06/08/2025
হবিগঞ্জ জেলার এক ছোট্ট গ্রামে সেদিন ছিল আনন্দ, উৎসব আর ভালোবাসার দিন। পোস্ট টা সবাই ফলো করবেন বন্ধুরা,
মেয়ের বিয়ে — একজন মা-বাবার জীবনের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের দিন।
সকাল থেকেই আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর আগমন, ঢোল-বাদ্যি আর হাসি-আনন্দে মুখরিত ছিল পুরো বাড়ি।
সন্ধ্যার দিকে যখন বরপক্ষ আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে,
ঠিক তখন কন্যার মা ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন।
যদিও ক্লান্ত ছিলেন, তবুও নিজের মেয়ের বিয়েতে যেন একটা দাগ না থাকে — এই চিন্তায় নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে পরিপাটি করছিলেন ঘর।
কে জানতো এটাই হবে তাঁর জীবনের শেষ কাজ!
কে জানতো, সেদিনের আলোয় ভরা সন্ধ্যা আচমকা এমন অন্ধকার বয়ে আনবে!
ডেকোরেশনের রঙিন বাতির তার লিক করে
অজান্তেই ঘরের দরজার হ্যান্ডেলে বিদ্যুৎ চলে আসে।
তিনি ঝাড়ু দিতে দিতে দরজায় হাত দিলেন আর সাথে সাথেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঘরের আনন্দ মুহূর্তে কান্নায় পরিণত হলো।
তাঁকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় —
কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভগবানের লীলা বড়ই কঠিন, বড়ই নির্মম।
মেয়ে তখন কিছুই জানে না।
তার বিয়ের সাজে, হাতে মেহেদি, গলায় মালা — চোখে স্বপ্ন।
পরিবারের সবাই তখন সিদ্ধান্ত নেয়,
এই শোকের খবর মেয়েকে জানালে সে ভেঙে পড়বে, বিয়ে ভেঙে যাবে —
তাই তাকে বোঝানো হয়, মায়ের অবস্থা একটু খারাপ, চিকিৎসা চলছে।
সবকিছু গোপন রেখে
মেয়েকে হবিগঞ্জ কালীবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়,
আর সেখানেই বরপক্ষকে ডেকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়েটা সম্পন্ন করা হয়।
একদিকে জীবনের নতুন শুরু,
অন্যদিকে সবচেয়ে আপন মানুষটির চিরবিদায় —
এই রকম মিশ্র বাস্তবতা যেন কোনো কন্যার জীবনে না আসে।
আজ শুধু একটাই প্রার্থনা —
ভগবান যেন ওই মায়ের আত্মাকে চিরশান্তিতে রাখেন।
আর তাঁর কন্যাকে এই বিশাল মানসিক ভার যেন বইবার শক্তি দেন। #বিয়েরদিনশোক
#হৃদয়বিদারকঘটনা
#হবিগঞ্জ #মানবতা