19/06/2025
দরজা খোলা ছিল। বিকেলের আলো ঘরের ভেতর পড়ে এক অদ্ভুত আবছা পরিবেশ তৈরি করেছে। রুমে কেবল একটা ফ্যান ঘুরছে আর একটাই শব্দ শোনা যাচ্ছে, দিশার নিঃ 'শ্বা 'স।
রাহাত পাশে বসে, একটা আঙুল দিয়ে ওর চুলে বিলি দিচ্ছে। জানো, আমার মা বলেছে, এইবার তুই যা বলবি, তাই করবো। আমি তো বলেই দিয়েছি, আমি দিশাকেই বিয়ে করবো।
দিশার মুখে লাজুক হাসি, গাল লাল হয়ে গেছে। গলার চেইনটা রাহাতের বুকের সাথে ঘষা খেতে খেতে কাঁপছে।
তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো…? দিশা চাপা স্বরে জিজ্ঞেস করে।
রাহাত হেসে ওঠে আর বলে, তাহলে আমাকে ক /ব /র দিয়ে দিও। তোমায় ছাড়া আমি বাঁ 'চ 'বো না, বে /বি…
এভাবে কয়েক মাস কেটে যায়। দিশা ধীরে ধীরে নিজের শ 'রী 'রে 'র দরজা খুলে দেয়। 'ওই তো আমার স্বামী হতে যাচ্ছে', এই আশ্বাসে সে একদিন, একাধিকবার, সম্পর্কের সব সী 'মা ভে /ঙে ফেলে।
এখন সব রাহাতের নিয়ন্ত্রণে। সে বলে, মেয়ে মানুষ যখন কারো শ 'রী 'র ছুঁ /তে দেয়, তার মানেই সে পুরোটা বি 'শ্বা 'স করে।
আসলেও তাই। দিশা তাকে পুরোটা বি 'শ্বা 'স করত। তাই হয়ত....।
অন্যদিকে দিশার থেকে যা পাবার, তা রাহাত নিয়মিত পেতে থাকল। এভাবে চলল অনেকদিন।
হঠাৎ করেই একদিন ফোনের ওপাশ থেকে রাহাতের গলা বদলে গেল। সে বলল, দিশা, মা তোমাকে পছন্দ করছে না। তোমার আগের একটা রিলেশন ছিল না? ফেসবুকে কিছু ছবি দেখেছে। এখন আমার স 'ম্মা 'ন থাকবে কই?
দিশা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বলল- রাহাত, তুমি তো জানো ওসব সত্য না। তুমিও তো আছো সেই ছবিগুলোতে!
রাহাত- তবুও… মা রাজি না। তুমি বুঝতে পারসো না… প্লিজ, আর আমাকে একটু সময় দাও।
দিশাও সময় দিল।
কিন্তু সময় নিতে নিতে হঠাৎ একদিন জানতে পারলো, রাহাতের অন্য এক মেয়ের সঙ্গে এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে।
মেয়েটা শহরের একটা নামী পরিবারের। পিওর, রুচিশীল, হিজাব করে, সমাজে মানায় এমন একটি মেয়ে।
আর দিশা? সে ছিল শুধু সেই মেয়ে, যে ভবিষ্যৎ বউ হবার স্বপ্নে সবকিছু বিলিয়ে দিল। কিন্তু লাভ হল না। এখন সে না পেল রাহাতকে, না পাবে অন্যকাউকে।
যদি সে এই ঘটনা গো 'প 'ন রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করেও, তবে সেটা হবে ওই পুরুষের সাথে তার প্র /তা /র /ণা করা।
দিশা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ঠোঁ 'ট শুকিয়ে গেছে। বি 'ছা 'না 'র ওপর ছড়ানো কিছু পুরোনো ছবি পরে আছে। রাহাতের সাথে তার হাসিমুখ, হাতে হাত, চোখে প্রেম।
দিশা দীর্ঘ নিঃ 'শ্বা 'স নেয়। নিজে নিজেই বলে, তুমি আমাকে ভালোবাসোনি। কিন্তু আমার শ 'রী 'র, আমার বি 'শ্বা 'স, আমার স্বপ্ন, সবকিছুকে কে /ড়ে নিয়েছো।
তাইতো বলি বোন, যে শরীরটা তুমি কাউকে 'স্বামী' ভেবে দিয়ে দিচ্ছো, ঐটার হক হয়ত অন্য কারও। যে তোমার প্রকৃত জীবনসঙ্গী। অথচ তুমি সীমিত সুখের জন্য বিলিয়ে দিলে অন্য পুরুষকে।