Humayun ahmed writer

Humayun ahmed writer I had found may life has changed.

23/12/2024
22/06/2024
15/03/2024

আমার ছাত্রী পড়াতে গিয়ে দেখলাম তাঁর আম্মু একটা ছেলের সাথে খুব অ'ন্তরঙ্গ হয়ে বসে আছে। আমি তাদের দুজনকে দেখে ল'জ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। আমাকে দেখে তারা নিজেরাও নিজেদেরকে গুছিয়ে নিলো। আসলে মানুষের আসল চেহারাটা বুঝা যায় না। অবনির মা যে এরকম একটা খারাপ কাজ করতে পারে এটা কখনো আমার ভাবনায় আসেনি। তবে চাহিদার প্রয়োজনে মানুষ অনেক জঘন্য কাজও করে থাকে। নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোট ছেলের সাথেও মানুষ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে সেটা আমি আজ বুঝলাম। আমি কিছু বলার আগেই অবনির মা আমাকে বলল,অবনি তো এখনো স্কুল থেকে ফেরেনি। আর আজ তুমি এতো আগেই পড়াতে আসবে সেটা বলবে না?

তখন আমি বললাম আজ মাসের শেষ তারিখ। তাই একটু আগেই পড়াতে এসেছি,টাকাটাও দরকার ছিলো।"

তখন অবনিরা মা বলল,
আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি বসো আমি টাকা নিয়ে আসছি।"

কিছুক্ষণ পর অবনির মা এসে আমার হাতে দশ হাজার টাকা দিয়ে বলল,

"ও হচ্ছে আমার খালাতো ভাই সুজন। অবনিকে ওর কথা বলার দরকার নেই। তোমাকে অগ্রিম মাসের টাকাটাও দিয়ে দিলাম। তোমার নাকি টাকার সমস্যা বলেছিলে। আজকে পড়াতে হবে না তুমি বরং কালকে এসো।"

টাকাটা নিয়ে আমি চলে আসি। অবনিকে পড়াই আজ ছয়মাস হতে চলল। সত্যি বলতে অবনিকে আমি টাকার জন্যই পড়াই। অবনির বাবার টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। তাঁর বাবা বিদেশ থাকেন তাই আমাকে মাস শেষে পাঁচ হাজার টাকা দিতে কোনো সমস্যা হয় না। দশ হাজার টাকা পেয়ে সেখান থেকে মাকে চার হাজার টাকা দিলাম। আর বোনকে এক হাজার টাকা। বাকিগুলো আমার প্রয়োজনে কাজে লাগাবো রেখে দিলাম। মাকে দেওয়া এটা আমার প্রথম কোনো উপহার। আমি এর আগে কখনো মাকে টাকা দেইনি। টাকা দেওয়ার পর মায়ের চোখে যে আনন্দটা দেখেছিলাম সেটার কাছে পৃথিবীর সব আনন্দ তুচ্ছ। এক হাজার টাকা পেয়ে আমার বোন এতোটা খুশি হবে ভাবিনি। কিন্তু যখন টাকা পেয়ে সে আমাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে ভাইয়া বলল। তখন মনে হলো এমন বোনের জন্য জীবনে কিছু করতে না পারলে জীবনের কাছে ঋণী থেকে যাবো।

পরের দিন অবনিকে পড়াতে গিয়ে দেখলাম অবনি খুব সুন্দর করে সেজেছে। আকাশী রঙের শাড়িতে মেয়েটাকে অন্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে। তাই পড়ানোর সময় তাঁর দিক থেকে কেনো জানি চোখ সরাতে পারছিলাম না। আমার এমন অবস্থা দেখে অবনি বলল,

"স্যার আপনার কি কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে?"

