুরে। সংবিধান ছিলো আমাদের আদর্শ, সংগ্রামের গান, আর ভবিষ্যতের স্বপ্নের জোয়ার। কিন্তু সময়ের বদলে যাওয়ার সাথে সাথে, সেই আদর্শও যেন নিজেকে প্রশ্নে ফেলতে শুরু করলো—কি কি ভুল, কি কি ব্যর্থতা আমাদেরকে এমন এক মোড়ে নিয়ে এসেছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টায় আমরা যেন এক অবিরাম পোস্টমর্টেমে নিমগ্ন।

আজ, যখন আমরা সেই নথির অবশিষ্টাংশের দিকে তাকাই, মনে পড়ে যায় কিভাবে একসময় তাতে সমাপ্ত হতো আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা। সেই পাতাগুলোতে লুকিয়ে ছিলো আমাদের সংগ্রামের অগ্নিশিখা, কিন্তু আজ তারা যেন ধূসর ছায়ার মতো, যেগুলোকে স্মৃতি আর ব্যথার মধ্য দিয়ে খোঁজে বের করা হচ্ছে। প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি ধারা যেন একেকটি হারানো দিনের সাক্ষী, যেখানে আমাদের স্বপ্নগুলো বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিলো সমাজের কড়া বাস্তবতার সামনে।

এই পোস্টমর্টেম আমাদের শুধু অতীতের ত্রুটিগুলো দেখায় না; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে পরিবর্তনের আহ্বান লুকিয়ে আছে। হয়তো আজকের এই মর্মান্তিক চিত্রাবলী আমাদের বিষণ্ণ করে, কিন্তু তাতে লুকিয়ে আছে এক গভীর শিক্ষা—ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, নতুন করে সৃষ্টির প্রেরণা। আমাদের উচিত সেই পুরোনো আদর্শকে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করা, যাতে ভবিষ্যতে একটি এমন সংবিধান গড়ে তোলা যায় যা মানুষের আশায়, ন্যায়ে, আর মানবতায় অনুপ্রাণিত করে।

এই সংবিধানের পোস্টমর্টেম আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অতীতের ব্যথা ও ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে, আগামী দিনের জন্য নতুন স্বপ্ন রচনা করা কতটা জরুরি। হয়তো আজ আমরা হারিয়ে ফেলেছি সেই সঠিক পথচলা, কিন্তু সেই হারিয়ে যাওয়া দিনের প্রতিচ্ছবি আমাদেরকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করতে পারে—একটি নতুন সূর্যোদয়ের আশায়, যেখানে সংবিধান শুধু কাগজের নথি নয়, বরং আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিফলিত হবে ন্যায়, স্বাধীনতা, এবং সাম্যের সত্য।

গ্রন্থটিতে কী আছে? – সংবিধানের পোস্টমর্টেমসংবিধান কেবল আইনগত দলিল নয়, এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। সময়ের প্রয়ো...
12/02/2025

গ্রন্থটিতে কী আছে? – সংবিধানের পোস্টমর্টেম

সংবিধান কেবল আইনগত দলিল নয়, এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। সময়ের প্রয়োজনে যখন পরিবর্তনের দাবি ওঠে, তখন প্রশ্ন ওঠে—এ পরিবর্তন কতটা যুক্তিসঙ্গত? কতটা প্রয়োজনীয়? আর কোথায় টানতে হবে সীমারেখা? এই গ্রন্থ সেই প্রশ্নগুলোর গভীরে প্রবেশ করে, সংবিধানের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে, সব পক্ষের প্রস্তাবগুলোর যৌক্তিকতা বিচার করে।

বইটির বিষয়বস্তু:

১⃣ সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া – সংবিধানের পরিবর্তন কি জরুরি? যদি হয়, তবে তার পথ কী হবে? ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ব্যক্তিদের চিন্তা ও প্রস্তাবনাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

2️⃣ ক্ষমতার ভারসাম্য – রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা উচিত নাকি এককেন্দ্রিকতা? কোন কাঠামো গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী? বিভিন্ন মতামতের ভিত্তিতে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে।

3️⃣ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার – ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা রক্ষা, সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া গড়ে তোলা—এসব নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ কী ভাবছে? কার প্রস্তাব কতটা গ্রহণযোগ্য?

