10/12/2022
একটা সময় ছিলো যখন মেসি হ্যাট্রিক করলে পরের ম্যাচে রোনালদো। রোনালদো ব্রেস করলে পরের ম্যাচে মেসি। যেনো একজন আরেকজনের ছাড়িয়ে যাওয়ার যোদ্ধে নামত দু'জনই।
মেসিরও খারাপ সময় গেছে,রোনালদোরও। ক্লাব ফুটবলে তো এখন রোনালদোকে স্টার্ট করানো হয়না। মাঝেমধ্যে দুর্বল দলের বিপক্ষে বা গুরুত্বহীন ম্যাচে স্টার্ট করানো হয়। বয়স বেড়েছে, পারফরম্যান্সে ভাটা ধরেছে তাই তাকে অনেকটা অবহেলা করা হয়।এবার দেশের খেলায়ও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ক্ষোভে ইউনাইটেডও ছেড়েছেন রোনালদো। নতুন গন্তব্য কোথায় এখনো ঠিক হয়নি।
রোনালদো এই পৃথিবীর ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ইনফ্লুয়েন্সার..এতে কোনো সন্দেহ নাই। শুধু রোনালদোর জন্যেই এই পর্তুগালের বিরাট একটা ফ্যানবেজ তৈরি হয়েছে। এখন না হয় স্টার প্লেয়ার এর অভাব নেই,ব্রুনো ফার্নান্দেজ,দিয়েগো জুটা,বার্নাদো সিলভা,নুনেজ,ফেলিক্স,ডিয়াজ,কেন্সেলোরা আছে..তখন রোনালদো ছাড়া তেমন বড় কোনো নাম ছিলো না।শুধু রোনালদোকে ভালবেসে পর্তুগাল সাপোর্ট করে এর সংখ্যাটাও বিশাল!
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আজকে বিশ্বকাপের নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন। পরাজিতদের দলে থেকে কান্না করে করে বেরিয়ে গেলেন।অচিরেই হয়ত খেলা থেকেও অবসরে যাবেন।কিন্তু তিনি যা করে গেছেন..যা অর্জন করেছেন..ফুটবল ইতিহাসে বারবার আজীবন ঘুরেফিরে রোনালদোর নামটাও উচ্চারণ হবে।আগামী প্রজন্মের মানুষ রোনালদোকে নিয়ে চর্চা করবে,গবেষণা করবে।
বছর চারেক আগে সম্ভবত রোনালদোর ইউরো জিতার পর বলেছিলাম রোনালদোকে আর মেসির কম্পিটিটর দেখে ট্রল করবো না...উপভোগ করে যাবো। তারপর থেকে আমি কোনো সিঙ্গেল ট্রলও করিনি। গোল করলে বরং ভালোই লাগত।
এই চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ারটাকে ভীষণ মিস করবো।কতশত রাত তার জাদুতে মাতিয়ে রেখেছিল তার হিসেব নেই।সবকিছুই জিতেছেন রোনালদো শুধুমাত্র বিশ্বকাপ ট্রফিটা ছাড়া।যেটা মেসিও এখনো পারেন নি। ফুটবলটা কখনো কখনো খুব নিষ্টুর,রোনালদো মেসিরা নয়।