নিজের ছাত্রীর মুখে এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা আনইজি ফিল করলাম। তারপরেও ধমকের শুরু বললাম।

"এসব কি প্রশ্ন? আমার গার্লফ্রেন্ড দিয়ে তুমি কি করবে? বাচ্চাদের এসব জানতে হয় না। তুমি পড়াশোনায় মনোযোগ দাও।"

তখন অবনি বলল,

"কে পিচ্চি? দেখেন আমি কতো বড় হয়ে গিয়েছি। আর ক্লাস নাইনে পড়া একটা মেয়েকে বাচ্চা বলা মোটেও উচিত না। আমার এক বান্ধবির বিয়ে হয়েছে,বাচ্চার মাও হয়ে গেছে। আর আপনি আমাকে বাচ্চা বলছেন।"

অবনির কথায় ঠিক। অবনিকে আজ মোটেও বাচ্চা বাচ্চা লাগছে না। বড়ই মনে হচ্ছে। শাড়ি পড়লে ছোট মেয়েদেরকেও অনেক বড় মনে হয়। অবনিকেও আজ বড়দের মতোই মনে হচ্ছে। আমি অবনির কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পারলাম না। অবনি আবার জিগ্যেস করলো।

"স্যার আপনি কিন্তু বললেন না,আপনার কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি?"

তখন বাঁধ্য হয়ে বললাম।

"ছিলো একসময় তবে এখন নেই। এবার খুশি তুমি? তোমার প্রশ্নের উত্তর খুুঁজে পেয়েছো।"

তখন অবনির চোখেমুখে অনেক আনন্দ দেখতে পেলাম। আমার গার্লফ্রেন্ড নেই শুনে অবনি এতোটা খুশি হলো কেনো বুঝতে পারলাম না।

প্রায় ছয় মাস পর হঠাৎ করেই জানতে পারলাম অবনির মা প্রেগন্যান্ট। এমন অবস্থায় সব জায়গায় জানাজানি হয়ে গেলো। যেহেতু অবনিদের বাসায় আমি বাদে আর কোনো ছেলে যাওয়া আসা করতো না তাই সবাই আমার দিকে আঙুল তুলতে লাগলো,আমাকে সন্দেহ করতে লাগলো। অবনির মা যখন আমাকেই দোষ দিলো তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো। অবনির মা নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমার নামে যে এতো বড় একটা মিথ্যা কথা বলবে আমি কখনো কল্পনা করিনি। অবনির সামনে সেদিন কি লজ্জাটাই না পেয়েছিলাম। কোনো অপরাধ না করেও আমি অবনির চোখের দিকে তাকাতে পারিনি। অবনি অনেক ঘৃণা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সে কাঁদতে কাঁদতে যখন বলল।

"স্যার আপনি চাইলে তো আমিই আপনাকে এই সুখটা দিতাম। আপনাকে আমি ভালোবাসতাম। আর আপনি কিনা আমার মায়ের সাথেই এটা করলেন? আপনার প্রতি যে রেসপেক্ট ছিলো সেটা আপনি রাখেননি। আপনি কখনোই একজন শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।"

কথা গুলোই বলেই অবনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমিও চলে আসি। এলাকার সবাই জেনে গিয়েছে বিষয়টা। তাই লজ্জায় কারো সামনে যেতে পারতাম না। বাসায়ও চুপচাপ থাকতাম,মা বাবা বোন কেউ আমার সাথে আগের মতো কথা বলে না। আমার জীবনটা যেনো একাকিত্বের এক নরকে পরিণত হলো। ঠিক এমন সময় আমার নরকীয় জীবনটাকে আরও বিষাক্ত করে তুলতে ফোন দিলো আমার প্রাক্তন।

মিলির সাথে আমার দুই বছরের সম্পর্ক ছিলো। হঠাৎ করেই একদিন প্রচণ্ড রাগারাগি হলো দুজনের মাঝে। সেদিনই ব্রেকআপ করলাম আমরা। তারপরে আমি আর তাকে কোনোদিন ফোন দেইনি। কারণ আমি আমার ইগোর সাথে কখনো আপোষ করতে চাইনি। সেও কখনো ফোন দেয়নি। আজ এতোদিন পর কেনো ফোন দিলো সেটার কারণ খুঁজতে গেলাম না। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসলো চির পরিচিত সেই কণ্ঠস্বর।

