24/01/2024
প্রসঙ্গ যখন শরিফ -শরিফা ।
প্রথমতো,
সন্মানিত শিক্ষকদের উদ্যেশ্যে বলছি, শিশু-কিশোর কে আপনারা কি শিখাচ্ছেন ?
একটা কিশোর সে কতটুকুই বা বুঝে??
এই বয়সে তারা ভুল করবে/ ভুল বুঝবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়??
আমরা স্কুলে আমাদের সন্তানদের কেন পাঠাই???
তাদের নিজেদের মনমানি করার জন্য কি ??
তারা যা খুশি তাই করতে পারবে কি ??
যদি তারা যা খুশি তাই করতে পারে, তাহলে
সমাজে সঠিক মানুষ হিসেবে মানুষ গড়ে তোলার দায়িত্ব কাদের ???
আমরা পড়েছি, স্কুল হলো একজন শিশুকে একজন সঠিক মানুষ করে গড়ে তোলার কারখানা। আর সেখানে যদি তারা তাদের মনমানি করতে পারে,গুরুমার কাছে যেতে পারে, তাহলে স্কুলে যাবার দরকার টা কি ?
যদি তাদের ইচ্ছেমতো যা খুশি করতে পারে তাহলে অনেকের তো মারামারি, চুরি, ছিনতাই, মাদকাসক্ত, অপরাধ করতে ভালো লাগে। সেগুলোকেও কি স্বীকৃত দেবেন ? তখনো কি বলবেন এগুলা তাদের অধিকার?
একজন ছেলে কে ছেলে, একজন মেয়ে কে মেয়ে করে গড়ে তোলার দায়িত্ব তাহলে কার ?
দ্বিতীয়ত,
হিজড়া , তাদের প্রতি অবশ্যই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সন্মান জানাই । কারণ হলো, তারাও মানুষ। তারাও অাল্লাহর সৃষ্টি । বায়োলজিকালি তাদের গড়ন ভিন্ন হলেও সমাজে সন্মানের সাথে বেচেঁ থাকার অধিকার আছে । কিন্তু, বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতজন হিজরা আছে তাদের মেডিক্যাল চেকাপ করিয়ে আলাদা করে সন্মাননা করা উচিত এবং জীবিকা নির্বাহ এর ব্যাবস্থা করে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি ।
কিন্তু, যারা ছেলে/মেয়ে হয়ে হিজড়া-র বেশ ধরে সমাজে ছোটছোট কোমলমতি শিশু কিশোরদের ব্রেইনওয়াশ করে তাদের গুরুমার সাথে পরিচয় করায় দিচ্ছে শুধুমাত্র তাদরে দলকে ভারী করার জন্য, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি অন্যাথায় তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যাবস্থা করুন। নয়তো সমাজ আর আর সমাজ থাকবে না ।তারা, তাদের দলকে ভারী করার জন্য যা খুশি তাই করতে পারে।
তৃতীয়ত, হলো বাবা মা, আপনারা কি এখনো চোখ কান বন্ধ করে বসে থাকবেন ?
এখনো কি প্রতিবাদ করবেন না ??
আপনার সন্তান সঠিক শিক্ষা টা পাচ্ছে তো ?
অবশ্য, এখানে কিছু বাবা মা কেও আমি দোষ দেব ? কারণ, এখনো কিছু বাবা মা আছেন তাদের কারো ছেলে চাই আবার কারো মেয়েই চাই। যদি তার বিপরীত হয় তাহলে ছেলে কে মেয়ে বা মেয়ে কে ছেলেদের মতো পোষাক পড়িয়ে নিজেদের শান্তনা দেবার চেষ্টা করে থাকেন । সেই মেয়ে/ছেলে যদি সত্যিই একসময় তাতে অভ্যস্ত হয়ে গুরুমার শরণাপন্ন হয় মেনে নিতে পারবেন তো ???
পারবেন??? নিজেদের ভুলের কারনে আপনার সন্তানকে ট্রানসজেন্ডার হয়ে যেতে দেখতে???
তাই, এখনো সময় আছে আপনার সন্তানকে জানুন, ছেলেকে ছেলে, মেয়ে কে মেয়ে করে গড়ে তুলুন।
শুধুমাত্র স্কুলে পাঠালেই আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না, তারা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কাদের সাথে মিশছে একটু খোজঁ রাখুন ।
তাইলেই না তারা মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে, তারা মানুষ হিসেবে গড়ে উঠলেই না একটা সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে।
সর্বোপরি, ধিক্কার জানাই বাংলাদেশের শিক্ষা-ব্যাবস্থা ।যেখানে শিশু কিশোরদের সঠিক শিক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিত করে তাদের মনমানি কে প্রাধান্য দেয়ার জন্য ।