03/08/2024
বিষয়টি দিন দিন জটিলতর থেকে সর্বদিক থেকে জটিলতম হচ্ছে। একদিকে ছাত্রদের সাথে সাধারণ মানুষের সর্বসমর্থন। অন্যদিকে সুযোগসন্ধানী তৃতীয় পক্ষ। মিলিয়ে সব পক্ষই সরকারের বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে সরকারের প্রতিটি ক্ষণ প্রতিটি সংলাপ এবং প্রতিটি পদক্ষেপ খুবই সেনসিটিভ। মোটা দাগে ছাত্রদের ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ সন্ত্রাস করেছে এই এক বক্তব্য পাবলিক সেন্টিমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারফেয়ার কে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে এত জটিল পরিস্থিতি কখনো হয়নি। উপরন্ত ১৫ বছরে সরকার স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের মধ্যে প্রচুর কনফিডেন্ট এবং ইগো তৈরি করেছেন। কঠিন ক্রাইসিস কে ওভার কনফিডেন্ট এবং ইগো দিয়ে সামাল দেওয়া যায় না। দেশের ছাত্রদের অপমৃত্যু তাদের নিরাপত্তাহীনতা ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা এবং সর্বসাধারণের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণকে কোন জনতা ই মেনে নিচ্ছে না ।দাবি এখনো দফার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই মুহূর্ত টাই সরকার যদি সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যায় এবং ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে একসাথে সকল জনগণকে নিয়ে তাদের দাবি নিয়ে কাজ শুরু করে তাহলে এই সরকারি থেকে যাবে জনগণের সেবক হিসেবে অনির্দিষ্টকাল। এই সরকার যদি ১৫ ই আগস্ট এর ঘাতকদের বিচার করতে পারে তাহলে কেন এই কোমলমতি ছাত্র হত্যার বিচার তারা করতে পারবে না?গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে আমরা জানি জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং সরকার প্রধানও জনগণ ক্ষমতার উৎস বলেই তৃতীয় পক্ষের এই তান্ডব লীলার বিচার জনগণের কাছেই দিয়েছেন। তাহলে কেননা তিনি এই সর্বস্তরের আন্দোলনকৃত জনগণের সাথে মিলেমিশে জনগণের সমস্যার সমাধান করে জনসনের বুকের ভেতরে ঢুকে জনগণকে সাথে নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন না