Usman

Usman আকিদায় আশ'আরি, মাতুরিদী।
মাযহাব "ফিক্বহে হানাফি" অনুসারি।

পেজের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

দ্বীন প্রচার এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা পৌঁছে দিতে আমি আপনাদের মাঝে ইসলামিক গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় তুলে ধরবো। এর পাশাপাশি, নিয়মিত শেয়ার করবো:

🔰 ওয়াজ
🔰 মাহফিল
🔰 কুরআন তেলাওয়াত
🔰 সুরা
🔰 কেরাত
🔰 ইসলামিক গান
🔰 গজল
🔰 হামদ
🔰 নাথ
🔰 সহ অন্যান্য ইসলামিক সচেতনতামূলক পোস্ট

দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে এবং ইসলামের প্রতি গভীর ধারণা লাভ করতে, পেজটি লাইক ও ফলো দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।

ধন্যবাদ।

আকীদার নামে 'আল্লাহ দেহের উপর' বিশ্বাস? — শাফেয়ী আলিমের ফতোয়া!ইসলামি আকীদার মূল ভিত্তি হচ্ছে— আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টির গু...
21/07/2025

আকীদার নামে 'আল্লাহ দেহের উপর' বিশ্বাস? — শাফেয়ী আলিমের ফতোয়া!

ইসলামি আকীদার মূল ভিত্তি হচ্ছে— আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টির গুণ থেকে মুক্ত, তিনি দেহ, আকার, অঙ্গ, স্থান, দিক- এসব কিছু থেকে পবিত্র।
কিন্তু কিছু তথাকথিত 'সালাফি' ঘরানার লোকেরা বলে, “আল্লাহ আরশে আছেন, তবে তিনি দেহ কিন্তু অন্য দেহের মতো নয়।” - এই বক্তব্য আদতে কি ইসলামি আকীদা?

এই প্রসঙ্গে শাফেয়ী মাজহাবের প্রসিদ্ধ ইমাম শাইখ সিরাজউদ্দীন ইবনুল মুলকিন (রহ.), যিনি ৮০৪ হিজরিতে ইন্তেকাল করেছেন, তাঁর বিখ্যাত কিতাব "التوضيح لشرح الجامع الصحيح"-এ কঠোর ভাষায় মুজাসসিমাদের বিশ্বাসকে কুফর আখ্যা দিয়ে লিখেন:
لقيام الدليل على إستحالة وصفه بأنه ذو جوارح وأعضاء تعالى عن ذلك، خلافا لما تقوله المجسمة من أنه تعالى جسم لا كالأجسام ... وذلك كله باطل وكفر من متأوله.[ابن الملقن، التوضيح لشرح الجامع الصحيح، 1/222]
অর্থ: “আল্লাহকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (যেমন হাত, পা, চেহারা) দিয়ে বর্ণনা করা অসম্ভব হওয়ার ব্যাপারে দলিল রয়েছে। সুতরাং, আল্লাহর জন্য এসব জিনিস সাব্যস্ত করা যাবে না— আল্লাহ এসব থেকে পবিত্র।
কিন্তু মুজাসসিমারা (যারা আল্লাহর জন্য দেহ সাব্যস্ত করে) বলে, ‘আল্লাহ একটি দেহ, তবে অন্য দেহের মতো নয়।’ ইবনুল মুলকিন বলেন,
এই সমস্ত ধারণা ভ্রান্ত এবং যে এগুলোর এমন ব্যাখ্যা করে, সে কুফর করেছে।”

এখান থেকে প্রমাণ হয়:

আল্লাহর জন্য দেহ, অঙ্গ বা স্থান নির্ধারণ করা শুধু ভ্রান্ত নয়, বরং যারা এগুলোর এমন ব্যাখ্যা করে বা মানে, তারা ইসলামের মূল আকীদা থেকে বিচ্যুত হয়ে কুফর-এ লিপ্ত হয়।

যারা বলে “আল্লাহ আরশে বসে আছেন, তবে এটা আমরা কল্পনা করতে পারবো না” অথবা “আল্লাহ দেহবিশিষ্ট, তবে অন্যান্য দেহের মতো নয়”
তারা জেনে রাখুক: এটি প্রকৃতপক্ষে 'তাজসীম' (দেহবাদ), এবং একথা বলা কুফরি আকীদা, যা থেকে বাঁচা ফরয।

"আল্লাহ সত্তাগতভাবে আরশে আছেন" এটা কি ঈমানের কথা, না দেহবাদীদের ভ্রান্ত আক্বীদা? কথিত 'আহলে হাদীস' বা সালাফি ভাইয়েরা জোর...
20/07/2025

"আল্লাহ সত্তাগতভাবে আরশে আছেন" এটা কি ঈমানের কথা, না দেহবাদীদের ভ্রান্ত আক্বীদা?

