29/09/2025
সবার অভীষ্ট লক্ষ্যই যেহেতু পরিচালকের পদে বসা, ‘যুদ্ধবিগ্রহে’ লিপ্ত হয়ে খামাখা অনিশ্চয়তা বাড়ানো কেন! তার চেয়ে কিছু ছাড় দিয়ে সমঝোতা করে নেওয়াই লাভজনক।
গত শুক্রবার সরকার ও বিএনপি–সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া দুটি আলোচনার পর সে রকম সমঝোতার দিকেই যাচ্ছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন।
এর পর থেকে ৬ অক্টোবরের নির্বাচন নিয়ে উত্তাপও বেশ কমে এসেছে। ‘আসন’ (পড়ুন পরিচালক পদ) ভাগাভাগিও নাকি মোটামুটি সারা।
সরকার-বিএনপি ‘আসন’ ভাগাভাগিতে বর্তমান বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলামই এখন পর্যন্ত ভবিষ্যৎ সভাপতি হিসেবে একমাত্র প্রার্থী বলে শোনা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক সঙ্গীসাথী ও বিএনপির সমর্থন নিয়ে মহাসমারোহে নির্বাচনের মাঠে নামা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের পক্ষ কিছুটা ব্যাকফুটে।
সমঝোতায় তামিমকে আপাতত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান করার পাশাপাশি সেন্টার অব এক্সিলেন্স গঠনের দায়িত্ব দিয়ে তাঁর স্বপ্নপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও গুঞ্জন আছে, তিনি দুটি সহসভাপতি পদের একটি পেতে পারেন, তবে ক্লাবগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হওয়ায় একই গুঞ্জন অন্যদের নিয়েও আছে এবং সেটাই বেশি জোরালো।
অবশ্য দুটি সহসভাপতি পদই যে ক্লাব থেকে আসা পরিচালকদের দুজন পাবেন, তা মোটামুটি নিশ্চিত।
দুই পক্ষের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমঝোতায় ঠিক হয়েছে, ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে বিএনপিপন্থীরা পাবে ৯ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি পরিচালক পদ।
সূত্র জানিয়েছে, সমঝোতায় ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে সরকারপন্থীদের জন্য তিনটি পরিচালক পদ চেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, যার অন্যতম সাবেক বিসিবি সভাপতি ও রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ।
আজ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে, আগামীকাল আপিল গ্রহণ ও শুনানি এবং ১ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনে জানা যাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে সরকার ও বিএনপি সমর্থিতদের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তা এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। তবে ক্লাব ক্যাটাগরির নির্বাচনী উত্তাপ কমবে, নাকি বাড়বে, তা বোঝা যাবে সেদিনই।
লেখা: তারেক মাহমুদ (প্রথম আলো)