"তোমার সাথে বিচ্ছেদ হয়ে ভালোই হয়েছে। এমন একটা কাজ করবে কখনো ভাবিনি।"

"আমি ভেবেছিলাম এতোদিন পর ফোন দিয়ে তুমি জানতে চাইবে আমি কেমন আছি? কিন্তু তা না করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছো? এটা বলার জন্যই কি ফোন দিয়েছো?"

"সেটা বলার প্রয়োজন মনে হয়নি কারণ তুমি ভালোই আছো। সেজন্যই হয়তো নিজের থেকে বয়সে অনেক বড় একটা মেয়ের সাথেও অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে পেরেছো। ভালো না থাকলে মানুষ এমন কাজ করতে পারে? বল।"

"আর সবাই না হয় আমার সম্পর্কে জানে না তাই এমনটা বলছে। কিন্তু তুমি তো আমার সম্পর্কে সব জানো,আমাকে চেনো আমি কেমন মানুষ। তারপরেও এমনটা বললে? তোমার সাথে তো দুইটা বছর রিলেশন করেছি কখনো তো একটা চুমুও খেতে চাইনি তোমাকে। তুমিই বল,তোমার সাথে যদি আমি ফিজিক্যাল রিলেশন করতে চাইতাম তাহলে কি তুমি না করতে? আমার তো মনে হয় না তুমি না করতে। যেখানে তোমার মতো মেয়ের সাথে এমনটা করিনি সেখানে আমার থেকে বয়সে বড় একটা মহিলার সাথে এটা করবো কি করে ভাবলে তুমি?"

ঠিক এমন সময় বাবা আমার রুমে এসে পড়ায় আমি ফোনটা কেটে দিলাম। দীর্ঘ দুইমাস পর আমার রুমে কেউ আসলো,আমার সাথে কেউ কথা বলল। আমার তো ভালো লাগার কথা,খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু আমি খুশি হতে পারলাম না বরং বাবার কথাগুলো শুনে চোখের পানিটাকে অনেক চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারলাম না।

বাবা যখন বললেন,

"কয়েকদিন পর তোর বোনকে দেখতে আসবে। আমি চাই না তোর কারণে আমার মেয়ের বিয়েটা ভেঙে যাক। তুই এক বছরের জন্য এই বাড়ি থেকে চলে যা। সবাই জানবে তোকে আমরা ত্যাজ্যপুত্র করেছি। তোর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। একবছরে যদি কিছু করতে না পারিস,নিজের বেঁচে থাকার মতো অবস্থা তৈরি করতে না পারিস তাহলে চলে আসিস। তখন তোর বোনের বিয়ে হয়ে যাবে। তাই আর কোনো সমস্যা হবে না। তবে আমি চাইবো না তুই আর কখনো এই বাড়িতে ফিরে আস। তোর কারণে আমি আমার মান সম্মান সব হারিয়েছি। কাজটা করার আগে তোর ভাবা উচিত ছিলো তোর সাথে তোর পরিবারের মানসম্মানটাও মিশে আসে। যাইহোক তোর মাকে আমি এখনো কথাটা বলিনি। তুই চলে যাওয়ার পরেই বলবো। আজ রাতেই চলে যাবি। তোর মা কিংবা বোনের সাথে দেখার করার দরকার নেই। টাকা লাগলে বল,দিয়ে দিবো।"

আমি কিছু বলতে পারলাম না। আমি জীবনে কোনোদিনও চিন্তা করিনি আমার বাবা আমার প্রতি এতো কঠোর হবেন কখনো। কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললাম।

"না কোনো টাকা লাগবে না।"

