12/09/2023
মানুষ হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হতে হতে এমন মানসিকতায় পৌঁছে গেছে, অন্যের হালাল সম্পর্কগুলোকেও হারাম মনে করে পরিতৃপ্তি পায়।
ছোটবেলায় গল্প শুনতাম ইমাম আর চোরের। চোর সারারাত চুরি করে ভোর সকালে হাত মুখ ধুতে পুকুর ঘাটে আসত। অপরদিকে ইমাম ফজরের নামাযের জন্য ওজু করতে পুকুর ঘাটে আসত। চোর ইমামকে দেখে মিটিমিটি হাসত আর মনে মনে বলত, বেটা মনেহয় ভাল দাঁও মারছে রাতে। আর ইমাম চোরের দিকে তাকিয়ে বলত, আলহামদুলিল্লাহ কত নেক্কার মানুষ, ফজরের নামাযের জন্য ওজু করতে এসেছে।
আমাদের সমাজের চিত্রটাও হয়ে গেছে এমন। হাজব্যান্ড বা আপন ভাইয়ের সাথে বাইরে বের হলে এযুগের বফ/গফ গুলো এমনভাবে তাকায় যেন সবাই তাদের মত আসামি।
এক আপুর কাছে শুনেছিলাম, তার বড় ভাই একদিন ভার্সিটিতে দিয়ে এসেছিল। ক্লাসে ঢুকতেই তাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু হল। একজন তো বলেই ফেলল, যাই বলিস তোর বফ কিন্তু স্মার্ট!!
কেউ একান্ত ব্যক্তিগত কোন বিষয় যৌক্তিক কোন কারণে জনে জনে প্রকাশ করতে চাইল না, অন্য কেউ আগে পিছে কিছু না জেনেই মাঝখান থেকে সে ব্যাপারে কিছু শুনল। তখনই শুরু হয়ে যায় নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অনুকরণে সেই ব্যাপারটাকে আরও মশলাদার বানিয়ে জনে জনে প্রকাশ করে গিবতের গুনাহ অর্জন করা।
কেউ প্রেম করে বিয়ে করল। আর কেউ প্রেম তো দূরের কথা, বিয়ের আগে ফোনে কথা পর্যন্ত বলেনি। সেই প্রেমওয়ালিগুলো এভাবে প্রশ্ন করে, ভাবির কি প্রেমের বিয়ে ছিল নাকি?
একটা কথা সবার মুখে খুব শুনি সেটা হল, "সে যেমন চরিত্রের, সে সবাইকে তেমনই ভাবে।" কথাটা এই সমাজের মানুষের সাথে আসলেই খুব মিলে যায়।
এই মানুষগুলো হারামে লিপ্ত থাকতে থাকতে এদের বিবেক বুদ্ধি সব লোপ পেয়েছে। এদের অন্তর শয়তানের নিরাপদ আবাসস্থল। এরা নিজের জীবনে তো কখনোই সুখি হতে পারে না, অন্যের ভাল থাকা দেখলেও এরা হিংসায় জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। তখন অন্যের কাছে ঐ মানুষটার গিবত করে নিজের অন্তরকে ঠান্ডা করতে চায়।
যতদিন সমাজ থেকে হারাম সম্পর্ক বিলুপ্ত না হবে, ততদিন মানুষগুলোর, বিশেষ করে মেয়ে মানুষগুলোর চরিত্রের সাথে সাথে চিন্তাভাবনাগুলোও বিকৃত হতে থাকবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হারাম থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।
✍️কালেক্ট
মৃত্যু অনিবার্য! পরকালের যত চিন্তা ছড়াতে এখানে থেকেই শুরু হোক যাত্রা...