চৈতন্য - Caitanya

চৈতন্য - Caitanya হরে কৃষ্ণ
জয় চৈতন্য মহাপ্রভু

🌸 শ্রীশ্রী জগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা মহারাণীর 🌸রথযাত্রা মহোৎসব – ২০২৫ খ্রি.📅 তারিখ: ২৭ জুন, শুক্রবার🕝 সময়: দুপুর ২:৩০ ঘটিকা...
26/06/2025

🌸 শ্রীশ্রী জগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা মহারাণীর 🌸
রথযাত্রা মহোৎসব – ২০২৫ খ্রি.

📅 তারিখ: ২৭ জুন, শুক্রবার
🕝 সময়: দুপুর ২:৩০ ঘটিকা
📍 স্থান: ইসকন, যুগলটিলা, সিলেট

🛕
ভগবান শ্রীজগন্নাথদেব,
তাঁর ভাই বলভদ্র ও
বোন সুভদ্রা মহারাণীকে সঙ্গে নিয়ে
সুবিশাল রথে সুসজ্জিত হয়ে
বৈদিক মন্ত্রপূর্ত, নৃত্য-কীর্তন ও বাদ্যযন্ত্রের মাধুর্যে
রাজপথে নামবেন অগণিত ভক্তের উদ্ধারের জন্য।

🎉 এই মহেন্দ্রক্ষণে আপনি থাকবেন তো?
আপনার অপেক্ষায় ভগবান শ্রীজগন্নাথ নিজে!

🌼"রথ টানুন, হৃদয়ের রথ চালান ভক্তির পথে!"

🛐 “জয় জগন্নাথ! জয় বলভদ্র! জয় সুভদ্রা!”

#রথযাত্রা২০২৫ #জয়জগন্নাথ #শ্রীশ্রীজগন্নাথ #ইসকনসিলেট

শ্রী শ্রী নৃসিংহ দেব ভগবানের আবির্ভাব তিথি মহোৎসব ও নৃসিংহ চতুর্দশীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা সবাইকে। আগামীকাল ১১/০৫/২৫ রবিবার ...
10/05/2025

শ্রী শ্রী নৃসিংহ দেব ভগবানের আবির্ভাব তিথি মহোৎসব ও নৃসিংহ চতুর্দশীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা সবাইকে। আগামীকাল ১১/০৫/২৫ রবিবার নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত উপবাস🙏

নৃসিংহ স্তব ও প্রনাম মন্ত্র:
জয় নৃসিংহ শ্রীনৃসিংহ।
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ ॥
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং
জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং
মৃর্ত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহম্ ॥
শ্রীনৃসিংহ, জয় নৃসিংহ, জয় জয় নৃসিংহ।
প্রহ্লাদেশ জয় পদ্মামুখপদ্মভৃঙ্গ ॥

নৃসিংহ চতুর্দশী কি: ভগবান (কৃষ্ণ) তার পরম প্রিয় ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষা করার জন্য নৃসিংহ অবতার রূপে আবির্ভূত হন। এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করে ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেন। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের, চতুর্দশী তিথির গোধূলি লগ্নে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই একে নৃসিংহ চতুর্দশী বলে।
(সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস)

শ্রীনৃসিংহচতুর্দশীব্রতমাহাত্ম্য ১০০০ টা ব্রত পালন করলে যে পূণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতুর্দশী কেউ ভক্তি সহাকারেপালন করলে তার সেই পূণ্য হয়।

