Ashab Islamic Media

Ashab Islamic Media Vlog video, Hadid, duaa, Islamic emotional quotes, Islamic emotional Words, Islamic Vedio,
(3)

বর্তমানে কিছু স্বামীর অবস্থা ☺️
24/07/2025

বর্তমানে কিছু স্বামীর অবস্থা ☺️

হুম রাইট কথা।
22/07/2025

হুম রাইট কথা।

হুমম কথাটি ১০০% সঠিক✅✅
18/07/2025

হুমম কথাটি ১০০% সঠিক✅✅

স্ত্রীর নাকি মায়ের? পুরুষ কার কথায় চলবে?ভারসাম্যের পথে জীবন"পুরুষ কার কথা শুনবে? স্ত্রীর না মায়ের?"-এটা শুধু একটি প্রশ্ন...
16/07/2025

স্ত্রীর নাকি মায়ের? পুরুষ কার কথায় চলবে?

ভারসাম্যের পথে জীবন

"পুরুষ কার কথা শুনবে? স্ত্রীর না মায়ের?"-

এটা শুধু একটি প্রশ্ন নয়, অনেক সংসারের অশান্তির মূল। একপাশে জন্মদাত্রী মা, অন্যপাশে জীবনসঙ্গিনী স্ত্রী। একজন দিয়েছেন জীবন, আরেকজন জীবনকে করেছেন সম্পূর্ণ। তাই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমাদের বুঝতে হবে-এটা 'এই না সেই' নয়, বরং 'এই ও সেই'-এর সূক্ষ্ম ভারসাম্য।

মায়ের গুরুত্ব:

মা হচ্ছেন সেই মানুষ, যিনি রাত জেগে সন্তান মানুষ করেন, না খেয়ে খাইয়ে দেন, নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলেন।

২০১৭ সালের এক গবেষণায় (Journal of Family Psychology) দেখা গেছে, মায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কগুলোতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

মা সব সময় সন্তানকে আশীর্বাদ দিতে চান, তার পথের দিশারি হতে চান।

স্ত্রীর ভূমিকা:

স্ত্রী শুধু একজন জীবনসঙ্গী নয়, তিনি পুরুষের সুখ-দুঃখের সাথি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মা এবং একান্ত ব্যক্তিগত বন্ধুও বটে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, যারা স্ত্রীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করে, তাদের মধ্যে মানসিক চাপ অনেক কম এবং পেশাগত সফলতা বেশি।

স্ত্রী এমন একজন, যার সাথে জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ভাগাভাগি করে নিতে হয়-অর্থনীতি, পরিবার, সন্তান, ভবিষ্যৎ।

তাহলে সমাধান কী?

১. মায়ের প্রতি কর্তব্য বাদ নয়:

*** মা জীবনের শিকড়। তার অনুভূতিকে অবহেলা করলে মনুষ্যত্ব হারিয়ে যায়। তাকে সময় দিন, শ্রদ্ধা করুন, সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত করুন।

২. স্ত্রীর সাথে পার্টনারশিপ গড়ুন:

স্ত্রীকে ভালোবাসুন, তার মতামত শুনুন, তাকে "পরের মানুষ" ভাবা নয়, "নিজের মানুষ" মনে করুন। সিদ্ধান্তে তাকে সম্মান দিন।
দুই পক্ষের মাঝে স্বচ্ছতা রাখুন:

কোন বিষয় মা জানুক, কোনটা স্ত্রী জানুক—তা গোপনে নয়, বুঝে শুনে ভাগ করুন। গোপনীয়তা নয়, বোঝাপড়াই হোক রীতি।

নেতা হোন, না বাহক:

পুরুষ হিসেবে দায়িত্ব হলো দুই পক্ষকে এক সুতোয় গাঁথা। কখনো স্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে মাকে বুঝানো, আবার কখনো মায়ের যুক্তিকে স্ত্রীর কাছে তুলে ধরা-এই ভারসাম্য রক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

