Al Gawsia international

19/06/2025

পারফেক্ট....?

পারফেক্ট হওয়া জীবনের লক্ষ্য নয়-মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ হলো বিশ্বাসযোগ্য হওয়া। এই দুনিয়ায় এমন অনেক মানুষ আছে, যারা বাইরে থেকে নিখুঁত দেখায়-চেহারায় পরিপাটি, কথায় মধুরতা, আচরণে শালীনতা, কিন্তু বিশ্বাসের জায়গায় একেবারেই শূন্য।

আবার কেউ কেউ হয়তো ততটা নিখুঁত না, ভুল করে, ব্যর্থ হয়, আবেগে ভেঙে পড়ে-কিন্তু একটা জায়গায় তারা অটল- তারা বিশ্বাসঘাতক নয়।

দিন শেষে যখন চারপাশের সম্পর্কগুলো ঝাঁপসা হয়ে আসে, তখন শুধু সেই মানুষটার উপস্থিতিই শান্তি দেয়, যার সম্পর্কে তুমি নিশ্চিত-"যাই হোক, ও আমাকে ঠকাবে না।"

এই ভরসাটা, এই নির্ভরতার জায়গাটাই আসল। পারফেকশন দিয়ে সম্পর্ক টিকে না, টিকে যায় বিশ্বাস, সম্মান, আর একে অন্যের পাশে থেকে পথ চলার ইচ্ছে দিয়ে।

জীবনের পথে কেউ যদি থাকে, যে নিখুঁত না হলেও,

তোমার ভুল বোঝে, তোমার পাশে থাকে, তোমার সঙ্গে সত্য থাকে-

তাহলে বুঝবে, তুমি একজন "দামী মানুষ" পেয়েছো।

কারণ ঘুমের আগে যখন মনটা শান্ত হয় এই ভেবে, "আমার মানুষটা আমার নয়, শুধু আমিই তার-সে কখনো আমার সাথে প্রতারণা করবে না"-এই অনুভূতির চেয়ে দামি কিছু নেই।

07/06/2025

"খলিল হওয়া এত সহজ নয়, খলিল হতে গেলে ইসমাইলকে ছুরির নিচে রাখতে হয়।"

'খলিল' এই শব্দটি আল-কুরআনে এসেছে কেবল একবার, যেখানে বলা হয়: "ওয়াত্তাখাযাল্লাহু ইবরাহিমা খলিলান।" - [সূরা নিসা, ১২৫]

খলিল শব্দটি এসেছে 'খুল্লা' শব্দ থেকে, যার মানে গভীর, অন্তরঙ্গ ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব। হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কুরআনের ভাষায় "খলিলুল্লাহ", অর্থাৎ আল্লাহর বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধুত্ব কোনো সাধারণ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি এমন এক সম্পর্ক, যা পরীক্ষার অগ্নিকুণ্ড পেরিয়ে গড়ে ওঠে। খলিল হওয়া মানে নিজের সত্তাকে, নিজের ভালোবাসাকে, এমনকি নিজের স্বপ্নকেও প্রভুর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করা।

বন্ধু হওয়া মানে চাওয়া-পাওয়ার সমতা নয়; বরং সেই বন্ধুত্বের গূঢ় সত্য, যেখানে নিজের ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে বন্ধুর ইচ্ছাকেই পরম সত্য হিসেবে গ্রহণ করতে হয়। এটা একটি গভীর আধ্যাত্মিক চুক্তি, যেখানে নিজের সত্তাকে বিলুপ্ত করে পরমসত্তার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার যাত্রা শুরু হয়।

ইসমাইল এখানে প্রতীকীভাবে বোঝায় মানুষের হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। হোক তা সন্তান, সাফল্য, অহং, প্রেম, কিংবা নিজের তৈরি স্বপ্ন। খলিল হওয়ার জন্য এই ইসমাইলকে অর্থাৎ নিজের হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় কিছু, প্রভুর নির্দেশে ছুরির নিচে রাখতে হয়। এই কাজ শুধু বাহ্যিকতা নয়, বরং অন্তরের গভীরতম স্তরে আত্মত্যাগের প্রতিচ্ছবি।

ছুরি এখানে প্রতীক এক নির্মম সত্যের, যে সত্য সমস্ত আবেগ, মোহ ও স্বার্থকে কাটতে প্রস্তুত। ইসমাইলকে ছুরির নিচে রাখা মানে নিজের ভোগলালসা, আত্মপরিচয়, সামাজিক গর্ব বা পার্থিব ভালোবাসাকে আত্মসংবরণ ও আত্মসমর্পণের মাধ্যমে হত্যা করা। এক অর্থে, এটি নফসের কোরবানি, যেখানে ব্যক্তি নিজের ভেতরের পশুপ্রবৃত্তিকে কাটে, সেইসব যা খলিল হওয়ার পথে বাধা।

এই পরীক্ষার নাট্যদৃশ্যে শুধু ইব্রাহিম (আ.) নয়, ইসমাইল (আ.)'ও এক মহাকাব্যের চরিত্র। কোরআনে বর্ণিত আছে, কিশোর ইসমাইল (আ.) নিজেই বলেছিল, "পিতা, আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন, তা করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।" এ যেন আত্মার সংলাপ আত্মার সঙ্গেই, যেখানে প্রেম কোনো একতরফা ভোগের নাম নয়, বরং পারস্পরিক বিসর্জনের প্রস্তুতি।

আল্লাহ ইব্রাহিমকে ইসমাইল হত্যা করতে দেননি। কারণ, উদ্দেশ্য ছিল হত্যা নয়, প্রস্তুতি। আত্মত্যাগ তখনই প্রকৃত হয়, যখন ত্যাগের প্রস্তুতি অন্তর থেকে আসে। আমাদের জীবনের পরীক্ষাগুলোর মতোই। অনেক সময় আল্লাহ আমাদের থেকে কিছু চান না, শুধু দেখেন আমরা দিতে প্রস্তুত কিনা। সেই প্রস্তুতির গভীরতাই বলে দেয় আমরা 'খলিল' হওয়ার যোগ্য কিনা।

ইবরাহিম (আ.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন খলিলত্বের এক-একটি ধাপ: পিতার ঘর ছাড়া, মূর্তির বিরোধিতা, আগুনে ঝাঁপ, মরুর নিঃসঙ্গতা, সন্তানপ্রাপ্তি। আর শেষে সেই সন্তানকেই কোরবানি করার নির্দেশ। এ এক ঈমানের মহাকাব্য।

আজকের মানুষের ইসমাইল হলো তার অহংকার, তার সফলতা, তার ভালোবাসার অভ্যাস, তার সম্পর্কের মোহ, তার 'আমি' এই সমস্ত কিছু। আমরা সবাই নিজের কোনো না কোনো ইসমাইলকে আঁকড়ে ধরে থাকি। তাই খলিল হওয়া মানে আজও সেই ইসমাইলকে আত্মার ছুরির নিচে রাখা। ভালোবাসা দিয়ে, সমর্পণ দিয়ে, নির্মম স্নেহ দিয়ে।

এই পংক্তি দুটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়-আধ্যাত্মিক উন্নতি ও সত্যিকারের প্রেমের পথে হাঁটা মানে নিজেকে ভাঙা, হারানো ও গড়ে তোলা। খলিল হওয়া মানে নিছক কোনো ধর্মীয় উপাধি নয়, বরং এমন এক মহান যাত্রা যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপে রুহ কাঁদে, হৃদয় ত্যাগ করে, এবং খোদার প্রেমে নতুন রূপে জেগে ওঠে।

শেষে,

যে ইসমাইলকে তুমি ছুরির নিচে রাখতে পারো, সেই তোমার আত্মা'র দরজা খুলে দেয়। সেই দরজার ওপারে খলিল দাঁড়িয়ে থাকেন; একজন প্রেমিক, একজন মুক্ত মানুষ।

খলিল হওয়া কঠিন, কারণ খলিল হওয়া মানে নিজের সবচেয়ে প্রিয়টিকেই খোদার তরে উৎসর্গ করা। প্রেমের সর্বোচ্চ প্রমাণ হয় ত্যাগে, আর সেই ত্যাগই সত্যিকারের বন্ধুত্বের ভিত্তি।