আমি লক্ষ্য করলাম আমার কান্না ভেজা কণ্ঠটাও বাবার ভিতরটাকে নাড়া দিতে পারলো না। বাবা আমার রুম থেকে চলে গেলেন।

ফোনের দিকে তাকাতেই দেখলাম একুশবার ফোন দিয়েছে মিলি। এখনো দিয়েই যাচ্ছে। তাঁর ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করছিলো না। কারণ সবকিছু গোছগাছ করতে হবে,আজকেই বাবা আমাকে চলে যেতে বলেছেন। জানি না কোথায় যাবো,যাওয়ার মতো তেমন কোনো জায়গাও নেই। তবে যেতো তো হবে। পৃথিবীটা তো অনেক বড়,কোথাও না কোথাও তো জায়গা হবে?

চলবে..........

গল্পঃ #আকাশ
( পর্ব-১ )
AR
নতুন পাঠকেরা পরবর্তী পর্বগুলো মিস না করতে চাইলে সাথেই থাকুন 💐

রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!' রাজার রাজ্যে ১ লোক রুটি বিক্রি করতো। সে একমাত্র রুটি বিক্রেতা। সে একদিন...
26/01/2024

রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!'

রাজার রাজ্যে ১ লোক রুটি বিক্রি করতো। সে একমাত্র রুটি বিক্রেতা।
সে একদিন রাজার কাছে গিয়ে বললঃ 'হুজুর, অনেক বৎসর ৫ টাকা করে রুটি বিক্রি করি। এখন দাম বাড়িয়ে ১০ টাকা করতে চাই। আপনি যদি অনুমতি দেন!'

রাজা বললেন, 'যা কাল থেকে ৩০ টাকা রুটির দাম!'
দোকানী বলল, 'না হুজুর, আমার ১০ টাকা হলেই চলবে!'

রাজা বললেন, 'চুপ করে থাক! আর আমি যে দাম বাড়াতে বলেছি, কাউকে বলবিনা!'

রুটি ওয়ালা খুশিমনে ফিরে গেল।
পরদিন থেকে তার রুটির দাম ৩০ টাকা!

সারা রাজ্যে প্রতিবাদ! জনগণ ক্ষেপে গিয়ে রাজার কাছে বিচার দিল, 'হুজুর, আমাদের বাঁচান! এ কি অন্যায়! ৫ টাকার রুটি ৩০ টাকা হলে আমরা বাচবো কি খেয়ে!'

রাজা হুংকার দিলেন, 'রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!'

তারপর ঘোষণা দিলেন কাল থেকে রুটির দাম অর্ধেক (মানে ১৫ টাকা!)

সারা রাজ্যে ধন্য ধন্য পড়ে গেল! শুধু এমন একজন রাজা ছিলো বলে! না হলে জনগণের কি হতো!

রুটি ওয়ালা খুশি!
জনগণও খুশি!
রাজাও খুশি!
এরপর রাজা গোপনে রুটিওয়ালাকে ডেকে আনলো ও বলল তুমি রুটির দাম ১০ টাকা রেখে বাকি ৫ টাকা আমাকে দিবে কেউ যেন না জানে।

(সংগৃহীত)

05/01/2024

এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত।

সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত।

ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে।

কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।

তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত।

কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে।

সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে তেলাপোকা তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে।

কিছুদিনের মধ্যেই তেলাপোকার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি।

আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।

নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল।

সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল।

কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে।

পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে।

ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল।

পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক।

পরের সপ্তাহেই ওই হতভাগ্য পিঁপড়াকে ছাঁটাই করা হলো।

পিঁয়াজ আপুর বিয়ে হবে,,🌰                 সয়াবিন তেলের সাথে,,,🥃লবন ভাই ঘটকালি করে,,,🍚                  চৈত্র মাসের রাতে...
16/12/2023

