23/06/2025
এই ঈদে ডেব্যু হয়েছে এমন অভিনেতার সংখ্যা কম না। কিন্তু ডিরেক্টর হিসেবে ডেব্যু হয়েছে সে তালিকায় সঞ্জয় সমাদ্দার স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাকে ডেব্যু ডিরেক্টর বললে অনেকেই বলতে পারে তিনি তো আগে সিনেমা বানিয়েছেন, কিন্তু সেটা তো ওপার বাংলায়। বাংলাদেশে এটাই তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আমাদের জন্য তো বরং বিষয়টা গর্বের যে প্রথম সিনেমার সুপারস্টার জিতকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন আমাদের দেশের ডিরেক্টর। তার বাংলাদেশে প্রথম সিনেমা ‘ইনসাফ’ নিয়ে দর্শক আগ্রহও তাই তুঙ্গে ছিল। ‘ইনসাফ’ এ সঞ্জয় সমাদ্দার সেইফ গেম খেলেন নি, তিনি রিস্ক নিতে চেয়েছেন, সাহস দেখিয়েছেন।
কমার্শিয়াল জনরার গল্প বড় বাজেট ছাড়া এক্সিকিউট করা খুবই কঠিন। কোন নতুন স্মার্ট ডিরেক্টর তাই কখনোই কমার্শিয়াল জনরার সিনেমা বানাতে চান না শুরুতেই। আমাদের দেশে কমার্শিয়াল সিনেমার চাহিদা আছে কিন্তু সে চাহিদা পূরণ করতে যে বাজেট দরকার, সে বাজেটটাই পাওয়া যায় না। সঞ্জয় সমাদ্দার রিস্কটা নিলেন, সাহস দেখালেন। একটা পুরোদস্তুর কমার্শিয়াল সিনেমা হিসেবে ট্রিট করলেন ‘ইনসাফ’কে। ইনসাফ দেখে শুরুতেই আপনি চমকে যাবেন। কালার গ্রেডিং, এডিট, বিজিএম সবমিলিয়ে টপনচ একটা শুরু। গেস করা কঠিন হয়ে যাবে যে এই সিনেমার বাজেট কতো! সঞ্জয় সমাদ্দার খুব স্মার্টলি সিন টু সিন হ্যান্ডেল করেছেন। কিছু ল্যাভিশ সিন শ্যুট করেছেন, গ্যাংস্টার ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং এর জন্য কিছু ক্ষেত্রে প্রপার বাজেট ইউটিলাইজ করেছেন আবার কিছু ইনডোর সিনে বাজেট কমিয়েছেন। দর্শকের যেন মনে না হয় কম বাজেটের কিছু দেখছেন। সঞ্জয় সমাদ্দার সাহসী না হলে আসলে এরকম পুরোদস্তুর অ্যাকশন ড্রামায় ভরপুর কমার্শিয়াল সিনেমা বানানো সম্ভব না। সঞ্জয় সমাদ্দার দেখিয়ে দিয়েছেন যে আরও বেশি বাজেট পেলে তিনি আরও বেটার আউটপুট আনতে পারবেন। রাজ আর ফারিণের কাছ থেকে যেভাবে অ্যাক্টিং আদায় করে নিয়েছেন, যেভাবে গানগুলোকে প্লেস করেছেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেভাবে মোশাররফ করিম আর চঞ্চল চৌধুরীর মতো বাঘা বাঘা অভিনেতাকে নিয়ে এসে একটা ইউনিভার্স বানানোর সাহস দেখিয়েছেন টা দেখে বোঝার সাধ্য নেই যে এটা সঞ্জয় সমাদ্দারের প্রথম সিনেমা। সঞ্জয় সমাদ্দারের সাহসকে স্যালুট, তার কাছ থেকে সামনে আরও ভালো ভালো কাজ পাওয়ার প্রত্যাশা রইল।