13/09/2025
আমার মৃ/ত্যুর জন্য কেউ দায়ী না..
খুব পরিচিত একটা লাইন, অনেক Su❗cide নোটে পাওয়া যায়। কিন্তু সত্যি কেউ দায়ী না?
নাকি আসলে আমরা- পরিবার, বন্ধু, শিক্ষক, সহকর্মী অজান্তেই কোথাও দায়িত্বটা এড়িয়ে যাই?
প্রতিদিন পৃথিবীতে গড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ নিজের জীবন শেষ করছে।
সংখ্যাটা শুধু পরিসংখ্যান নয় এগুলো একেকটা ভাঙা স্বপ্ন, একেকটা অদৃশ্য যন্ত্রণা, একেকটা সম্পর্কের ফাটল, আর নীরব চিৎকার, যা হয়তো কেউ শুনতে চায়নি।
বাইরে থেকে স্বাভাবিক হাসি, ক্লাসের আড্ডা, অফিসের রুটিন বা সোশ্যাল মিডিয়ার রঙিন ছবি দেখালেও ভিতরে চলছিলো নিঃশব্দ এক যুদ্ধ।
একটা আত্ম/হ/ত্যা মানে শুধু একজনের মৃ/ত্যু নয়, তার সঙ্গে ভেঙে যায় অসংখ্য মন। বাবা-মায়ের বুক শূন্য হয়ে যায়, কখনো সন্তানের পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যায়, কিংবা প্রিয় মানুষটা নিঃশব্দে হারিয়ে যায়।
কেউ সারাজীবনের মতো হারিয়ে যাবার পরে অপরাধবোধ মনে হয় “আমি কি একটু খোঁজ নিতে পারতাম না?”
দায়িত্বটা কে নিবে, কীভাবে নিতে পারে?
📒 পরিবার: সন্তানের আচরণ বদল, নীরবতা বা অতিরিক্ত অস্থিরতা খেয়াল করা জরুরি। তাদের শোনা, সময় দেয়া এটাই হতে পারে সবচেয়ে বড় সাপোর্ট।
📒 শিক্ষক: শুধু পড়াশোনা নয়, শিক্ষার্থীর মানসিক পরিবর্তনগুলো দেখার দায়িত্বও তাদের। একটা “তুমি ঠিক আছো?” প্রশ্ন হয়তো বড় সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে।
📒 বন্ধু: হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা কষ্টটাকে বুঝতে চেষ্টা করা, প্রয়োজনে জোর করে হলেও পাশে বসা বন্ধুত্বের সত্যিকারের পরিচয় এটাই।
📒 সমাজ: কাউকে ছোট করা, অপমানিত বা কলঙ্কিত করা, এই বিষয়গুলোকে স্বাভাবিক না মনে করা, বরং খোলাখুলি আলোচনার জায়গা তৈরি করা দরকার।
📒 আর নিজে: নিজেকে একবার দেখুন, স্রষ্টার দেয়া সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে “নিজ প্রাণ”, আপনাকে বাঁচতে হবে আপনি হয়ে। বিপদ জীবনের অংশ, সাহায্য চাওয়া নিজেকে ভালবাসারই অংশ।
একটা ফোনকল, একটা সহানুভূতির হাত, বা নিঃশব্দে পাশে থাকা এই ছোট্ট ছোট্ট যত্নই কারো ভাঙা পৃথিবীতে আলো জ্বালাতে পারে, ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ককে নতুনভাবে আশা দেখাতে পারে।
আসুন আমরা শুধু সংখ্যার হিসাব না করে প্রতিটি কষ্টের পেছনের মানুষটাকে দেখি। প্রতিটা প্রাণের সাথে জড়িয়ে থাকে স্বপ্ন, আশা আর ভালোবাসায় ভরা একটা পুরো পৃথিবী।