নৃসিংহ লীলা মাহাত্ম্য:
হিরণ্যকশিপু কঠোর তপস্যা করেন এবং ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দর্শন দেয় ও তখন সে ব্রক্ষার কাছে বর চাইলেন,অমরত্ব বর। কিন্তু ব্রহ্মা বললেন- হে হিরণ্যকশিপু! তুমি যে বর চেয়েছো, সেটা আমি দিতে পারবো না। কারণ আমি নিজেই অমর না, তাই তুমি এমন বর চাও যা আমি দিতে পারবো। তখন হিরণ্যকশিপু চিন্তা করলো আমি কি এমন বর চাইবো যাতে আমাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপু বর চাইতে লাগলেন যে, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা! আপনি যদি আমার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে আপনার সৃষ্টির কোনো প্রাণী বা পথে, ঘাটে, দিনের বেলা, রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে, জল, ভূমি, বা আকাশে, কোনও পশু বা কোনো অস্ত্রের দ্বারা, এসবের দ্বারা মাকে বধ করতে না পারে বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই। ব্রহ্মা বললেন, তথাস্তু!
তারপর শুরু হলো হিরণ্যকশিপুর অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তাঁর শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে (প্রহ্লাদ মহারাজ) । তাই ভগবানের ভক্ত আবির্ভূত হয়ে প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবানের আরাধনা করছিল, তখন তাঁর পিতা তাঁকে বলত লাগলো,"তোমার ভগবান, কে???"
সে বলতেন,আমার ভগবান শ্রী হরি, তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে লাগলো যে, আমি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই আমি তোমার ভগবান! কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বললো- না! তুমি আমার ভগবান না, আমার ভগবান বিষ্ণু।তিনি জগতপালক শ্রীহরি। তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা। তুমি তো কেবল আমার এই জড় জগতের পিতা কিন্তু ভগবান শ্রী বিষ্ণু আমার নিত্য পিতা।
তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়, হাতির পায়ের নিচে দেয়, জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে, আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু তার প্রভু ভগবানকে স্মরণ করতে থাকে। কথায় আছে না, "মারে কৃষ্ণ রাখে কে, রাখে কৃষ্ণ মারে কে" - ভগবান যদি চায় তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হলো না তখন প্রহ্লাদ মহারাজ কে কারাগারে নিহ্মেপ করল, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলো আর মারতে লাগলো আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগলো।
তখন হিরণ্যকশিপু এসে বললো- আজ তোকে কে বাঁচায় দেখি তোর ভগবান কোথায়? তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লক্ষ্মীদেবী বললো- হে প্রভু! এখন কি হবে প্রহ্লাদ মহারাজকে কে রক্ষা করবে? হিরণ্যকশিপু তো অমরত্বের মতো বর লাভ করেছে, তাকে কে হত্যা করবে? তোমার ভক্তকে রহ্মা করবে কে? তখন ভগবান বলেন যে অমরত্বের মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না আর প্রহল্লাদকে রহ্মা করবে তাঁর ভক্তি। তাঁর ভক্তিই তাঁকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রহ্মা করবে।
তখন হিরণ্যকশিপুর বললো- তোর ভগবান কি এখানে আছে? প্রহ্লাদ বললো- হ্যাঁ! আমার প্রভু সর্বত্রই বিরাজমান এখানেও আছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠের স্তম্ভ আঘাত করতে লাগে। তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে ভক্তের ভগবান নৃসিংহদেব । হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে, তাকে বধ করতে লাগলেন, সে ঘরেও না, বাইরেও না, ঘরের চৌকাঠেও না, কোন নর না, পশুও না, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, সকালে না রাতেও না, জলেও না, মাটিতেও না, আকাশেও না, অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ রূপে গোধূলি লগ্নে (অর্ধেক দিন ও রাত মানে সন্ধ্যায়) নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে।
ভক্তের ডাকে ভগবান তাঁর ভক্তকে যেকোন উপায়ে রহ্মা করে। এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মাণ্ডও কেপে ওঠে। এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের আবির্ভাব কেউ বুঝতে পারেনি। ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি। তখন দেবতারা বললো - একমাত্র একজন পারে সে হল,তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদ। তখন প্রহ্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে। তখন ভগবান ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তুলে নেয় ও ভগবান বলে - হে ভক্ত প্রহল্লাদ! আমি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা করো আমার কাছে। আমি তোমাকে বর দেবো।
তখন ভক্তের কি আর কিছু চাওয়ার আছে, যে জগতের প্রভু তার সামনে। তবুও ভগবান বললো তুমি একটা বর চাও যেহেতু আমি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি। তখন ভক্ত প্রহ্লাদ বলতে লাগলো- প্রভু! তুমি আমার পিতাকে মুক্তি দাও যেহেতু তিনি আমার জড়জগতে পিতা। তখন ভগবান বললো- হে ভক্ত প্রহ্লাদ তথাস্তু! কিন্তু তোমার শুধু এই পিতাই মুক্তি লাভ করবে না, যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত আছে, তার ২১কূল উদ্ধার হবে, পিতৃকূলের ১০ কূল,মাতৃকূলের ১০কূল ও নিজের এক কূল মুক্তি লাভ করবে।