পিঁয়াজ আপুর বিয়ে হবে,,🌰
সয়াবিন তেলের সাথে,,,🥃
লবন ভাই ঘটকালি করে,,,🍚
চৈত্র মাসের রাতে,,,,🌃
রসুন ভাই দৌরে গিয়ে ,,,🏃
দাওয়াত দিয়ে আসে,,,🧄
পরিমনি দাওয়াত পেয়ে,,,🙆
খিল খিলাইয়া হাসে ,,,🤣
চাল আসে ডালের সাথে,,😍
সঙ্গে মিষ্টির হাড়ি,,,,🍛
আনন্দে তাই আদা ভাইয়ের 🥔
সুভাস ছরা ছরি,,,,😲
মরিচ ভাই তবলা বাজায়,,,🌶️
জিরায় ধরে টান,,,😍
সরিষা তেল সানাই বাজায় 🎷
মশায় করে গান🦟
দাওয়াত না পেয়ে তেলাপোকা ,,
মুখ করেছে ভার😟
এই বিয়েতে গয়না দিবে 💍
ইচ্ছে ছিলো তার🤣

©CP

02/12/2023

ঢাকা - লন্ডন ৪৯০৫০ টাকা
ঢাকা - লন্ডন - ঢাকা ১০৮৭৩৫ টাকা
ঢাকা - ম্যানচেস্টার ৫৬০৫০ টাকা
ঢাকা - ম্যানচেস্টার - ঢাকা ১০৩৮৬১ টাকা
ঢাকা - সিঙ্গাপুর ২৬৫০০ টাকা
ঢাকা - সিঙ্গাপুর - ঢাকা ৪৩৩৭৫ টাকা
ঢাকা - আবুধাবি ৩৮৯৮০ টাকা
ঢাকা - আবুধাবি - ঢাকা ৭৩৪৬৮ টাকা
ঢাকা - সুবর্ণভূমি ২৩৬৮৩ টাকা
ঢাকা - সুবর্ণভূমি - ঢাকা ৩২২৪৪ টাকা
ঢাকা - দাম্মাম ৫১৩০৯ টাকা
ঢাকা - দাম্মাম - ঢাকা ৮২৭৯৫ টাকা
ঢাকা - দোহা ৪১৫০৩ টাকা
ঢাকা - দোহা - ঢাকা ৬৭৬৭১ টাকা
ঢাকা - দুবাই ৫০২১৩ টাকা
ঢাকা - দুবাই - ঢাকা ৭৯৬৯৩ টাকা
ঢাকা - জেদ্দাহ ৪৮৫১৬ টাকা
ঢাকা - জেদ্দাহ - ঢাকা ৮৪৪০২ টাকা
ঢাকা - কাঠমান্ডু ২১৭৩৮ টাকা
ঢাকা - কাঠমান্ডু - ঢাকা ২৯২৮৪ টাকা
ঢাকা - কুয়ালালামপুর ৩৩৮৮৪ টাকা
ঢাকা - কুয়ালালামপুর - ঢাকা ৪২৭৪৭ টাকা
ঢাকা - কুয়েত ৩৮৫৭৩ টাকা
ঢাকা - কুয়েত - ঢাকা ৬৫২৮৪ টাকা
ঢাকা - কলকাতা ৬৫৮৬ টাকা
ঢাকা - কলকাতা - ঢাকা ১২৮৩৩ টাকা
ঢাকা - দিল্লী ১৪৮৮৬ টাকা
ঢাকা - দিল্লী - ঢাকা ২৪১২৮ টাকা
ঢাকা - বরিশাল ৩৪২৪ টাকা
ঢাকা - বরিশাল - ঢাকা ৬৮৪৭ টাকা
ঢাকা - চিটাগাং ৩৬১৩ টাকা
ঢাকা - চিটাগাং - ঢাকা ৭২২৫ টাকা
ঢাকা - কক্স বাজার ৪৬৭৯ টাকা
ঢাকা - কক্স বাজার - ঢাকা ৯৩৫৮ টাকা
ঢাকা - যশোর ৩১৩০ টাকা
ঢাকা - যশোর - ঢাকা ৬২৬০ টাকা
ঢাকা - রাজশাহী ৪৩৮৯ টাকা
ঢাকা - রাজশাহী - ঢাকা ৮৭৭৭ টাকা
ঢাকা - সৈদপুর ৩৪১৫ টাকা
ঢাকা - সৈদপুর - ঢাকা ৬৮৩৯ টাকা
ঢাকা - সিলেট ৩৪২০ টাকা
ঢাকা - সিলেট - ঢাকা ৬৮৩৯ টাকা
--------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------------
>>>>দেশ বিদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে সর্বনিম্ন মূল্যে টিকেট কিনুন শুধু মাত্র ট্যুর সিলেট বিডি থেকে।
>>>>বিমান ভাড়া যেকোন সময় সিটের প্রাপ্যতা এবং এয়ারলাইন্স নীতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।
--------------------------------------------------------------------------
টিকিটের জন্য বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন :
অফিসঃ
Tour Sylhet Bd
Trusted tour partner
01711-376426
01912406047
+4407840151121
+4407438246310
ট্যুর সিলেট বিডি
গার্ডেন সিটি, শাহজালাল উপশহর,সিলেট।
https://goo.gl/maps/o9F3uPZY59M93QkQ6

