Al Islah Media

Al Islah Media আসসালামু আলাইকুম

28/07/2023

জবানের হিফাজত প্রসঙ্গে আলোচনার অংশবিশেষ
দোআ প্রত্যাশায় প্রচারিত।
আল্লাহ যেন আমি সহ সকলকেই
আমলের তাওফিক দান করেন।

20/07/2023

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ধর্মপাশা উপজেলার উদ্যোগে আয়োজিত "শিক্ষা সফর" এ ক্বিরাআত প্রতিযোগিতার অংশবিশেষ।

18/07/2023

#শেষপর্যন্ত_প্রমাণ_হলো_ইমামতি_পেশা_নয়।
লিখছেন : মইন বিন ইলয়াস।
মসজিদের ইমাম সাহেব জরুরী প্রয়োজনে আমাকে একদিনের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন। একদিন মানে পাঁচ ওয়াক্ত, চব্বিশ ঘন্টারই ব্যাপার। কিন্তু আমার কাছে এই পাঁচ বেলাকে পাঁচ বছরের সমান মনে হয়েছে। কোথাও যেতে পারি না, ঠিকমত ঘুমাতে পারি না, খাওয়া দাওয়ায় মন বসে না। সবসময় মনে হয় আজানের সময় হয়ে গেছে/ নামাজের টাইম নিকটবর্তী। টয়লেটে যেতে হয় সময় দেখে। মনে হয়- এই বুঝি দেরি হয়ে গেলো আর ইমামের চাকরি চলে গেল। সর্বদা মানসিক প্যারা নিয়ে বেঁচে থাকার নাম হলো ইমামতি। এটা আদতে সহজ কোনো পেশা না। যেহেতু আমি নিয়মিত ইমাম না তাই কমিটি ও উগ্র মুসল্লীর জ্বালাতনের কথাটা বাদই দিলাম। কিন্তু সেটাও যে কেমন জিনিস এই একদিনের ইমামতিতে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।

তবুও আমাদের আলেমরা ইমামতি করেন। করেন যতটা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে- তারচে' বেশি দ্বীনের প্রয়োজনে। পেটের চেয়ে ঈমান ও ইসলামের দায়বোধ বেশি হওয়ার কারণেই। নাহলে নামাজ পড়ানোর মহান এই পেশায় এসে জিল্লতি ও চরম অপমানের মালা গলায় দিয়ে হাসি মুখে চলাফেরার কোনো ঠেকা বা ঠিকা হুজুরদের ছিল না।

আল্লাহর বিশাল এই দুনিয়ায় রিজিকের তালাশ হুজুররা অন্যভাবেও চাইলে করতে পারতেন।

কারণ- মেধা ও পরিশ্রমে হুজুররা আপনাদের চাইতে অগ্রসর নাহলেও একেবারে পিছিয়েও না। হুজুর হতে প্রচুর মেধা ও মেহনতের প্রয়োজন পড়ে।

জানি তারপরও আপনারা শুধরোবেন না।
সুযোগে ইমামদের পেছনে লেগে থাকবেন আঠার মতো। তাদের ইজ্জতের দাম আপনাদের কাছে মাত্র পাঁচ/দশ হাজার টাকা।

তবুও ইমাম সাহেব-রা আপনাদের ছেড়ে চলে যাবেন না। আপনাদের দেয়া বেইজ্জতির মালা গলায় পরে হাসিমুখে হেটে বেড়াবেন পাড়া-মহল্লায়।

নবীরা (আঃ) যেমন শত নির্যাতন সত্বেও উম্মতের হাল ছাড়তেন না তেমনি উলামায়ে কেরামও শত লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, অন্যায় ও অত্যাচারের পরেও 'নবি-হারা' উম্মতের হাত ছাড়েন না।

কেন জানেন?