4️⃣ রাষ্ট্রের নাম, ধরণ ও রাষ্ট্রধর্ম – আমাদের রাষ্ট্রের নাম, কাঠামো ও রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। একে সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া দরকার কি না, তা নিয়ে উঠে এসেছে নানা মতামত ও বিশ্লেষণ।

5️⃣ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি – সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা—এই নীতিগুলো কি অপরিবর্তনীয়, নাকি সময়ের পরিবর্তনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন? বিতর্ক ও বাস্তবতা যাচাই করা হয়েছে।

6️⃣ মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা – সংবিধান নাগরিকদের কতটা সুরক্ষা দিতে পারে? মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোথায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া উচিত?

7️⃣ সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া – সংবিধানের পরিবর্তনই কি সমাধান, নাকি তার প্রয়োগ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বইটি গভীর বিশ্লেষণে নেমেছে।

এই গ্রন্থ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এটি শুধু তথ্যের বই নয়, এটি একটি চিন্তার জগৎ। এখানে নেই কোনো একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত, বরং রয়েছে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির মেলবন্ধন। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগাবে, যুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ, একটি সংবিধান কেবল একটি বইয়ের পৃষ্ঠা নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ—যা সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকতে হবে।

পোস্টটি লিখেছেন: গ্রন্থটির অন্যতম গবেষণা সহযোগী Mowrin Binte Taher

03/02/2025

বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায়
স্বরে প্রকাশনীতে (১৩৩-১৩৪ নম্বর স্টল) আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে পাওয়া বইটি যাবে।

03/02/2025

‘সংবিধানের পোস্টমর্টেম’ বইতে কী কী আছে, সেটা আপনারা জানতে চেয়েছেন। এখানে মোটা দাগে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর আছে:

(১) সংবিধান পুনর্লিখন নাকি সংশোধন কোনটা দরকার? কেন দরকার? কী কী উপায়ে সেটা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে?
(২) রাষ্ট্রপতির নির্বাচনপদ্ধতি, মেয়াদ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিবর্তন নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন দল ও বিশেষজ্ঞগণ যেসব প্রস্তাব করেছে, সেই প্রস্তাবগুলোর কোনটার কী সুবিধা ও কী অসুবিধা? বিভিন্নপক্ষের বিবদমান প্রস্তাবগুলোর সমন্বয় করে কীভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুরাহায় আসা যেতে পারে?
(৩) প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনপদ্ধতি, মেয়াদ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিবর্তন নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন দল ও বিশেষজ্ঞগণ যেসব প্রস্তাব করেছে, সেই প্রস্তাবগুলোর কোনটার কী সুবিধা ও কী অসুবিধা? বিভিন্নপক্ষের বিবদমান প্রস্তাবগুলোর সমন্বয় করে কীভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুরাহায় আসা যেতে পারে?
(৪) সংসদ সদস্য-পদে পদে নির্বাচনপদ্ধতি, মেয়াদ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব, ফ্লোরক্রসিং (অনুচ্ছেদ ৭০) পরিবর্তন নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন দল ও বিশেষজ্ঞগণ যেসব প্রস্তাব করেছে, সেই প্রস্তাবগুলোর কোনটার কী সুবিধা ও কী অসুবিধা? বিভিন্নপক্ষের বিবদমান প্রস্তাবগুলোর সমন্বয় করে কীভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুরাহায় আসা যেতে পারে?
(৫) স্থানীয় সরকারগুলোর গঠন, নির্বাচন, মেয়াদ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিবর্তন নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন দল ও বিশেষজ্ঞগণ যেসব প্রস্তাব করেছে, সেই প্রস্তাবগুলোর কোনটার কী সুবিধা ও কী অসুবিধা? বিভিন্নপক্ষের বিবদমান প্রস্তাবগুলোর সমন্বয় করে কীভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুরাহায় আসা যেতে পারে?
(৬) নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থার গঠন, নির্বাচন, মেয়াদ, ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিবর্তন নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন দল ও বিশেষজ্ঞগণ যেসব প্রস্তাব করেছে, সেই প্রস্তাবগুলোর কোনটার কী সুবিধা ও কী অসুবিধা? বিভিন্নপক্ষের বিবদমান প্রস্তাবগুলোর সমন্বয় করে কীভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুরাহায় আসা যেতে পারে?
(৭) প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রের নাম (নাগরিকতন্ত্র/ জনগণতন্ত্র/ প্রজাতন্ত্র), রাষ্ট্রের ধরণ (এককেন্দ্রিক বা যুক্তরাষ্ট্রীয়), রাষ্ট্রধর্ম, জাতির পিতা, রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি, নাগরিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার, সাংবিধানিক পদে নিরপেক্ষ নিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন দল ও বিশেষজ্ঞগণ যেসব প্রস্তাব করেছে, সেই প্রস্তাবগুলোর কোনটার কী সুবিধা ও কী অসুবিধা? বিভিন্নপক্ষের বিবদমান প্রস্তাবগুলোর সমন্বয় করে কীভাবে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুরাহায় আসা যেতে পারে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য গ্রন্থটিকে ১১টি অধ্যায়ে এবং প্রতিটি অধ্যায়কে অনেকগুলো পয়েন্ট, সাবপয়েন্টে ভাগ করা হয়েছে।
গ্রন্থটির ১ম অধ্যায়ে গবেষণার প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গ্রন্থটির ২য় অধ্যায়ে গ্রন্থটির গবেষণাপদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ৩-১১তম অধ্যায়ে সংবিধান সংস্কার-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাবাদির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণী অধ্যায়গুলোকে ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন পরিচ্ছেদে বিভক্ত করে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বিশ্লেষণী বিষয় নিম্নোক্ত ৩ ধরণের উপাদান নিয়ে গঠিত:
(১) সাহিত্য পর্যালোচনা: এই অংশে আছে:
(ক) বিদ্যমান সংবিধান সম্পর্কে গবেষক, বিশ্লেষক ও লেখকগণের সমালোচনা ও বিশ্লেষণী উদ্ধৃতি।
(খ) সংবিধান সংস্কারে বিভিন্ন গবেষক, বিশ্লেষক ও লেখকগণের পরামর্শ ও প্রস্তাবাদি।
(গ) সংবিধান সংস্কারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা ও প্রস্তাবাদি।
(ঘ) সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন কমিশনের সুপারিশ।
(২) জরিপ বিশ্লেষণ: সংবিধান সংস্কার-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নে জনগণের মতামত কেমন, তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২ দফা জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে, যার ফলাফল এই অংশে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
(৩) যৌক্তিক বিশ্লেষণ: সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের পরস্পর-বিরোধী প্রস্তাব ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এইসব বিবদমান বিষয়ের পক্ষে এবং বিপক্ষে বস্তুনিষ্ঠভাষায় যথোপযুক্ত নিরপেক্ষতাসহ যুক্তি সংযোজন করা হয়েছে এই অংশে। বিভিন্ন পক্ষের উপস্থাপিত সকল যুক্তি এবং ‘শেখার সংগ্রাম’ কর্মসূচির আলোচনায় প্রাপ্ত বিভিন্ন যুক্তিসমূহ পাশাপাশি রেখে একত্র করা হয়েছে। সবশেষে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিবদমান পরিস্থিতি হতে উদ্ধার পেতে সম্ভাব্য কিছু সমাধান সেট ও কিছু উদ্ভাবনী সমাধানের ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আর. জি. এ. উইলিয়ামস বর্ণিত ‘এলিমিনেটিং র‌্যাশনালাইজ্যাশন’ ও সেইজ হ্যান্ডবুক অব কোয়ালিট্যাটিভ ডেটা অ্যানালাইসিস-এ বর্ণিত বিভিন্ন কৌশলসমূহ অনুসরণ করা হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, সেইটার অনেকখানিই নির্ভর করবে: সংবিধানের ওপর। সুতরাং, সংবিধানের চূড়ান্ত সংস্কার হওয়ার আগেই এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া আমাদের প্রত্যেকের জরুরি। এই গ্রন্থটি আপনাদের সচেতন হতে অনেক অনেক বেশিই সহায়তা করবে।
এই বইটি বিশেষভাবে সহায়তা করবে চাকরি প্রার্থী ভাই ও বোনদেরকে। যারা বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা ও নির্বাচন অধ্যায়গুলো হতে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে। গণঅভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংস্কার বিষয়ে রচনাও আসতে পারে বাংলা বা ইংরেজিতে। ভাইভায়ও এই ধরণের প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় এরকম প্রশ্ন আসতে পারে। সুতরাং, এই বইটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রন্থটি প্রকাশিত হবে স্বরে 'অ' - Swore 'O' প্রকাশনী হতে।

আরো বিশদ জানতে চাইলে কমেন্টের লিঙ্ক হতে জানতে পারবেন।

Address

Salanga
Sirajganj
6721

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সংবিধানের পোস্টমর্টেম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share