কথিত 'আহলে হাদীস' বা সালাফি ভাইয়েরা জোর দিয়ে বলেন- "আমরা বলি, আল্লাহ সত্তাগতভাবে আরশে আছেন। এতে কোনো কুফর নেই, বরং এটা কুরআন ও হাদীসের ভাষা!"

কিন্তু প্রশ্ন হলো- এই বক্তব্যের প্রকৃত মানে কী? এটি কি ইসলামী আক্বীদার আলোকে সহীহ, না তাজসীম তথা দেহবাদের ফাঁদ?

“সত্তাগতভাবে আরশে” এর অর্থ কী দাঁড়ায়?
সরলভাবে বললে, তারা বলতে চায়:
আল্লাহ একটি ঠিকানায় আছেন - আর তা হলো আরশ! তিনি উপরের দিকে সীমাবদ্ধ, তিনি এমন এক সত্তা যাঁর লোকেশন আছে!

অথচ এটি আল্লাহকে সৃষ্টির বৈশিষ্ট্যের সাথে তুলনা করার নামান্তর। এটি সরাসরি কুরআনের এই আয়াতের বিরোধিতা: ﴿لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ﴾ ❝তাঁর মত কিছুই নেই❞
[সূরা শূরা: ১১]

অর্থাৎ, আল্লাহর কোনো দিক নেই, স্থান নেই, সীমা নেই, আকার নেই, সৃষ্টির মতো কিছুই তাঁর সাথে তুলনীয় নয়।

আহলে সুন্নাহর আক্বীদা কী?

আমরা বলি: "كان الله ولا مكان، وهو الآن على ما عليه كان" “আল্লাহ ছিলেন, তখন কিছুই ছিল না। এখনো তিনি তেমনই আছেন।”
(ইমাম বায়হাকী, আল-আস্মা ওয়াস সিফাত, পৃষ্ঠা ৪০০)
অর্থাৎ, আল্লাহ স্থান-কালহীন। সৃষ্টির আগেও যেমন ছিলেন, এখনো তেমনি; কোনো অবস্থান্তর, কোনো স্থান বা দিক তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়।

ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমূদ আল মূসিলী (রহ.) বলেন:
"ولا تُقبل شهادة المجسّمة لأنهم كَفَرَة."
“মুজাসসিমা তথা দেহবাদীদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়, কেননা তারা কাফের।” (আল-ইখতিয়ার লি তা’লীল আল-মুখতার, ২/১৪৯)

এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য আকার, স্থান বা সীমা সাব্যস্ত করে, সে ইসলামের গণ্ডির বাইরে চলে যায়।

ইমাম ইবনে বাত্তাল (রহ.), সহীহ বোখারীর প্রখ্যাত ব্যাখ্যাকারক, তীব্রভাবে বলেন: "وذلك كله باطل وكفر من متأوله" “এইসব ব্যাখ্যা (যেমন আল্লাহ আসেন, দৌড়ান, হাতে, মুখে বর্ণনা) সবই বাতিল এবং যে এগুলোর ব্যাখ্যা করে সে কাফের।” (ইবনে বাত্তাল, শরহ সহীহ আল-বুখারী, ১০/৪৩২)

তাহলে “সত্তাগতভাবে আরশে” এই কথা আসলে কী?

এটি স্রেফ ‘তাওহীদের মোড়কে’ আল্লাহর জন্য স্থান, দিক ও অবস্থান নির্ধারণ করা, যা সরাসরি তাজসীমের ভিত গড়ে দেয়। এমন কথা রাসূল (সা.) বা সাহাবারা বলেননি, বরং ইহুদি-খ্রিষ্টানদের দেহবাদী ধারণা থেকে এই আক্বীদা মুসলিমদের মধ্যে ঢুকেছে।

আমাদের সঠিক আক্বীদা কী হওয়া উচিত?