নৃসিংহ স্তোত:
জয় নৃসিংহ শ্রীনৃসিংহ।
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ ॥
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং
জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং
মৃর্ত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহম্ ॥
শ্রীনৃসিংহ, জয় নৃসিংহ, জয় জয় নৃসিংহ।
প্রহ্লাদেশ জয় পদ্মামুখপদ্মভৃঙ্গ ॥

অনুবাদ– জয় শ্রীনৃসিংহদেব, জয় শ্রীনৃসিংহদেব, শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক! জয় হোক! জয় হোক! সর্বদিক প্রজ্জ্বলনকারী উগ্র বীর, মহাবিষ্ণু, যিনি মৃত্যুরও মৃত্যুস্বরূপ সেই ভীষণ ভদ্র শ্রীনৃসিংহদেবকে প্রণাম জানাই। প্রহ্লাদের প্রভু, পদ্মা অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবীর মুখপদ্মের প্রতি ভ্রমর রূপ শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক, শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক, জয় হোক।

নমস্তে নরসিংহায় প্রহ্লাদাহ্লাদ–দায়িনে।
হিরণ্যকশিপোর্বক্ষঃ শিলাটঙ্ক–নখালয়ে ॥
ইতো নৃসিংহঃ পরতো নৃসিংহো
যতো যতো যামি ততো নৃসিংহঃ।
বহির্নৃসিংহো হৃদয়ে নৃসিংহো
নৃসিংহমাদিং শরণং প্রপদ্যে ॥
তব করকমলবরে নখমদ্ভুতশৃঙ্গং
দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্।
কেশব ধৃত–নরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে ॥

অনুবাদ– হে নৃসিংহদেব, আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আপনি প্রহ্লাদ মহারাজকে আনন্দ দান করেন এবং পাথর কাটার ধারালো টঙ্কের মতো আপনার নখের দ্বারা আপনি হিরণ্যকশিপুর বক্ষ বিদীর্ণ করেছিলেন। শ্রীনৃসিংহদেব, আপনি এখানে রয়েছেন এবং সেখানেও রয়েছেন, যেখানেই আমি যাই, সেখানেই আমি আপনাকে দর্শন করি। আপনি আমার হৃদয়ে এবং বাইরেও রয়েছেন। তাই আমি আদি পুরুষ, পরমেশ্বর ভগবান, শ্রীনৃসিংহদেবের শরণ গ্রহণ করি। হে নৃসিংহদেব, আপনার পদ্মের ন্যায় হস্তে নখের অগ্রভাগগুলো অদ্ভুত এবং সেই হস্তে হিরণ্যকশিপুর দেহ ভ্রমরের মতো বিদীর্ণ করেছেন। হে কেশব, আপনি নৃসিংহদেব রূপ ধারণ করেছেন, হে জগদীশ আপনার জয় হোক। জয় শ্রী নৃসিংহদেব

**শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম**
(১) ওঁ নরসিংহায় নমঃ
(২) ওঁ মহাসিংহায় নমঃ
(৩) ওঁ দিব্যসিংহায় নমঃ
(৪) ওঁ মহাবলায় নমঃ
(৫) ওঁ উগ্রসিংহ্যায় নমঃ
(৬) ওঁ মহাদেবায় নমঃ
(৭) ওঁ স্তম্ভজায় নমঃ
(৮) ওঁ উগ্রলোচনায় নমঃ
(৯) ওঁ রৌদ্রায় নমঃ
(১০) ওঁ সর্বাদ্ভুতায় নমঃ
(১১) ওঁ শ্রীমতে নমঃ
(১২) ওঁ যোগানন্দায় নমঃ
(১৩)ওঁ ত্রিবিক্রমায় নমঃ
(১৪) ওঁ হরয়ে নমঃ
(১৫) ওঁ কোলাহলায় নমঃ
(১৬) ওঁ চক্রিনে নমঃ
(১৭) ওঁ বিজয়ায় নমঃ
(১৮) ওঁ জয়বর্ধনায় নমঃ
(১৯) ওঁ মহানন্দায় নমঃ
(২০) ওঁ পঞ্চননায় নমঃ
(২১) ওঁ পরব্রহ্মণে নমঃ
(২২) ওঁ অঘোরায় নমঃ
(২৩) ওঁ ঘোরবিক্রমায় নমঃ
(২৪) ওঁ জ্বলন্মুখায় নমঃ
(২৫) ওঁ মহোজ্বলায় নমঃ
(২৬) ওঁ জ্বলমালিনে নমঃ
(২৭) ওঁ মহাপ্রভবে নমঃ
(২৮) ওঁ নীতলাক্ষায় নমঃ
(২৯) ওঁ সহস্রাক্ষায় নমঃ
(৩০) ওঁ দুর্নিরীক্ষায় নমঃ
(৩১) ওঁ প্রতাপনায় নমঃ
(৩২) ওঁ মহাদংষ্ট্রায়ুধায় নমঃ
(৩৩) ওঁ প্রজ্ঞায় নমঃ
(৩৪) ওঁ চন্ডকোপিনে নমঃ
(৩৫) ওঁ সদাশিবায় নমঃ
(৩৬) ওঁ হিরণ্যকশিপুধ্বংসিনে নমঃ
(৩৭) ওঁ দৈত্যদানবভঞ্জনায় নমঃ
(৩৮) ওঁ গুণভদ্রায় নমঃ
(৩৯) ওঁ মহাভদ্রায় নমঃ
(৪০) ওঁ বলভদ্রায় নমঃ
(৪১) ওঁ করালায় নমঃ
(৪২) ওঁ বিকরালায় নমঃ
(৪৩) ওঁ বিকর্তে নমঃ
(৪৪) ওঁ সর্বকর্তৃকায় নমঃ
(৪৫)ওঁ শিশুমারায় নমঃ
(৪৬) ওঁ ত্রিলোকাত্মনে নমঃ
(৪৭) ওঁ ঈশায় নমঃ
(৪৮) ওঁ সর্বেশ্বরায় নমঃ
(৪৯) ওঁ বিভবে নমঃ
(৫০) ওঁ ভৈরবডম্ভরায় নমঃ
(৫১) ওঁ দিব্যায় নমঃ
(৫২) ওঁ অচ্যুতায় নমঃ
(৫৩) ওঁ মাধবায় নমঃ
(৫৪) ওঁ অধোক্ষজায় নমঃ
(৫৫) ওঁ অক্ষরায় নমঃ
(৫৬) ওঁ সর্বায় নমঃ
(৫৭) ওঁ বনমালিনে নমঃ