24/11/2023

ভাইয়ের পোস্ট থেকে...
পুরুষদেরই কেন মশারি টানাতে হয়?
মশারির চার কোণা কেন হয়? তিন বা পাঁচ কোণা কেন হয় না? আপনারা কখনও এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন? আমি পড়েছি। এক বড় ভাই হঠাৎ প্রশ্নটা করে বসলেন। তিনি অবশ্য উত্তরও দিয়ে দিয়েছিলেন। উত্তর একটু পড়ে বলছি। একটা ঘটনার কথা বলে নেই-
বছর খানেক আগে এই বড় ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম। কী করছেন জিজ্ঞেস করতেই ভাই বললেন: কাপড় ধুচ্ছি। আমি বললাম- ভাই, এই বয়সে কাপড় ধোয়ার বিষয়টা কেমন যেন দেখায়। দ্রুত বিয়ে করেন। আপনাকে আর কাপড় ধুতে হবে না। বড় ভাই বিয়ে করলেন। আমার ধারণা তার দিন সুখেই কাটছিল। কারণ, বিপদে পড়লে পরামর্শের জন্য আমাকে ফোন দেন। তিন-চার মাস চলে গেল। ভাই কতটা সুখে আছে জানার জন্য আমিই ফোন দিয়ে বললাম, ‘ভাই কী করছেন?’ ভাই গলার স্বর একটু নামিয়ে বললেন: দু’জনের কাপড় ধুচ্ছি।
আরেক বড় ভাইকে দেখেছি সাত আট বছর সংসার করছেন। স্বামী-স্ত্রীতে কখনো ঝগড়া হয়নি। সুখের গোপন রহস্য জানতে চাইলে রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল: অ্যাডজাস্টমেন্টরে ভাই অ্যাডজাস্টমেন্ট। আমরা সবাই সুখী হতে চাই। ভাইকে চেপে ধরলাম। কী অ্যাডজাস্টমেন্ট। কীভাবে করলেন, আমাদের শেখান। একদিন আপনি মশারি টানান আরেকদিন ভাবী? বড় ভাই বললেন: আসলে আমরা খুবই হেল্পফুল। আমি তার রান্নার কাজে হেল্প করি, সে আমার কাপড় ধোয়ায় হেল্প করে।
পাশ থেকে এক বন্ধু প্রশ্ন করল: তাহলে মশারি টানানো? এটা কে করে? ভাই উদাস গলায় বললেন: এটা সবসময় পুরুষদেরই করতে হয়।
এক বড় ভাইকে চিনি। কখনো মশারি টানাতেন না। বাড়ি থাকতে মা টাঙিয়ে দিতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠে নিয়মিত রক্ত দান শুরু করলেন। না করে উপায় আছে? মশারি টানাতে ইচ্ছে করে না। মা নেই যে টানিয়ে দেবেন। মশা বেশি রক্ত খেলে কয়েল কিংবা পিপিলেন্টে সমাধান খোঁজেন।
সেই ভাই বিয়ের পর শুনলেন ভাবী মশারি ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। বড় ভাইয়ের মশারি কে টানিয়ে দিতো এই প্রশ্ন করার আর সাহস পাইনি। তবে সেই বড় ভাই সন্তানের জন্য পরম ভালোবাসায় মশারি টানানোর ঘটনা গর্ব করে বলে বেড়াতেন। তখন বুঝেছি স্ত্রীর জন্য মশারি টানানো যতটাই ‘লজ্জা’র সন্তানের জন্য মশারি টাঙ্গানো ততটাই ভালোবাসার।
