09/01/2024
বুঝলে প্রিয়,
মনটা না একদমই ভালো যাচ্ছে না। জানি না কী হইছে। কেনই বা এতো ভালো না থাকার অভিযোগ। কেন রাতের ঘুম পালিয়েছে শেষ রাতে, কেন দুঃস্বপ্ন আসে রোজ অন্ধকারের ট্রেনে চেপে। যার শেষ গন্তব্য হয় আমারই মস্তিষ্কে! জানি না কিছু। বুঝেও উঠতে পারছি না ঠিক।
হাতে অসংখ্য কাজের চাপ। কিন্তু হাত চলছে না কিছুতেই। কতো কিছু রাতে সাজিয়ে রাখি সকালে করবো বলে। কিন্তু রাতে অন্ধকারের ট্রেনে চেপে আসা দুঃস্বপ্ন সবকিছু উল্টেপাল্টে দেয়। তাই শেষমেষ করাও হয় না কিছু আর। কাজগুলো অযত্নেই পড়ে থাকে।
অযত্নের কথা আর কি বলবো, বলো? আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় হয় যে ভীষণ। উজ্জ্বলতা কেমন যেন মলিন হয়ে গেছে। কপালে জমেছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। ইদানীং ওদের সংখ্যা বেড়েছে কিছুটা।
যে আমি এক সময় গর্ব করে বলতাম, আমার চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে নি কখনো। সেই আমারই চোখের দিকে আমি এখন আর তাকাতে পারি না।
তুমি বিশ্বাস করো, এই যে বছর তিনেক পরে হঠাৎ করে আমায় যদি তুমি দেখো, তবে তোমার মস্তিষ্ক আমায় চিনতে দেরি করবে কয়েক সেকেন্ড। তুমি অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে আফসোসের স্বরে হয়তো বলেই ফেলবে, “এ তোমার কী হাল হয়েছে।” আমি হয়তো মুচকি হেসে এড়িয়ে যাবো সবটা। মানুষ যে তার নিজস্ব দুঃখ নিয়ে আলাপ পছন্দ করে না।
আমরাও তারপর অন্য প্রসঙ্গে ডুব দিয়ে বলবো, অন্য কারো ক্ষতের গপ্প কিংবা তোমার সংসার জীবন। আর আমি? আড়ালে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে তোমায় কিচ্ছুটি জানতে না দেওয়ায়, জয়ের হাসি হাসবো।
তবে চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, এই গোলাকার পৃথিবীতে আমাদের কখনো কথা তো দূর দেখাও হবে না। আমরা দু'জন যে দুই মেরুর মানুষ, আমাদের একে অপরকে মনে করাও মানা। ভীষণ রকম অপরাধ!
~নাবিলা তাসনিম