(৫৮) ওঁ বরপ্রদায় নমঃ
(৫৯) ওঁ বিশ্বম্ভরায় নমঃ
(৬০) ওঁ অদ্ভুতায় নমঃ
(৬১) ওঁ ভব্যায় নমঃ
(৬২) ওঁ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ
(৬৩) ওঁ পুরুষোত্তমায় নমঃ
(৬৪)ওঁ অনঘাস্ত্রায় নমঃ
(৬৫) ওঁ নখাস্ত্রায় নমঃ
(৬৬) ওঁ সূর্যজ্যোতিষে নমঃ
(৬৭) ওঁ সুরেশ্বরায় নমঃ
(৬৮) ওঁ সহস্রবাহবে নমঃ
(৬৯) ওঁ সর্বজ্ঞায় নমঃ
(৭০) ওঁ সর্বসিদ্ধিপ্রদায়কায় নমঃ
(৭১) ওঁ বজ্রদংষ্ট্রায় নমঃ
(৭২) ওঁ বজ্রনখায় নমঃ
(৭৩) ওঁ পরন্তপায় নমঃ
(৭৪) ওঁ সর্বমন্ত্রৈকরূপায় নমঃ
(৭৫) ওঁ সর্বযন্ত্রাত্মকায় নমঃ
(৭৬) ওঁ সর্বযন্ত্রবিদারকায় নমঃ
(৭৭) ওঁ অব্যক্তায় নমঃ
(৭৮) ওঁ সুব্যক্তায় নমঃ
(৭৯) ওঁ ভক্তবৎসলায় নমঃ
(৮০) ওঁ বৈশাখশুক্লোদ্ভুত্যায় নমঃ
(৮১) ওঁ শরণাগত বৎসলায় নমঃ
(৮২) ওঁ উদারকীর্তয়ে নমঃ
(৮৩) ওঁ পূণ্যাত্মনে নমঃ
(৮৪) ওঁ মহাত্মনে নমঃ
(৮৫) ওঁ চন্ডবিক্রমায় নমঃ
(৮৬) ওঁ বেদত্রয় প্রপূজ্যায় নমঃ
(৮৭) ওঁ ভগবতে নমঃ
(৮৮) ওঁ পরমেশ্বরায় নমঃ
(৮৯) ওঁ শ্রীবৎসাঙ্কায় নমঃ
(৯০) ওঁ শ্রীনিবাসায় নমঃ
(৯১) ওঁ জগদব্যাপিনে নমঃ
(৯২) ওঁ জগন্ময়ায় নমঃ
(৯৩) ওঁ জগতপালায় নমঃ
(৯৪) ওঁ জগন্নাথায় নমঃ
(৯৫) ওঁ মহাকায়ায় নমঃ
(৯৬) ওঁ দ্বিরূপভৃতে নমঃ
(৯৭) ওঁ পরমাত্মনে নমঃ
(৯৮) ওঁ পরংজ্যোতিষে নমঃ
(৯৯) ওঁ নির্গুনায় নমঃ
(১০০) ওঁ নৃকেশরীণে নমঃ
(১০১) ওঁ পরমাত্মায় নমঃ
(১০২) ওঁ পরতত্ত্বায় নমঃ
(১০৩) ওঁ পরমধাম্নে নমঃ
(১০৪) ওঁ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহায় নমঃ
(১০৫) ওঁ সর্বাত্মনে নমঃ
(১০৬) ওঁ ধীরায় নমঃ
(১০৭) ওঁ প্রহ্লাদপালকায় নমঃ
(১০৮) ওঁ লক্ষ্মীনৃসিংহায় নমঃ