মশারি পুরুষদের কেন টানাতে হয় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তারপরও এক ভদ্রলোককে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তরে বললেন: তুমি কি জানো মানুষের রক্ত খায় শুধু মাত্র স্ত্রী মশা? এক স্ত্রীর (মশা) হাত থেকে পুরুষকে আরেক স্ত্রী (ঘরের স্ত্রী) কেন রক্ষা করবে? স্ত্রীদের হাত থেকে সুরক্ষার উপায় তাই পুরুষদেরই অবলম্বন করতে হয়।
তবে কবে থেকে মশারি টানানোর প্রথা পুরুষদের ঘাড়ে চাপানো হলো তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। একজন বলল, এক লোক স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করছে। সে একাই কেন মশারি টানাবে। এই নিয়ে চুক্তি হওয়া উচিত। স্ত্রী অনেক ভেবেচিন্তে চুক্তিপত্র তৈরি করলেন। তাতে লেখা ছিল: একদিন তুমি মশারি টানাবে আমি ঘুমাব, পরেরদিন আমি ঘুমাব তুমি মশারি টানাবে। সেই থেকে শুরু। একদিন স্বামী মশারি টানায় স্ত্রী ঘুমায়, অন্যদিন স্ত্রী ঘুমায় স্বামী মশারি টাঙ্গায়।
মশারি চার কোণা কেন হয়, প্রশ্নের উত্তরে অবিবাহিত সেই বড় ভাই বলেছিলেন: মশারির কোণা জোড় সংখ্যায় হয়। যাতে দুই কোণ স্বামী, আর বাকি দুই কোণ স্ত্রী টানাতে পারে।
এই বাণী দেওয়ার কিছুদিন পর বড় ভাই বিয়ে করেন। বিয়ের পর একদিন দেখা। জানতে চাইলাম, ভাই খবর কী? তিনি বললেন: জীবনে যা শিখলাম সব ভুলরে। মশারির চারটা কেন, চারশ’ কোণ হলেও তা স্বামীকেই টানাতে হতো।
আমি বললাম, তার মানে মশারি আপনাকে টানাতে হয়? এ তো অন্যায়। এমন অন্যায় মেনে নিলেন? ভাই বললেন: শুরুতে মানিনি। নালিশ নিয়ে আব্বুর কাছে গিয়েছিলাম। দরজার বাইরে থেকে আব্বু বললেন : একটু বাইরে আসো, জরুরি কথা আছে। আব্বু বললেন: তুমি সোফায় বসো, মশারিটা টানিয়েই আসছি।
© রম্য -

20/11/2023

কখনো কি কাউকে দূরে থেকে ভালোবেসে দেখছে?

Address

Sunamganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Humayun ahmed writer posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Humayun ahmed writer:

Share