https://www.facebook.com/106361364916678/

Mr Creatior, Sylhet (2025)

02/07/2025

amma jan

01/07/2025

batija

30/06/2025

মানুষ 💔

30/06/2025

শুধু টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো এটাকে হেসে উড়িয়ে দিবেন। অথচ আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান আর মহাকাশ প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এমন কিছু ধারণা সামনে এসেছে যা আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রচলিত বিশ্বাসকেই চ্যালেঞ্জ করছে। সম্প্রতি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের (JWST) একটি গভীর পর্যবেক্ষণ এইরকমই এক ধারণাকে আলোচনায় এনেছে—আমাদের মহাবিশ্ব হয়তো একটি ঘূর্ণায়মান ব্ল্যাক হোলের ভিতরে অবস্থান করছে।

এই ধারণার গভীরে যাওয়ার আগে বুঝতে হবে ব্ল্যাক হোল আসলে কী। ব্ল্যাক হোল হলো এমন একটা অঞ্চল যেখানে মহাকর্ষ এতটাই তীব্র যে আলো পর্যন্ত সেখানে থেকে বের হতে পারে না। স্পেস-টাইম এমনভাবে বাঁক খায় যে, সব পথ আবার নিজের দিকেই ফিরে আসে। আমরা যেমন মাটির গর্তে পড়লে একপাশ দিয়ে বের হতে পারি, ব্ল্যাক হোলও একধরনের গর্ত, তবে এটা ত্রিমাত্রিক (3D)—যেটাতে যেকোনো দিক থেকে পড়া যায়। এর একটি অদৃশ্য সীমা আছে, যাকে বলে ইভেন্ট হরাইজন। এই সীমার ভেতরে গেলে আর কিছুই ফিরে আসতে পারে না, এমনকি আলোও।

একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হল আমাদের ইউনিভার্সেও এমন একটা হরাইজন আছে। এই সীমার বাইরে থেকে এখনো কোনো তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি, কারণ মহাবিশ্বের বয়স এবং আলোর গতি—দুটোই সীমিত। আমরা যতদূর পর্যন্ত দেখতে পাই, সেটুকুই Observable Universe। স্পেস প্রসারণের দরুন এই ইউনিভার্সের ব্যাসার্ধ ৪৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। তাই এর বাইরে কিছু থাকলেও সেটা আমরা দেখতে পাবো না কারণ আলো পৌঁছাতে পারবেনা।

এই পরিমাণ জায়গার মধ্যে যত ভর আছে, তা যদি আমরা হিসাব করি, তাহলে দেখা যায়—এত ভর ধারণ করার জন্য যেই আকারের একটি ব্ল্যাক হোল প্রয়োজন, সেটি প্রায় আমাদের observable universe এর সমান! এই অদ্ভুত মিলটাই বিজ্ঞানীদের ভাবাচ্ছিল।

এখন প্রশ্ন হল আমরা যে ব্লাক হোলের মধ্যে আছি সেটা বিজ্ঞানীরা বুঝলো কিভাবে?

এখানে আসে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ২৬৩ টি গ্যালাক্সির ঘূর্ণন বিশ্লেষণ করার সেই নতুন গবেষনা। যদি আমাদের মহাবিশ্ব আইসোট্রপিক বা সমানভাবে বিস্তৃত হয়, তাহলে গ্যালাক্সিগুলো অর্ধেক ক্লকওয়াইজ অথবা অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ ঘোরার কথা। আর সেটা না হলে এলোমেলোভাবে ঘোরার কথা। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় দুই তৃতীয়াংশ গ্যালাক্সি ক্লকওয়াইজ ঘুরছে, আর এক তৃতীয়াংশ অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ। অর্থাৎ আমাদের মহাবিশ্বে এক ধরনের নেট ঘূর্ণন বিদ্যমান।

এখন, প্রশ্ন হলো এই ঘূর্ণন এলো কোথা থেকে?

সাধারণত কোনো গ্যালাক্সি তৈরি হয় এক বিশাল গ্যাস ক্লাউড থেকে, যার ভেতরে চলে ছোটখাটো নড়াচড়া বা গোলমাল (turbulence)। সেই ঘূর্ণনের ধারাবাহিকতায় ক্লাউড যখন সংকুচিত হয়ে গ্যালাক্সিতে রূপ নেয়, তখন তা ঘূর্ণায়মান হয়। তবে যেহেতু প্রতিটি গ্যাস ক্লাউড আলাদা, তাই প্রত্যেক গ্যালাক্সির ঘূর্ণনের দিক হওয়া উচিত এলোমেলো। কিন্তু যদি পুরো ইউনিভার্সের নেট ঘূর্ণন দেখা যায়, তাহলে সেটা আর এলোমেলো নয়।

এখানেই আবার ফিরে আসে ব্ল্যাক হোল কসমোলজির ধারণা। কারণ একটি ব্ল্যাক হোলে দুইটি মৌলিক জিনিস টিকে থাকে: মোট ভর এবং মোট ঘূর্ণন (Angular momentum)। এখন যদি আমাদের ইউনিভার্স একটি আল্ট্রা সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল হয়, যার মধ্যে একসময় সব কিছু প্রবেশ করেছিল, তাহলে সেই ঘূর্ণনের ছাপ আজও থাকতে পারে গ্যালাক্সিগুলোর এই নেট রোটেশনে।

তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
কারণ এই গবেষণায় ব্যবহৃত গ্যালাক্সির সংখ্যা মাত্র কয়েকশ, অথচ মহাবিশ্বে গ্যালাক্সির সংখ্যা বিলিয়নের বেশি। সুতরাং আরও গবেষণা ও ডেটা দরকার। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে আমাদের মহাবিশ্বকে আমরা যতটা সহজ মনে করি, সেটি আদতে হয়তো অনেক বেশি রহস্যময়।

লেখা: রেদোয়ানুল হক রানা
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, Royal Astronomical Society
#মহাকাশ #ব্লাকহোল #ইউনিভার্স

29/06/2025

o he mayaboti🥰

Mr Creatior

02/07/2025

01/07/2025

30/06/2025

30/06/2025

29/06/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category