আমরা কুরআন ও হাদীসের আয়াত ও হাদীসসমূহে তাসলীম ও তাফওয়ীয করি। অর্থাৎ, আল্লাহ যেভাবে বলেছেন, আমরাও তেমনি বলি কিন্তু কিভাবে তা ঘটে তা জিজ্ঞাসা করি না। আল্লাহ কোনো জায়গায় নন, কোনো দিকেও নন, কোনো কিছুতেই আবদ্ধ নন।

সুতারাং “আল্লাহ সত্তাগতভাবে আরশে আছেন”- এই কথা সরাসরি দেহবাদীদের আক্বীদার পুনরাবৃত্তি।
আক্বীদায়ে আহলে সুন্নাহ অনুসারে, যারা এ ধরনের আক্বীদা লালন করে, তারা তাজসীমকারী মুজাসসিমা, এবং এদেরকে কাফের হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে।
মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো আল্লাহকে তন্ময় ও তুলনার ঊর্ধ্বে ভাবা, আর তাঁর মাহাত্ম্যকে সীমার বাইরে বিশ্বাস করা।

#আক্বীদা #তাওহীদ #তাজসীম #মুজাসসিমা #আহলে_সুন্নাহ #সালাফি_ভ্রান্তি

 #কবরের পাশে বসে আছে যে মেয়েটি। এটি অন্য কোনো মেয়ে নয়",এটি আমার একমাত্র বোন খাদিজা আক্তার (হুমায়রা)গত ৪ তারিখ আমার বোনের...
19/07/2025

#কবরের পাশে বসে আছে যে মেয়েটি। এটি অন্য কোনো মেয়ে নয়",এটি আমার একমাত্র বোন খাদিজা আক্তার (হুমায়রা)

গত ৪ তারিখ আমার বোনের স্বামী রোড এক্সিডেন্টে ইন্তেকাল করেছেন। আমার বোনের হাজবেন্ড ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর একটি থানার সেক্রেটারি; তিনি নিজ থানার একজন রুকন ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে মূলত নিজে প্রাণ হারালেন।

আমার বোন এ মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে হুঁশ হারিয়ে প্রায় ৮ ঘন্টা বেহুঁশ ছিলেন। দাপন সম্পন্ন করলাম। দাপনের পরের দিন কাউকে না জানিয়ে গোপনে আমার বোন সন্ধ্যার সময় স্বামীর কবরে গিয়ে স্বামীর কবরের সব মাটি নিজে সরিয়ে কবর থেকে স্বামীকে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখেন। পথিমধ্যে কয়েকজন পরিচিত ও এলাকাবাসী কান্নার আওয়াজ শুনে দৌড়ে যান। গিয়ে দেখতে পায় আমার বোন তার স্বামীকে কবর থেকে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন। সাথে সাথে আমাদের কল দেয় সবাই দৌড়ে গেলাম। বোনকে শান্তনা দিয়ে জোর করে তুললাম। আবার মসজিদের ইমাম সাহেবকে এনে দাপনের ব্যবস্থা করলাম। দাপন করে বোনকে বাসায় আনার পর থেকে কড়া নিরাপত্তায় রাখলাম। অলটাইম বোনকে চোখে চোখে রাখি। প্রতিদিন ভাইয়ার কবর জিয়ারত করার সময় ফজরের সময় বোনকে নিয়ে যাই তার স্বামীর কবর জিয়ারত করার জন্য। ইচ্ছে মতো কান্না করে স্বামীর জন্য দু'আ করে বোন।

কিন্তু বোনকে সেদিন কবরের পাশে থেকে আনার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের কারো সাথে বোন আর কথা বলেনি। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বোন রবের কাছে দুহাত তুলে জাস্ট একটা দু'আ করতে শোনা যায় "হে আল্লাহ আপনি আমাকে আমার জানের কাছে আমার প্রিয়তমর কাছে নিয়ে যান। আমি আত্নহত্যা করতে চাইনা আল্লাহ, কিন্তু আমি আমার স্বামীকে ছাড়া থাকতে চাইনা। আল্লাহ আপনি যদি রহমান হয়ে থাকেন দযাকরে আমাকে আমার স্বামীর কাছে নিয়ে যান।

আজ ভোর ৫:১৫ এ আমার বোন নামাজের সিজদায় থাকা অবস্থায় চলে যান রবের জিম্মায়🥲🥲 বোনের দু'আ আল্লাহ তাআ'লা খুব দ্রুত কবুল করেছেন। এটি আমার ও আমার পরিবারের জন্য অনেক বেশি কষ্টের এবং শুন্যস্থান

