22/05/2023
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন জি আমিও ভালো আছি।
এটা কোন সিনেমা কিংবা উপন্যাসের গল্প নয় এটা হচ্ছে একজন রেমিটেন্স যুদ্ধার নাম সাজু তার জীবনের গল্প৷আপনারা হয়তো জানেন কিছু দিন আগে পর্তুগালে সাজু নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেছে ।এই যে মেয়ে আপনারা দেখতেছেন এই মেয়ে হয়েছে তার বিবাহিত স্ত্রী।সাজু ও মেয়েটার পরিচয় ফেসবুক থেকে পরিচয় থেকে পরিণয়, ফেসবুক থেকে সম্পর্ক শুরু এবং ফেসবুকের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত তাদের কথাবার্তা হয়ে আসছিল। এবং সেখান থেকে তাদের সম্পর্ক শুরু হয়ে যায় এবং একজন আরেকজনকে ভালবাসতে থাকেন কিছু দিন পরে এই মেয়ে,,সাজু কে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং সাজু কে বুলিয়ে বালিয়ে বিয়ে তে রাজিও করে পেলে,,,,,মেয়ের পরিবার এবং মেয়ের নানা মিলিয়ে একটা শুভ দিন ধার্য করা হয় বিয়ের।
কিন্তু সাজে থাকতো পর্তুগালে তবে বিয়ে হবে কি ভাবে, মেয়েটা তাকে বুদ্ধি দিল চল আমরা ভিডিও কল অনলাইনের মাধ্যমে বিয়ে করে ফেলি। সাজু মেয়ে টা কে এত টাই ভালোবাসত মেয়েটার প্রতিটা কথা গুরুত্ব সহকারে নিতো। সাজু ও মেয়ে এর কথায় রাজি হয়ে যায়। এভাবে তাদের নতুন জীবন শুরু হয়ে যায় সাজু ও স্বামী হিসেবে যতটুক দায়িত্ব কর্তব্য সব দিকে কিন্তু সে পারফেট ছিল। মেয়ে টার পড়াশোনা এবং একজন স্ত্রীর যতটুকু প্রয়োজন দায়িত্ব সবকিছু সাজু বহন করেছিল ।
কিছুদিন যাবার পর হঠাৎ সাজুকে একটা প্রস্তাব দিল মেয়ে টা, সাজু কে বলেছিল আমি IELTS complete করব এবং আমি লন্ডনে যাব। যুদিন তুমি সম্পূর্ণ খরচ দিয়ে আমাকে সাহায্য কর বিষয় টা সাজু মাথায় নিল এবং ভেবেচিন্তে সে রাজি হয়ে গেল।
সাজু তার স্ত্রী বিষয়টা এভাবেই নিয়েছিল যুদিন IELTS রেজাল্ট ভালো হয়,,তা হলে লন্ডনে আসবে এবং সেখান থেকে সে কিন্তু পর্তুগালে নিয়ে আসবে তার স্ত্রীকে এরকম পরিকল্পনা ছিল সাজুর।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সাজুর এই ভালো পরিকল্পনা ভেঙ্গে দিল তার স্ত্রী লুৎফা বেগম।
মেয়েটা ছিল চালাক চতুর এবং খুব লোভী একটা মেয়ে মেয়েটা তার স্বার্থটাই বুঝে সাজুর ভালোবাসাটা বুঝতে পারে নাই।
যখন মেয়ে টা IELTS ভালো রেজাল্ট পেল এবং লন্ডনে যাওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই তার মাথায় খারাপ বুদ্ধি চলে আসলো। মেয়েটা কি করল অন্য একটি ছেলেকে নিয়ে যাকে বলে contact marriage করে ছেলেটিকে নিয়ে লন্ডনে যাবে। এ বিষয়ে সাজু জানতে পেরে সে বাধা দিতে লাগলো এক পর্যায়ে এ বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়াও লেগে যায় । মেয়েটার কথা হচ্ছে ছেলেটাকে নিয়ে লন্ডনে যাবে আর সাজুর কথা হচ্ছ তুমি একা লন্ডনে আসবে,এবং আমার যেভাবে সম্ভব আমি পর্তুগালে তোমাকে নিয়ে আসব। সাজু চায়না সে তার স্ত্রী পর পুরুষের সাথে লন্ডনে আসুক।
তার স্ত্রী তার কথা মেনে নেইনি বলে।এ বিষয়ক কে কেন্দ্র করে অভিমানে সে আত্মহত্যা করে!
আমি চাই এর একটা সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে সঠিক ভাবে বিচার করা হোক।তা না হলে বেইমান মেয়েদের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে এ রকম ভালো পরিবারের ছেলেরা। আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয়। আর যেন কোনো মেয়ে এই প্রতারক মেয়ের মত কোন ছেলের সাথে নির্লজ্জ বেহার মতো খারাপ আচরণ না করে । তাই সঠিক বিচার চাই 😢😢