মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী

মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী, Video Creator, Sylhet.
(1)

ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি চায় যে, তার রিযক প্রাপ্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক; সে যেন তার আত্নীয়তার সাম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখে আস-সালামুয়ালাইকুম
"মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী " পেজ এর পক্ষ থেকে আপনাদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
দ্বীন প্রচার ও ইসলাম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দিতে আমি আপনাদের মাঝে ইসলামি

ক গুরুত্বপূর্ন সকল বিষয় তুলে ধরব।
এর পাশাপাশি ,
🔰-ওয়াজ ,
🔰-মাহফিল ,
🔰- কুরআন তেলাওয়াত ,
🔰- সুরা ,
🔰- কেরাত ,
🔰-ইসলামিক গান ,
🔰-গজল ,
🔰-হামদ
🔰-নাথ
🔰- সহ নানার ধরনের ইসলামিক সচেতনতামূলক পোষ্ট করব।

দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে "মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী " পেজ টি লাইক ও ফলো দিয়ে সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ।

23/07/2025

মাশাআল্লাহ

দুটি মেয়ে  ও একটি সন্তান  (দুটি মেয়ের একটি বাচ্চা নিয়ে ঝগড়া)আবূ হুরায়রা (রাঃ)আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্...
10/07/2025

দুটি মেয়ে ও একটি সন্তান (দুটি মেয়ের একটি বাচ্চা নিয়ে ঝগড়া)
আবূ হুরায়রা (রাঃ)

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, দু’জন মহিলা ছিল। তাদের সাথে দু’টি সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলে নিয়ে গেল। সঙ্গের একজন মহিলা বললো, “তোমার ছেলেটিই বাঘে নিয়ে গেছে।” অন্য মহিলাটি বললো, “না, বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে।” অতঃপর উভয় মহিলাই দাঊদ (‘আঃ)-এর নিকট এ বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচারপ্রার্থী হল। তখন তিনি ছেলেটির বিষয়ে বয়স্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন। অতঃপর তারা উভয়ে বেরিয়ে দাঊদ (‘আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে যেতে লাগল এবং তারা দু’জনে তাঁকে ব্যাপারটি জানালেন। তখন তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমার নিকট একখানা ছোরা নিয়ে আস। আমি ছেলেটিকে দু’ টুক্‌রা করে তাদের দু’জনের মধ্যে ভাগ করে দেই। একথা শুনে অল্পবয়স্কা মহিলাটি বলে উঠলো, তা করবেন না, আল্লাহ্‌ আপনার উপর রহম করুন। ছেলেটি তারই। তখন তিনি ছেলেটি সম্পর্কে অল্পবয়স্কা মহিলাটির অনুকূলে রায় দিলেন।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! ছোরা অর্থে لسّيكينا শব্দটি আমি ঐদিনই শুনেছি। তা না হলে আমরাতো ছোরাকে المُديَتُ ই বলতাম।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪২৭

বাংলাদেশের তৈয়ারি বে*লেস্টি*ক ক্ষে*পণা*স্ত্র যা দেখে আত*ঙ্কিত বিশ্ব !!! বাংলাদেশের তৈয়ারি বে*লেস্টি*ক ক্ষে*পণা*স্ত্র যা ...
21/06/2025

বাংলাদেশের তৈয়ারি বে*লেস্টি*ক ক্ষে*পণা*স্ত্র যা দেখে আত*ঙ্কিত বিশ্ব !!!
বাংলাদেশের তৈয়ারি বে*লেস্টি*ক ক্ষে*পণা*স্ত্র যা দেখে
দুনিয়ার সবাই বাংলাদেশি শুনলে ভয়ে কাপতে থাকে।

আমরা মেধা দিয়ে বড় বড় সার্টিফিকেট কিনে নিয়েছি।

বাংলাদেশের তৈরী করা কোন সাইন্টিস্ট নাই কোন প্রতিরক্ষা মূলক আবিষ্কার নাই, কিছু নাই তাই আমরা বাঁশ দিয়ে মিছাইল আর গাছ দিয়ে বেলেস্টিক বানিয়ে সবাইকে উপহার দেই। মাঝে মাঝে আমরা খেলনা হেলিকপ্টার বানাই যা মাঠিতেই সীমাবদ্ধ আকাশে উড়ার ক্ষমতা নাই এতে পাবলিক বিনোদন পায় ভরপুর।

লজ্জা লাগে যখন অন্য কারো কাছ থেকে কিনে এনে সামরিক মহড়া দেই আমরা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্তা ৪ দেয়ালের ভিতড়ে বন্দী, বিসিএস করে সরকারি চাকরিতে পদ প্রমোশনে আমরা ব্যস্ত। আমরা কখনো দেশ ও জনগণের জন্য ভাবি না, আমরা মনে করি আমার পকেট গরম তো অন্যর হোক মরন তাতে আমার কি !!!

দেশের এতো বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় এতো গবেষণাগার

এতো বড় বড় শিক্ষক, এতো এতো ব্রেইন সবি মনে হয় নেহায়েত বৃথা।

আমরা এতো পিছেয়ে কেনো কেনো কেনো ???

আরে দরকার হলে বিদেশ থেকে সাইন্টিস্ট ভাড়া করে এনে এদের শিক্ষাদান করা হউক, তাহলে যদি একটু চেতনা আসে !!!

