16/07/2025
"তারার নিচে ঘুম, স্বপ্নগুলো টিনের ফুটোয় গলে যায়"**
প্রতিবেদন | Sylheti Voice24
চোখে স্বপ্ন ছিল সুন্দর একটি ঘরের, যেখানে সন্ধ্যায় বউ-বাচ্চাদের নিয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাবো
কিন্তু বাস্তবতার শীতল বাতাস সেই স্বপ্নকে আকাশের তারা বানিয়ে ফেলেছে—ছোঁয়া যায় না, শুধু তাকিয়ে থাকতে হয়।
পূর্বদৌলতপুর গ্রামের ৪নং উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আব্দুল হান্নান—একজন সাধারণ মানুষ, অসাধারণ কষ্টের ভার বইছেন বছরের পর বছর। ভাঙা টিনের চাল, পাশের দেয়ালে ছেঁড়া পর্দা, আর মাটির মেঝেতে চৌকির একপাশে শুয়ে আছে তার ছোট্ট মেয়ে। বৃষ্টি হলেই, ছাদের ফুটো দিয়ে টুপটাপ করে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি। কোথাও হাঁড়ি রাখা, কোথাও একটা গামলা—তাতে জমে বৃষ্টির জল, আর জমে থেকে যায় জীবনের একরাশ হাহাকার।
রাত হলে ঘরের মধ্যে অন্ধকার নেমে আসে, আর সেই অন্ধকারে হান্নান তাকান ওপরে। টিনের ফুটোগুলো দিয়ে দেখা যায় আকাশ—তারাগুলো ঝলমল করে, যেন ব্যঙ্গ করে বলে:
"তোমার স্বপ্ন ছিল ঘর, আর তুমি পেলে গহ্বর!"
বাড়ির বাইরে গেলে কেউ বুঝতেও পারে না কতটা ভাঙা তার ভেতরের জীবন। হান্নান পেশায় একজন দিনমজুর। প্রতিদিন একটু কিছু আয় হলে তবেই চুলা জ্বলে। ঘরের কথা ভাবতে গিয়েই বুকটা ভার হয়ে আসে—কারণ তার কাছে এটা স্বপ্ন নয়, লাকড়ির আগুনে ধোঁয়ায় মিলিয়ে যাওয়া একটা দীর্ঘশ্বাস।
তবুও হান্নান স্বপ্ন দেখেন। আশায় বুক বাঁধেন, যদি সমাজের কারও চোখে পড়ে এই করুণ চিত্র, যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি, সংস্থা, কিংবা সরকারি উদ্যোগ থেকে আসে একটুখানি সহায়তা, তবে হয়তো তার সন্তানদের অন্তত একটি শুকনো বিছানায় ঘুমানোর সুযোগ হবে। বৃষ্টির দিনে আর ছাদের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখতে হবে না, তখন ঘরের ভেতরেই থাকবে স্বপ্নের ছায়া।
আব্দুল হান্নান বললেন:
"আমি কারও কাছে ভিক্ষা চাই না। চাই শুধু একটু মানবতা, একটু সহানুভূতি। যেন আমার সন্তানরা অন্তত বৃষ্টির দিনে ভিজে না।"
একটি আবেদন, সবার প্রতি:
যদি আপনি পারেন—একটি পরিবারকে ঘর উপহার দিতে, তবে দেরি করবেন না। হয়তো আপনার সামান্য সহায়তা, তাদের জীবনে সূর্যের আলো ফেরাতে পারে।
যোগাযোগ:
স্থান: পূর্বদৌলতপুর, ৪নং উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন
পরিবারের নাম: আব্দুল হান্নান