11/10/2023
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৩ ভাই নিহত'
'সিআইডির প্রতিবেদন দাখিল, আসামিদের বিরুদ্ধে সমন'
ফেনী :
ফেনী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নাজির রোডের আনোয়ার উল্লাহ সড়কে নির্মাণাধীন রুহুল আমিন ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), ফেনী।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে শুনানি শেষে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশেকুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী সদর আমলী আদালতের পেশকার শাহনুর আলম শাহীন।
জানাযায়, ২০২২ সালের ২৬ জুলাই সকালে নাজির রোডের আনোয়ার উল্লাহ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- আব্দুর রহমান মুন্সি, নুরুল ইসলাম মুন্সী ও মনিরুজ্জামান মুন্সি। তারা তিনজন ভাই। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বলে জানা গেছে।
এই শ্রমিকরা নির্মাণাধীন বাড়িটির নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন এবং বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন ফেনীতে বৃষ্টি হওয়ায় তারা কাজে যায়নি এবং সেখানে ঘুমিয়েছিল। বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে গ্যাস জমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ভবনের নিচতলাসহ দ্বিতীয় তলার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় চারদিন পর (৩০জুলাই) ফেনী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলন -বামাস'র চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম নান্টু।
তিনি বলেন, ভোরের কাগজসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে বিষয়টি অবহেলাজনিত মৃত্যু ও ভবন নির্মানে ত্রুটি মনে হওয়ায় ভবন মালিক রুহুল আমিন ও তার ছেলে নাজমুস শাহাদাতকে আসামি করে মামলা দায়ের করি। নির্মাণাধীন ভবনটিতে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস অপসারিত হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না, ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সিআইডি ফেনীর পরিদর্শক শামছুল ইসলাম বলেন, সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিনজন নিহতের ঘটনা তদন্তে ভবন মালিকের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার সত্যতা মিলেছে।