***পুরুষ যেন বুদ্ধিমানের মতো দুজনকেই সম্মান দিয়ে জীবনকে সাজায়। মা হচ্ছেন শিকড়, স্ত্রী হচ্ছেন ডালপালা-দুজন মিলেই জীবন বৃক্ষ সবুজ থাকে। মা কখনো চান না তাঁর সন্তান স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করুক, আর স্ত্রীও চান না স্বামী মাকে অবহেলা করুক। তাই পুরুষের দায়িত্ব হলো, না একপেশে হওয়া, না একপেশে দেখানো-বরং ব্যালেন্স বজায় রাখা। সেটাই হবে সত্যিকারের ভালোবাসা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

একটি ছেলেকে বলা এক বাবার হৃদয় ছোঁয়া কথা)বাবা ছেলেকে বললেন:> "আগে নতুন বউকে গরুর গাড়ি নয়, পালকিতে করে আনা হতো- জানিস কে...
15/07/2025

একটি ছেলেকে বলা এক বাবার হৃদয় ছোঁয়া কথা)

বাবা ছেলেকে বললেন:

> "আগে নতুন বউকে গরুর গাড়ি নয়, পালকিতে করে আনা হতো- জানিস কেন?

যাতে সবাই বুঝে নেয়, একজন রাজরানিকে আনা হচ্ছে, সাধারণ কাউকে নয়। পালকি থেকে নামার পরেও সে যেন সারাজীবন এই সম্মানেই থাকে

এটা তোর দায়িত্ব।"

"তুই জানিস, নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে?

সে কাঁদে।

কার জন্য কাঁদে?

শুধু ফেলে আসা মা-বাবার জন্য না, সে কাঁদে অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে।

তোর কাজ হলো

এই কান্নাই তার জীবনের শেষ কান্না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।"
"এরপর সে কাঁদবে মাত্র দুইবার:

১,মা হওয়ার আনন্দে,

২,তুই মারা গেলে, তোর শোকে।

মাঝখানে যত দুঃখ আসবে, তুই হবে তার চোখের অশ্রুমুছনো হাত।"

"জানিস, বউ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কিসে? স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।

আমি খুব রাগী, তবু কখনো তোর মায়ের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলিনি। বিয়ে মানে একটা মেয়ের জীবনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া। এ দায়িত্ব ভুলে গেলে, সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।"

"আরেকটা কথা মনে রাখিস

তোর বউয়ের মা-বাবাকে কখনো 'শ্বশুর-শাশুড়ি' বলিস না, মা-বাবা বলিস।

তুই যেমন বলবি, তোর বউ তেমনই শিখবে। ভালোবাসা শেখানো শুরু হয় নিজের ব্যবহার দিয়ে।"
▲ "সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখেন। তোর পাল্লায় তুই যা দিবি, তিনি তাঁর পাল্লায় ঠিক তাই দিবেন।"

বিয়ে মানে শুধু দু'জন মানুষের বন্ধন নয়, এটা একে অপরের চোখের জল মুছে ফেলার চুক্তি।

যদি বাবার এই উপদেশ ভালো লেগে থাকে, শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন হয়তো কোনো এক ছেলের চোখ খুলে যাবে আজ।

ছেলের বিয়ে হয়ে গেলে ছেলে আর নিজের থাকেনা, বৌয়ের হয়ে যায়, কিন্তু মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও মেয়ে কোনোদিন পর হয়না | এই কথাটা অনে...
14/07/2025

ছেলের বিয়ে হয়ে গেলে ছেলে আর নিজের থাকেনা, বৌয়ের হয়ে যায়, কিন্তু মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও মেয়ে কোনোদিন পর হয়না | এই কথাটা অনেকেই বলেন, কিন্তু একটু ভেবে বলুন তো কথাটা কি ঠিক?