দেশের জনগণ ও সার্বভৌমের কথা চিন্তা করে সরকারি ভাবে উদ্যাগ নেয়া হউক 🙏
゚ #

গা*জার দৃশ্য ফুঠে উঠেছে ই*জ*রা*য়ে*লে আলহামদুলিল্লাহ
14/06/2025

গা*জার দৃশ্য ফুঠে উঠেছে ই*জ*রা*য়ে*লে আলহামদুলিল্লাহ

কোভিড ২০২৫ ইংপরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বলতে হয় কোভিড ২০২৫ এর হানা থেকে নিজেকে কিছুটা নিরাপদ করতে আমরা আবার মাস্ক পরার দি...
10/06/2025

কোভিড ২০২৫ ইং

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বলতে হয় কোভিড ২০২৫ এর হানা থেকে নিজেকে কিছুটা নিরাপদ করতে আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি।

COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

১। নতুন COVID-Omicron XBB এর লক্ষণগুলি হল:

i). কাশি নেই।
ii). জ্বর নেই।
বেশিরভাগ লক্ষণগুলি নিম্নরূপ।

iii). জয়েন্টে ব্যথা।
iv). মাথাব্যথা।

v). গলা ব্যথা।
vi). পিঠে ব্যথা।

vii). নিউমোনিয়া।
viii). ক্নাটকীয়ভাবে ক্ষুধা হ্রাস পেয়েছে।

২। এছাড়াও, COVID-Omicron XBB ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫ গুণবেশি বিষাক্ত এবং এর মৃত্যুর হারও বেশি।

৩। অতি অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠবে এবং স্পষ্ট লক্ষণগুলির অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটবে।

৪। তাই আপনাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

* এই রূপটি তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাসরি ফুসফুসের "জানালা" প্রভাবিত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।

৫। COVID-Omicron XBB-তে সংক্রামিত অল্প সংখ্যক রোগীকে জ্বর-মুক্ত এবং ব্যথা-মুক্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, তবে এক্স-রে তে হালকা নিউমোনিয়া দেখা যায়।
এছাড়াও, নাকের গহ্বরের মধ্য দিয়ে তুলার সোয়াব পরীক্ষা করে COVID-Omicron XBB নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল পরীক্ষার সময় মিথ্যা নেতিবাচক পরীক্ষার উদাহরণ বাড়ছে।
তাই এই ভাইরাসটি খুবই ধূর্ত। এর ফলে, ভাইরাসটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি মানুষের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে।
এটি ব্যাখ্যা করে যেকেন COVID -Omicron XBB এত সংক্রামক এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে*

৬। যতটা সম্ভব জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গায় এমনকি ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, মাস্কের উপযুক্ত স্তর পরুন এবং লক্ষণ ছাড়া কাশি বা হাঁচি না দিলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।

এই COVID-Omicron XBB "WAVE" প্রথম COVID-19 মহামারীর চেয়েও মারাত্মক।

* অতএব, বিচক্ষণ, বৈচিত্র্যময় এবং নিবিড় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

নিরাপদ থাকার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

জনসচেতনতা তৈরীতে সম্ভব হলে পোষ্টটি শেয়ার করুন।

যুলকারনাইন (আঃ) এর কাহিনীতারা তোমাকে যুলকারনাইন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে; তুমি বলে দাওঃ আমি তোমাদের নিকট তার বিষয়ে বর্ণনা কর...
08/06/2025

যুলকারনাইন (আঃ) এর কাহিনী
তারা তোমাকে যুলকারনাইন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে; তুমি বলে দাওঃ আমি তোমাদের নিকট তার বিষয়ে বর্ণনা করবো।

আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়েছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের উপায় ও পন্থা নির্দেশ করেছিলাম।

সে এক পথ অবলম্বন করলো। চলতে চলতে যখন সে সূর্যের অস্তগমন স্থানে পৌঁছলো তখন সে সূর্যকে এক পংকিল (কর্দমাক্ত) জলাশয়ে অস্তগমন করতে দেখলো এবং সে তথায় এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলো; আমি বললামঃ হে যুলকারনাইন! তুমি তাদের শাস্তি দিতে পার অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পার। সে বললোঃ যে কেউ সীমালংঘন করবে আমি তাকে শাস্তি দিবো, অতঃপর সে তার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে এবং তিনি তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন। তবে যে বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে তার জন্য প্রতিদান স্বরূপ আছে কল্যাণ এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলবো।

আবার সে এক পথ ধরলো। চলতে চলতে যখন সে সূর্যোদয় স্থলে পৌঁছলো তখন সে দেখলো ওটা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্যে সূর্য-তাপ হতে আত্মরক্ষার কোন অন্তরাল আমি সৃষ্টি করি নাই। প্রকৃত ঘটনা এটাই, তার (আসল) বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি।

আবার সে এক পথ ধরলো। চলতে চলতে সে যখন পর্বত প্রাচীরের মধ্যেবর্তী স্থলে পৌঁছলো, তখন তথায় সে এক সম্প্রদায়কে পেলো যারা তার কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বললোঃ হে যুলকারনাইন! ইয়াজুজ ও মা'জুজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে; আমরা কি তোমাকে কর দিবো এই শর্তে যে, তুমি আমাদের ও তাদের মধ্যে এক প্রাচীর গড়ে দিবে? সে বললোঃ আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তাই উৎকৃষ্ট; সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দ্বারা সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যস্থলে এক মযবুত প্রাচীর গড়ে দিবো।

তোমরা আমার নিকট লৌহপিণ্ড সমূহ আনয়ন কর; অতঃপর মধ্যবর্তী ফাঁকাস্থান পূর্ণ হয়ে যখন লৌহস্তুপ দুই পর্বতের সমান হলো তখন সে বললোঃ তোমরা হাঁপড়ে দম দিতে থাকো; যখন ওটা অগ্নিবৎ উত্তপ্ত হলো তখন সে বললোঃ তোমরা গলিত তাম্র আনয়ন কর, আমি ওটা ঢেলে দিই ওর উপর। এরপর ইয়াজুজ ও মা'জুজ তা অতিক্রম করতে পারলো না এবং ভেদ করতেও পারলো না। যুলকারনাইন বললোঃ এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ; যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হবে তখন তিনি ওটাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবেন এবং আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।
সুরা কাহ্ফ: আয়াতঃ ৮৩-৯৮

যুলকারনাইন কে এবং তার কাহিনীই বা কি?