ভাবছিলাম এটি ফেসবুকে জানাবনা। তবুও কৌতূহল থেকে জানালাম। কেমন স্বামী ভক্ত স্ত্রী ছিলেন আমার বোন একবার চিন্তা করলে চোখ বন্ধ হয়ে আসে আর বর্তমান আমার দেশের নারীদের কথা চিন্তা করলে ঘৃণা জন্মায়। স্বামী দুনিয়ার জমিনে জীবিত থাকা অবস্থায় কোনোদিন স্বামী বাসায় আসার আগ পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করেনি আমার বোন। স্বামীর আদেশ ছাড়া কখনো কোন কাজ সম্পাদন করেনি, কোন পুরুষের সাথে দেখা/কথা বলেনি আমার কলিজার বোন।🥲

আজ সেই বোন আবারো স্বামীর সাথে মিলিত হলেন। বোনকে রাত ১১:৩০ এ জানাজা ও দাপন সম্পন্ন করব। আমি ঢাকার সমাবেশ থেকে গিয়ে বোনের জানাজা হবে এবং দাপন হবে। বোনের জন্য দু'আ চাই।

কপি-

· জুমার নামাজ অবহেলা করা এক যুবকের ভ'য়ং'করপরিণতির সত্যি ঘটনা....এক যুবক ছিলো। নাম ইমরান। দেখতে সুন্দর, পরিবারভালো, কিন্...
17/07/2025

· জুমার নামাজ অবহেলা করা এক যুবকের ভ'য়ং'কর
পরিণতির সত্যি ঘটনা....
এক যুবক ছিলো। নাম ইমরান। দেখতে সুন্দর, পরিবার
ভালো, কিন্তু জুম্মার নামাজ পড়া তো দূরের কথা – পাঁচ
ওয়াক্তই ছেড়ে দিয়েছিল। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ফেসবুক,
টিকটক, সিনেমা – এসব নিয়েই ব্যস্ত। মা কত বুঝিয়েছে,
বাবা কত ডেকেছে, কিন্তু সে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে।
মা বলতো,
-
"বাবা, শুক্রবারে এক ঘন্টা আল্লাহর ঘরে চলে যা।
জান্নাতের রাস্তা সহজ হবে।
সে বলতো,
"মা, আল্লাহ আমার অন্তর জানেন। পরে পড়বো।
সেই শুক্রবার...
সেদিন ছিলো এক অশু'ভ শুক্রবার। দুপুর ১২টা বেজে
গেলো। মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসলো।
"হায়্যা আলাস সালাহ... হায়্যা আলাল ফালাহ...
পাশের বন্ধুরা সবাই রেডি হচ্ছিলো। ইমরান বললো,
"আমি পরে যাবো। আগে এক রাউন্ড PUBG শেষ করি।
সবাই গেলো মসজিদে।
II
হঠাৎ ইমরানের ফোনে এক কল এলো
গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গেলো।
-
সে ফোন ধরতে
চোখের সামনে অন্ধকার। তার মুখ দিয়ে শুধু একটা শব্দ,
"মা..."
বাসায় সবাই ছুটে এলো। হাসপাতালে নেয়ার আগেই সে
মা'রা গেলো। মায়ের বুকফাটা কান্না, মানুষের হাহাকার।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যখন গোসলের জন্য মুখে

কালিমা পড়াতে গেলো, মুখ শক্ত হয়ে গেলো। কোনোভাবেই
খোলেনি।
হুজুর বললেন,
"যে জুমার নামাজ ইচ্ছা করে ছাড়ে, আল্লাহ তার ক'বরকে
জা'হান্না'মের এক গর্ত বানিয়ে দেন। তার জান ক'ব'জের
সময় মুখে কালিমা বন্ধ করে দেন।"
মায়ের মুখে শুধু একটা কথা,
"হায় আল্লাহ! আমার ছেলে তো জুম্মার ডাক পেয়েও
খেলায় ব্যস্ত ছিলো... ওকে তুমি মাফ করো।"
শিক্ষা:
ভাই, জুম্মা হচ্ছে মুসলিম জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। হাদিসে
আছে,
"যে ব্যক্তি তিনটি জুম্মা ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তার
অন্তর সিল করে দেন।" (আবু দাউদ)
আজ আমরা যদি এই ভুল করি
এমন ভ'য়ান'ক হবে।
-
কাল আমাদের মৃ'ত্যু

শেষ কথা:
আজকের জুম্মা যেনো আমাদের জীবনের শেষ জুম্মা না
হয়। আল্লাহর ঘরে যাওয়ার ডাক আসলে অবহেলা করো
না। কে জানে, এই শুক্রবারটাই হয়তো তোমার জীবনের
শেষ শুক্রবার!
"হে আল্লাহ! আমাদের জুম্মার নামাজের কদর করার
তাওফিক দাও। আমিন।"

আক্বীদার সীমারেখা অতিক্রম মানেই কুফরি – স্থান নির্ধারিত আল্লাহর বিশ্বাস কুফর: ইমাম নাসাফীর ফতোয়া-আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলি...
17/07/2025

আক্বীদার সীমারেখা অতিক্রম মানেই কুফরি – স্থান নির্ধারিত আল্লাহর বিশ্বাস কুফর: ইমাম নাসাফীর ফতোয়া-

আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিকে মানুষের গঠন কিংবা সৃষ্ট বস্তুর সাথে তুলনা করাই হচ্ছে তাজসীম বা দেহবাদ, যা ইসলামী আক্বীদার অন্যতম ধ্বংসকারী।
অথচ কিছু ভ্রান্তপন্থী তথাকথিত সালাফি দাবিদার আজ “উপর”, “দিক”, “স্থান”, “উঁচু” ইত্যাদি শব্দ দ্বারা আল্লাহ তাআলার জন্য স্থান নির্ধারণ করে—আর এটাকে আক্বীদা মনে করে!
এই ভয়াবহ deviation সম্পর্কে শত শত বছর আগে ইসলামের বরেণ্য আক্বীদাবিদগণ কঠোর সতর্ক করে গেছেন।

ইমাম আবু আল-মুঈন আন-নাসাফী আল-হানাফি (রহ.) (মৃত্যু: ৫০৮ হি.) বলেন:
والله تعالى نفى المماثلة بين ذاته وبين غيره من الأشياء، فيكون القول بإثبات المكان له ردًا لهذا النصّ المحكم، ومَن رَدّ النصّ كافر، عصمنا الله تعالى عن ذلك.
অনুবাদ: আল্লাহ তাআলা নিজের সত্তা ও সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর মধ্যে সাদৃশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
অতএব, কেউ যদি আল্লাহর জন্য স্থান নির্ধারণ করে, তাহলে সে এই স্পষ্ট ও দৃঢ় কুরআনি দলিলের বিরোধিতা করল। আর যে এই ধরনের স্পষ্ট দলিল অস্বীকার করে—সে নিঃসন্দেহে কাফির।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এমন বিপথগামিতা থেকে হেফাজত করুন। (আন-নাসাফী, তাবসিরাতুল আদিলা ফি উসূলিদ দ্বীন, পৃষ্ঠা ১৪৭)

বুঝা গেল—আল্লাহ তাআলার জন্য ‘স্থান’, ‘উপর’ বা কোনো দিক নির্ধারণ করা মানে হল কুরআনের স্পষ্ট আয়াত “لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ” (তাঁর মতো কিছুই নেই)–এর বিরোধিতা করা।
আর এই বিরোধিতাই হল কুফরি। এটি কেবল মতবিরোধ নয় বরং আক্বীদাগত বিভ্রান্তি ও ঈমান হরণকারী পথ।

তাই ‘উপরের আল্লাহ’, ‘আল্লাহ আরশে বসে আছেন’, ‘আল্লাহ স্থানবিশিষ্ট’—এই সকল বাক্য বা বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। এগুলো কুরআন ও ইজমা বিরোধী।

#আকীদা #তাওহীদ #তাজসীম #ইমাম_নাসাফী #হানাফি #আহলুসসুন্নাহ #সালাফি_বিভ্রান্তি

17/07/2025

বেচারা সালাফি শায়খ, অল্প বয়সে পেকে গেছে তাই এমন করছে-

17/07/2025

বেচারা মুজিব ভক্ত, মরার সময়ও তার নাম! আহারে

মসজিদের উপরে রুম,এই জায়গায় বউ নিয়া থাকা যাবে কি ? বউ নিয়া থাকলে গুনাহ হবে কি?জানালে উপকৃত হতামজবাব---মসজিদ ইবাদতের স...
17/07/2025