কারণ; তাঁরা ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া।
নবিগণের উত্তরসূরি।

16/07/2023
16/07/2023

ফতুয়া কবরস্থান উন্নয়ন কল্পে
এলাকাবাসী সহ সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসা সকল মুসল্লীবৃন্দের নেক হায়াত কামনা করছি।
আল্লাহ যেন তাঁদেরকে উত্তম জাযা দান করেন।

07/07/2023

#বিলালআহমদসালেহী
#সালেহীওয়াজ
#খেলাধূলা

"ঈদ উপলক্ষে হুজুরদের প্রতি এতো অবহেলা কেন? ঈদ উপলক্ষে চুল কেটে তো নাপিত কে কিছু টাকা হাদিয়া দিতে হয়। ঈদ উপলক্ষে গাড়ির...
30/06/2023

"ঈদ উপলক্ষে হুজুরদের প্রতি এতো অবহেলা কেন?

ঈদ উপলক্ষে চুল কেটে তো নাপিত কে কিছু টাকা হাদিয়া দিতে হয়। ঈদ উপলক্ষে গাড়ির ভাড়া এমনকি অটো ভাড়া পর্যন্ত কিছু টাকা বাড়িয়ে দিতে হয়!!
কারণ সামনে ঈদ!!

ঈদ উপলক্ষে জিনিস-পত্র‌ কিনতে গেলে কিছু টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়!!
কারণ সামনে ঈদ!!
তাহলে যিনি এক বছর আপনার ছেলেকে কোরআন, হাদিস শিখালেন, তাকে ঈদ উপলক্ষে কিছু টাকা বেশি দিতে পারেন না কেন?
তার সামনে কি ঈদ নাই??

ঈদ উপলক্ষে বাড়ির একজন কাজের লোক কেও তো কিছু হাদিয়া বোনাস দিতে হয়, এবং কিছু কাপড়-চোপড় হাদিয়া দিতে হয়!!
কারণ সামনে ঈদ!!
তাহলে আপনার মাদরাসা মসজিদের খাদেম কি অন্যায় করেছেন?
যে তাকে কিছু হাদিয়া দিতে পারেন না???

ঈদ উপলক্ষে গার্মেন্টস-ফেক্টরির চাকরি জিবীদের কেও তো কিছু টাকা পয়সা হাদিয়া দেওয়া হয়!!
কারণ সামনে ঈদ!!
তাহলে আপনার মাদরাসার হুজুর কি অন্যায় করেছেন?
যে তাকে কিছু টাকা হাদিয়া দিতে পারেন না???

ঈদ উপলক্ষে সরকারি চাকরি জিবীদের কেও তো বোনাস হিসেবে কিছু টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়!!
কারণ সামনে ঈদ!!
তাহলে আপনার মসজিদের ইমাম সাহেব কি অন্যায় করেছেন? যে তাকে কেন কিছু টাকা বাড়িয়ে হাদিয়া দিতে পারেন না???
অথচ আপনি তার থেকে বিভিন্ন মাস‌আলা কোরআন হাদিস ইত্যাদি অনেক কিছু ফ্রিতে শিক্ষা অর্জন করেছেন!!

ঈদ উপলক্ষে আপনি তো আপনার পরিবার, আত্নীয়, স্বজনের জন্য নতুন কাপড়-চোপড়, টাকা পয়সা হাদিয়া অবশ্যই দিয়ে থাকেন!!কারণ সামনে ঈদ!!
তাহলে আপনার মাদরাসা বা মসজিদের হুজুরকে আপনার পরিবার, বা আপনার আত্নীয়, স্বজনের একজন সদস্য ভাবতে এতো কষ্ট হয় কেন???
অথচ এই হুজুর তো সর্বদায় আপনার জন্য, আপনার পরিবারের জন্য, নিঃশার্ত ভাবে দোয়া করেই যাচ্ছেন। আর আপনিও তো তার কাছ থেকে বিভিন্ন উপকার ফ্রিতে হাসিল করেই যাচ্ছেন!!

