24/07/2025
একটি সাম্প্রতিক বৃহৎ পরিসরের গবেষণায় মুখের জীবাণুগুলোর (oral microbiome) সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের একটি চমকপ্রদ সম্পর্ক উদ্ঘাটিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ১৫,০০০ এর বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের জীবাণু বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, যাদের মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৈচিত্র্য কম ছিল, তারা হতাশার উপসর্গ বেশি প্রদর্শন করেছেন। এই সম্পর্কটি বিশেষভাবে পুরুষ ও অ-হিস্পানিক শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
যদিও আগে থেকেই জানা ছিল যে অন্ত্রের জীবাণুগুলো (gut microbiome) মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে, তবে এই গবেষণা মুখের জীবাণুদের — যা শরীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাইক্রোবিয়াল কমিউনিটি — মানসিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে তুলে ধরেছে। এই জীবাণুগুলো প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সমর্থন করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেগুলো আবার মনের অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে।
গবেষণাটি “অ্যালফা ডাইভার্সিটি”-র ওপর গুরুত্ব দিয়েছে, যা মুখে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বোঝায়। দেখা গেছে, যাদের মুখে জীবাণুর বৈচিত্র্য বেশি, তারা স্থায়ী দুঃখবোধ বা শক্তিহীনতার মতো উপসর্গ কম অনুভব করেছেন। তবে, বেশি বৈচিত্র্য মানেই সব সময় ভালো মানসিক অবস্থা নয় — এর একটি আদর্শ মাত্রা থাকতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যারা হতাশাগ্রস্ত, তাদের মুখের জীবাণু প্রোফাইল উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা ছিল অন্যদের তুলনায়।
যদিও এটি নিশ্চিত করে না যে মুখের স্বাস্থ্য হতাশার কারণ, না হতাশা মুখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। ভালো মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতে প্রোবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যেতে পারে — এমন সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে।
#মানসিকস্বাস্থ্য #মুখেরস্বাস্থ্য #জীবাণুবৈচিত্র্য
#গবেষণা #হতাশা #স্বাস্থ্যসংক্রান্ততথ্য
#মনেরস্বাস্থ্য