যুলকারনাইন একজন সৎ ও ন্যায় পরায়ন বাদশাহ ছিলেন। তিনি পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যদেশসমূহ জয় করেছিলেন। এসব দেশে তিনি সুবিচার ও ইনসাফের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তাঁকে লক্ষ্য অর্জনে জন্য সর্ব প্রকার সাজ সরঞ্জাম দান করা হয়েছিল। তিনি দিগি¦জয়ে বের হয়ে পৃথিবীর তিন প্রান্তে পৌঁছে ছিলেন। যেমন : প্রথমে পাশ্চাত্যের শেষ প্রান্তে অর্থাৎ সূর্যাস্তের দেশে, পরে প্রাচ্যের শেষ প্রান্তে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের দেশে এবং উত্তরে পর্বতমালার পাদদেশ পর্যন্ত।

যুলকারনাইন নামকরণের হেতু সম্পর্কে বহু উক্তি ও তীব্র মতভেদ পরিদৃষ্ট হয়, কেউ বলেন তার মাথার চুলে দুটি গুচ্ছ ছিল। তাই তাকে যুলকারনাইন অর্থ্যাৎ দুই গুচ্ছ ওয়ালা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবার কেউ বলেন পাশ্চত্যও প্রাচ্যদেশসমূহ জয় করার কারণে তাকে যুলকারনাইন খেতাব ভূষিত করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, যুলকারনাইন নামে পৃথিবীতে একাধিক ব্যক্তি খ্যাতি লাভ করেছেন। এবং এটাও আশ্চর্যের ব্যাপার যে, প্রতিযুগের যুলকারনাইনের সাথে সিকান্দার (আলেকজান্ডার) উপাধিটিও যুক্ত রয়েছে। কুরআনে বর্ণিত যুলকারনাইন কে? তিনি কোন যুগে বা কার আমলের ছিলেন? এ সর্ম্পকে আলেমদের উক্তি বিভিন্নরূপ: ইবনে কাসীরের মতে যুলকারনাইনে আমল ছিল দুই হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহীম (আ.) এর আমল। ইবনে কাসীর ”আলবেদায়াহ ওয়ান্নেহায়াহ” গ্রন্থে বর্নণা করেছেন যে, যুলকারনাইন পদব্রজে হজ্বের উদ্দেশ্যে মক্কায় আগমন করলে হযরত ইবরাহীম (আ.) মক্কা থেকে বের হয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁর জন্য দোয়া করেন এবং কিছু উপদেশও দেন। আরও বর্ণিত আছে যে, যুলকারনাইন ইবরাহীম (আ.) এর সাথে তাওয়াফ করেন এবং কুরবানী করেন। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ব্যবস্থার জন্য একজন স¤্রাটও রাষ্ট্রনায়কের পক্ষে যেসব বিষয় অত্যাবশ্যকীয় ছিল মহান রব্বুল আলামীন যুলকারনাইন-কে ন্যায় বিচার শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও দেশ বিজয়ের জন্য সেযুগে যা যা দরকার ছিল তা সবই দান করেছিলেন। কোন কোন রেওয়াতে রয়েছে যে, সমগ্র বিশ্বে শাসন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠাকারী ৪জন সম্রাট অতিক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে দুজন ছিলেন মুমিন ও দুজন ছিলেন কাফের। মুমিন দুজন হলেন হযরত সোলায়মান (আঃ) ও সেকান্দর যুলকারনাইন এবং কাফের দুজন হলেন – নমরূদও বখতে-নসর।

সর্ব প্রথম যুলকারনাইন পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তে অর্থাৎ সূর্যাস্তের দেশে জনপদের শেষ সীমার অভিযান শুরু করেন। তিনি পশ্চিম প্রান্তের সে সীমা পর্যন্ত পৌঁছান যার পর আর কোন জনবসতি ছিল না। সেখানে তিনি সূর্যকে এক কালো বর্ণের পানির মধ্যে ডুবতে দেখলেন। অর্থ্যাৎ সমুদ্রের মধ্যে ডুবতে দেখলেন। কেননা সমুদ্রের স্থানে স্থানে পানি কালো বর্ণের হয়। বস্তত: সূর্যের পাড়ে দাড়ালে মনে হয় সূর্য পানিতে ডুবছে। তথায় তিনি এক জাতিকে দেখতে পেলেন যারা কাফের ছিল তখন আল্লাহ বললেন, হে যুলকারনাইন! আপনি ইচ্ছা করলে প্রথমেই কুফরের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারো অথবা ইচ্ছা করলে সদয় বা নম্র ব্যবহার করতে পারো। অর্থাৎ প্রথমে ইসলামের দাওয়াত, তাবলীগ ও উপদেশের মাধ্যমে তাদেরকে ঈমান আনয়ন ও ইসলাম ধর্মে দাখেল হতে আদেশ করতে পারো। এরপর যারা মানে তাদেরকে প্রতিদান আর যারা না মানে তাদেরকে শাস্তি দিও। প্রতুত্তেরে যুলকারনাইন বললো- আমি প্রথমে তাদেরকে উপদেশের মাধ্যমে তাওহীদের পথে আনার চেষ্টা করব। এরপরও যারা কুফরে দৃঢ়পদ হয়ে থাকবে তাদেরকে শাস্তি দিব। পক্ষান্তরে যারা বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং সৎকর্ম করবে তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব।