আসলে কী জানেন, আপনি যদি মেয়েকে কিছু দেন তাহলে আপনি মেয়ের কাছ থেকে রিটার্ন কিছু চাননা,
বা আশা করেননা, মেয়ে সুখে থাকলেই আপনি সুখি, আপনি কখনও এটা তুলনা করেননা যে আপনার মেয়ে আপনার চেয়ে কত ভালো বা সুখে আছে, আপনার মেয়ে যদি আপনার চেয়ে ১০ গুন সুখে থাকে, ভালো থাকে আপনি সেটা দেখে ১০ গুন খুশি হন, আপনার মেয়ের জীবনে সমস্যা আসলে সেটাকে নিজের সমস্যা মনে করেন, মেয়ে সুখি না হলে আপনিও দুঃখি হন, সামর্থের বাইরে গিয়েও মেয়েকে,ও মেয়ের জামাইকে সাহায্য করেন, বিপদে পাশে দাঁড়ান |
অন্যদিকে ছেলের পিছনে যত খরচা করেন আর ভাবেন যে একটা সময় ছেলে এর বিনিময়ে কিছু দেবে, অনেক সময় দাবীও করেন, মনেও করিয়ে দেন, যে তোর পিছে এতো খরচা করেছি | ছেলের বিয়ে দিয়ে ছেলেকে পর ভাবতে শুরু করেন | ছেলে বিয়ে করলে বাবা মায়েদের ছেলের প্রতি একটা এমন মানসিকতা তৈরি হয়, যে মনে মনে ভেবে নেই যে বিয়ে করেছিস তোর সমস্যা তোর, তোকেই এর সমাধান করতে হবে, বিয়ে করেছিস তোকে কোন সাহায্য করতে পারবোনা, পারলেও সাহায্য করেনা, অন্যদিকে মেয়ে মা,বাবা মেয়েকে সাহায্য করার জন্য রেডি থাকে, সামর্থের বাইরে গিয়েও করে। ছেলে বউ কতটা সুখে আছে এটা নিজেদের সঙ্গে তুলনা করে, ছেলের বিবাহিত জীবনে সুখ কতজন সহ্য করেতে পারে | ছেলের বিপদে ছেলেকে একা করেন কিন্তু ছেলের বেশি সুখ হলে আবার তার ভাগ চান |

আসলে মেয়ের কাছ থেকে কিছু আশা করেননা,

কোন দায়িত্ব আরোপ করেননা, তাই মেয়ে যদি ৫% ও কিছু দেয় আপনি ভাবেন মেয়ে আমাদের কথা অনেক ভাবে, আর এদিকে ছেলের উপর ১০০% দায়িত্ব, অনেক কিছু আশা করেন, এখন ছেলে সেটা দিতে না পারলে অথবা ৭০-৮০% দায়িত্ব পালন করতে পারলেও যেটুকু পারছেননা সেটুকু ভেবেই ভাবেন যে ছেলে অনেক খারাপ |
মেয়ের পড়াশোনার পর মেয়ের বিয়েতে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হলেও কি মেয়েকে পরে বলেন, তোর জন্য এতো খরচা করেছি, ছেলেকে পড়াশোনার পর ব্যবসা করতে ২ লক্ষ টাকা দিলেও মনে করিয়ে দেন, যে ব্যবসা করতে এতো দিয়েছিলাম, চাকরি পেলেও বলে এতো খরচা করে পড়াশোনা করিয়েছি | তো মেয়ের বিয়েতে যত খরচ করে, শখ আহ্লাদ করে, ছেলের বিয়েতে কি অতটা খরচ শখ আহ্লাদ করে??

আচ্ছা বলেন তো মেয়ে-জামাইকে যতটা সম্মান, গুরুত্ব ভালোবাসা দেয় ছেলের-বউ কেও কি এতটা সম্মান, গুরুত্ব ভালোবাসা দেয়? মেয়ের বাচ্চাদের যতটা ভালোবাসে, ছেলের বাচ্চাদের কি অতটা ভালোবাসে |

আসলে ছেলের সঙ্গে বাবা মায়ের সম্পর্কে একটা বড়ো স্বার্থ থাকে।

কথাটা খারাপ লাগলেও একদম বাস্তব সত্যি কথা অভিজ্ঞতা থেকে ভেবেচিন্তে নিজেদের মতামত দিতে পারেন?
ধন্যবাদ

স্বামীকে কিভাবে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করবেন?বর্তমান যুগে শুধু উপার্জন করাই যথেষ্ট নয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সঞ...
13/07/2025

স্বামীকে কিভাবে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করবেন?