🙏 জয় নৃসিংহ ভগবান 🙏

📿 ভক্তরক্ষক ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের শুভ আবির্ভাব তিথি ২০২৫ 📿🗓️ তারিখ: ১১ এপ্রিল, রবিবার🕰️ উপবাস: গোধুলী পর্যন্ত নির্জলা উপ...
08/05/2025

📿 ভক্তরক্ষক ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের শুভ আবির্ভাব তিথি ২০২৫ 📿

🗓️ তারিখ: ১১ এপ্রিল, রবিবার
🕰️ উপবাস: গোধুলী পর্যন্ত নির্জলা উপবাস
📍 আয়োজনে: ইসকন, সিলেট

🌟 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী — অতি পবিত্র দিবস, যেদিন পরম করুণাময় শ্রীনৃসিংহদেব ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করতে আবির্ভূত হন। আসুন, আমরা সবাই এই মহাপবিত্র তিথিতে নির্জলা উপবাস পালন করে প্রহ্লাদের মতো অটল ভক্তি ও বিশ্বাস অর্জনের প্রার্থনা করি।

🕉️ জয় নৃসিংহদেব! জয় ভক্তরক্ষক !

🙏 নৃসিংহদেব প্রার্থনা করুন—
“বাহ্যিক ও অন্তরের সমস্ত ভয় থেকে আমাদের রক্ষা করুন, এবং কৃষ্ণভক্তিতে আমাদের জীবন ভরে উঠুক।”

⭕সপ্ততীর্থ একত্রে অবস্থান করেন এই “পণতীর্থ মহাবারুণী স্নানযাত্রায়”।আপনিও শ্রীল অদ্বৈত আচার্য প্রভুর কৃপা লাভ করতে চলে আস...
25/03/2025

⭕সপ্ততীর্থ একত্রে অবস্থান করেন এই “পণতীর্থ মহাবারুণী স্নানযাত্রায়”।
আপনিও শ্রীল অদ্বৈত আচার্য প্রভুর কৃপা লাভ করতে চলে আসুন ইসকন পণতীর্থ স্মৃতিধাম, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

⭕আগামী ২৬ মার্চ, বুধবার রাত্রি ১১/১/৫৩ সে. গতে ২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার রাত্রি ৯/২৪/৪৮সে. পর্যন্ত।

🙏 হরেকৃষ্ণ
#পণতীথ

আগামীকাল পরম পবিত্র ভৈমী একাদশী!ভৈমী একাদশীর মাহাত্ম্য:গরুড় পুরাণে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে 'ভৈমী' একাদশী নামে আখ...
07/02/2025

আগামীকাল পরম পবিত্র ভৈমী একাদশী!

ভৈমী একাদশীর মাহাত্ম্য:

গরুড় পুরাণে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে 'ভৈমী' একাদশী নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যুধিষ্ঠির মহারাজ কৃষ্ণের কাছে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী সম্পর্কে জানতে চাইলেন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন এই একাদশী 'জয়া' নামে প্রসিদ্ধ।

একবার ইন্দ্রের রাজসভায় পঞ্চাশ কোটি অপ্সরা নৃত্য করছিলেন। নৃত্যের সাথে গন্ধর্বগণ গান করতে লাগলেন। পুষ্পদত্ত, চিত্রসেন প্রভৃতি প্রধান প্রধান গন্ধর্বেরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চিত্রসেনের কন্যার নাম ছিল পুষ্পবন্তী। পুষ্পদত্তের পুত্রের নাম মাল্যবান। এই মাল্যবান পুষ্পবন্তীর রূপে মুগ্ধ হয়েছিল। ইন্দ্রের প্রীতিবিধানের জন্য তারা দুজনেই নৃত্যগীতের সেই সভায় যোগদান করেছিল। কিন্তু একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট থাকায় উভয়েরই চিত্ত বিভ্রান্ত হচ্ছিল। সেখানে তারা পরস্পর কেবল দৃষ্টিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকলো। ফলে গানের ক্রম বিপর্যয় ঘটল। তাদের এই রকম তাল-মান ভঙ্গভাব দেখে তারা যে পরস্পর কামাসক্ত হয়েছে, দেবরাজ ইন্দ্র তা বুঝতে পারলেন। তখন ক্রোধবশে তিনি তাদের অভিশাপ দিলেন তারা উভয়েই পিশাচযোনী লাভ করে মর্ত্যলোকে দুঃখ ভোগ করবে। ইন্দ্রের অভিশাপে তারা দুজন দুঃখিত মনে হিমালয় পর্বতে বিচরণ করছিল। পিশাচত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় তারা অত্যন্ত দুঃখ ভোগ করতে লাগল। হিমালয়ের প্রচণ্ড শীতে কাতর হয়ে নিজেদের পূর্বপরিচয় বিস্মৃত হয়ে তারা ভাবতে থাকলো যে, তারা কোন পাপ না করেই এই শাস্তি ভোগ করছে তাই আর কোন পাপ করবে না। তাদের পূর্বকৃত কোন পুণ্যের কারণে সেই সময় মাঘী শুক্লপক্ষীয়া 'জয়া' একাদশী তিথি উপস্থিত হল। তারা একটি অশ্বত্থ বৃক্ষতলে নিরাহারে নির্জলা অবস্থায় দিন-রাত যাপন করলো। শীতের প্রকোপে অনিদ্রায় রাত্রি অতিবাহিত হলো। পরদিন সূর্যোদয়ে দ্বাদশী তিথি উপস্থিত হল। জয়া একাদশীর দিন অনাহার ও রাত্রি জাগরণে তাদের ভক্তির অনুষ্ঠান পালিত হলো। এই ব্রত পালনের ফলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় তাদের পিশাচত্ব দূর হলো। তারা দুজনেই তাদের পূর্বরূপ ফিরে পেল। তারপর তারা স্বর্গে ফিরে গেল। দেবরাজ তাদেরকে দেখে অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হয়ে কিভাবে তারা পিশাচযোনী থেকে উদ্ধার পেল, তা জানতে চাইলেন। মাল্যবান বললেন যে, জয়া একাদশী ব্রতের পুণ্যপ্রভাবে পিশাচত্ব দূর হয়েছে। তাদের কথা শুনে দেবরাজ ইন্দ্র তাদের আবার অমৃত পান করতে বললেন এবং আরও বললেন একাদশী ব্রতে যাঁরা আসক্ত এবং যাঁরা কৃষ্ণভক্তি-পরায়ণ তাঁরা দেবতাদেরও পূজ্য।