সূরা কাহ্ফের ৮৬ নং আয়াত পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় যুলকারনাইন-কে আল্লাহ তায়ালা নিজেই সম্বোধন করে এ ক্ষমতা দিয়েছিলেন। অতঃপর সেকান্দর যুলকারনাইন পাশ্চাত্য দেশসমূহ জয় করার পর প্রাচ্যদেশসমূহ জয় করার মানসে পৃথিবীর পূর্বদিক অর্থাৎ সূর্যোদয়ের দেশে আরেক অভিযান শুরু করলেন। যখন তিনি সূর্যোদয়ের স্থানে অর্থাৎ পৃথিবীর জন বসতীর শেষ প্রান্তে পৌঁছিলেন সেখানে তিনি সূর্যকে এমন এক সম্প্রদায়ের বসতীর উপর উদিত হতে দেখলেন যাদের জন্য আল্লাহ সূর্যের সম্মুখে কোন আবরণ রাখেননি। অর্থাৎ ঐ জাতি গৃহাদি নির্মাণ করতে জানত না। তারা মুক্ত আকাশের নিচে বসবাস করত। কিন্তু যুলকারনাইন এই সম্প্রদায়ের সহিত কিরূপ ব্যবহার করেছিলেন যা তিনি পাশ্চাত্যের লোকদের সহিত করেছিলেন বলে বুঝা যায় তা তিনি ব্যক্তি করেননি। পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যদেশসমূহ জয় করার পর তার তৃতীয় ভ্রমণের লক্ষ্যস্থল ছিল উত্তর দিক। যেহেতু পৃথিবীর উত্তরাংশে জনবসতি অধিক। অবশেষে যখন দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছিলেন তখন সে উহাদের নিকট এক জাতিতে দেখতে পেলেন। এ জাতি কথাবার্তা খুব কমই বুঝত। অর্থাৎ তারা তাদের ভাষাভাষী হওয়ায় অন্য ভাষার কথাবার্তা একেবারেই বুঝত না। অন্যদিকে, জংলী এবং অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ায় ভাষা বুঝবার চেষ্টাও করত না। তারা বলল, হে যুলকারনাইন! ইয়াজুজ ও মাজুজ সম্প্রদায় এ অঞ্চলে চরম অশান্তির সৃষ্টি করছে। তারা এশিয়ার উত্তর-পূর্ব দেশগুলির উপর ধ্বংসাত্মক বর্বর হামলা চালিয়ে আসছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ইয়াজুজ-মাজুজ কারা? কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট বর্ণনা থেকে এতটুকু নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে, ইয়াজুজ-মাজুজ মানব সম্প্রদায়ভুক্ত অন্যান্য মনিবের মত তারাও নূহ (আঃ) এর সন্তান সন্ততি। অধিকাংশ হাদীসবিদও ইতিহাসবিদগণ তাদেরকে ইয়াফেস ইবনে নূহের বংশধর সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু ইয়াজুজ-মাজুজ শুধু তাদেরই নাম যারা বর্বর, অসভ্য ও রক্তপিপাসু যালেম ইয়াজুজ-মাজুজের সংখ্যা বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যার চাইতে অনেক গুণ বেশি, কমপক্ষে একও দশের ব্যবধান। ইয়াজুজ-মাজুজ যে জনবসতীর উপর হামলা চালায় সে জন বসতীর প্রবেশ পথে দুইটি পাহাড় আছে। এগুলি ইয়াজুজ-মাজুজের পথে বাধা ছিল। কিন্তু উভয়ের মধ্যবর্তী গিরিপথ দিয়ে এসে তারা আক্রমন চালাত। উক্ত জন বসতীর লোকজন যুলকারনাইনকে একটি বড় প্রাচীর বা দেয়াল নির্মাণ করে দুই পর্বতের মাঝে গিরিপথ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে তারা যুলকারনাইনকে অর্থ সংগ্রহ করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। জবাবে যুলকারনাইন বলেন- আমার রব্ব আমাকে যে সম্পদের অধিকারী করেছেন তাহাই প্রচুর। অতএব, তোমরা কেবল দৈহিক শক্তির মাধ্যমে খাটুনি দিয়ে আমাকে সাহায্য কর। আমি তোমাদের এবং ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে মজবুত প্রাচীর নির্মাণ করে দিব। যাতে করে তারা এ অঞ্চলে প্রবেশ করতে না পারে। অবশেষে যখন দুই পর্বতশৃংগের মধ্যবর্তী স্থানকে লৌহপাত দ্বারা স্তরে স্তরে সাজায়ে পর্বতদ্বয়ের সমান করে ফেলল, তখন যুলকারনাইন আদেশ দিলেন এবার তোমরা এটিকে তাপাইতে থাক। যখন তারা ইহাকে তাপাইতে তাপাইতে অগ্নিরমত লাল করে ফেলল তখন বললেন এবার তোমরা আমার নিকট প্রজ্বলিত তামা নিয়া আস, আমি উহাতে ঢেলে দেবো। এভাবেই তিনি দুই পর্বতের গিরিপথকে একটি সুবিশাল লৌহ প্রাচীর দ্বারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ফলে ইয়াজুজ-মাজুজের লুটতরাজ থেকে এ এলাকার জনগণ নিরাপদ হয়ে যায়। এই লৌহ প্রাচীর এমন ছিল যে, উহার উপর দিয়ে পার হয়ে আসা অথবা উহাতে সুড়ঙ্গ তৈরী করে এ পারে আসা তাদের জন্য খুবই দুস্কর ছিল। রাসূল (সা.) এর সময়ে ঐ প্রাচীরে সামান্য ছিদ্র হয়েছিল। ইয়াজুজ-মাজুজেরা প্রত্যহ যর্ষণ করে উহাকে পাতলা করে। কিন্তু পরের দিন আলৌকিকভাবে ইহা আবার পুরু হয়ে যায়। রসূল (সা.) বলেন। ইয়াজুজ-মাজুজরা প্রত্যহ যুলকারনাইনের দেয়ালটি খুড়ঁতে থাকে। খুড়ঁতে খুড়ঁতে এক সময় তারা এ লৌহ প্রাচীরের প্রান্ত সীমার এত কাছা কাছি পৌঁছে যায় যে, অপর পার্শ্বের আলো দেখা যেতে থাকে। কিন্তু তারা একথা বলে ফিরে যায় যে, বাকী অংশটুকু আগামীকাল খুড়ব কিন্তু আল্লাহ তায়ালা দেয়ালটিকে আবার মজবুত অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। কিন্তু যেদিন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মুক্ত করার ইচ্ছা করবেন (কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে) সেদিন খনন ও ঘষাশেষে তারা বলবে- ইনশা আল্লাহ আগামীকল্য বাকী অংশটুকু খুঁড়ে ওপারে চলে যাব। বস্তত: সেদিন এ লৌহপাত আর পুরু হবেনা। ফলে পরদিন প্রাচীর ভেঙ্গে সকলে বের হয়ে পড়বে। এরা মানব জাতি হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সংখ্যায়ও অনেক বেশি। ঈসা (আ.) বিশিষ্ট সহচর বৃন্দসহ তুর পর্বতে গিয়ে আশ্রয় নিবেন, ইয়াজুজ-মাজুজেরা সকলে এক অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পতিত হবে।