©️

25/05/2025

গরিবের কান্না শুনে বন্দ রাখিলে কান,
নিজের কান্নায় তুমি পাবেনা আছান।

23/04/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Ajman Ripon, MD Sojib Islam Islam

06/04/2025

কর্ম দোষের কারনে ব্যর্থতার গ্লানি।
ব্যর্থতা, এমন এক অনুভুতি যা মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে আঘাত করে। এই ব্যর্থতা শুধুমাত্র চাহিদার অসমাপ্তি বা কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ার কারণে আসে না, বরং নিজের ভুল সিদ্ধান্ত, অবিবেচনাপূর্ণ কর্ম, বা অদক্ষতা থেকে উদ্ভূত অপরাধবোধের ফলও হতে পারে। আর এই দোষের গ্লানি কখনও সহজে মুছে যায় না। বরং, তা এক দীর্ঘ যন্ত্রণার মত মানুষকে খেয়ে ফেলে।
কর্মের দোষ, একে অস্বীকার করা যেমন কঠিন, তেমনি স্বীকার করাও সহজ নয়। জীবনের পথচলায় আমরা অনেক সময় আমাদের বুদ্ধি ও বিবেককে অবহেলা করে এমন কিছু করি, যার পরিণাম শুধু আমাদের নয়, বরং আমাদের আশেপাশের মানুষদেরও ক্ষতি করে।
আর যখন ফলস্বরূপ সেই কর্মের দোষ মাথায় আসে, তখন তার গ্লানি আমাদের মনের গভীরে জমে থাকে মরণ অব্দি।
যখন একে একে মানুষ থেকে দূরে সরে যায়, সম্পর্ক ভেঙে পড়ে, বন্ধুরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন মনে হয় আমাদের হাতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই সময় জীবনের সব আশা যেন একে একে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেও একটা সত্য রয়েছে—যতটা সহজভাবে আমরা দোষের গ্লানি গ্রহণ করি, ততটাই সহজ আমাদের সামনে নতুন সূর্যোদয় আসে।
ব্যর্থতার এই গ্লানি আমাদের মনকে শুদ্ধ করতে পারে, যদি আমরা আমাদের ভুলকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি এবং তার পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে পারি। তবে, এটা মনে রাখতে হবে যে, যে ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করে এবং সঠিক পথের দিকে ফিরে আসে, তার জন্য জীবনের সফলতা কখনো শেষ হয় না। সফলতা শুধু বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধির ফল।
এবং তাই, কর্মের দোষের গ্লানি, যতই কষ্টকর হোক না কেন, তা কখনোই চিরকাল থাকে না। যদি আমরা তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি, তবে আমরা এক নতুন পথের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।

©️✍️📖

02/04/2025

দেহঘড়ি⏰
নীরবতা মস্তিষ্কের জন্য ভালো🤫

নীরবতা মস্তিষ্কের জন্য ভালো 🧠
আমরা যে শহরে বসবাস করি তা আমাদের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। কারণ তা সর্বদা শব্দে পরিপূর্ণ থাকে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরেও প্রবেশ করতে থাকে এর খারাপ প্রভাব।


২০১১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে বলা হয় যে, শব্দদূষণ বর্তমানে একটি ‘আধুনিক প্লেগ’ এর মতো। আরো বলা হয়, এই অপ্রতিরোধ্য পরিবেশের ক্ষতিকারক শব্দদূষণের খারাপ প্রভাব রয়েছে মানুষের জীবনেও।


আমরা প্রতিদিন ক্রমাগত শব্দের মধ্যে বসবাস করি। টেলিভিশন, রেডিও, ফোনে বা সাউন্ড সিস্টেমে জোরে জোরে গান শোনা। একটু ভেবে দেখুন তো প্রতিদিন নিজের জন্য ঠিক কতটা সময় ব্যয় করছেন নিরব থেকে। এর উত্তর হয়তো খুব কম মানুষই দিতে পারবে।


আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের পরিবেশ ধীরে ধীরে আরো শব্দময় হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সামান্য নীরবতা চান খুব করে কিন্তু কোথায় পাবেন সেই নিরাবতা। যান্ত্রিকতার শহরে মানুষ চুপ হয়ে গেলেও যন্ত্র চুপ হয় না।