বিঃদ্রঃ- এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে ঈদ উপলক্ষে কিছু হাদিয়া না দিতে হয়!! তাহলে হুজুরদের প্রতি এতো অবহেলা কেন???

তাই এগিয়ে আসুন হুজুরদের দিকে
আলেম-ওলামাদের দিকে।
কারণ তাদেরও তো পরিবার আছে, ছেলে মেয়ে আছে,
আত্নীয় স্বজন আছে!! তাদেরও তো ঈদ আছে"!

মুসলিম উম্মাহর শুভবুদ্ধির উদয় হোক!

29/06/2023

#বিলালআহমদসালেহীওয়াজ
#ওয়াজ
#বাংলাওয়াজ

সালেহী মিডিয়া জামালগঞ্জ-এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক মোবারক বাদ।
28/06/2023

সালেহী মিডিয়া জামালগঞ্জ-এর পক্ষ থেকে
সকলকে জানাই ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক মোবারক বাদ।

24/06/2023

#বিলালআহমদসালেহী
#বাংলাওয়াজ
#ওয়াজসালেহী

21/06/2023

শ্রোতাদের আগ্রহে
ইসলামি সঙ্গীত গাওয়ার প্রয়াস-এর মাধ্যমে
আল্লাহর জিকির ও ফাজাইল আলোচনা।

কুরবানীর মাসাঈল (১ম পর্ব) কুরবানীর দিনসমূহে যার কাছে আবশ্যকীয় প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর কু...
20/06/2023

কুরবানীর মাসাঈল (১ম পর্ব)

কুরবানীর দিনসমূহে যার কাছে আবশ্যকীয় প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।

নেসাব পরিমাণ হল, সাড়ে বায়ান্ন তোলা বা এর সমমূল্য পরিমাণ অতিরিক্ত সম্পদ মজুদ থাকা। যা বর্তমান বাজার অনুপাতে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা।

পরিবারের যত প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে, তাদের প্রত্যেকের উপর আলাদা কুরবানী করা আবশ্যক। শুধু এক অংশ গ্রহণ করার দ্বারা কুরবানীর দায়িত্ব মুক্ত হবে না। বরং কুরবানী না করার গোনাহ হবে।

তাই পরিবারে যত সদস্যের উপর কুরবানী আবশ্যক, তাদের সকলেরই কুরবানীতে স্বতন্ত্র অংশ রাখতে হবে। বাবার নামে কুরবানী দিলে তাদের দায়িত্ব মুক্ত হবে না। বরং কুরবানী না করার গোনাহ হবে।

أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ [٥٣:٣٨
কিতাবে এই আছে যে,কোন ব্যক্তি কারও বোঝা নিজে বহন করবে না। [সূরা নাজম-৩৮}

যদি আপনার জমানো টাকা নিসাব পরিমাণ সম্পদের সমমানের হয়, এবং তা কুরবানীর দিনসমূহের প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়, তাহলে কুরবানী করা ওয়াজিব।

এক্ষেত্রে একটি পশুতে যেহেতু সাতজন অংশগ্রহণ করতে পারে। তাই এক পশু ক্রয় করে, তাতে পরিবারের যত সদস্যের উপর কুরবানী করা আবশ্যক, তাদের জন্য একটি করে অংশ রাখলে এক পশু দিয়েই সকলের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন কারো অংশই এক সপ্তামাংশ থেকে কম না হয়।

عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ: «فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَشْتَرِكَ فِي الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ، كُلُّ سَبْعَةٍ مِنَّا فِي بَدَنَةٍ
জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনম, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হজ্জের ইহরাম বেঁধে রওনা হলাম। অতঃপর তিনি উট ও গরুতে আমাদের মধ্যে সাতজন করে শরীক হবার (ও কুরবানী করার) নির্দেশ দিলেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৩১৮, ৩০৪৯]

চলবে..........

জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ:১, প্রথম দশ দিনে নফল রোযা ও রাতে ইবাদত করাজিলহজ্ব মাসের চাঁদ উদিত হওয়া...
19/06/2023

জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ:

১, প্রথম দশ দিনে নফল রোযা ও রাতে ইবাদত করা
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোযা রাখা আর রাতের বেলা বেশী বেশী ইবাদত করা যথা নফল নামায,কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা-ইস্তিগফার ও রোনাজারী ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে রাত কাটানো।

ফযীলত:
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم : قال ما من أيام أحب إلى الله أن يتعبد له فيها من عشر ذي الحجة يعدل صيام كل يوم منها بصيام سنة وقيام كل ليلة منها بقيام ليلة القدر
হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিলহজ্বের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদত তুলনায় বেশী প্রিয়,প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায় ।{তিরমিজী শরীফ,হাদীস নং-৭৫৮, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৭৫৭, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২০৮৮}

عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال ما العمل في أيام العشر أفضل من العمل في هذه
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অন্য দিনের আমল প্রিয় নয়। {বুখারী শরীফ,হাদীস নং-৯২৬}

২, যারা কুরবানী করার ইচ্ছে পোষণ করছেন, তারা জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত চুল ইত্যাদি কাটবে না, যদি ৪০ দিন না হয়ে থাকে এগুলো না কাটার মেয়াদ। যদি ৪০ দিনের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে এসব কেটে ফেলা আবশ্যক। নতুবা ১০ দিন পর কুরবানীর পর পরিস্কার করবে। এ কাজটি সুন্নাত।

عن أم سلمة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا دخلت العشر فأراد أحدكم أن يضحي فلا يمس من شعره ولا من بشره شيئا
হযরত উম্মে সালমা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, যখন [জিলহজ্বের প্রথম] ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছে করে, সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে। {সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৪৫৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১৪৯, সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-১৮৮০৬, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-২৯৩, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৭৭৮৭, মুসনাদুশ শাফেয়ী, হাদীস নং-৮৪৬, মাশকিলুল আসার, হাদীস নং-৪৮১১}

৩, যারা হজ্বে যায়নি, তাদের জন্য জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ রোযা রাখা সুন্নাত।

ফযীলত:
صيام يوم عرفة أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله والسنة التي بعده
হযরত আবু কাতাদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আরাফার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোযা তার পূর্বের ও পরের বৎসরের গোনাহ মুছে ফেলবে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৪০}

তবে যারা হজ্বে গিয়েছেন, তাদের জন্য এদিন রোযা না রাখা উচিত:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَةَ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪৪২, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৮১৭২, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-২৩৯২৩, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-২৫৫৬}

أُمَّ الْفَضْلِ – رضى الله عنها – تَقُولُ شَكَّ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى صِيَامِ يَوْمِ عَرَفَةَ وَنَحْنُ بِهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِقَعْبٍ فِيهِ لَبَنٌ وَهُوَ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَهُ.
হযরত উম্মুল ফযল রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-লোকেরা আরাফার দিন নবী কারীম সাঃ রোযা রেখেছেন কি না? তা নিয়ে সন্দেহে পতিত হলে আমি রাসূল সাঃ এর পানীয় প্রেরণ করলাম, আর নবীজী সাঃ তা পান করলেন। [ফলে সবাই নিশ্চিত হলেন যে, রাসূল সাঃ রোযা রাখেন নি। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫১}

৪, তাকবীরে তাশরীক বলা।
যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর একবার তাকবীর বলা ওয়াজিব। পুরুষের জন্যআওয়াজ করে,আর মহিলাদের জন্য নীরবে।

তাকবীর হল-আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।

প্রমাণ-ফাতওয়া শামী-তৃতীয় খন্ড,৬১ পৃষ্ঠা,সালাত অধ্যায়,ঈদ পরিচ্ছেদ,
ইলাউস সুনান, সালাত অধ্যায়, তাকবীরাতুত তাশরীক পরিচ্ছেদ, ৮ম খন্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা}