বর্তমান যুগে শুধু উপার্জন করাই যথেষ্ট নয়, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সঞ্চয় করাটা জরুরি। কিন্তু অনেক স্বামীই মাস শেষে হিসাবহীন খরচ করে ফেলেন, যার ফলে প্রয়োজনের সময় হাতে কিছুই থাকে না। একজন সচেতন স্ত্রী চাইলে কৌশলে ও ভালোবাসা দিয়ে স্বামীকে সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারেন। এতে শুধু সংসারই সুরক্ষিত হয় না, ভবিষ্যৎও হয় অনেক বেশি সুনিশ্চিত।

ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখান

স্বামীর সাথে বসে ভবিষ্যতের কিছু লক্ষ্যের কথা বলুন-যেমন নিজের বাড়ি, সন্তানের উচ্চশিক্ষা, বা ওমরাহ-হজ্বে যাওয়া। এইসব স্বপ্ন পূরণে সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেষ্টা করুন।

ব্যয় পর্যালোচনা করুন:

একসাথে বসে মাসের খরচগুলোর হিসাব বের করুন। কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে সেটা দেখিয়ে দিন। এতে স্বামী নিজেই বুঝবেন কোথায় টাকা বাঁচানো যায়।
একটি 'সঞ্চয় চ্যালেঞ্জ' শুরু করুন।

ছোট্ট একটা চ্যালেঞ্জ নিন-প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয় করার। এতে সঞ্চয়টা একটা খেলায় পরিণত হবে এবং আগ্রহ বাড়বে।

মিলেমিশে সিদ্ধান্ত নিন:

স্বামীকে উপদেশ না দিয়ে পরামর্শের ভাষায় কথা বলুন। বলুন, "চলো আমরা দুজন মিলে একটা ফান্ড করবো"। এতে তাঁর মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে।

সঞ্চয়ের সুফল দেখান:

আগে যদি কখনো সঞ্চয়ের ফলে কোনো ভালো ফল পাওয়া হয়ে থাকে (যেমন জরুরি সময়ে সঞ্চয়ের টাকা কাজে লেগেছে), সেটা মনে করিয়ে দিন। বাস্তব উদাহরণ মানুষকে সচেতন করে।

স্বামীর প্রশংসা করুন

তিনি যখনই সামান্য কিছু সঞ্চয় করবেন, প্রশংসা করুন। বলুন, "তুমি যদি না ভাবতে, তাহলে আমরা হয়তো এতদূর আসতে পারতাম না।" এতে তিনি সঞ্চয়ে আগ্রহ পাবেন।
অতিরিক্ত উপার্জনের উৎসে উৎসাহ দিন : যদি তিনি সঞ্চয় করতে না পারেন বলে দুঃখ পান, তবে বলুন, "চলো আমরা একসাথে কোনো ছোট্ট ইনকাম সোর্স খুঁজি"। এতে তিনি উদ্বুদ্ধ হবেন আয় ও সঞ্চয়ের বিষয়ে চিন্তা করতে।

স্বামীকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা মানে শুধু টাকা জমানো নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একসাথে প্রস্তুত হওয়া। ভালোবাসা, কৌশল, ও মিলেমিশে সিদ্ধান্ত নিলেই সঞ্চয় অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। মনে রাখবেন, একজোড়া সচেতন স্বামী-স্ত্রী পারেই জীবনের প্রতিটি ঝড় সামলাতে এবং সুখী একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।

আপনাদের এলাকার গরমের অবস্থা কেমন,,??
12/07/2025

আপনাদের এলাকার গরমের অবস্থা কেমন,,??

স্ত্রী কেন কখনো প্রিয় নারী হয় না??প্রশ্নটা খুবই সাধারণ, অথচ এর উত্তরটা অনেক কষ্টের।"আপনার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় নারী কে?" ...
11/07/2025

স্ত্রী কেন কখনো প্রিয় নারী হয় না??

প্রশ্নটা খুবই সাধারণ, অথচ এর উত্তরটা অনেক কষ্টের।

"আপনার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় নারী কে?" এই প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশ পুরুষ বলে মা, মেয়ে, বোন, কিংবা নানী।

অথচ একবারও কেউ বলে না "আমার স্ত্রী"।

স্ত্রী কেন প্রিয় নারী হতে পারে না?

তার কি ভালোবাসা কম? না কি ত্যাগের কোনো ঘাটতি আছে?

নাকি সে এমন কোনো অপরাধ করেছে যার কারণে তাকে প্রিয় বলাটা অপরাধের মতো মনে হয়?