একজন মানুষের প্রতিদিন কিছুটা সময় হলেও নীরবতার মধ্যে কাটানো দরকার। কারণ এটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আসুন জেনে নিই নীরবতা মস্তিষ্কের জন্য ঠিক কতটা ভালো।


* নীরবতা দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ কমায়

১৯ শতকের দিকে ব্রিটিশ সেবিকা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল বলেন, অপ্রয়োজনীয় শব্দ মানুষকে বেশি অসুস্থ করে তোলে। তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত শব্দ মানুষের দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ বাড়ায়।


একটি গবেষণায় বলা হয় যে, শব্দদূষণ উচ্চ রক্ত চাপ বাড়ায় এবং এতে হার্ট অ্যাটাকেরও সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া জোরে হওয়া শব্দ থেকে মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন করটসল মুক্ত হয়ে যায়, যার দ্বারা মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।


২০০৬ সালে মানুষের রক্ত চাপ এবং মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের ওপর করা গবেষণা থেকে একটি হার্ট জার্নালে বলা হয়, ২ মিনিটের নীরবতা বেশি রিলাক্সিং, যা রিলাক্সিং মিউজিক থেকেও পাওয়া যায় না।


* নীরবতা মানসিক পুঁজি যোগায়

একটি গবেষণা থেকে বলা হয় যে, যারা বেশি নীরবতার মধ্যে কাটান এদের কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা বেশি থাকে অর্থাৎ তারা অনেক সুন্দরভাবে যেকোনো কিছু চিন্তা করে সমাধান করতে পারেন।


আপনি যদি সারাদিন অনেক শব্দের মধ্যে কাটান তাহলে আপনার মস্তিষ্ক মানসিকভাবে তার চিন্তা করার ক্ষমতা হারায়। এবং ক্রমাগত এটা চলতে থাকলে দেখা যায় যে, মস্তিষ্ক এক সময় কোনো কিছু ভালো বা খারাপ দিক সম্পর্কে বিবেচনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।


* নীরবতা মস্তিষ্কের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে

২০১৩ সালে প্রকাশিত মস্তিষ্ক, গঠন এবং কার্যক্রম নামক একটি জার্নালে বলা হয় যে, প্রতিদিন প্রায় দুই ঘণ্টার নীরবতা আপনার মস্তিষ্কের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে পারে। এতে করে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি এবং অনুভূতি শক্তি আরো বৃদ্ধি পায়।


নীরবতার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কোষ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ফলে মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমে যায় অনেক।


সর্বোপরি বলা যায় যে, একটি মানুষের দৈনিক বেশ কিছু সময় নীরবতার মধ্যে কাটানো উচিত। কিন্তু এই যান্ত্রিকতার মাঝে নীরবতা কোথায়? মানুষ থেমে গেলেও যন্ত্র থামে না। তাই প্রতিদিন সকালে যখন সব মানুষ জেগে ওঠেন না, তখন কিছু সময় ভালো কিছু চিন্তা করে, একেবারে নীরব কোনো জায়গায় কিছুটা সময় ব্যয় করুন। সবুজ প্রকৃতির মধ্যে হলে আরো ভালো। আর যদি তাও না করতে প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট নীরবতার মধ্যে থাকতে চেষ্টা করুন।

©️

তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট

23/03/2025

24/01/2025

'নিজের উপর বিরক্ত হয়ে গেলে মানুষ ভীষণ অসহায় হয়ে পড়ে। কাউকে কিছু বলতে পারে না। কারণ নিজের বিরক্তির কারণ যখন আমি নিজেই!

'কোথায় যাবো? কাকে বলবো? কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো? সব ছেড়ে নিজের কাছে ফিরে এসে দেখলাম আমি নিজেই আমার মন মতো না। নিজে নিজের মন খারাপের কারণ হয়ে উঠলে মানুষের জন্য কোন সমাধান থাকে না। নিজে নিজেকে বুঝতে না পারাটা সবচেয়ে বড় অসহায়ত্ব।🤍🌸