এই 'জয়া' ব্রত ব্রহ্মহত্যাজনিত পাপকেও বিনাশ করে। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুণ্যফল এই একাদশী প্রভাবে আপনা হতেই লাভ হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুণ্ঠ বাস হয়। এই জয়া একাদশী ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তি প্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয়না।

আগামী ১০ জানুয়ারি (২৬শে পৌষ) শুক্রবার ,বছরের প্রথম একাদশী, পুত্রদা একাদশী। পারণ পরদিন ৬:৪২ হতে ৮:৫৩ মিনিট পর্যন্ত। সবাইক...
08/01/2025

আগামী ১০ জানুয়ারি (২৬শে পৌষ) শুক্রবার ,বছরের প্রথম একাদশী, পুত্রদা একাদশী। পারণ পরদিন ৬:৪২ হতে ৮:৫৩ মিনিট পর্যন্ত।

সবাইকে পুত্রদা একাদশীর অগ্রীম শুভেচ্ছা 🌼

জয় শ্রীকৃষ্ণ🙏
রাধে রাধে 🙏
জয় চৈতন্য মহাপ্রভু🙏

রাধামাধব শৃঙ্গার দর্শন 🌼🌺শ্রীধাম মায়াপুর🥰
11/09/2024

রাধামাধব শৃঙ্গার দর্শন 🌼🌺

শ্রীধাম মায়াপুর🥰

রাধাষ্টমী ব্রত মাহাত্ম্য "একাদশ্যাঃ সহস্রেন যং ফলং লভতে নরঃ। রাধা জন্মাষ্টমী পুণ্যং তস্নাং শত গুণাধিকম্ ॥”অর্থাৎ একহাজার...
10/09/2024

রাধাষ্টমী ব্রত মাহাত্ম্য

"একাদশ্যাঃ সহস্রেন যং ফলং লভতে নরঃ। রাধা জন্মাষ্টমী পুণ্যং তস্নাং শত গুণাধিকম্ ॥”

অর্থাৎ একহাজার একাদশী ব্রত পালন করলে যে ফললাভ হয়, শ্রীরাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে তার চেয়ে শতগুন অধিক ফল লাভ হয়ে থাকে।

পদ্মপুরাণ (ব্রহ্মখণ্ড ৭/৮)

হরে কৃষ্ণ 🙏🌼 আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ২৯-আগস্ট-২০২৪ ইংকৃপা করে সকলে একাদশী ব্রত পালন করুন  এবং অন্যকে একাদশী পালনে উৎসাহিত ...
28/08/2024

হরে কৃষ্ণ 🙏

🌼 আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ২৯-আগস্ট-২০২৪ ইং

কৃপা করে সকলে একাদশী ব্রত পালন করুন এবং অন্যকে একাদশী পালনে উৎসাহিত করুন🙏🌺

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চৈতন্য - Caitanya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share