16/06/2024
এ লজ্জা রাখি কোথায়! 😮💨😩🫣
সারাবছর কুরবানির ফযিলতের ওয়াজ করে নিজ ঘরে কুরবানি দিতে অক্ষম অধিকাংশ মসজিদের সম্মানিত ইমাম মুয়াজ্জিন।
অনেক জায়গায় তো কেউ খোঁজ খবর ও নেয় না যে, ইমাম মুয়াজ্জিনের কপালে ঈদের দুপুরে ডাল ভাতের বেশি জুটে কিনা। পরিবারের বাকি সদস্যরা গুমরে কেঁদে কাটিয়ে দেয় সারাদিন।
তবে মাগরিবের পরে অনেকেই ইমামের সাথে সৌজন্য রক্ষার খোশগল্পে- হুজুর আপনার দোয়ার বরকতে এবার ৫ মণ গোশত হলো। গোশতের স্বাদ কি! তবে কত আর খুমু। কি আর করমু দুটো ফ্রিজ ভরে রেখে দিয়েছি।
আরেকজন, আরে আমার গরুটাই সেরা হইছে গোশত একদম লাল টকটকে। কলিজটা আগেই ভুনা করতে পাঠিয়েছিলাম। রুটি দিয়ে খাইলাম। অপরজন, কি যে বলবো এমন গোশত কখনো দেখিনি। পরিবারের সবাই মিলে দুই ডেগ সাবাড় করে দিলাম।
এরইমধ্যে সভাপতি সাহেব হাঁক ছাড়লেন, শুধু ঈদ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে হবে মসজিদের সামনে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করবে কে? খেয়ে দেয় দেখি নড়াচড়া নাই। বেতন তো ঠিকমতো পেয়ে যায়। তাই এতো গল্পবাজি।
সেক্রটারি আজ নামাজেই আসতে পারেন নি। ক্যাসিয়ার সাহেব মুসকি হেসে বললেন কাজ শেষ করে বাসায় থেকে খেয়ে যাবেন। না হয় আবার ফতোয়া দিবেন কুরবানী হয়নি। বেঁচে গিয়ে জমে থাকা গোশতের গামলা আর ঠান্ডা ভাত নিয়ে আসে কাজের ছেলেটা।
খেতে গিয়ে ইমামের মুখে খাবার ঢুকতে চায়না। বাচ্চাগুলোর মুখে যে এক টুকরো গোশত উঠেনি। চোখ বেয়ে দরদর করে গড়িয়ে পড়ে তপ্ত অশ্রু।
゚ #একটাভালোকাজ