মসজিদের উপরে রুম,এই জায়গায় বউ নিয়া থাকা যাবে কি ? বউ নিয়া থাকলে গুনাহ হবে কি?জানালে উপকৃত হতাম

জবাব---

মসজিদ ইবাদতের স্থান। অন্যকোনো কাজে তা ব্যবহার করা জায়েজ নেই। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (স.) বলেছেন-
إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ، وَلَا الْقَذَرِ إِنَّمَا هِيَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَالصَّلَاةِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ
‘এই সকল মসজিদ পেশাব এবং নাপাক কর্মের স্থান নয়; বরং মসজিদ হলো আল্লাহর জিকির, নামাজ এবং কোরআন তেলাওয়াতের স্থান।’ (সহিহ মুসলিম: ২৮৫)

মসজিদের উপরতলায় বা ছাদে ইমাম বা মুয়াজ্জিন বা অন্যকারো জন্য বসবাসের ঘর নির্মাণ করা জায়েজ নেই। কেননা মসজিদের জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত মসজিদের হুকুমে। কাজেই নামাজ বা ইবাদত ছাড়া অন্যকোনো কাজে তা ব্যবহার করা যাবে না।

তবে যদি মসজিদের ভূমি ওয়াকফের সময় দাতার এই নিয়ত থাকে যে, মসজিদের ছাদে ইমামের জন্য কামরা নির্মাণ করা হবে, তাহলে তার অবকাশ আছে কিন্তু সেই কামরায় তিনি সপরিবারে বসবাস করতে পারেবেন না। বরং একাকী থাকতে পারবেন।

(ফতোয়ায়ে শামি: ৪/৩৫৮; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া (বাইরুত): ২/৪০৮; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ৮/১৬২; আল ফিকহুল হানাফি: ২/৩৭৭)

মুফতী লোকমান হুসাইন

গোসল করবেন না!... আপনার ছোট শিশুদের একা রাখবেন না, প্রয়োজনে আপনার সাথে বাথরুমে নিয়ে যান কিন্তু একা ছেড়ে দেবেন না।"তুমি...
17/07/2025

গোসল করবেন না!... আপনার ছোট শিশুদের একা রাখবেন না, প্রয়োজনে আপনার সাথে বাথরুমে নিয়ে যান কিন্তু একা ছেড়ে দেবেন না।

"তুমি কি আছো, ছোট্ট মেয়ে?"

ঘটনাটি মাত্র এক মাস আগের, কিন্তু ব্যথাটা এখনও এতটাই তাজা মনে হচ্ছে যেন গতকালই ঘটেছে।

সেদিন আমার স্বামী কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আমাদের তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম। সে তার প্রিয় পুতুল আর খেলনা নিয়ে বসার ঘরে আনন্দে খেলছিল। আমি সারা সকাল গোসল করা থেকে বিরত ছিলাম, সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায়। অবশেষে, আমি ভাবলাম, "ও ঠিক আছে... মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে।"

আমি তাকে আলতো করে বললাম, "মাম্মা তাড়াতাড়ি গোসল করে আসবে, সোনা। এখানেই থেকো আর খেলো, কেমন?" পুতুল সাজানোয় মগ্ন থাকায় সে তেমন মনোযোগ না দিয়েই মাথা নাড়ল।

আমি বাথরুমের দরজা খোলা রেখে জল ছেড়ে দিলাম। যখন আমার চারপাশে বাষ্প উঠতে লাগল, আমি ডেকে উঠলাম, "তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

সে হাসিমুখে উত্তর দিল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি হাসলাম। ওর ছোট্ট কণ্ঠস্বর সবসময় আমার হৃদয়কে উষ্ণ করত। কয়েক মিনিট কেটে গেল এবং আমি আবার ডাকলাম, শুধু নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

"তুমি কি এখনও আছো, বেবি গার্ল?"