বাঙালি পুরুষদের একটা মানসিক বাধা আছে স্ত্রীকে 'ভালোবাসি' বললে বুঝি মান-সম্মান চলে যাবে, বন্ধুরা তাকে 'বউ পাগল' বলবে, বা হয়তো স্ত্রীর কাছে নিজেকে ছোট মনে হবে, যেন স্ত্রীকে সম্মান দিলে নিজের 'হেডম' কমে যাবে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো এই 'না বলা ভালোবাসার' নারীটাই একসময় নিজের ঘর ছেড়ে আসে, একজন প্রায় অপরিচিত ছেলেকে জীবনসঙ্গী মানে, অভিজাত বাবার বাড়ি থেকে স্বল্প আয়ের ছেলেটার ছোট ভাড়াবাড়িতে এসে জীবন গড়ে তোলে
একসময় এই নারীটাই ঘরের সব দায়িত্ব কাঁধে নেয়, অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের দিনেও স্বপ্ন দেখে সংসারটা রাঙানোর। অসহ্য ঝাল তরকারি খেয়েও মুখে হাসি রেখে শ্বশুর বাড়িকে নিজের করে তোলে। অভিযোগ করে না, কাঁদে না, শুধু সহ্য করে কারণ সে জানে, এটা তার নতুন সংসার।

হয়তো সেই নারীই একদিন রাতভর জেগে থেকেছে তোমার জ্বরের পাশে, তোমার মায়ের মতো সেবা করেছে, হাসপাতালের করিডোরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেছে, বাচ্চার প্রসব যন্ত্রণা ভুলে গিয়েছে শুধুমাত্র তোমার একটা 'ধন্যবাদ' পাওয়ার আশায়।

স্ত্রীরা মানুষ। তাদেরও ভুল হয়। তারা রেগে যায়, ক্লান্ত হয়, কষ্ট পায়। তারা মায়ের মতো নিঃস্বার্থ না কিন্তু তারা প্রতিদিন চেষ্টা করে নিঃস্বার্থ হওয়ার।,তবুও, তাদের প্রিয় নারী বলা হয় না। কারণ এই সমাজ শিখিয়েছে স্ত্রীকে প্রশংসা করলে তুমি দুর্বল, তুমি পরাধীন, তুমি ছোট। এই সমাজ এখনও বোঝেনি ভালোবাসা দেখানো দুর্বলতা নয়, বরং সাহস।

আজও একটা ছেলে তার স্ত্রীর নাম করে কাঁদে না, বন্ধুদের সামনে বলে না "ও না থাকলে আমি কিছুই হতাম না।”

আসলে প্রিয় হওয়ার জন্য মা হওয়া লাগে না, মেয়ের মতো নিষ্পাপ হওয়া লাগে না, বোনের মতো নির্ভরশীল হওয়া লাগে না প্রিয় হতে হলে শুধু চাই সম্মান আর স্বীকৃতি।

তুমি যদি সত্যিই মানুষ হতে চাও তোমার জীবনের সঙ্গীটিকে প্রিয় বলার সাহস দেখাও। তোমার স্ত্রীর ত্যাগ, ভালোবাসা, সহানুভূতি সবই প্রিয় হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

তবে হ্যাঁ, প্রিয় স্ত্রী খোঁজার আগে তাকে প্রিয় ভাবার মানসিকতা গড়ে তোলো। কারণ যে নারী তার সব ফেলে তোমার কাছে এসেছে, সে কেবল স্ত্রী নয়

সে তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সহযাত্রী।

স্ত্রীর জন্য ব্যয় করতে কৃপণতা করোনা, কারণ স্ত্রীর জন্য কিছু ব্যয় করলেও সুওয়াব পাওয়া যায়।
11/07/2025

স্ত্রীর জন্য ব্যয় করতে কৃপণতা করোনা,
কারণ স্ত্রীর জন্য কিছু ব্যয় করলেও সুওয়াব পাওয়া যায়।

দয়া করে পোস্ট টা পড়ুন। ভালো লাগবে"স্ত্রীর সাথে সময় কাটালে মা কেন কষ্ট পায়?"স্বামী যখন স্ত্রীকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে, তখন...
10/07/2025

দয়া করে পোস্ট টা পড়ুন। ভালো লাগবে

"স্ত্রীর সাথে সময় কাটালে মা কেন কষ্ট পায়?"