ইয়াজুজ-মাজুজ ও যুলকারনাইনের কাহিনী থেকে প্রশ্নকারীদের কে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, তোমরা দুনিয়াতে সামান্য মাতাব্বারি লাভ করেই গর্বে ও আত্মঅহংকারে ফুলে ফেঁপে উঠেছ। অথচ যুলকারনাইন এতবড় শাসক, দিগি¦জয়ী ও এতসব বিরাট উপায় উপাদানের অধিকারী হয়েও নিজের প্রকৃত অবস্থান কে কখনও ভুলে যান নি। এবং আল্লাহ সম্মুখে সর্বদাই মাথা নত করে রেখেছেন। তোমরা তোমাদের সামান্য ঘর-বাড়ি ও বাগ-বাগীচার বসন্ত চাকচিক্যকে চিরন্তন ও অক্ষয় মনে করে বসেছ। কিন্তু যুলকারনাইন দুনিয়ার সর্বাধিক সুরক্ষিত প্রাচীর নির্মাণ করেও মনে করত যে, আসল ভরসা করার যোগ্য আল্লাহ, এ প্রাচীর নয় আল্লাহর মর্জী যতদিন থাকবে ততদিন এ প্রাচীর দুশমনদের প্রতিরোধ করতে থাকবে। আর যখন উনার মর্জী অন্য রকম কিছু হবে তখন এ প্রাচীরেও ফাটল ও ছিদ্র দেখা দিবে। অর্থাৎ তাওহীদ ও পরকাল নিঃসন্দেহে সত্য। সেই হিসেবে দুনিয়ার মানুষ নিজেদেরকে সংশোধন করে নিবে। তা না করলে নিজেদের জীবন বিনষ্ট হবে এবং যাবতীয় কৃতকর্ম নিষ্ফল ও বরবাদ হয়ে যাবে।

কাবাশরীফ ধ্বংশের পরিকল্পনাকারী হস্তীবাহিনীর ঘটনা‘আবিসিনিয়া’র বাদশাহর পক্ষ থেকে ‘ইয়ামানে’ ‘আবরাহা’ নামক একজন শাসনকর্তা ছি...
08/06/2025

কাবাশরীফ ধ্বংশের পরিকল্পনাকারী হস্তীবাহিনীর ঘটনা
‘আবিসিনিয়া’র বাদশাহর পক্ষ থেকে ‘ইয়ামানে’ ‘আবরাহা’ নামক একজন শাসনকর্তা ছিল। সে দেখল, গোঠা আরবের লোকেরা মক্কার কাবা শরীফে হজ্জ করতে যায়। বিষয়টি তার মোটেও পছন্দ হলো না। তার ইচ্ছা হলো, মক্কার পরিবর্তে সবাই আমাদের দেশে আসুক। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে সে ভাবল, কাবাগৃহের অনুকরণে আমাদের এখানেই একটি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন গীর্জা নির্মাণ করবে। তাতে বিনোদন ও চিত্তাকর্ষণের সব ধরনের উপায়-উপকরণ থাকবে। তা হবে সর্বোচ্চ জাকজমকপূর্ণ। তাহলে মানুষ মক্কার সাদাসিধে সেই কাবা বর্জন করে মূল্যবান পাথরে সজ্জিত এই কাবার দিকে ছুটে আসবে। এতে মক্কার হজ্জ পর্বও বন্ধ হয়ে যাবে। সে এ উদ্দেশ্যে ইয়ামানের রাজধানী ‘সানআ’য় একটি কৃত্রিম কাবার ভিক্তি স্থাপন করে। সেখানে সে মন খুলে টাকা-পয়সা ব্যয় করে। কিন্তু এত কিছুর পরও মানুষ সে দিকে আকৃষ্ট হয়নি।