ফযীলত:
عن بن عباس : أنه كان يكبر من غداة يوم عرفة إلى آخر أيام التشريق
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ আরাফার দিন তথা ৯ ই জিলহজ্বের ফজর থেকে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যন্ত তথা ১৩ ই জিলহজ্ব [আসর নামায] পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক পড়তেন। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৬০৭১, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৬৮১}

৫, ঈদুল আজহার রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা উত্তম।
ফযীলত:
عن أبي أمامة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( من قام ليلتي العيدين محتسبا لله لم يمت قلبه يوم تموت القلوب )
যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে সওয়াবের নিয়তে জাগরিত থেকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবে, তাহলে যে দিন অন্যান্য দিল মরে যাবে সেদিন তার দিল মরবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৭৮২, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৭১১, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-২৪১০৫, জামিউল আহাদীস, হাদীস নং-২৩২৯৬}
[এ হাদীসটি দূর্বল]

৬, ঈদের দিনের সবচে বড় আমল হল ঈদের নামায শেষে কুরবানী করা।
১০, ১১ম ১২ যিলহজ্বের যে কোন একদিন,কোন ব্যক্তির মালিকানায় যদি নিত্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রোপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকে, {বর্তমান বাজার মূল্যে যা ৮৪,০০০/= প্রায়} তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
পুরুষ-মহিলা সকলের উপরই এ বিধান প্রযোজ্য।

প্রমাণ-ফাতওয়া শামী-৯/৪৫৩, ৪৫৭
ফাতওয়া আলমগীরী-৫/২৯২

ফযীলত:
عن عائشة : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال ما عمل آدمي من عمل يوم النحر أحب إلى الله من إهراق الدم إنها لتأتي يوم القيامة بقرونها وأشعارها وأظلافها وأن الدم ليقع من الله بمكان قبل أن يقع من الأرض فيطيبوا بها نفسا
অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিনে বনী আদম এমন কোন কাজ করতে পারে না, যা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করা তথা কুরবানী করার চেয়ে বেশি প্রিয়। কুরবানীর পশু সকল শিং, তাদের পশম ও তাদের খুরসহ কেয়ামতের দিন [কুরবানীদাতার পাল্লায়] এসে হাজির হবে। আর কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট সম্মানের স্থানে পৌছে যায়। সুতরাং তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে কুরবানী করবে। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৪৯৩, মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫২৩, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২১৫৩}

عن زيد بن أرقم قال أصحاب رسول الله صلى الله عليه و سلم يا رسول الله ماهذه الأضاحي ؟ قال ( سنة أبيكم إبراهيم ) قالوا فما لنا فيها ؟ يا رسول الله قال ( بكل شعرة حسنة ) قالوا فالصوف ؟ يا رسول الله : قال ( يكل شعرة من الصوف حسنة
যায়েদ বিন আরকাম রাঃ বলেন-রাসূল সা. এর সাহাবাগণ বললেন-হে আল্লাহর রাসূল! এ সকল কুরবানীর ফযীলত কি? উত্তরে তিনি বললেন-তোমাদের জাতির পিতা ইবরাহীম আ. এর সুন্নাত। তারা পুনরায় আবার বললেন-হে আল্লাহর রাসূল! তাতে আমাদের জন্য কী সওয়াব রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন-কুরবানীর পশুর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে। তারা আবারো প্রশ্ন করলেন-হে আল্লাহর রাসূল! ভেড়ার লোমের কি হুকুম? [এটাতো গণনা করা সম্ভব নয়] তিনি বললেন-ভেড়ার লোমের প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে। {সুনানে ইবনে মাজাহ-হাদীস নং-৩১২৭}

Address

Sunamganj

Telephone

+8801891536986

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al Islah Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share