স্বামী যখন স্ত্রীকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে, তখন মা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। মুখে কিছু না বললেও বুকের ভেতরটা যেন মোচড় দিয়ে ওঠে। এটা শুধু আপনার মায়ের নয়, হাজারো মায়ের অনুভব। সন্তানের মুখে হাঁসি দেখলেই যেসব মায়েরা শান্তি খুঁজে পান, তারাই বা কেন সন্তানের সুখ দেখে অশান্ত হন?

প্রশ্নটা কঠিন, কিন্তু উপেক্ষা করার মতো নয়।

বাবা বা শ্বশুর তো কখনো এমন দৃশ্য দেখে কষ্ট পান না। তাহলে মায়ের কষ্টটা কোথা থেকে আসে?

এই কষ্টের শিকড় অনেক গভীরে। অনেক সময়, এক নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হয়ে দাঁড়ায় তার আর্থিক নির্ভরতা। মেয়েরা আজও অনেক ক্ষেত্রে নিজের নামে কিছুই রাখে না। বাবা-মায়ের ঘর থেকে স্বামীর ঘরে, আর সেখান থেকে সন্তানদের ঘরে আশ্রয় খোঁজে। কিন্তু আশ্রয় মানেই নিরাপত্তা নয়। সেই নিরাপত্তাহীন তাই হয়তো একদিন সন্তানকে নিজের শেষ আশ্রয় মনে করায়।
বিয়ের আগে সন্তান মায়ের ছায়ায় থাকে, তার কথা শোনে, ভালোবাসে। বিয়ের পর এই সম্পর্কটায় বদল আসে। মা অনুভব করে, হয়তো তার জায়গাটা কেউ দখল করে নিচ্ছে। হয়তো নিজের সবটুকু দিয়ে যাকে গড়ে তুলেছেন, তার ভালোবাসার ছায়া আর তার গায়ে পড়ে না। তখনই মায়ের ভিতর এক অদৃশ্য ভয় ঢুকে পড়ে-ভালোবাসা হারানোর ভয়, নির্ভরতার মাটি সরে যাওয়ার ভয়।

এই ভয় কাটাতে হলে দরকার নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।

মায়ের নামে একটি একাউন্ট হোক, স্ত্রীর জন্য মাসিক সঞ্চয়ের ব্যবস্থা থাকুক-এই ছোট উদ্যোগগুলো বড় পরিবর্তনের পথ খুলে দিতে পারে।

আমি নিজে আমার স্ত্রীকে প্রতি মাসে একটা এমাউন্ট দেই, । আমি তাকে বলেছি, যদি কোনোদিন আমাকে ছেড়ে যেতে চাও, তাহলে যেন অন্তত টাকার অভাবে আটকে না পড়ো।

আমি রোজগার করি, আর তুমি ঘরের কাজ করো-এই দুইটাই সমান মূল্যবান। তুমি যদি আমার জীবনের অংশ হও, তাহলে আমার সম্পদেও তোমার অধিকার থাকা উচিত।
এক সময় সে নিজের জন্য পাঁচশ টাকা জমিয়ে রাখত, বাবার বাড়ি যেতে হলে যেন যেতে পারে। এখন আর লাগে না, আমি চেষ্টা করি ঝগড়াকে এড়াতে। তার মুখে রাগ থাকলেও আমি মাথা নিচু করে শুনি। হয়তো ইচ্ছায়, হয়তো বাধ্য হয়ে-তবু হার মানি।

এই লেখাটা যদি আমার স্ত্রী পড়ে, আশা করি শেষ লাইনটা পর্যন্ত না পড়ে। পড়লে হয়তো নতুন ঝগড়া শুরু হবে!

শেষ কথা:

মায়েদের চোখে জল শুকাতে হলে, নারীর হাতে দিতে হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার চাবি। ভালোবাসা তখনই টেকে, যখন তার ভিত মজবুত হয় সম্মান আর সমতায়।

10/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ ❤️☺️

Address

Sunamganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ashab Islamic Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ashab Islamic Media:

Share