আরবরা, বিশেষ করে কুরাইশ গোত্রের লোকেরা যখন আবরাহার এ কৃত্রিম কাবা সম্পর্কে জানতে পারল, চরম উত্তেজিত হয়ে উঠল। একজন তো ঘৃণাভরে উক্ত কাবায় গিয়ে মলত্যাগ করে। কারো কারো মতে, আরবের একজন লোক আগুন জ্বালিয়েছিল। এক সময় ঐ আগুনের একটি স্ফুলিঙ্গ বাতাসের সঙ্গে উড়ে গিয়ে পড়ল ঐ ভবনে। ‘আবরাহা’ এতে ক্রুদ্ধ হয়ে কাবা শরীফকে ঘূলিসাৎ করার শপথ করে। শপথ অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক হাতি সংবলিত সৈন্যদল নিয়ে বাস্তবেই সে কাবা শরীফ ধ্বংস করার উদ্দেশ্য বের হয়। পথে আরবের যে গোত্র তার প্রতিরোধ করে, তাদের সাথে সে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাদের কে পরাজিত করে। নবীজির দাদা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন তখন কুরইশ গোত্রের নেতা এবং কাবা শরীফের মুতাওয়াল্লী। তিনি এ সংবাদ জানতে পেরে বললেন- ‘লোক সকল! তোমরা নিজেদেরকে রক্ষা করার ব্যবস্থা কর। কাবার মালিক-ই কাবাকে রক্ষা করবেন।’ আবরাহা পথ পরিস্কার দেখে বিশ্বাস করে নিল যে, এখন আর কাবা ধ্বংস করা কঠিন কাজ নয়। কারণ, সেদিক থেকে মোকাবেলা করার কেউ নেই।

আবরাহা যখন মক্কার নিকটবর্তী ‘মুহাস্সার’ উপত্যকার নিকট পৌঁছল, তখন সমুদ্রের দিকে থেকে হলূদ আর সবুজ রঙ্গের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পখির ঝাঁক আসতে দেখল। প্রতিটি পাখির ঠোঁটে ও পাঞ্জায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কঙ্কর ছিল। ঐ পখিগুলো সৈন্যদের উপর কঙ্করের বৃষ্টি বর্ষণ করতে লাগল। আল্লাহর কঙ্করজাতীয় সেই পাথরগুলো বন্দুকের গুলির চেয়েও বেশি কাজ করল। যারই গায়ে লাগত, একদিক থেকে প্রবেশ করে অপর দিক থেকে বের হতো। শরীরে এক আশ্চর্য ধরণের বিষাক্ত উপাদান রেখে যেত। তাতে অনেক সৈন্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। আর যারা পলায়ন করে, তারা মহা কষ্ট ভোগ করে মৃত্যু মুখে পতিত হয়।

এ ঘটনায় বিশেষ গায়েবী ইঙ্গিত হল, আল্লাহ তাআলা যেমন অলৌকিকভাবে তার ঘরের হেফাজত করেছেন, সে ঘরের সবচেয়ে পবিত্র মুতাওয়াল্লী এবং সবচেয়ে বড় পয়গম্বরের হেফাজতও তিনি ঠিক সেভাবেই করবেন। তাছাড়া তিনি খ্রিস্টান বা অন্য কোন ধর্মনায়কদেরকে কাবা এবং কাবার সত্য সেবকদের মূলোৎপাটন করার কখনো সুযোগ দেবেন না।

পবিত্র কুরআন এর সূরা ফীল এ এই ঘটনারই উল্লেখ করা হয়েছে। মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী ゚

আসসালামু আলাইকুম ঈদ মোবারক! পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি, ভালোবাসা ও কল্যাণ।আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা আর ভালোব...
06/06/2025

আসসালামু আলাইকুম
ঈদ মোবারক! পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি, ভালোবাসা ও কল্যাণ।

আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা আর ভালোবাসার মহিমান্বিত বার্তা নিয়েই ফিরে এসেছে ঈদুল আজহা। সবাইকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা!

আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য রইলো পবিত্র ঈদুল আজহার অফুরন্ত শুভকামনা। ঈদ মোবারক!

কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা হোক আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক। ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে।
゚ মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী

সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি।১৬ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি:১. আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে।(নাউজুবিল্লাহ)২. তোর মুখ...
03/06/2025

সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি।
১৬ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি:

১. আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে।
(নাউজুবিল্লাহ)

২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। (ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী তাই এই বাক্যটি হিন্দু ধর্মের জন্য সঠিক )

৩. কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে (কেষ্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জন্য কষ্ট করছেন তাই এই বাক্যটি হিন্দু ধর্মের জন্য সঠিক )

৪. মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?
(মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)।

৫. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
(এটি ইসলামের নামে কটুক্তি করা)।

৬. লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে লক্ষী স্ত্রী বলা। (হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)।

৭. কোন ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা। (জন্ম-মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে)।

৮. দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা।
(এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার)।

৯. নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসি পাতা বলা (এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)।

১০.ইয়া খাজাবাবা, ইয়া গাউস, ইয়া কুতুব ইত্যাদি বলা। (এটি শির্ক, ইসলামের সবচেয়ে বড় পাপ)।

১১. ইয়া আলি, ইয়া রাসূল (সঃ) বলে ডাকা
(মানে দোয়া করা অর্থে, আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কিছু চাওয়া) (আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কারোর কাছে কিছু পার্থনা করা শির্ক)।

১২. বিসমিল্লায় গলদ বলা
(এটি সরাসরি কুফরি)।

১৩. মৃত্যুর সাথে পান্জালড়া বলা
(কুফরি বাক্য, তাই সাবধান)।

১৪. মধ্যযুগ বর্বরতা বলা
(মধ্যযুগ ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ)।

১৫. মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না
( ইসলাম ধংশকারি মতাবদ)।