আবারও সে কিচিরমিচির করে বলল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি জল আরও কিছুক্ষণ চলতে দিলাম, শান্তির এক বিরল মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। হয়তো আরও পাঁচ মিনিট কেটে গেল। তারপর আমি আবার ডাকলাম।

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

কোনো উত্তর এলো না।

প্রথমদিকে, আমি ভাবলাম সে হয়তো খেলায় মগ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু একটা আমাকে টেনে ধরল—এক মায়ের সহজাত প্রবৃত্তি। আমি দ্রুত জল বন্ধ করে, গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলাম।

যা দেখলাম তা আমাকে চিরকাল তাড়া করে ফিরবে।

সে মেঝেতে শুয়ে ছিল, চোখ দুটি বড় বড় করে খোলা, সম্পূর্ণ স্থির। আমি বারবার তার নাম ধরে ডাকলাম, তাকে তুলে নিলাম, কাঁপতে কাঁপতে, চিৎকার করে, তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অনুনয় করতে লাগলাম। কিন্তু সে শ্বাস নিচ্ছিল না।

আতঙ্কিত হয়ে আমি ৯১১-এ ফোন করলাম। প্যারামেডিকরা দ্রুত চলে এলেন, কিন্তু তাদের কিছুই করার ছিল না। যখন তারা আমাকে বলল যে সে আর নেই, আমার পৃথিবী ভেঙে পড়ল।

পরের দিন, ময়নাতদন্তের সময়, তারা কারণটি খুঁজে পেল — সে দুর্ঘটনাবশত তার একটি পুতুলের ছোট স্যান্ডেল গিলে ফেলেছিল। এটি তার শ্বাসনালী বন্ধ করে দিয়েছিল। সে হয়তো পুতুলকে খাওয়ানোর ভান করছিল বা তার সাথে খেলছিল যেমনটা সে সবসময় করত।

আমার স্বামী এবং আমি বিধ্বস্ত হয়ে গেলাম। শোক ভালোবাসার উপর অদ্ভুত প্রভাব ফেলে। আমাদের মাঝে নীরবতা ভারী হয়ে উঠল, এবং অবশেষে, দোষারোপ, অপরাধবোধ আর দুঃখের ভারে আমরা দূরে সরে গেলাম।

এখন আমি একা থাকি। আমার থেরাপিস্ট আমাকে এটা লিখতে বললেন—ব্যথা মুক্তি দিতে, কোনো ধরনের আরোগ্য খুঁজে পেতে। কিন্তু আরোগ্য যেন একটি মিথ। প্রতিবার যখন আমি বাথরুমের দিকে যাই, আমি জমে যাই। জলের কথা, আবার সেই দরজার পিছনে থাকার চিন্তা আমাকে আতঙ্কিত করে তোলে।

তবুও, কখনও কখনও আমি সাহস সঞ্চয় করি, এবং যখন উষ্ণ জল আমার পিঠ বেয়ে নামে, আমার ভেতরের একটি অংশ সাহস করে জিজ্ঞেস করে:

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

আর বাষ্প আর নীরবতার নিস্তব্ধতায়, আমি শপথ করে বলতে পারি, আমি এখনও তার ফিসফিস শুনতে পাই:

"এখানে, খেলনা মাম্মা।"

লেখাটি বুক খালি হয়ে যাওয়া এক মায়ের।

জীবনে এমন একটা বাড়ি যদি করতে পারতাম কতই না ভালো হতো।
16/07/2025

জীবনে এমন একটা বাড়ি যদি করতে পারতাম কতই না ভালো হতো।

রাষ্ট্রক্ষমতায় যখন একজন আলেম থাকেন--- তখন শুধু ধর্মের মর্যাদা রক্ষা হয় না,জনগণের অধিকারও সুরক্ষিত থাকে।আলেমদের দ্বারারাষ...
16/07/2025

রাষ্ট্রক্ষমতায় যখন একজন আলেম থাকেন--- তখন শুধু ধর্মের মর্যাদা রক্ষা হয় না,জনগণের অধিকারও সুরক্ষিত থাকে।

আলেমদের দ্বারা

রাষ্ট্রের টাকা, লুটপাট বা চুরি হয় না,
জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার, নিশ্চিত হয়।
জনস্বার্থে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, প্রতিষ্ঠিত হয়।
তারা আমানতের প্রতি দায়বদ্ধ, কারণ তারা জানেন—

"আল্লাহর সামনে প্রতিটি দায়িত্বের হিসাব দিতে হবে;

"তাই যখন একজন আলেম রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকেন, তখন দেখা যায়— অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে, জনগণ অর্থ ফেরত পায়, নীতি ও আদর্শের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।

সত্যিই, এক জন আলেম রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকলে— রাষ্ট্র বাঁচে, মানুষ বাঁচে, মূল্যবোধ টিকে থাকে।

Address

Sunamganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Usman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category