১৬. নামাজ না পড়লে ঈমান ঠিক আছে বলা। (ইসলাম থেকে বের করার মূলনীতি)।

তাই মুসলিম ভাই ও বোনেরা যখন কথা বলবেন খুব সাবধানে কথা বলবেন

আর এসব কথা ভুলেও মুখে আনবেন না,,,প্লিজ,আল্লাহতায়ালা আমাদের সঠিক বুঝদান করুন।
(আমীন)।

সাপ-বিচ্ছুর ঘরকবরকে আমরা ওয়েটিং রুম হিসেবে বুঝে নিতে পারি। ওয়েটিং রুমে যেমন মানুষ তার পরবর্তী অবস্থান সম্পর্কে জানতে পার...
01/06/2025

সাপ-বিচ্ছুর ঘর
কবরকে আমরা ওয়েটিং রুম হিসেবে বুঝে নিতে পারি। ওয়েটিং রুমে যেমন মানুষ তার পরবর্তী অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে, আরামের হবে নাকি কষ্টের। আরামের হলে হেসে-খেলে সময় পার করে। কষ্টের হলে এক ঘণ্টা এক বছরের মতো মনে হয়। তার পরও সময় যেতে চায় না। অনুরূপ প্রত্যেক কবরবাসীকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে সে জান্নাতি না জাহান্নামি। জান্নাতি হলে আরামে সময় পার করবে। আর জাহান্নামি হলে নিদারুণ কষ্টে সময় অতিবাহিত করবে। কবর এমন এক স্থান যেখানে সাহায্যের জন্য বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজন বলতে কেউই থাকবে না। শুধুই নেক আমল হবে তার সাথী। দুনিয়ার হায়াতে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কোরআন তেলাওয়াতসহ ইত্যাদি নেক আমল তাকে আজাব থেকে রক্ষা করবে। মুনকির-নকির ফেরেস্তাদ্বয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে কবর হবে উত্তম স্থান। আর উত্তর দিতে না পারলে ভয়াবহ শাস্তির জায়গা। হজরত উসমান (রা.) যখন কোনো কবরের পাশে দাঁড়াতেন তখন এমনভাবে কাঁদতেন যে, নিজের দাড়ি মোবারক ভিজে যেত।

একবার হজরতকে জিজ্ঞাসা করা হলো আপনি জান্নাত ও জাহান্নাম স্মরণ করে এত কাঁদেন না, যতটুকু কাঁদেন কবর দেখে, এর কারণ কী? তিনি বললেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কবর হচ্ছে আখেরাতের প্রথম ধাপ। এখানে যদি কেউ রক্ষা পেয়ে যায় তাহলে পরবর্তী সব ধাপ অতিক্রম করা তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। আর এখানে কেউ যদি রক্ষা না পায় তাহলে পরবর্তী সব ধাপ খুব কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আরো বললেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, মেরাজের রজনীতে আমি যত ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি তার মধ্যে কবরের আজাবই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং : ২৩০৮)।

প্রিয় পাঠক! বেনামাজির কবরে কী ধরনের আজাব হবে এ সম্পর্কে হাদিসে আছে, বেনামাজির কবরে তিন ধরনের শাস্তি হবে : ১. কবর তার জন্য এমন সংকীর্ণ হবে যে, এক পাশের বুকের হাড় আরেক পাশে ঢুকে যাবে। ২. তার কবরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। ৩. তার কবরে এমন একটি সাপ নিযুক্ত করা হবে যার চক্ষু হবে আগুনের। আর নখগুলো হবে লোহার। তার প্রত্যেকটি নখ লম্বা হবে এক দিনের দূরত্বের পথ। সাপের আওয়াজ হবে বজ্রের মতো বিকট। সাপ ওই বেনামাজিকে বলতে থাকবে ‘আমাকে আমার রব তোর ওপর নিযুক্ত করেছেন যাতে ফজরের নামাজ নষ্ট করার কারণে সূর্যোদয় পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। জোহরের নামাজ নষ্ট করার কারণে আসর পর্যন্ত দংশন করতে থাকি। আসর নামাজ নষ্ট করার কারণে মাগরিব পর্যন্ত। আর মাগরিব নামাজ নষ্ট করার কারণে এশা পর্যন্ত। আর এশার নামাজ নষ্ট করার কারণে ফজর পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি।’

এ সাপ যখনই তাকে একবার দংশন করবে তখনই সে ৭০ হাত মাটির নিচে ঢুকে যাবে (উঠিয়ে আবার দংশন করবে) এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত আজাব হতে থাকবে। নেক্কার ও বদকারের কবরের অবস্থা একটি দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, হজরত বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মোমিন ব্যক্তির কবরে দুজন ফেরেশতা আসে ও তাকে বসায়। তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করে, তোমার রব কে? সে উত্তর দেবে, আমার রব আল্লাহ। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করবে, তোমার দীন কী? সে উত্তরে বলবে, আমার দীন হচ্ছে ইসলাম। তারা এবার তাকে জিজ্ঞাসা করবে, ওই ব্যক্তি কে, যাকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল? সে উত্তর দেবে ইনি হচ্ছেন আমাদের রাসুল (সা.)। তারা এবার তাকে জিজ্ঞাসা করবে (এ উত্তরগুলো) তুমি কীভাবে জানলে? সে বলবে আমি আল্লাহর কিতাব থেকে জেনেছি এবং তার ওপর ইমান এনেছি। তখন রাসুল (সা.) বলেন, এটাই হচ্ছে আল্লাহতায়ালার ওই বাণীর মর্ম, যেখানে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ মোমিনদের দৃঢ় বাক্যের ওপর দৃঢ় রাখেন পার্থিব জীবনে ও আখেরাতে।’ রাসুল (সা.) বলেন, তখনই আসমান থেকে এক ঘোষণাকারী ডাক দিয়ে বলবেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে। সুতরাং তাকে জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও। তাকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার দিকে জান্নাতের দরজা খুলে দাও। তখন তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হবে। তার কাছে জান্নাতের শান্তি ও সুঘ্রাণ আসতে থাকবে। কবরকে তার দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করে দেওয়া হবে। প্রিয় পাঠক! চলুন, আমরা সবাই কবরের আজাব থেকে বাঁচার উপায় কী? তা জেনে আমলসমূহ বাস্তবায়ন করি।

হাদিসে কবরের আজাব থেকে বাঁচার কয়েকটা আমলের কথা উল্লেখ আছে, সেখান থেকে এখানে আমি মাত্র দুটি উল্লেখ করছি। (১) রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা মুলক কবরের আজাব থেকে রক্ষাকারী। যে ব্যক্তি এ সুরা পাঠ করবে, এ সুরা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে। (কুরতুবি) রাসুল (সা.) নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে সুরা মুলক তেলাওয়াত করতেন। (২) কবরে আলো পাওয়ার আমল হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। হাদিসে আছে ‘নামাজ নুর বা আলো’ কবরে ও হাসরের ময়দানের আলো হবে নামাজ। আল্লাহতায়ালা আমাদের কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন।

কবর দৈনিক পাঁচটি জিনিস মানুষের কাছে অনুরোধ করে : ১. আমি একাকী ঘর, সঙ্গী নিয়ে এসো। উত্তর : সঙ্গী হলো কোরআন। ২. আমি অন্ধকার ঘর, বাতি নিয়ে এসো। উত্তর : বাতি হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। ৩. আমি মাটির ঘর, বিছানা নিয়ে এসো। উত্তর : বিছানা হলো নেক আমল। ৪. আমি সাপ-বিচ্ছুর ঘর, বিষের ওষুুধ নিয়ে এসো। উত্তর : ওষুধ হলো দান-সদকা ও সৎ কর্ম । ৫. আমি প্রশ্নের ঘর, উত্তর নিয়ে এসো। উত্তর : উত্তর হলো কালেমা ও জিকির। মনে রাখবেন, কবরের আজাব ভয়ংকর। কবর যত জটিল কেয়ামত তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কেয়ামত যত কঠিন, জাহান্নাম তার চেয়ে অনেক... অনেক... অনেক বেশি কঠিন। শেষ বিচারের মালিক একমাত্র আল্লাহ। কবরে খালি হাতে যেও না, সঙ্গে কিছু নিয়ে যাও তার জন্য। নামাজ পড়ো! পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয়...! মরণ এক দিন মুছে দেবে সব পরিচয়। শেষ ঠিকানা তো ওই মাটিই...!

আল্লাহতায়ালা সবকিছুর ওপরই ক্ষমতাবান। সুতরাং আল্লাহর সাহায্য বান্দার একান্ত কাম্য। এজন্য আল্লাহতায়ালা এবং রাসুল (সা.) মানুষের জীবন চলার পথের সব কর্মকাণ্ডের জন্য শিখিয়েছেন দোয়া ও আমল। যারা তা যথাযথ নিয়মে পালন করবেন আল্লাহতায়ালা তাদের হিফাজত করবেন। বিষাক্ত প্রাণীর দংশন এবং হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে হিফাজতের একটি দোয়া তুলে ধরা হলো। ওই দোয়াটি সকাল-বিকাল তিনবার পাঠ করলে আল্লাহতায়ালা তাকে বিষাক্ত ও হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে হিফাজত করবেন।

দোয়াটি হলো- উচ্চারণ : আউজুবি কালিমাতিল্লাহিত তামমাতি মিন শাররি মা খালাকা।

অর্থ : আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর সব পূর্ণ কালিমাসমূহের উসিলায়, তার সৃষ্ট সব প্রাণীর অনিষ্ট থেকে।

ফজিলত : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একবার এক লোককে বিচ্ছু দংশন করলে লোকটি ব্যথার কারণে রাতে ঘুমাতে পারল না, সকালে রাসুল (সা.) কে বিষয়টি জানালে তিনি বললেন, যদি সন্ধ্যাবেলায় এ দোয়াটি পড়ত তাহলে সকাল পর্যন্ত বিচ্ছুর দংশন তার কোনো ক্ষতি করতে পারত না। (মুসলিম, ইবনু মাজাহ, আবু দাউদ) হজরত সুহাইল ইবনে আবি সালেহ বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবাই এ দোয়াটি মুখস্থ করে নিয়েছিল এবং নিয়মিত তা পড়ত, একদা আমাদের পরিবারের একটি মেয়েকে বিচ্ছু দংশন করল কিন্তু সে কোনো ব্যথাই অনুভব করেনি। (মুসনাদে আহমদ)

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এ...
31/05/2025

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।

যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এর মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৫০ ডলার।

সেলাইয়ের সূঁচ তৈরি করলে এর মূল্য হয় প্রায় ৭০,০০০ ডলার।

ঘড়ির স্প্রিং ও গিয়ার তৈরি করলে এর মূল্য পৌঁছে যায় ৬ মিলিয়ন ডলারে।

আর এটাকে যদি উন্নত প্রযুক্তির লেজার উপাদানে রূপান্তর করা হয়, যা কম্পিউটার চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তখন এই একই লোহার বারের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।

আপনার প্রকৃত মূল্য নির্ধারিত হয় আপনি কি দিয়ে তৈরি তার মাধ্যমে নয়, বরং আপনি কীভাবে আপনার দক্ষতাকে বিকশিত করেন এবং তা প্রয়োগ করেন, তার উপর।

29/05/2025

আমি চাইনা এমন ঘুম,
যে ঘুমে শুনে না আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম
✍️ মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোঃ আশরাফুল হক চৌধুরী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share